কারো
ভালো করার জ্বালা যেমন অনেক তেমনি ভালো করাও অতোটা সহজ নয় যতোটা মনে হয়।
কারণ আর কিছু নয়। সন্দেহ বাতিক। ব্যাপারটা মনস্তাত্বিক। তবে বেশ তীব্র। সে
ভাবতে শুরু করবে কেন আপনি তার ভালো চাইছেন। আপনার মতলবটা আসলে কী? তাই
সরাসরি না আগানোই ভালো। কৌশলে আগান। কাজে দেবে। হাঁটার সময় যদি কেউ কাউকে
জড়িয়ে ধরে সমূহ বিপদ আছে তা সে নারী পুরুষ যেই হোক। এই মানুষটাকেই হোঁচট
খেয়ে পড়ার সময় দু’হাতে ঝাপটে ধরুণ। দেখবেন বন্ধু হয়ে যাবেন। তাই বলছি উপকার
করতে চাইলেও পরিস্থিতি বুঝতে হয়। জগতে সহজ সরল মানসিকতার মূল্য অনেক আগেই
শেষ হয়ে গেছে। তাইতো প্রাচীন কালে মানুষে মানুষে বন্ধুত্ব হতো। আজকাল হয়
না।
সময় বদলেছে। অবিশ্বাস বেড়েছে। কমেছে নির্ভরতা। আপনার ভালোর জন্যে যদি কেউ কিছু করতে আসে আপনি কতোটা সাবধান হবেন। অতোটা কেন তার সিকি ভাগও সাবধান হবেন না যদি কেউ আপনার সর্বনাশ করতে আসে। বোঝা সহজ। কারও সর্বনাশ করতে চান। হাসিমুখে মিশুন। বন্ধু হয়ে যান। গিফট দেন। ভালো রেস্তোরায় নিয়ে যান। সে যা পছন্দ করে তা সে যাই হোক তার দিকেই ছুটুন দু’জনে মিলে। অনেকেই তো তাই বলে, “গাঁজার বন্ধু বড় বন্ধু”। সে যাই হোক ধীরে ধীরে তার হবে শেষ আর আপনার হবে শুরু। কিন্তু এ নিয়ে সে মোটেই আফসোস করবে না। আপনাকে দোষারোপও করবে না। বরং বলবে আমারই দোষ। আমি গেলাম কেন? অথচ এই মানুষটার যদি কোন কল্যাণ আপনি করতে চাইতেন সে নিজেকে দুর্বোধ্য করে তুলতো। কারণ আর কিছু নয়। ভয়, সন্দেহ। পাছে না জানি কি ক্ষতি হয়। আর যখন মিষ্টি মধুর কথা দিয়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে সর্বনাশ করলেন তখন কিন্তু আপনি মোটেও খারাপ বা দোষী নন । বরং সে নিজেকেই আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। স্বীকার করে নেবে এটা তারই ব্যর্থতা, ভুল। মানুষ বড় আজব প্রাণী। (শিরোনাম: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের কলি থেকে নেয়া)
Comments
Post a Comment