এদিকে একটা কথা না বললেই নয়। আফগানিস্তান ও ইরাকের পাশাপাশি অন্যান্য জায়গা
থেকে ধৃত মুসলিম বিদ্রোহী যাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গী (জঙ্গ বা যুদ্ধ থেকে
কথাটার উৎপত্তি) বলে অভিহিত করেন তাদের গ্রেফতারের পর ২০০২ সালে বানানো
গুয়ান্তানামো বে নামক সামরিক ঘাঁটিতে নির্মিত নির্মম কারাগারে বন্দী করে যে
অমানবিক নির্যাতন করা হয় তা ভাষায় প্রকাশ করার অযোগ্য। এর প্রায়শ্চিত্ত
অলরেডি যুক্তরাষ্ট্রের শুরু হয়ে গেছে। দেশটি ধীরে ধীরে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে রাশিয়া ও তার মিত্ররা এর কফিনে শেষ পেরেক ঢুকে দেওয়ার প্রক্রিয়া
ইতোমধ্যেই শুরু করেছে। ইউক্রেনের খাওয়া গণধোলাই এই মর্মে প্রথম শিক্ষা বলেই
মনে হচ্ছে। এরপরেই তালিকায় আছে লিথুনিয়া, পোল্যান্ড ইত্যাদি ইত্যাদি। হয়তো
আগামীতে এদের পরিণতিও বেঁচে থাকলে অনেকেই দেখতে পারবে।
আমেরিকার
দুর্দিন মূলতঃ তখন শুরু হয়ে গিয়েছিলো যখন আফগানিস্তান থেকে তালেবানদের কাছে
হেরে তাদের লজ্জাজনকভাবে বিদায় নিতে হয়েছিলো। পুরো পৃথিবী বুঝে গিয়েছিলো
যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের দিন মোটামুটি শেষ হতে চলেছে। দিনে দিনে এ লক্ষণ
আরও স্পষ্ট হতে চলেছে।
আমাদের আজকের আলোচনা এই সময়ের যুদ্ধ এবং এর
ব্যবস্থাপনা নিয়ে। কেমন হতে পারে এর রূপরেখা। পুতিনকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট
সচেতনই মনে হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধে তার বিরুদ্ধে আঙুল তোলার সুযোগ বেশ কমই।
তবে সবকিছুর পর যুদ্ধ যুদ্ধই। অনিচ্ছা সত্তে¡ও অনেক সময় এমন সব ক্ষয় ক্ষতি
হয়ে যায় যা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন মনের আধুনিক অ
Comments
Post a Comment