Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

 যারা অন্ধ তারা উন্নয়ন দেখে না দেখে শুধু হতাশা - OMAR KHALED RUMI

কখনও ভাবিনি এভাবে লিখতে হবে। ভেবেছিলাম সব কিছু দেখে হয়তো কারো কারো বোধোদয় হবে। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী। বাংলাদেশের এই বদলে যাওয়ার গল্পে যারা শরীক হতে পারছে না মনোকষ্টটা যে মূলত তাদের তা বুঝতে কারো কষ্ট হচ্ছে না। তারা এই কষ্ট লুকোতেও পারছে না। কথায় কথায় প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। জনাবা রুমিন ফারহানা এর একটি সাক্ষাৎকার দেখলাম। উনি বলছেন, জনগণ শুনতে চাক বা না চাক পদ্মা সেতুর প্রতিটি ইটের গাঁথুনির খবর সরকার তাদের শুনিয়ে ছেড়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য এভাবে কেউ বলবে স্বপ্নেও ভাবিনি। আমাদের এই অর্জনের সাফল্যের আনন্দের দিনে পাকিস্তান পর্যন্ত আনন্দ প্রকাশ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছে। তারা কি এসবের কিছুই লক্ষ্য করছে না। নজরে পড়ছে না আমাদের যারা অভিভাবক অর্থাৎ আমাদের রাজনীতিবিদদের মাথা আজ কতোটা উঁচু। আসলে ১৯০ বছর + ২৩ বছর মাথা নিচু করে রাখার পর কেউ কেউ হয়তো ভুলেই গেছে মাথা উঁচু করেও দাঁড়নো যায়। সামনেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীকে সমগ্র দেশবাসীর পক্ষ থেকে জানাই হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।

সরকার কি শুধু পদ্মা সেতু নির্মাণ করেই উন্নয়নের জয়গান গাইছে। বাকী সব মেগা প্রজেক্টের কথা কি তারা জানে না? রামপালের তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা সেতু, পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্প, পদ্মা রেল প্রকল্প, ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় পদ্মার এপারে অর্থাৎ দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৩০টির মতো ইকোনোমিক জোনের পরিকল্পনা মাথায় রেখে যাবতীয় সড়ক, রেল ও নৌ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, কর্ণফুলী নদীর নিচের টানেল, ঢাকা শহর জুড়ে এতো এতো সব প্রয়োজনীয় ফ্লাই ওভার, সারা দেশ জুড়ে ছয় লেনের সব মহাসড়ক আরও কতো শত প্রকল্প যা হয়তো আমার মতো ক্ষুদ্র মাথার মানুষের মনেও থাকে না। এর পাশাপাশি সবগুলো সেক্টরের ডিজিটালাইজেশনের কথা তো বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। আসলে স্বপ্ন দেখা, স্বপ্নের বাস্তবায়ন, সোনার বাংলা গড়া, ডেল্টা প্ল্যান ইত্যাদি ইত্যাদি এসব কি আর ভালো লাগে। এগুলো যতোই বাস্তবায়ন হচ্ছে তাদের অবস্থান ততো তলানীতে চলে গেছে। রাজনৈতিকভবে এভাবে দেউলিয়া হওয়ার গল্প ইতিহাসে খুব একটা দেখা যায় না।

কেন এমনটা হলো? একটা কথা না বলে পারছি না। মহিউদ্দিন আহমেদ-এর “বিএনপি: সময়-অসময়” বইটির উল্টো পিঠে একটা কথা লেখা আছে। যারা বোঝেন তার এই কথার মানে নিশ্চয়ই বুঝবেন। কোন প্রকার প্রবণতা দ্বারা তাড়িত মানুষের সংগঠন কোন সুষ্ঠু রাজনৈতিক চিন্তা যে করতে পারে না তা বোঝার জন্য রুশো, ভলতেয়ার, গ্যারিবল্ডি, মাজ্জিনি এমনকি সক্রেটিস বা প্লেটো হওয়ার দরকার হয় না। এটা সহজ বুঝ। এরকম চিন্তা দ্বারা তাড়িত মানুষগুলো তা সে সংখ্যায় তারা যতোই হউক না কেন কিছুই আসে যায় না। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, যারা সত্য ও ন্যায্য কথা বলবে, তারা যদি সংখ্যায় একজনও হয়, আমরা তাদের কথা রাখবো।” এমন কথা বলার সাহস ক’জনের আছে।

সোনার বাংলা গড়ার রাজনীতি আর সোনার বাংলা গড়ার সত্যিকারের আবেগ বা প্যাশন যাই বলি না কেন তার জন্য আত্মা বা কলিজা যাই বলি না কেন থাকতে হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার তা আছে। আর আছে বলেই আমার নিজ জেলা পিরোজপুরের বেকুটিয়ায়ও একটা দারুণ ব্রিজ হয়েছে যা প্রমত্তা কচা নদীর পারাপারকে সহজ করবে। জয়তু শেখ হাসিনা। কারো জ্বলবে। আমাদের তাতেই চলবে। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।


Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে