স্ত্রী জাতির কিছু অদ্ভুত গুণ আছে। তাহারা প্রথমতঃ নিদারুণ বৈচিত্রের অধিকারী। পুরুষ জাতির মধ্যে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই তাহাদের পছন্দ-অপছন্দের মিল পাওয়া যায় কিন্তু স্ত্রী জাতির মধ্যে মিল পাওয়া বড় কঠিন। তাহাদের দশ জনকে যদি তাহাদের পছন্দের কথা জিজ্ঞাসা করা হয় তাহলে উত্তর দশ রকমের হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। এজন্যেই হয়তো পুরুষ জাতির জন্যে জান্নাতে যে হুরের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাতে মোটামুটি শতভাগ পুরুষই শতভাগ একমত ও সন্তুষ্ট। কিন্তু নারী জাতির জন্যে এরকম কোন ঘোষণা নাই। কারণ আর কিছু নয়। এদের একেক জনের পছন্দ এক এক রকম। তাই সাধারণ ঘোষণা যে মূল্যহীন হইবে সেটা সৃষ্টিকর্তার চাইতে ভালো কে-ই বা জানে। তাই তিনি তাদের ব্যাপারে কোন প্রকার ঘোষণা দানে বিরত থাকলেন। বলাই বাহুল্য দশ লক্ষ পুরুষের সমন্বয়েও একটা বিরাট সামরিক বাহিনী হওয়া সম্ভব কিন্তু দশ জন নারীর বাহিনী গঠন করা সম্ভব হবে কিনা জানি না।
মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন মনের আধুনিক অ
Comments
Post a Comment