Skip to main content

Fabricare receipt 01 08 2024

শেখ হাসিনা (SHEIKH HASINA) : বাংলার অহংকার - ওমর খালেদ রুমি

১৯৮১ সালের ফেব্রæয়ারীতে যখন শেখ হাসিনাকে হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের মতো একটা বড় দলের সভানেত্রী করা হলো তখন অনেকেই এটাকে একটা অবিবেচকের মতো নেওয়া সিদ্ধান্ত মনে করেছিলেন। কিন্তু কালে কালে সমস্ত চড়াই উৎরাই পেরিয়ে, অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে, প্রতিটি পরিস্থিতি সামলে শেখ হাসিনা হয়ে উঠেছেন কষ্টি পাথর। তাকে যাচাই করা নয় বরং তার সাথে তুলনা করেই যাচাই করা যায় বিশ্বের যে কোন রাষ্ট্রনায়ককে। শেখ হাসিনা এখন উন্নয়নের সমার্থক শব্দ। শেখ হাসিনা মানে স্বপ্নপূরণের অঙ্গীকার। সততা আর সদিচ্ছা থাকলে যে কত কিছু করা যায় তা আজ পুরো বাংলাদেশ ঘুরলে চোখে পড়ে।

 

তবে হ্যাঁ। এ পর্যন্ত আসা কোন আসান কাম নয়। পদে পদে ষড়যন্ত্র। আগেও ছিলো। এখনও আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। এর মধ্য দিয়েই তিনি করে দেখালেন। সমালোচকরা তবু সমালোচনা করছে। দুর্নীতিবাজরাও চেষ্টা করছে লুটতে। তবে তার কানে গেলে আর রক্ষা নাই। চিরদিনের জন্যে হারিয়ে যেতে হবে অন্ধকারে। তার আমলে ভালোর জন্যে যেমন পুরষ্কার মন্দের জন্যে তেমন শুধু তিরষ্কারই নয় রয়েছে কঠিন শাস্তি। ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্যেই যেন জন্ম শেখ হাসিনার।

 

একটু পেছনে যেতে হয়। তখন চলছিল সামরিক শাসন। ১৯৭১ সালের পুরো সালটা জুড়ে যে মুক্তিযুদ্ধ চলেছিলো তার ফলশ্রæতিতে যে স্বাধীনতা এলো তার আদর্শকে তুলে ধরে ১৯৭২ সালে যে সংবিধান আমরা পেলাম মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাকে ভুলুন্ঠিত করে তার সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী ভাবনার একটা শাসন ব্যবস্থা কায়েমের একটা চুড়ান্ত পদক্ষেপ তখন নেওয়া হয়ে গেছে। অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার। আর এ সদ্য প্রচলিত ব্যবস্থায় যারা যোগ দিয়েছে তাদের ব্যাপারে মূলতঃ কি বলা যায়। হৃদয়ে তারা নিজ ঘরে পরবাসী তাতে বাইরের লেবাস যাই হোক না কেন? মানুষের ফ্যান্টাসি প্রিয়তা এতোটা অবাক করার মতো হতে পারে তা থ্রিলার ছবির দর্শকদেরও কল্পনার বাইরে।

 

শেখ মুজিবকে সপরিবারে এমনকি আত্মীয় স্বজনদেরও পরিবার সমেত হত্যা করার একটা মহাযজ্ঞ হয়ে গেলো যেন ছেলেখেলার মতো করে। তারপর জাতীয় চার নেতা? তাদের ভাগ্যেও জুটল জেলখানার ভেতরে বন্দী অবস্থায় অসহায় করুণ অপমৃত্যু। এবার তাহলে তো আর কথা বলার মতো কেউই থাকল না। আগুনের সেই স্ফুলিঙ্গের ভেতর থেকে ফিনিক্স পাখির মতো উঠে এলেন শেখ হাসিনা। ঘটনাটা ১৯৮১ সালের ফেব্রæয়ারী মাসের। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেশে ফিরলেন। তারপর মুখোমুখি হলেন তৎকালীন সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের।

 

১৯৮১ সালের ১৭ই মে থেকে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর এরশাদের পতনের আগ পর্যন্ত সময় কালটাতে যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তিনি দেখিয়েছেন তার তুলনা মেলা ভার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পুণঃস্থাপন এবং সংবিধানের রাজনীতি ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। এই সময়টাতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সেলিম-দেলোয়ার-নূর হোসেন-ডাঃ মিলনের মতো অনেক মহৎপ্রাণ মানুষ শহীদ হন।

 

১৯৮১-১৯৯১ সময়কালের ঘটনাবলীর অত্যন্ত গোছালো অথচ সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পাই আমরা উইকিপিডিয়ায়। উইকিপিডিয়া লিখেছে,

 

While living in exile in India, Hasina was elected President of the Awami League (AL) in 1981. The AL has been described as a "left-of-center" party.

Under martial law, Hasina was in and out of detention throughout the 1980s. In 1984, she was put under house arrest in February and again in November. In March 1985, she was put under house arrest for another three months. Her party, along with the Bangladesh Nationalist Party (BNP) under Khaleda Zia, continued to work to restore democratically elected government, which they achieved by the democratic election in 1991, won by the BNP.

Hasina and the AL participated in the 1986 Bangladeshi general election held under President Hussain Muhammad Ershad. She served as the leader of the parliamentary opposition in 1986–1987. She led an eight-party alliance as opposition against Ershad. Hasina's decision to take part in the election had been criticised by her opponents, since the election was held under martial law, and the other main opposition group boycotted the poll. However, her supporters maintained that she used the platform effectively to challenge Ershad's rule. Ershad dissolved the parliament in December 1987 when Hasina and her Awami League resigned in an attempt to call for a fresh general election to be held under a neutral government. During November and December in 1987, a mass uprising happened in Dhaka and several people were killed, including Noor Hossain, a Hasina supporter.

 

তবে ১৯৯১ সালে যে নির্বাচন হলো তাতে তিনি নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হলেন। জিয়াউর রহমানের তৈরী করা দল, যার নেতৃত্বে ছিলো তারই স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সরকার গঠন করলো। এটা বলতে গেলে তার জন্যে একটা রাজনৈতিক ধাক্কাই ছিলো। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নয়। গঠনমূলক রাজনীতি ছিল তার অস্থিমজ্জায়। তিনি বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবেই অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখলেন এবং ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তার সুফলও পেলেন নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে।

 

১৯৯১-১৯৯৬ সময়কালের ঘটনাবলীর অত্যন্ত গোছালো অথচ সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পাই আমরা উইকিপিডিয়ায়। উইকিপিডিয়া লিখেছে,

 

After several years of autocratic rule, widespread protests and strikes had paralysed the economy. Government officers refused to follow orders and resigned. Members of the Bangladesh Rifles laid down their weapons instead of firing on protestors and curfew was openly violated. Hasina worked with Khaleda Zia in organising opposition to Ershad. A huge mass protest in December 1990 ousted Ershad from power when he resigned in favour of his vice president, Justice Shahabuddin Ahmed, the Chief Justice of the Bangladesh Supreme Court. The caretaker government, headed by Ahmed, administered a general election for the parliament. The Bangladesh Nationalist Party led by Khaleda Zia won a general majority, and Hasina's Awami League emerged as the largest opposition party. Of the three constituencies Hasina contested, she lost in two and won in one. Accepting defeat, she offered her resignation as the party president but stayed on at the request of party leaders.

Politics in Bangladesh took a decisive turn in 1994, after a by-election in Magura, held after the death of the MP for that constituency, a member of Hasina's party. The Awami League had expected to win back the seat, but the BNP candidate won through rigging and manipulation, according to the neutral observer who came to witness the election. Hasina led the Bangladesh Awami League in boycotting the parliament from 1994. Relations between Hasina and Zia nosedived after this.

 

এ যাত্রায় তার হাতে সুযোগ এলো দেশের জন্যে সত্যিকার অর্থেই কার্যকর কিছু করার। তিনি সেই সুযোগের যথাসম্ভব সদ্বব্যবহার করার চেষ্টা করলেন।

 

১৯৯৬-২০০১ সময়কালের ঘটনাবলীর অত্যন্ত গোছালো অথচ সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পাই আমরা উইকিপিডিয়ায়। উইকিপিডিয়া লিখেছে,

 

The Awami League (AL), with other opposition parties, demanded that the next general elections be held under a neutral caretaker government, and that provision for caretaker governments to manage elections be incorporated in the constitution. The ruling Bangladesh Nationalist Party (BNP) refused to act on these demands.

Opposition parties launched an unprecedented campaign, calling strikes for weeks on end. The Government accused them of destroying the economy while the opposition countered that the BNP could resolve the issue by acceding to their demands. In late 1995, the MPs of the AL and other parties resigned en masse from parliament. Parliament completed its five-year term and the February 1996 general election was held. The election was boycotted by all major parties except the ruling BNP, who won all the seats in the parliament as a result. Hasina described the election as a farce.

The new Parliament, composed almost entirely of BNP members, amended the constitution to create provisions for a caretaker government (CTG). The June 1996 general election was held under a neutral caretaker government headed by retired Chief Justice Muhammad Habibur Rahman. The AL won 146 seats, a plurality, but fell short of a simple majority. Khaleda Zia, leader of the BNP who won 104 seats, denounced the results and alleged vote rigging. This was in contrast with the neutral observers who said that the election was free and fair.

Hasina served her first term as Prime Minister of Bangladesh from 1996 to 2001. She became the first Bangladeshi prime minister since independence to complete an entire five-year term. She signed the 30-year water-sharing treaty with India governing the Ganges. Her administration repealed the Indemnity Act, which granted immunity from prosecution to the killers of Sheikh Mujib, her father and the first President of Bangladesh. Her government opened the telecom industry to the private sector, which until then was limited to government-owned companies. In 1999 the government started the New Industrial Policy (NIP) which aimed to strengthen the private sector and encourage growth.

Bangladesh joined two multilateral bodies, the Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation (BIMSTEC) and D-8 Organization for Economic Cooperation (D-8). The NIP allowed foreign companies to open 100 percent-owned subsidiaries.

In the 2001 general election, despite winning 40% of the popular vote (slightly less than BNP's 41%), the AL won just 62 seats in the Parliament, while the 'Four Party Alliance' led by BNP won 234 seats, giving them a two-thirds majority in Parliament. Hasina herself ran in three constituencies, and was defeated in a constituency in Rangpur, which included her husband's home town, but won in two other seats. Hasina and the AL rejected the results, claiming that the election was rigged with the assistance of the President and the caretaker government. The international community was largely satisfied with the elections, and the 'Four Party Alliance' went on to form a government.

 

কিন্তু দুঃেেখর বিষয় এতোটা জঞ্জাল জমে ছিলো আর সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে তখনও ঘাপটি মেরে থাকা অপশক্তির কার্যকারিতা ফুরিয়ে যায়নি। তাই ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলেন আর এই সুযোগেই ২০০১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত সময়কালটাতে বিএনপির নেতৃত্বে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে মাৎস্যনায় চললো। যার ফলাফল হিসেবে বিএনপি আজ বলতে গেলে পুরোপুরিই নির্বাসনে।

 

২০০১-২০০৭ সময়টাকালটাতে তার কার্যকলাপ সম্পর্কে লিখতে গিয়ে উইকিপিডিয়া লিখেছে:

 

The Awami League MPs were irregular in attending the Parliament during the following period. In late 2003, the Awami League started its first major anti-government movement, culminating in the declaration by party general secretary Abdul Jolil that the government would fall before 30 April 2004. This failed to happen and was seen as a blow to the party and Hasina, who had implicitly supported Jalil.

২০০১ থেকে ২০০৭ সময়কালে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার সব ধরণের ষড়যন্ত্র করা হয়। আহসানুল্লাহ মাস্টার, শাহ এ এস এম কিবরিয়ার হত্যার ঘটনাকে ছাপিয়ে শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার সব ধরণের ষড়যন্ত্র করা হয় কুখ্যাত গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে।

 

এই ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে উইকিপিডিয়া লিখেছে:

 

During her second term as leader of the opposition, political unrest and violence increased. MP Ahsanullah Master died after he was shot in May 2004. This was followed by a grenade attack on 21 August on an Awami League gathering in Dhaka, resulting in the death of 24 party supporters, including Ivy Rahman, party women's secretary. In October 2018, a special court gave verdicts in two cases filed over the incident; the court ruled that it was a well-orchestrated plan, executed through abuse of state power, and all the accused, including BNP Senior vice-chairman Tarique Rahman (in absentia) and former top intelligence officials, were found guilty. The court prescribed various punishments. Shah A M S Kibria, Hasina's former finance minister, was also killed that year (2004) in a grenade attack in Sylhet.

 

তবে এতো সব হতাশার মধ্যেও আনন্দের খবর ছিলো এ বি এম মহিউদ্দিনের চট্রগ্রাম সিটি করপোরেশনের  মেয়র নির্বাচিত হওয়া। এ সম্পর্কে উইকিপিডিয়া লিখেছে:

 

In June 2005, A. B. M. Mohiuddin Chowdhury, the incumbent AL Mayor, won an important election in Chittagong, the second-largest city in Bangladesh. This election was seen as a showdown between the opposition and the ruling party.

 

২০০৭ সালের পর বিএনপির ক্রমাগত রাজনৈতিক অদূরদর্শীতা ও গোঁয়াতুর্মির কারণে দৃশ্যপটে দু’জন গণতন্ত্র বিধ্বংসী ভিলেনের আবির্ভাব হয়। আপাতদৃষ্টে কিছু অর্বাচীন জনগণের বাহবা কুড়ানো এদের প্রতিটি পদক্ষেপ গণতন্ত্রের পথ চলার যে কত বড় প্রতিবন্ধকতা তা জননেত্রী শেখ হাসিনার বুঝতে বাকী থাকে না। রাজনৈতিক সংস্কারের নামে মাইনাস-টু ফর্মুলার প্রয়োগে রাজনীতির ময়দান থেকে দেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার যে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু হয় তার বিপরীতে শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান তাকে সকল প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করে। এই সময়টায় তাকে একটা দীর্ঘ সময় গৃহবন্দী করে রাখা হয়। অতঃপর প্রস্তাব দেওয়া হয় নীরবে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার। কিন্তু শেখ হাসিনা এসবের কোনটাতেই রাজী হননি। তিনি বলতে গেলে একা সব কিছুর বিপরীতে দাঁড়িয়ে যান।

 

তার দৃঢ়তার কাছে সকল ষড়যন্ত্র পরাজিত হয়। সেদিন অনেকেই সংস্কারবাদী দল গঠন করেছিলো কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি আজ তারা কোথায়? আজ কোথায় ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন, কোথায় তথাকথিত সংস্কারপন্থীরা। বাংলার অশিক্ষিত, অদূরদর্শী জনগণকে দূরদর্শীতার অভাবের সুযোগ নিয়ে অনেক তথাকথিত চালাক লোক এভাবে বার বার ধোঁকা দিয়েছে। গণতন্ত্র তাই এখানে বার বার পথ হারিয়েছে।

 

The months preceding the planned 22 January 2007 elections were filled with political unrest and controversy. Following the end of Khaleda Zia's government in October 2006, there were protests and strikes, during which 40 people were killed in the following month, over uncertainty about who would head the Caretaker Government. The caretaker government had difficulty bringing all parties to the table. The AL and its allies protested and alleged that the caretaker government favoured the BNP.

The interim period was marred with violence and strikes. Presidential Advisor Mukhlesur Rahman Chowdhury negotiated with Hasina and Khaleda Zia and brought all the parties to the planned 22 January 2007 parliamentary elections. Later the nomination of Ershad was cancelled. As a result, the Grand Alliance withdrew its candidates en masse on the last day possible. They demanded that a voters' roll be published.

Later in the month, President Iajuddin Ahmed was compelled to declare a state of emergency. Consequently, Lt General Moeen Uddin Ahmed took control of the government. Political activity was prohibited. Fakhruddin Ahmed became the chief advisor with the support of the Bangladesh Army.

In April 2007, Hasina was charged with graft and extortion by the military-backed caretaker government during the 2006–2008 political crisis. She was accused of having forced businessman Tajul Islam Farooq to pay bribes in 1998 before his company could build a power plant. Farooq said that he paid Hasina for approving his project. Hasina fled the country, first to the United States, and then to the United Kingdom.

On 18 April 2007, the Government barred Hasina from returning, stating that she had made provocative statements and that her return could cause disorder. This was described as a temporary measure. The Caretaker Government had also been trying to get Khaleda Zia to leave the country. Hasina vowed to return home, and on 22 April 2007, a warrant was issued for her arrest for murder. Describing the case against her as "totally false and fake", Hasina said that she wanted to defend herself against the charges in court. On 23 April 2007, the arrest warrant was suspended, and on 25 April 2007, the ban on Hasina's entry was dropped. After spending 51 days in the United States and the United Kingdom, on 7 May 2007 Hasina returned to Dhaka, where she was greeted by a crowd of several thousand. She told reporters that the Government should not have delayed her return.

On 16 July 2007, Hasina was arrested by police at her home and taken before a local court in Dhaka. She was accused of extortion and denied bail, and was held in a building converted into jail on the premises of the National Parliament. The AL said the arrest was politically motivated. On 17 July 2007, the Anti-Corruption Commission sent notices to both Hasina and Khaleda Zia, instructing them to provide details of their assets within one week. Hasina's son Sajeeb Wazed was out of the country and said he would try to organise a worldwide protest. These arrests of the political leaders were widely seen as a move by the military-backed interim Government to force Hasina and Zia out of the country and into political exile. United Kingdom MPs condemned the arrest.

On 11 April 2007, the police filed murder charges against Hasina, alleging that she masterminded the killing in October 2006 of four supporters of a rival political party. The four alleged victims were beaten to death during clashes between the AL and rival party activists. Hasina was visiting the United States at the time.

On 30 July 2007, the High Court suspended Hasina's extortion trial and ordered her release on bail. On 2 September 2007, an additional case was filed against Hasina by the Anti-Corruption Commission regarding the awarding of a contract for the construction of a power plant in 1997, for which she allegedly took a bribe of 30 million takas and kept the contract from going to the lowest bidder. Six others were also accused of involvement. A graft case was filed against Zia on the same day.

On 13 January 2008, Hasina was indicted on extortion charges by a special court along with two of her relatives, her sister Sheikh Rehana and her cousin Sheikh Selim. On 6 February, the High Court stopped the trial, ruling that she could not be prosecuted under emergency laws for crimes alleged to have been committed prior to the imposition of the state of emergency.

On 11 June 2008, Hasina was released on parole for medical reasons. The next day she flew to the United States to be treated for hearing impairment, eye problems and high blood pressure. Syed Modasser Ali, her personal physician, threatened to sue the caretaker government over negligence regarding Hasina's treatment during her detention.

The caretaker government held mayoral elections in which AL won 12 out of 13 elections. The government extended her two-month medical parole by one more month.

 

২০০৭-২০০৮ সময়কালটার ঘটনা প্রবাহ এতোটাই নাটকীয় যে তা বলে বোঝানো কঠিন। এই সময়কালটাতে জনগণের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্যে সাময়িকভাবে সুদৃশ্য দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালিয়ে কিছু অসৎ ব্যবসায়ীকে হেনস্থা করা হয়। এতেই জনগণ তথাকথিত প্রশাসকদেরকে বাহবা দিতে শুরু করে। কিন্তু সেদিন যদি শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে সবকিছুর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়াতেন আজ তাহলে যে সোনার বাংলার স্বপ্ন আমরা দেখছি অর্থাৎ ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত বাংলাদেশ তা হয়তো চিরকালের জন্যে অধরা মাধুরী হয়েই থেকে যেত। আসলে সত্য কথা হলো সবাই তো আর শেখ হাসিনা নয়। অনেকেই রাজনৈতিক ছদ্মবেশের আড়ালে জনগণের দুর্দশায় আনন্দ পায়। কারণ এটাই তাদের পুঁিজ। বাংলাদেশ খুড়িয়ে খুড়িয়ে চললে দেশী বিদেশী অনেকেই মায়াকান্নার পাশাপাশি স্বার্থ হাসিলের পুরো সুযোগটা মিলে যায়।

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে

NAZRUL ISLAM MAZUMDER : THE CHOICE OF THE TIME (a biography)

NAZRUL ISLAM MAZUMDER The choice of the time “The purpose of a business is to create a customer who creates customers.” -          Shiv Shing # NASSA GROUP # 30,000 employees #EXIM Bank # 3,000 employees And so on……….. A Biography By OMAR KHALED RUMI M. Sc., MBA, LL.B     ...................................................... “Patience, persistence and perspiration make an unbeatable combination for success.”    - Napoleon Hill   ...................................................... Prlogue Like another man Nazrul Islam Mazunder is also a man. But, how he has made some stories of success. Why people consider him as a special. Why he is applaused as Philanthropic in mind, dynamic in thinking, far-sighted in vision. There must some reasons. The reason is what he wanted himself he has been now. Mazumder, a conglomerate icon, in no way, a trifle name. His success, over years, mak