Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

 কিছু একটা করা এতোটা সহজ নয় - OMAR KHALED RUMI

যারা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল সময়কালটা পর্যন্ত ভীষণ অস্থিরতায় ভুগেছিলো দল মত নির্বিশেষে তারা সবাই এমনটাই ভেবেছিলো যে মুজিব অপসারিত হলে তারা একেবারে দেখিয়ে দেবে। কিন্তু রাজনৈতিক স্বল্পজ্ঞান এবং নিজস্ব যোগ্যতার উপর অধিক আস্থাশীল এই সব নির্বোধদের কান্ডারী খোন্দকার মোশতাক মাত্র তিন মাসের মাথায়ই অপসারিত হলেন। খালেদ মোশাররফ বিদ্রোহ করলেন বটে তবে তার রাজত্বও ছিলো মাত্র তিন দিনের। এরপর বসলেন এ এস এম সায়েম কিন্তু পেছনে জিয়া। লাভের লাভ কিছুই হলো না। জিয়া চাইলেন সমস্ত খোল নলচে বদলে নতুন করে সাজাতে। পররাষ্ট্র নীতিকে বিপরীতমুখী করে একটা চমক দিতে। রাজনীতির ঘরানা বদলে নতুন দল আর মত তৈরী করে দেশ ও জাতিকে নতুন পথের দিশা দিতে। কিন্তু তিনি কোন রাজনৈতিক দার্শনিক ছিলেন না। কোন মিথও গড়ে তুলতে পারেননি। যাদেরকে ডাকলেন তাদের বহুমুখী ভাবনার ভীড়ে কয়েক বছরের মধ্যেই হারিয়ে গেলেন। রাজনীতি কোন সহজ-পথ অর্জন নয়।

এটা কোন চটক যা চমক দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় না। সবচেয়ে বড় কথা যেটা তা হলো আমরা রাজনীতির দীর্ঘ গতিপথ অনুসরণ করি না। একবারও যদি মাথা ঠান্ডা করে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক পথ চলার দিকে তাকাই তাহলে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিভাবে তিনি শুদ্ধ হয়েছিলেন। হয়েছিলেন সিদ্ধ। এতোই কি সহজ? তিনি যে কিংবদন্তী রচনা করলেন একটা জীবন দিয়ে তার উপর দাঁড়িয়েই তিনি ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতার। আর এ কারণেই পুরো বিশ্ব ফিরে তাকিয়েছিলেন তার দিকে। বাংলাদেশের দাবী এতটা গুরুত্ব পেয়েছিলো পুরো পৃথিবীর কাছে। সেই সাথে মুজিবের জীবন নিয়েও সংশয়ে ছিলো পুরো পৃথিবী। এসব আবেগ আর আবেদন একদিনে তৈরী হয় না। এর জন্যে চলতে হয় ধৈর্য্য আর ত্যাগের দীর্ঘ পথ।

জিয়া নতুন দল গঠনের জন্য ডাক দিলেন। বিভিন্ন মত আর পথের ভিন্ন ভিন্ন মানুষ যার যার উদ্দেশ্য ও বিধেয় নিয়ে একই প্ল্যাটফর্মে জড়ো হলো। তার মৃত্যুর পর এরশাদ এই সুযোগটাই নিলেন। ভঙ্গুর আর দুর্বল ভিত্তির উপর কোন কিছু দাঁড় করালে যা হয়। আওয়ামী লীগ তখন সামরিক শাসনের যাতাকলে পিষ্ট। তবে সেদিনের আওয়ামী লীগ সেই পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়েছিলো। কারণ আর কিছু নয়। তাদের রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক ঐতিহ্য। দুর্দিনে কিভাবে টিকে থেকে নিজেদের গুছিয়ে নিতে হয় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

যখন তারা দীর্ঘদিন পর আবার সরকারে এলো কর্তব্য কর্ম বুঝে নিতে সময় লাগেনি একটুকুও। তারা সঠিক পথেই পা বাড়ালো। ঝুঁকি ছিলো প্রতি পদে তবুও আপোষ করেনি দলটি। জাতিকে পাপমুক্ত করার পাশাপাশি বিচারহীনতার রাজনৈতিক কালচারের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে দলটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি জাতির জনককে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার যে কালো ইতিহাস তৈরী করা হয়েছিলো তার একটা স্বচ্ছ সমাধানের পথে হাঁটতে শুরু করে দলটি। যদিও ২০০১ এ এসে হোঁচট খায় কিন্তু পথচ্যুত হয়নি। ২০০৯ এ যখন আবার তারা শুরু করলো শুরু করে দিলো দিন বদলের রাজনীতি। সব কিছুকে গুলিয়ে না ফেলে দলটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি উন্নয়নের দিকে হাঁটতে শুরু করে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে বাংলাদেশ তার সুফল পেতে শুরু করেছে।

যদিও দলটি এরই মধ্যে ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আবারো একবার ১৫ই আগস্টের মতো নিশ্চিহ্ন হতে বসেছিলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি আজকের বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি এরকম অজ¯্র দুঃস্বপ্ন বহনকারী বিভৎস স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন। সত্যি কথা বলতে কী মাঝখান থেকে হারিয়ে গেছে তারা যারা এসবের নেপথ্য কারিগর ছিলো। ২০০৯ থেকে ২০২২ এই নাতিদীর্ঘ সময়ে যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি তার দিকে তাকালেই বোঝা যায় এই অর্জন এতোটা সহজ নয় যতোটা সহজে মুখে বলা যায়। অন্যরা যারা এসব নিয়ে হুটহাট কথা বলে না বুঝে শুনে তারাও তো ক্ষমতায় ছিলো। কি করেছে তা কারোরই অজানা হয়। আজকের বাংলাদেশ তাই বুঝে গেছে কথার ফুলঝুরি দিয়ে রাজনীতি তথা দেশের উন্নয়ন হয় না। কোনো কিছু অর্জন করা সত্যিই অতোটা সহজ নয় যতোটা মুখে বলা যায়। জয় শেখ হাসিনা। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। জয় হোক এদেশের গরীব দুঃখী মানুষের।

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে