মুসলমান কর্তৃক কন্সট্যাণ্টিনোপল বিজয়ের জন্য প্রথম অভিযান চালানো হয়
৬৫৪ খ্রিস্টাব্দে। খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে। হযরত উসমান (রাঃ) এর নির্দেশে
এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিলো কিন্তু এটি ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে
উমাইয়ারা ৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে খলিফা হযরত মুয়ারিয়া (রাঃ)-এর সময়কালে আবারও
কন্সট্যান্টিনোপল অভিযান করেন কিন্তু তারাও ব্যর্থ হন। পাঁচ বছরের বিরতির
পর মুসলমানরা ৬৪৭ খ্রিস্টাব্দে পুনরায় কন্সট্যান্টিনোপল অবরোধ শুরু করেন যা
৬৭৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিলো কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই অভিযানও
ব্যর্থ হয়। এই অভিযানের শুরুতেই অর্থাৎ ৬৭০ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত সাহাবী
হযরত আবু আইউব আল আনসারী বার্ধ্যকজনিত কারনে মারা যান। কন্সট্যান্টিনোপল
বিজয়ের উপর মহানবী (সাঃ)-এর হাদীসের কারণে বরকত লাভের আশায় তিনি বৃদ্ধ
বয়সেও (প্রায় ৮০ বছর) এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আজও সেখানে তার রওজা
মোবারক অবস্থিত।
মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন মনের আধুনিক অ
Comments
Post a Comment