Skip to main content

Posts

Showing posts from December, 2019

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

একজন বিকাশ ও অন্য সাতজন

গ্রামের এই স্কুলটিতে আমার হঠাৎ করেই আসা। কেন যে আসা আমি নিজেই তা জানি। আর জানাটাও সহজ। শহরে আমি নাকি বখে গিয়েছিলাম। ক্লাস সেভেনের ছাত্ররাও যে বখে যেতে পারে সেটা আমাকে না দেখলে বোঝা যাবে না। ভালো স্কুলের ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র। কিন্তু পড়াশুনায় একদম মন নেই। হাতে সিগারেট। সাথে বন্ধু - বান্ধব পার্কে গিয়ে মেয়েদের সাথে ইয়ার্কি ফাজলামো। বিকালটা খেলার মাঠে। রাতটা টিভি রুমে। বাসায় ফিরে আশে - পাশের মেয়েদের দিকে নজর। ইদানীং মহিলারাও দৃষ্টি কাড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে পুরো ব্যাপারটাই লেজে গোবরে। যাহোক অবশেষে পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের সিদ্ধান্ত। আমার পর , অভিভাবকদের। উপায় একটাই জায়গা বদল। সোজা গ্রাম। যাকে বলে অজো পাড়াগা। যেখানে এসবের কিছুটি নেই। এ যাত্রায় ভালো না হয়ে আর কোন উপায় দেখছি না। আমার হাইস্কুলে আমি ভর্তি হলাম ক্লাস এইটে। গ্রামের স্কুল। প্রকৃতির নিবিড় কোলে এর অবস্থান। কবির ভাষায় ছায়া সুনিবিড় , শান্তির নীড়। শহর থেকে হঠাৎ করে গ্রামে এসেছি। তবু কেন জানি মন্দ লাগছে না। হয়তো নতুনত্বের স্বাদ। সবচেয়ে বড় কথা আমার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য। যে কোন পরিবেশে আমি খুব দ্রুত মানিয়ে নিতে পারি। এখানে এসেও ব্যাপারটা ঠ

রূপগঞ্জের লাকী, খাজানার পাঞ্জাবী এবংগাঁধার পিঠে বিশ্ব ভ্রমনের গল্প

রূপগঞ্জের লাকীর কথা প্রথম জানতে পারি আমার এক বন্ধুর মুখে। বন্ধুটি আমার দারুণ সেয়ানা। ভালোবাসার কথা প্রকাশ করার মতো ঝুঁকি সে তাই আগে কখনো নিতে পারেনি। প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে আমি কিভাবে জানলাম ? জানাতে সে বাধ্য হয়েছিল। নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও। কারণ প্রেমে সে ধরা খেয়েছিল। লাকী তাকে গরম শীকের ছ্যাঁকা দিয়েছিল। তখন সে মনকষ্টে গড় গড় করে তার অতিতের কথার পাশাপাশি বর্তমানের দুঃখ কষ্টও সবিশেষ বর্ণনা করেছিল। যাহোক গল্পটা মোটামুটি মজার। রূপগঞ্জের লাকী যতোটা রূপসী হবে বলে আপনারা ভাবছেন সে মোটেই তা নয়। বরং তাকে কিছুটা কমই বলতে হবে অন্য মেয়েদের তুলনায়। কিন্তু এই নিয়ে তার কুছ পরোয়া নেই। চলনে বলনে সে এতোটাই স্মার্ট যে তা যে কারোর মাথা ঘুরিয়ে দিতে যথেষ্ট। সবাই আসলে এটাই ভুলে যায় যে সে আদৌ সুন্দরী কিনা। তার প্রেমের রঙ্গিন ভুবনে সব কিছু এতোটাই ঝলমলে আর রঙীন লাগে যে মনে হবে আপনি লাসভেগাসের কোন ক্যাসিনোতে বসে জুয়ার কোর্টে দান মারছেন। আর আপনার পাশে সাজানো আছে কাড়ি কাড়ি টাকা। সুন্দরী সেক্রেটারির কথা না হয় নাইবা বললাম। রূপগঞ্জের লাকী আপনার জীবনকে এমনই একটা ধাঁধায় ফেলে দেবে। ভালোবেসে আপনি এই প্রথম সুখের

কিতাব মুন্সীর গরু ও দু দুটো বিয়ের গল্প

কিতাব মুন্সীর মেয়েদের রূপ বর্ণনার কোন উদ্দেশ্যই আমার এই গল্পে নেই। তবে ঘটনা চক্রে তেমন কিছু যদি এসেই যায় তার জন্যে প্রিয় পাঠকের কাছে আমি শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার এই অহেতুক ভয়ের কারণ আর কিছুই নয়। তার গরু আর দু দুটো সুন্দরী মেয়ে যেন একই সূত্রে গাঁথা। সেই গল্প বলাই মূলত এই গল্পের উদ্দেশ্য। কিন্তু ঝামেলা তো একটু আধটু হতেই পারে। যদি গল্প তার স্বাভাবিক পথ হারিয়ে অন্যদিকে বাঁক নেয়। তখন কৃষিকাজের ভরা মৌসুম। আমাদের হঠাৎ করেই একটা গরুর ভীষণ দরকার হয়ে পড়ল। কোথাও গরু পাওয়া যাচ্ছিল না। বাবার পেরেশানী দেখে আমাদের ভীষণ মন খারাপ। হালচাষ বন্ধ। দুই ভাই মিলে কখনো বাবার চোখের দিকে কখনো বা মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকি। কিন্তু উপায় কি ? কোথাও তো হালের বলদ পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ খবর পাওয়া গেল কিতাব মুন্সীর একটা অতিরিক্ত গরু আছে। এই মৌসুমে সেটা এখনো মাঠে নামার সুযোগ পায়নি। কারণ আর কিছু নয়। তার চলতি গরুগুলোর যথেষ্ট শক্তি সামর্থ্য আছে। আর তাদের স্বাস্থ্যহানি যেমন হয়নি তেমনি তারা খুড়া রোগেও পড়েনি। আব্বা ছুটল কিতাব মুন্সীর বাড়িতে। আমরা দুভাই ঘরের দাওয়ায় বসে আল্লাহকে ডাকছি। মনে মনে বলছি , আল্লা

প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রাতঃভ্রমণ ও একটি অস্থির বিকেলের গল্প

চৌধুরী সাহেব অবশেষে মরেই বাঁচলেন। কারণ তার জীবনের শেষের দিনগুলো খুব একটা সুখের ছিল না। শরীরে এখনো ভরা যৌবন নিয়ে তার শেষ বয়সে সংগ্রহ করা শেষ স্ত্রী - টি বেশিরভাগ সময় সামাজিক কর্মকাণ্ডের নামে বেহায়াপনা আর ঘোরাঘুরি আর কেনাকাটা নিয়েই ব্যস্ত। তার চেয়েও কষ্টের কথাগুলো হলো তার সন্তানদের বদলে যাওয়া। নাতী - নাতনীগুলো এক একটা বদের হাড্ডি। কেউ লং ড্রাইভে যাচ্ছে তো কেউ কেউ আবার ঘরের মধ্যে বন্ধু - বান্ধব এনে রাতভর মাতামাতি করছে। ছেয়ে মেয়েগুলো আগে ভাগেই উচ্ছনে গিয়েছিল। তাদের কারো কারো বিদেশী কুকুরের পিছনে ব্যয় করার জন্যে ঘণ্টার পর ঘণ্ট সময় হয় কিন্তু চৌধুরী সাহেবের শয্যাপাশে এসে বসার মতো একটু ফুরসৎ হয় না। তিনি রাতারাতি বিরক্ত ছিলেন। আর উইল টাও তিনি উকিল এনে মনের মতো করে করিয়েছেন। তার মৃত্যুর পর সমস্ত বিষয় সম্পত্তির মালিক হবেন তারই প্রয়াত গৃহভৃত্য করিম বখশের ছেলে রহিম বখশ। এই রহিম বখশই তাকে দেখাশুনা করেন। অবশ্য রহিম বখশ ইচ্ছে করলেও সবকিছু সবার মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দিতে পারেন। সেটা একান্ত তার ইচ্ছার ব্যাপার। তবে কোন কারণে রহিম বখশের অপমৃত্যু হলে এবং সেই ঘটনায় পরিবারের কেউ জড়িত এটা প্রমাণিত হলে তা

মেঘ নেই বৃষ্টি কেমন করে হবে

প্রত্যেক মানুষই তার বুকের ভেতর অনেকগুলো স্বপ্ন নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আমিও তাই। হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ স্বপ্ন ছাড়া মানুষ হয় না। ইদানীং আমার স্বপ্নের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে একটি সুন্দর বাড়ি , একজন সুন্দরী নারী এবং একটি সুন্দর গাড়ি। অবশ্য আর বাকিই বা থাকল কি ? কিছু বাকি না থাকলেও সমস্যা নেই। একজন মানুষ হিসেবে আমিও জাগতিক সবকিছুই চাইতে পারি। তাছাড়া না চাওয়ারও কোন কারণ দেখছি না। কতো মানুষকে দেখলাম জীবনে সবকিছুর অধিকারী হতে। কেউ কেউ রাজ্যসহ রাজকন্যাও লাভ করলো। আমার দোষ তো সেই তুলনায় বেশ খানিকটা কমই। আমি তো মাত্র সাধারণ তিনটা জিনিসই চেয়েছি। কিন্তু চাওয়াগুলো যতোই সাধারণ হোক তা পূরণ হওয়া যেন আমার জন্যে দিন দিন অসাধারণ হয়ে উঠছে। একথা সত্য যে আমি একজন ভবঘুরে বৈ আর কিছু নই। কিন্তু তাই বলে তো আর আমি থেমে যেতে পারি না। পারি না স্বপ্নগুলোকে দূরে ছুড়ে ফেলতে। আর দশজন মানুষের মতো আমিও তাই আমার স্বপ্নগুলোকে নিয়ে আশাবাদী। আমার বিশ্বাস একদিন না একদিন আমার স্বপ্নগুলো পূরণ হবেই। অবশ্য এ ব্যাপারে কোন গাণিতিক হিসাবের চাইতে আমার মনঃস্তাত্ত্বিক ভ্রমবিলাসই বেশিটা প্রতিক্রিয়াশীল। অতীতেও এমনি অজস্র ভুলের মধ্যে