Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

তুরসের যুুদ্ধ এবং একজন আব্দুর রহমান গাফেকি - OMAR KHALED RUMI

 

যদি মানচিত্রের দিকে চোখ বোলান দেখতে পাবেন অস্ট্রিয়া দেশটির অবস্থান কোথায়। ইউরোপের কেন্দ্রবিন্দুতে। পাশেই জার্মানী তার পাশে ফ্রান্স। তারপরই স্পেন। মনে পড়ে ঐ সময়ের কথা। যখন এদিক দিয়ে উসমানীয়রা আগাতে আগাতে ভিয়েনায় পৌঁছে গিয়েছিলো। আর অন্যদিকে স্পেনেও মুসলিম শাসন চলছিলো। প্রথম মুরাদের সময়কালে উসমানীয়দের ইউরোপ বিজয় শুরু হয়। প্রথমে আড্রিয়ানোপল তারপর পুরো বলকান। সার্বিয়া আর বুলগেরিয়ার যুবরাজের পাশাপাশি পূর্ব রোমান সা¤্রাজ্যের স¤্রাটকেও কর দিতে বাধ্য করেন। এই অভাবনীয় সাফল্য এসেছিলো তার শাসনকাল ১৩৬২ থেকে ১৩৮৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এরপর শুধু সামনে আগানো। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় গিয়ে থামা। ওদিকে গ্রানাডার পতন হয়েছিলো ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দের ২রা জানুয়ারী। ১৩৮৯ থেকে ১৪৯২ পর্যন্ত সময়কালটা একেবারে কম সময় নয়। একশ বছরের বেশী। যদি এই সময়টায় দু’দিক দিয়ে চেপে ধরা যেত ইউরোপের চিড়ে চ্যাপ্টা হওয়া এমন কঠিন কিছু ছিলো না। কিন্তু তা হয়নি। কারণও অনেক। ইউরোপের অভ্যন্তরে যতোটা এগিয়েছিলো তা ঐ অটোমানরাই।
আন্দালুসিয়ার মুসলিম শাসকরা তো ব্যস্ত ছিলো নিজেদের মধ্যে কলহ বিদ্রোহে। যে কমপ্লেক্সিটি উমাইয়া ও আব্বাসীয় শাসকদের মধ্যে ছিলো তা ঐ আন্দালুসিয়াতে এক্সপোর্ট হয়েছিলো। তাই তারা আর ইউরোপের মূল ভূখন্ডের দিকে আগাতে পারলো না। দুই একজন যে চেষ্টা করেনি তাও কিন্তু নয়। তুরসের যুুদ্ধে আব্দুর রহমান গাফেকি হেরে যান ৭৩২ খ্রিস্টাব্দে। এরপরও টুকটাক চেষ্টা হয়েছিলো আন্দালুসিয়ার মুসলমানদের সোনালী সময়টাতে। কিন্তু লাভ হয়নি। তারা পিরেনিজ পবর্তমালা অতিক্রম করে ইউরোপে পা বাড়াতে পারেনি। পরবর্তীতে উসমানীয়দের আস্তে আস্তে ইউরোপ থেকে সরে আসা মুসলমানদের জন্যে বিরাট দুঃসময়ের সব বন্দোবস্ত করে দেয়। আজকের পৃথিবীর যে বিন্যাস এবং বাস্তবতা তার বেশীরভাগই নির্ধারিত হয়েছিলো সেদিন ইউরোপে অটোমানদের ভাগ্যের উপর।
কথা আসলো এজন্যে যে, এশিয়া এবং আফ্রিকা জুড়ে আরও অনেক মুসলিম সা¤্রাজ্য ছিলো। তারা লড়েছে শুধু নিজেদের মধ্যে। কেউ সাহস করে ইউরোপে পা বাড়ায়নি। শুধুমাত্র উসমানীয়রাই সেই সাহস দেখিয়েছিল। তাদের বীরত্ব গাঁথা তাই মুসলিমদের জন্যে সত্যিকারের জিহাদের বার্তাই দেয়। কিন্তু মুসলমান আজ হৃত গৌরব। নিজেদের গৌরবময় অতীত ভুলে বসে আছে। আর সেই সাথে লাঞ্চিত হচ্ছে সর্বত্র।

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে