Skip to main content

Posts

Showing posts from March, 2017

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

গুলতি

গুলতি হাতে একটা মেয়ে সারা এলাকায় ঘুরে বেড়ায় এটা দেখতে কেমন লাগে। সবচেয়ে বড় কথা মেয়ের বাবা মার কাছে বিষয়টা সবচেয়ে বিব্রতকর। তাদের কাছে নালিশ আর নালিশ। নাহ্ অভিযোগ তেমন কিছু নয়। তবে মেয়ে বড় হচ্ছে। এটাও বা কম কিসে। পাড়া পড়শীর চোখ। তারা চৌদ্দ বছরের মেয়েকে চব্বিশ দেখে। মেয়ের যেন কোন কিছুতেই মাথা ব্যাথা নেই। এ বছর ক্লাস এইটে উঠেছে। লম্বা মেয়ে। এ মেয়ে যখন তখন যার তার মাথা খায়। সবার মুখের উপর কথা বলে। কিছুটা বাপের প্রভাব প্রতিপত্তি। কিছুটা রূপের দাপট। পড়াশোনায়ও এক নম্বর। সব মিলিয়ে সেতারা যেন সোনায় সোহাগা। কারো কারো জন্যে জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ। সারা দিন এলাকায় টই টই করে বেড়ানো তার কাজ। সাথে এক দল ছেলে মেয়ে। সে তাদের সরদার। কারো কথা কানে তোলার সময় তার নেই। সে নিজে যা বোঝে তাই করে। সেতারার সেতারের তারে সব সময়ই কোন না কোন সুর বাজে। গলা ছেড়ে গান গাওয়ায় তার জুড়ি নেই। গাছের মগডালে উঠে হঠাৎ ঝুলে পড়ে। মনে হয় সে যেন একটা আস্ত বাদর। বিরক্ত হলেও সেতারার ভক্তও কম নেই। একটা বিরাট গ্রুপ তাকে সমর্থন করে। এর মধ্যে শিক্ষিতরাই বেশি। তারা জানে সেতরার গুন আছে। এই গুলতি মারা মেয়েই প্রতি রাতে এক ঘন্টা অশিক্ষিতদের প

আমার লেখা ছোটগল্পের তালিকা (আংশিক):

ফইজত হলুদ বৃষ্টির খোঁজে গেরাকুল লজ বায়োস্কোপ স্বর্র্গের ফোন নাম্বার হেলেনকে আমি ভালোবেসেছিলাম বৃষ্টিস্নাত হরিণেরা ভালোবাসার সংলাপ জলমহল সোনালি দিনের সোনালি বালিকারা অনন্তর জীবনের শেষ দিন একাকী জ্যোৎস্নায় অরুণিমা সমুদ্র স্নান এসেন্স অভ্্ পেডিয়াট্রিক্স দ্য কলামিস্ট কবি ও কলমিলতা কুইন অফ মাওনা শোভা সুপ্রভাত! হে বালিকা! মিনতিলতা একটি যুদ্ধের খসড়া সে আসবে বেদনার নীল রং স্ত্রী পলায়ন অরন্যের মানুষ শেষ চিঠি মাস্টার মশাই সর্বনাশী কবি পতœী ভ্রমন ভ্রান্তি বিভ্রান্তি কাচের দেয়াল গুড্ডু ভ্যারাইটিস স্টোর নীল ঘুড়ি ও এক ঝাঁক পায়রার গল্প হারানো চাবিওয়ালা : একটি মৌলিক দৃশ্যগল্প ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রি গাড়ি তেজ নেই তবুও তেজস্বিনী একটি গল্পের খোঁজে ফিরে এসো অমৃতলতা যে তুমি হরণ করো কাচপোকার টিপ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় যে রাতে চন্দ্রাবতী কেঁদেছিল একজন বিপ্লবের গল্প প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রাতঃভ্রমণ ও একটি অস্থির বিকেলের গল্প মেঘ নেই বৃষ্টি কেমন করে হবে কিতাব মুন্সীর গরু ও দু দুটো বিয়ের গল্প রূপগঞ্জের লাকী, খাজানার পাঞ্জাবী এবং গাঁধার পিঠে বিশ্ব ভ্রমনের গল্প একজন বিকাশ ও অন্য সাতজন যৌতুকের ধূলো এটা কোনো গল্প নয়

কারিগর

প্রতিটা দিন খুব সকাল সকাল শুরু করেন। কাজ করেন রাত অবধি। কাজের ব্যাপারেও ভীষন যতœবান। অর্ডারের কাজগুলোতে আলাদা একটা তাড়া থাকে। তাই তাতে সব সময় মনের সন্তুষ্টি আসে না। কাস্টমারেরও এ নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। তার ভাবনা অন্যত্র। কিভাবে কম পয়সায় মোটামুটি চালিয়ে নেবার মতো একটা ডেলিভারি নিয়ে নেয়া যায়। দু পয়সা বাঁচাতে পারলেই যেন বাঁচা গেল। এতে তাই মন ভরে না মনোহরের। সে তাই রাত জেগে আলাদা কাজ করে। আলাদা কাজ মানে অন্য কোন পেশার কাজ নয়। একই কাজ। তবে আইটেম বা উদ্দেশ্য ভিন্ন।  যেখানে তৃপ্তির ব্যাপারটাই আসল। বাড়তি যদি কিছু আসে সেটা আলাদা কথা। যেমন গত দুবছর ধরে সে একটা খাট আর একটা চেয়ার বানিয়েছে। চেয়ারটা চলে গেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।  খাটটা বিক্রি হয় ফার্নিচার মেলায়। দুটোর জন্যেই ভালো দাম পাওয়া গেছে। কিন্তু সেটা মুখ্য ব্যাপার নয়। মনোহরের মনের শান্তিটাই আলাদা। ফার্নিচার মেলায় তার খাট সেরা হয়েছিল। দাম উঠেছিল সাড়ে তিন লাখ। চেয়ার বিক্রি হয়েছে দু লাখে। সব মিলিয়ে সাড়ে পাঁচ লক্ষ। মন্দ না। মনোহরের কাছে টাকার হিসাবটা আসল না। এই চেয়ারে মহারানীরা বসবে। এই খাটে আহামরি কোন মানুষ ঘুমাবে। শুয়ে শুয়ে তার হাতে করা কা

দোলা

বাড়ীর সামনেই নদী। নদী পেরোলেই স্কুল। সে স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী দোলা। প্রতিদিন খেয়া নৌকায় নদী পার হতে হয়। বুকের মধ্যে বই গুঁজে লাজুক মেয়েটি বারোমাস মাথা নিচু করে যাওয়া আসা করে। বলতে গেলে জোয়ার ভাটাও তার ঠিক মতো নজরে পড়ে না। সত্যি কথা বলতে কি গায়ের আর দশটা সহজ সরল মেয়ের মতোই দোলার জীবন। প্রতিদিন সকালে উঠে মাকে ঘরের কাজে সাহায্য করতে হয় দোলার। তারপর তাড়াহুড়ো করে গোসল সেরে কোন মতে দুটো খাবার মুখে গুঁজে দিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায় দোলা। দোলার ইচ্ছে একদিন স্কুল শেষ করে সে কলেজে যাবে। জেলা শহরে বড় কলেজ। সেখানে বড় ক্লাসের পড়াশুনা। সেই পড়াশুনা শেষ করে সে বড় সড় একটা কিছু হবে। দোলার বাবা মাও আশাবাদী। আশাবাদী তো হতেই পারে। মেয়ে তাদের লেখাপড়ায় ভালো। শত কষ্টের মধ্যেও লেখা পড়ায় এমন আন্তরিক মেয়ে খুব কমই দেখা যায়। বাবা মার যদিও দোলার জন্যে তেমন কিছু করার নেই তবুও তাদের আন্তরিকতার কোন কমতি নেই। বেশি না পারলেও দোলার জন্যে একটু ভালো খাবার, দুটো ভালো জামা কাপড়ের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করে। এখন বর্ষাকাল। নদী খুব উত্তাল। মাঝে মাঝে নদীতে এতোটা জোয়ার যে দোলার মনে ভীষণ ভয় লাগে। শক্ত হাতে নৌকার কাঠ ধরে বস

দেহঘড়ি

জমিলার শরীর যেন আর চলে না। চলবে কেমন করে। দেখতে দেখতে বয়স প্রায় ষাট। সেই ছোট বেলায় কাজ করতে শুরু করেছে। আর কতো। কিন্তু মালিক তাকে ছাড়তে চায় না। ছাড়তে চাইবেই বা কেন। এই বাড়ীতে সে মন প্রাণ ঢেলে দিয়ে কাজ করছে। শুধু সেই নয় তার পূর্ব পুরুষরাও কাজ করেছে। জমিলার ছেলেমেয়েরাও করছে। তবুও মালিকের একটাই চাওয়া। জমিলা কাজ না করুক অন্ততঃ যেন দিনে একবার হলেও আসে। জমিলা না করতে পারে না। জমিলার সারা জীবনের অভ্যাস ফজর পড়েই বেরিয়ে যাওয়া। মালিকের বাড়ীতে এসেই যেন পুরোপুরি ভোর হতো। এটাই তার জন্যে স্বাভাবিক ছিলো। সেও এভাবে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু হঠাৎ অভ্যাসের পরিবর্তন হওয়ায় কেমন যেন লাগে তার কাছে। ফজরের নামাজ পড়ার পর অস্থির লাগে। উঠানে নেমে হাঁটাহাঁটি করে। এটা ওটা নাড়াচাড়া করে। তবুও মনটা কেমন যেন লাগে। আবারও বারান্দায় এসে বসে। আসলে এই ধরনের একটা অবস্থার সাথে সে যে এতোদিন অভ্যস্ত ছিলো না তা তার আচরণেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জমিলার এখন আর কাজ করার প্রয়োজন পড়ে না। ছেলেমেয়েরা সবাই কাজে কর্মে যোগ্য হয়েছে। আয় উপার্জনও ভালই করছে। সেও ইচ্ছে করলে অনেক আগেই কাজকর্ম ছেড়ে দিতে পারতো। কিন্তু নানা কারণেই সে তা করতে পারেনি।

বিবাহ বৈঠক

পুরো ব্যাপারটাই জমে উঠেছে বলতে হবে। জমে উঠেছে বললেও কম বলা হবে। আসলে পুরোপুরি জমে উঠেছে বলতে হবে। একই সাথে একই অনুষ্ঠানে বাপ আর ছেলে বিয়ে করছেন। জমে ওঠার কারণ শুধু এটুকুই নয়। ছেলের বয়স যেখানে ৩০ খোনে পাত্রীর বয়স মাত্র ৩৫। আবার পিতার বয়স যেখানে ৬৫ সেখানে পাত্রীর বয়স মাত্র ২০ বছর। বিয়ে পড়াচ্ছেনও একই কাজী। কাজীর নাম বদর মিয়া। তিনি এই এলাকার সবচাইতে নাম করা কাজী। তার জীবনেও এরকম অভিজ্ঞতা এই প্রথম। তিনি কিছুটা হলেও উচ্ছসিত, উল্লসিত এবং আবেগ প্রবন হয়ে পড়েছেন। এর পেছনেও অবশ্য কারণ আছে। অনেক দিন আগে কাজী সাহেবের বউ চলে গেছে অন্য একজনের সাথে। ব্যাটা অবশ্য এই এলাকার নাম করা ঘটক ছিলো। দুজনে মিলে জুটিবদ্ধ হয়ে অনেক কাজ সেরেছেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাটা কিনা তার ঘরেই সিদ কাটল। অবশ্য মন্দ কিছু হয়নি। ঐ বোঝা যে মাথায় তুলে নিয়েছে তাকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। যেমন ওজনে ভারী তেমনি মুখরা। কাজী সাহেব লজ্জায় মরলেও মরে বেঁচেছেন। এটা অবশ্য তার তৃতীয় বিবাহ ছিলো। আগের দুজনও একই পথ ধরেছিলো। সুবিধামত সময়ে কারও হাত ধরে ভেগেছে। কাজী সাহেবের বউ চলে যাওয়ার পর প্রায় দুটো বসন্ত পেরিয়ে গেলো। কাজী সাহেব এখনও একা। আর চৌধুরী সাহেবের