Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

ফুল ছিলো না, ছিলো না কবিতাও - ওমর খালেদ রুমি

 দুজনে অনেক হাঁটলাম

এই প্রোগ্রামটা ইঠাৎই হলো

সবটুকু তোমার দয়া

কখনও ভাবিনি এভাবে সকাল সকাল ডেকে নেবে

যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি

অতোটা প্রেমিক আমি নই

যতোটা সড়কের লোকজন ভাবে

মূলত মানুষ যতোটা না সুখী

তার চেয়ে বরং অন্যরা একটু বেশীই ভাবে

কল্পনায় সুখ অনেক

কিন্তু আজ ব্যাপারটা অন্যরকমই হলো

তুমি ডেকে নিলে তাই

আশা ছিলো একদিন আমিই তোমায় ডাকবো

আমার হাতে থাকবে কবিতার বই

তোমার খোপায় গোঁজা গোলাপ

তারপর নিরবচ্ছিন্ন হেঁটে চলা

নগর দেখবে একবিংশ শতাব্দীর শেষ প্রেমিককে

অবলীলায় হেঁটে যেতে

এতো কথা বলার কি দরকার?

দরকার একটু আছে বটে

প্রত্যহ সকাল হয় প্রত্যহ বিকাল

প্রতিটি রাতে যদিও পূর্ণ জ্যোৎস্না হয় না

তবু আজকাল বুকের ভেতর জ্যোৎস্না বড় আকাল

তোমার সুগন্ধি মাখানো চুলের ঘণ অরণ্যে

যে বাতাস খেলা করে ফেরে

তারপর যখন তারা মাতাল হয়

একশো একটা প্রেমিক ছুটে আসে

পৃথিবীর প্রথম প্রেম

কানায় কানায় ভরে দেয় তার পেয়ালা

আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি

অন্ধ কবি হোমার বীরদের গাঁথা গাইতে গাইতে

এইমাত্র বাংলা একাডেমীর চত্বর অতিক্রম করল

আর আমরা তখনও

টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পায়ের কাছটাতে বসে

একদল পিঁপড়াকে মিছিল সহকারে যেতে দেখছি

নুন আর লবণ একই বস্তু কিনা

আজকাল এসব নিয়ে বড়ই তর্ক হচ্ছে

একজন দারুণ জ্ঞানী এইমাত্র ছিড়ে ফেললো

একজন বয়স্ক লোকের কোট

সেই কোটের বোতামগুলো সোনার ছিলো

মার্কস এঙ্গেলস লেনিন হাহাকার করে উঠল

সাম্যবাদের তবে এই চেহারা

কোথাও পতন নেই

তবু ভাঙ্গনের শব্দ শুনি কান পাতলেই

যারা ওপারে গেলো তারা বাঙ্গাল হলো বটে

বিহারীরা তো তবে একটা কিছু না হয়েই রয়ে গেল

পরাজয় আর দুর্ভাগ্য কখন যে কাকে তাড়া করে

সে কথার কিছুই আগাম বলা যায় না

আমি সহস্র পাতার একটি কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম

এখন দেখছি সহস্র লাইন জোগাড় করাই কঠিন

মাটির টুকরোগুলোকে যারা অমৃতে ভরা বিস্কুট ভেবে খায়

তাদের ক্ষুধার চেয়ে নির্বুদ্ধিতাকেই বড় করে দেখা হয়

সবাই হাততালি দিলো

কারণ এইমাত্র একজন নেতা

একটি ছোট্ট বক্তৃতা শেষ করলো ... ঠিক তার পরই অন্তর্হিত হলো

একটি বুলেট তাকে শহীদের মর্যাদা এনে দিলো

আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দৃশ্য দেখলাম

তোমার খোপায় গোলাপ নেই

আমার হাতে নেই কবিতার বই

সাপ আর বিচ্ছুদের রাজত্বে

একটি মৃত হরিণের শরীর

ঠিক ততক্ষণই পড়ে থাকে

যতক্ষন সময় লাগে ব্যাক্টেরিয়ার তাকে পঁচাতে

লাশ জানি কেউ নেবে না

না মাটি

না জল

সাহসী যারা তারা চলে গেছে সেই কবে

আমি শুধু তাদের গোঙানিটাই শুনেছিলাম

যারা অসহায় যারা মলিন যারা বিবর্ণ

খুশী হওয়ার মতো কোন উপলক্ষ্য তাদের জীবনে আসেনি

আজকাল জিডিপি নিয়ে খুব কথা বলা হয়

ভাবনা চলছে মাথা পিছু আয় নিয়েও

এসব যে শুধু সংখ্যা তা কে কাকে বোঝাবে

আমাদের যেতে হবে বহুদূর

অনেকগুলো সুন্দর সকাল

অনেকগুলো আনন্দঘণ বিকেল

এক সুঁতোয় বাঁধতে পারলে তবেই না স্বাধীনতা

আমাদের কাঙ্খিত সকালগুলো এখনও আসেনি

আমাদের সোনালি বিকেলগুলো এখনও অধরা

তোমার বাহুর বন্ধনে বাঁধা পড়ার প্রত্যাশী

অজ¯্র যুবককে আমি দেখলাম চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে

তোমার আগুনে পোড়ার জন্যে প্রস্তুত

অনেকগুলো পতঙ্গকে আমি দেখলাম এক জায়গায় জড়ো হয়েছে

আহা! কতোই না ভালো হতো

যদি আমিও তাদের একজন হতাম

তাহলে হয়তো এরকম একটা আস্ত নগরী

আমার হাঁটতে হতো না তোমাকে পাশাপাশি নিয়ে

প্রেমিক না হওয়ার শর্তেই তো

তুমি আমায় বিশ্বাস করেছিলে

তারপর কতো দুর্ভোগ পোহাতে হলো

আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে

আমরা এক একজন তীব্র দার্শনিককে

পেছনে ফেলে সামনে আগালাম

খসরুর কবিতা, গালিবের শের

হাফিজের গান আর খৈয়ামের রুবাই

আহা কতো মধুর ছিলো তানসেনের সুর

পৃথিবীর প্রথম পাথর যেদিন

মাটি ফুঁড়ে বাইরে বেরিয়ে এলো

সেটাই ছিলো তার প্রথম চোখ

সেই চোখে সে যা কিছু দেখেছে

একে একে সব হয়েছে পাথর

আমাদের ভরসাগুলো ক্লান্তিতে

একসময় নিদ্রা গিয়েছিলো

আর তখনই আমাদের ইচ্ছে করেছিলো

এলোমেলো হতে

কিন্তু নগরের অজস্র চোখ

সংশয়ে জাগিয়ে রেখেছে

একটি অবদমিত প্রণয়ের ইচ্ছা

আমি চাল চুলো কিছু না বানিয়ে

সংসার সাজানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম

কেউ এটা ভালোভাবে নেয়নি

আজন্ম আশায় ছিলাম

এভাবে একদিন আমরা দুজন

না না ব্যাপারটা সেরকম নয়

আমি কোন একজনের সাথে

নগরীর তপ্ত রাস্তায় হাঁটব

পথে পথে দেখা হয়ে যাবে

রুডিয়ার্ড কিপলিং, বারট্রান্ড রাসেল, অস্কার ওয়াইল্ড

আরও কতো স্বপ্নের ভেতরে

ঘোরাফেরা করা নাম

ঘণ বসতির শহর ছেড়ে

যখন একটু নিরালায় আমরা

শুধু রাস্তাগুলোই যখন সঙ্গী হয়

তুমি বাড়িয়ে দাও সিগারেট আর

তারপর তোমার বুকের ভাজে রাখা আগুন

আমার আর তোমাকে চুমু দেওয়া হয় না

তারপর আমি ভুলে যাই

অতীতের সব কথা সব ইতিহাস

আমাকে তখন যে কেউ যে কোন জায়গায়

নিয়ে যেতে পারে

যে মানুষ পথ ভুলে গেছে

বিভ্রান্তি তাকে নিয়ে যায় অনেক দূর

তুমি বলেছিলে বিবর্তনের ইতিহাস কি তবে মিথ্যে?

তবে যে ডারউইন আজও আলোচিত!

আমি কোন উত্তর দিতে পারিনি

শুধু বলেছি- আমি শুধু

এডাম আর ইভের কথাই জানি

তখনই মন্ত্র আওড়াতে আওড়াতে

একজন সন্ন্যাসী সামনে এসে দাঁড়ায়

সে শুধু বলে- কিছু পয়সা দে

পরকালে তোর ভালো হবে

স্কুল ড্রেস পড়া একদল কিশোরী

এই মাত্র আমাদের অতিক্রম করলো

তাদের চোখে আমি কোন বিস্ময় দেখলাম না

পৃথিবী কি তবে তার আবেদন হারিয়ে ফেলেছে?

আমরা সামনে আগাই

একটার পর একটা ভবন পার হই

তারপর উদ্যান

যারা আমাকে ঈর্ষা করে

তারা আজ অনেক পেছনে

যারা আমাকে ভালোবাসে

তারা আমকে ফেলে অনেক দূর চলে গেছে

এসব পার্থক্য বুঝে ওঠার আগেই

একজন পুলিশ আমাদের থামালো

এভাবে ঘোরাঘুরি করার মানে কি?

আমি বললাম- কিছুই না!

সে শুধু বলল- বান্ধবী সমেত

আপনাকে থানায় যেতে হবে

সেখানে ব্রিটিশ আমলের ছাপানো একটা

নিম্নমানের প্রিন্টের ধুলোপড়া ফর্মে লিখে দিতে হবে

এই পৃথিবীতে যদি আরও লক্ষবারও আসো

তবু কাউকে ভালোবাসতে পারবে না

রমণীর হাত ধরার শাস্তি নাকি মৃত্যুদন্ড!

আর এই মর্মে যে ধারা পাশ হয়েছে

সে সম্পর্কে নাকি আমার কোন ধারণাই নাই!

আমি চিৎকার করে বললাম

আমিও একজন আইনজীবি

সে শুধু বললো- তাহলে তো এটাও

জানো- আইন সবার জন্যেই সমান

তোমাকে দাস্খত দিতেই হবে

তিনজন নগ্নপদ সাংবাদিক এলো

তাদের কাছে কোন কাগজ কলম না থাকায়

তারা আমার ঠোঁটের অস্পষ্ট গোঙানি দেখেই

যা বোঝার বুঝে নিলো

তারপর পত্রিকা অফিসে গিয়ে

ঢক্ঢক্ করে কয়েক গ্লাস পানি খেলো

তৃষ্ণা নিবারণ করতে

অতঃপর সেই তিনজন দেবদূত গোল হয়ে বসে

একটা জাঁদরেল নিবন্ধ লিখলো

সেখানে আমাকে একজন

নায়কের মর্যাদা দেওয়ার অনেক চেষ্টা করা হলো

কিন্তু কর্তৃপক্ষ একবাক্যে জানিয়ে দিলো

সিদ্ধান্ত তাদেরটাই ঠিক

কবিকে দাস্খত দিতেই হতো

আমি নিয়তিকে মেনে নিয়ে

আরও সামনে আগাই

কারা যেন কানে কানে বলে

ওদিকে নগর শেষ

তারপর একটা দুর্বল নদী

যার নাভিশ্বাস উঠে গেছে সেই কবে

তবু তাকে কেউ ওষুধ পথ্য কিছুই দেয়নি

সে নদী পেরোলে মাঠ

তারপর গ্রাম

সেখানে লোকালয়

অতদূর কি তোমরা যেতে পারবে

তার চেয়ে বরং ফিরে যাও

সোনালী আলোয় তখনও

বিকেলটা ভরা ছিলো অনিঃশেষ

এতো পুষ্টিকর বিকেল এর আগে

আমি কখনও দেখিনি

আমাদের চোখ জুড়ে তখন রাজ্যের ক্লান্তি

আমাদের মন জুড়ে তখন অনেক বেদনার ফেনা

ঢেউগুলো কোথায় যে পালিয়ে গেছে

তার খবর কেউ দিতে পারলো না

অনাগত সময়ের জন্যে আমরা প্রার্থনা করলাম

একটি বৃক্ষের নিচে তখন অনেক মানুষ জড়ো হয়েছে

একজন মানুষের বিদায়ের এই আয়োজনে

হৃদয় যতোটা না ভারাক্রান্ত হলো

তার চেয়ে বেশী আফসোস হলো

অর্থহীন মানবজন্মের সারবত্তা নিয়ে ভেবে

আমি তখনও ঘোরে ছিলাম

তুমিই ডাক দিলে

আমাদের যেতে হবে ততোটা পথ

যতোটা পথ হেঁটে তবেই এখানে এসেছি

পায়ের নিচে নগরের নূড়ি

ইট-বালি-পাথর-আরও কত কি

শহরে মানুষ হওয়ার আশা নিয়ে যারা বাঁচে

তারা শুধু উপহাসের পাত্রই হতে পারে

বিকেলের আর খুব বেশী বাকি নেই

একটু পরেই হয়ত আলো কমে আসবে

তুমি বার বার শুধু একটি কথাই বলছিলে

দেখতে দেখতে দিনটা কেমন ফুরিয়ে গেলো

আমি খুব খুব জানি

এখনও অনেক কথা বাকি

তোমার মস্তিষ্কের ভেতর জমানো অনেক প্রশ্ন

আমার বুকের ভেতরে তার উত্তর

আমাদের কখনও সময় হয় না

দুটোকে এক করে মেলাবার

ভালোবাসা না হলে

এরকম অসামঞ্জস্য থাকবেই

হৃদয়কে যে হৃদয় দিয়েই কাটতে হয়

আমরা হাঁটছি খুব দ্রুতপদে

আর এই অবসরে একজন সমাজতন্ত্রী

লেনিনের রচনাবলির শেষ পাতাটির অনুবাদে ব্যস্ত

একজন সাম্যবাদী তার বক্তৃতার খসড়া তৈরীর

শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে

একজন কবি তার একটি দীর্ঘ কবিতা

লিখতে লিখতে কখন যে ক্লান্তিতে

কলমের সবটুকু কালি শুষে নিয়েছে দুই ঠোঁটে

সে খবর গোয়েন্দারা অবশ্য ঠিক ঠিক জানে

পাহাড় দেখা হলো না

দেখা হলো না নদী

দেখা হলো না মাঠ

তারপর গ্রাম

তারপর লোকালয়

আমাদের দেখা হলো না অনেক কিছুই

শুধু তোমার ঘর্মাক্ত গ্রীবা দেশে

সারাদিনের ক্লান্তিতে যেটুকু লবন জমেছে

আমি তার দিকে চেয়ে চেয়ে

মায়ের কথাই ভাবছিলাম-

একদা এদেশে লবণের জন্যে

আমার মা আমার বাবাকে পাঠাতো

বাড়ী থেকে কয়েক মাইল দূরে

সেখানে একটা নলকূপে

মাটির নিচ থেকে লবণ পানি ওঠে

অবশ্য সেখানে অনেক ভীড়

আর তার হাতলও গেছে ভেঙ্গে

এই শহরে যারা স্বপ্নের আবাদ করেছিলো

তাদের অনেকেই আজ নেই

নগরী গ্রাস করে সবকিছু

আর যা কিছু বাকী থাকে

তা খেয়ে নেয় ডায়াবেটিস, প্রেসার, ক্যান্সার

হার্ট অ্যাটাক, ব্রেইন স্ট্রোক অথবা অন্য কিছু

যাদের আমরা বলি শাসক কিংবা শোষক

কবিতা লিখতে লিখতে

অনেক কবিই জেনে যায়

জীবনের পরিণতি তার

বিবর্ণ ধুলোয়

আমরা হাত পা ছেড়ে দিয়ে

সংসদ ভবনের লনে ধুপ করে বসে পড়ি

ক্লান্তিতে আমাদের পা আর

সামনে চালানো দায়

আমরা কি তবে থেমে যাবো

এই মুক্তির মন্দিরের সামনে

এখানে বসে থাকব

একজন সালাম, একজন বরকত, একজন রফিক

একজন জব্বার, একজন আসাদ, একজন মতিয়ুর, একজন জহুরুল

একজন জোহা, একজন সেলিম, একজন দেলোয়ার

একজন বসুনিয়া, একজন নূর হোসেনের

আত্মার আত্মীয় হয়ে

তাদের কথাগুলো বলে তবেই কি

শুরু হবে যাত্রা

আর যারা মরেছে ১৫ই আগস্টে

বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান

আর তার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন

আর কয়েকজন সৈনিক

তারও কিছুদিন পর

একজন খালেদ মোশাররফ, একজন নাজমুল, একজন হায়দার

আর জাতীয় নেতাদের

তাদের আত্মাকে আমরা কি জবাব দেব

ফিরে গিয়ে?

এখনও যে ভোর হয়নি

এখনও যে শ্বাপদেরা ঘুরছে

পতাকার চারপাশে

মানচিত্র কেটে টুকরো টুকরো করতে চায়

উইপোকা, ঘুণপোকা, নেংটি ইঁদুর

আরও যে কত জঞ্জাল

আমাদের অবিরত অস্বস্তিতে ভরে রাখে

শেষ বিকেলের শান্ত সময়ের সাথী

প্রেম নিয়ে যে কথা বলার ছিলো

তা ভুলে গিয়ে তুমি শুধু হতাশাই দিলে

আমিও লজ্জাকে পুষে সরিয়ে নিয়েছি হাত

হাতে বিপ্লবের কথাগুলো কষ্টের কালিতে লিখেছি দারুণ

তুমিও পড়তে পারো আহা কি যে নিরপেক্ষ

কি যে করুণ

সন্ধ্যা ঘণিয়ে আসছে

দ্রুত পায়ে হাঁটি

আমরা দুজন

প্রেম আর বিরহের সাথী

নগরের বাতি দেখো একে একে জ্বলে

তোমার ঘরে ফেরার তাড়া

আমাকেও কে যেন ডেকে বলে

প্রেম নয়, প্রীতি নয়, পূণ্য নয় কোন

তুমি তবে কিসের আশায় হাঁটছ এখনও

ভ্রম সব ভ্রম জীবন সংসার আর কামনার ধর্ম

এসব মোহ শুধু এসবই মায়া

তুমিই সত্য শুধু আর এই কায়া

এই ঘরে বাস করে তোমার অধিপতি

তার সাথে হোক কথা

তবে হবে গতি

ফিরে আসি মনে হয় আর কিছু নাই

প্রেম তার হেঁটে যায় খুঁজে নাহি পাই

আড়ষ্ট যৌবন কাঁদে বেদনার ভারে

কে আমায় ডেকে বলি ভুলে যাও তারে

কবির জন্য প্রেম নয় শোভনীয়

কবির জন্য নয় জীবন কমনীয়

বিপ্লবে বাঁচে কবি বিদ্রোহে মরে

কবির শরীর পচে কবিতার ঘরে

ভীষণ আলস্যে আর যাবে কতকাল

ঘুম ভেঙ্গে ওঠো তবে ডাকে মহাকাল

কবি নাম ধরো যদি ছেড়ে দাও আশা

জীবনে না জুটিবে প্রেম ভালোবাসা

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে