Skip to main content

Fabricare receipt 01 08 2024

  স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আরও বেশি বৈষম্যের শিকার হওয়া বাংলা সাহিত্য - Omar Khaled Rumi

একথা তো মানতেই হবে গেøাবালাইজেশনের ঢেউ চলছে গত কয়েক দশক ধরে। যদিও ধারণাটা একেবারে নতুন নয় তবে ’৯০ এর দশকে ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানের পর এই গেøাবালাইজেশন জিনিসটা অনেক বেশী প্রকট হয়ে ওঠে। হ্যাঁ, মানছি এর দ্বারা আমাদের মতো অপেক্ষাকৃত ছোট দেশ বা দুর্বল জাতিরও কিছুটা কল্যাণ হয়েছে তবে এর সুফলকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে হলে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত এর কুফলগুলোকে দূর করা সম্ভব না হলেও অন্ততঃ মিনিমাইজ করার চেষ্টা করা। কিন্তু এরকম কিছুই যে করা হয়নি তার প্রমান জাতি হিসেবে আমাদের অসচেতনতা। আমরা বরাবরই উদাসীন। কারণও আছে। গবেষণা করে তা থেকে লদ্ধ ফলাফলকে ব্যবহার করে তা থেকে উপকার নেওয়ার মতো মানসিকতা বাঙালির কোন কালেই ছিলো না। আমরা ধরেই নেই আমরা দুর্বল, অনুপযুক্ত আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। আর এরকম ... আমাদের এতো কিছুর প্রয়োজনই বা কি। এসব তো করবে আমেরিকা বা রাশিয়ার মতো দেশ। সমস্যাটা এখানেই। আমরা মনস্তাত্বিকভাবে নিজেদের পরাজিত বলেই ধরে নেই। তাই ম্যাচ শুরুর আগেই হেরে বসে থাকি। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার টেবিলে আমাদের তাই হিস্যা থাকে না। একটা কথা মাথায় আসে না যে স্বীকৃতির দাবীদার আমেরিকা, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, দুবাই তার দাবীদার আমরা নই কেন। আমাদেরও এই তালিকার একটা দেশ হতে দোষ কোথায়। রিসার্চ বা গবেষণা একটা দেশের জন্যে অজ¯্র সম্ভাবনা আর শক্তির দুয়ার উন্মোচন করে। আমরা হাত গুটিয়ে বসে আছি। ধরেই নিয়েছি এটা করার জন্যে অন্যেরা আছে। আমাদের কম্ম নয় এতো বড় কাজ করা। এ যেন দৌঁড় শুরুর আগেই বসে পড়া। ভাবখানা এমনই যে আমরা তো হেরেই গেছি। আফসোস হয়।
মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে তার আশা। আর এই আশার তরী বইতে হলে দরকার অদম্য ইচ্ছাশক্তি, দৃঢ় মনোবল, প্রচন্ড ধৈর্য্য, চারিত্রিক দৃঢ়তা, সততা, সত্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক গুণ। কিন্তু সমৃদ্ধির পথে হাঁটার জন্যে অত্যাবশ্যকীয় এসব উপাদানের কথা যেন আমরা দিন দিন ভুলতে বসেছি।
অজ¯্র বিষয় আছে নজর দেওয়ার। আমি আজকের এই লেখায় মাত্র স্বাধীনতা পরবর্তী এই পঞ্চাশ বছর সময়কালটাতে নিদারুণ বৈষম্যের শিকার হওয়া আমাদের সাহিত্যের করুণ ও বিপর্যস্ত অবস্থার কথাই বলতে চাই।
আমাদের চোখের সামনেই আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সাহিত্যিকরা ইংরেজী সাহিত্যের বাজারে চমৎকার এবং ঈর্ষণীয় একটা জায়গা দখল করে নিলো। তাদের অরুন্ধতী রায়, অরবিন্দ আড়িগা, শিব খেরা, অমিতাভ ঘোষ, বিক্রম শেঠ, রূপি কউর ইত্যাদি ইত্যাদি লেখক লেখিকার বই বিশ্বজুড়ে বেস্ট সেলারের মর্যাদা লাভ করে। প্রশংসা করতেই হয়।
আমাদের বাংলা সাহিত্য চর্চা যা মূলত ঢাকা বা রাজধানী কেন্দ্রিক নব্বই সালের পর থেকে ২০১২ সালে তার ওফাতের সময়কালটা পর্যন্ত মূলতঃ হুমায়ুন আহমেদের দখলে ছিলো। তার ওফাতের পর এই বিভ্রান্ত পাঠককুলকে ধরে রাখার মতো চৌম্বকীয় কিংবা যাদুকরী শক্তির লেখক না থাকায় এর একটা বিরাট অংশ মোটিভেশনালদের খপ্পরে পড়েছে। বাকীরা মজে আছে মোবাইলের ভেতর। সেখানে হিরো আলম, রাণু মন্ডল আর বাদাম কাকুরা সপাটে এবং দাপটে ব্যাট চালিয়ে রান তুলছে।
আর এই ফাঁক দিয়ে সাহিত্যের বাজারের বারোটা যা বাজার তা বেজে গেছে। ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে যে সাহিত্যিকরা সাহিত্য রচনায়ও আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে দিনে দিনে। কারণ হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে পাঠকহীনতা। পাশাপাশি লেখার মান নিয়েও কথা হচ্ছে। আমার তো মনে হয় বর্তমানে যারা লিখছে তাদের মধ্যে আমাদের নাসরিন জাহান আপার লেখা উড়–ক্কুর মানেরও একটা উপন্যাস লেখার মতো শক্তিশালী ঔপন্যাসিকও নেই। রবীন্দ্রনাথ নজরুল তো বাদই দিলাম।
সংকট ও সমস্যা তাই উভয় দিক দিয়েই। সৃষ্ট সাহিত্যের নি¤œমান, সম্পাদক মহোদয়ের তেলের প্রতি আগ্রহ, পাঠকদের জীবনে মোবাইল এবং তার হাত ধরে ফ্রি ফায়ার, পাবজি, ফেসবুক হিরো আলম, বাদাম কাকুদের উৎপাত সব মিলিয়ে একটা অসুস্থ পরিবেশ বিরাজ করছে। যা কিছু পাঠক পাচ্ছে ইসলামী ঘরানার লেখক-লেখিকারা। লোকে এর মাধ্যমে আত্মার শুদ্ধি ও পাপ মোচনের উপায় খুঁজছে। যদিও তার নিজেকে বদলানোর ইচ্ছে খুব একটা শক্তিশালী নয়। তবুও সে চারপাশের অস্থিরতার ভেতর এক ধরনের মানসিক সান্তনা বা স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা করছে। মুক্তির যদি তার এতোই আগ্রহ তবে তারা ইমাম গাজালি, জামালুদ্দীন রুমি, আল্লামা ইকবাল কিংবা হালের সৌদি পন্ডিত ও লেখক ওয়ায়েজ আল করণীয় লেখা পড়ে না কেন? আসল কথা তা নয়। পাতলা আবেগ দ্বারা তাড়িত মানুষ এর চেয়ে বেশী কোন চিন্তার বাজেটকে হজম করতে পারবে না। এটা আমাদের জাতিগত সমস্যা। আমরা নাসিরুদ্দীন আলবানী, ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়্যুম ইত্যাদি ইত্যাদি প্রসিদ্ধ পন্ডিতদের লেখা চাইলেই পড়তে পারি। কিন্তু সেই পথে আমরা হাঁটবো না। কারণ আর কিছু নয়। আমাদের জন্যে এ প্লাস বি হোলস্কোয়ারের ফর্মুলাই যথেষ্ট। ই ইজ ইকোয়াল টু এম সি স্কোয়ারের দরকার কি।
বলছিলাম বাংলা সাহিত্যের বারোটা বাজার কথা। কর্তৃপক্ষও নিশ্চুপ। সাহিত্য নিয়ে অনেক দূর তো দূরে থাক সামান্য দূরও যাওয়ার ইচ্ছে নেই। বাংলা সাহিত্যের বর্তমান বইগুলো যে দেশের গন্ডি পেরিয়ে খুব একটা বাইরে যায় না এটা নিয়ে ভাববার মতো কেউ নেই। সাহিত্যের চর্চা উঠে যেতে যেতে উচ্ছন্নে যেতে বসেছে।
সবচেয়ে দুঃসংবাদ যেটা তা হলো আমাদের গুটিকয়েক লেখক তাদের আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে থাকা রুগ্ম সাহিত্য প্রতিভা নিয়ে শেষতক কোথায় গিয়ে যে ঠেকবে তা তারা নিজেরাও জানে না। সর্বত্র একটা অসুস্থতার চিহ্ন। বিভ্রান্তির চরম। সবাই উদাসীন। কর্তৃপক্ষ বেখবর।
সাহিত্য যে একটা বাণিজ্যিক পণ্য হতে পারে এটা যে বিশ্বব্যাপী একটি জাতির জন্যে একটা পাওয়ার বেজ গড়ে দিতে পারে এ ব্যাপারে আমাদের কোন মাথা ব্যাথাই নেই। আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে বাংলা সাহিত্যের মান নামতে নামতে আজ তা তলানীতে এসে ঠেকেছে। তবুও নির্বিকার। আমাদের বোধোদয় হোক।
একথা তো মানতেই হবে গেøাবালাইজেশনের ঢেউ চলছে গত কয়েক দশক ধরে। যদিও ধারণাটা একেবারে নতুন নয় তবে ’৯০ এর দশকে ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানের পর এই গেøাবালাইজেশন জিনিসটা অনেক বেশী প্রকট হয়ে ওঠে। হ্যাঁ, মানছি এর দ্বারা আমাদের মতো অপেক্ষাকৃত ছোট দেশ বা দুর্বল জাতিরও কিছুটা কল্যাণ হয়েছে তবে এর সুফলকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে হলে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত এর কুফলগুলোকে দূর করা সম্ভব না হলেও অন্ততঃ মিনিমাইজ করার চেষ্টা করা। কিন্তু এরকম কিছুই যে করা হয়নি তার প্রমান জাতি হিসেবে আমাদের অসচেতনতা। আমরা বরাবরই উদাসীন। কারণও আছে। গবেষণা করে তা থেকে লদ্ধ ফলাফলকে ব্যবহার করে তা থেকে উপকার নেওয়ার মতো মানসিকতা বাঙালির কোন কালেই ছিলো না। আমরা ধরেই নেই আমরা দুর্বল, অনুপযুক্ত আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। আর এরকম ... আমাদের এতো কিছুর প্রয়োজনই বা কি। এসব তো করবে আমেরিকা বা রাশিয়ার মতো দেশ। সমস্যাটা এখানেই। আমরা মনস্তাত্বিকভাবে নিজেদের পরাজিত বলেই ধরে নেই। তাই ম্যাচ শুরুর আগেই হেরে বসে থাকি। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার টেবিলে আমাদের তাই হিস্যা থাকে না। একটা কথা মাথায় আসে না যে স্বীকৃতির দাবীদার আমেরিকা, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, দুবাই তার দাবীদার আমরা নই কেন। আমাদেরও এই তালিকার একটা দেশ হতে দোষ কোথায়। রিসার্চ বা গবেষণা একটা দেশের জন্যে অজ¯্র সম্ভাবনা আর শক্তির দুয়ার উন্মোচন করে। আমরা হাত গুটিয়ে বসে আছি। ধরেই নিয়েছি এটা করার জন্যে অন্যেরা আছে। আমাদের কম্ম নয় এতো বড় কাজ করা। এ যেন দৌঁড় শুরুর আগেই বসে পড়া। ভাবখানা এমনই যে আমরা তো হেরেই গেছি। আফসোস হয়।
মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে তার আশা। আর এই আশার তরী বইতে হলে দরকার অদম্য ইচ্ছাশক্তি, দৃঢ় মনোবল, প্রচন্ড ধৈর্য্য, চারিত্রিক দৃঢ়তা, সততা, সত্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক গুণ। কিন্তু সমৃদ্ধির পথে হাঁটার জন্যে অত্যাবশ্যকীয় এসব উপাদানের কথা যেন আমরা দিন দিন ভুলতে বসেছি।
অজ¯্র বিষয় আছে নজর দেওয়ার। আমি আজকের এই লেখায় মাত্র স্বাধীনতা পরবর্তী এই পঞ্চাশ বছর সময়কালটাতে নিদারুণ বৈষম্যের শিকার হওয়া আমাদের সাহিত্যের করুণ ও বিপর্যস্ত অবস্থার কথাই বলতে চাই।
আমাদের চোখের সামনেই আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সাহিত্যিকরা ইংরেজী সাহিত্যের বাজারে চমৎকার এবং ঈর্ষণীয় একটা জায়গা দখল করে নিলো। তাদের অরুন্ধতী রায়, অরবিন্দ আড়িগা, শিব খেরা, অমিতাভ ঘোষ, বিক্রম শেঠ, রূপি কউর ইত্যাদি ইত্যাদি লেখক লেখিকার বই বিশ্বজুড়ে বেস্ট সেলারের মর্যাদা লাভ করে। প্রশংসা করতেই হয়।
আমাদের বাংলা সাহিত্য চর্চা যা মূলত ঢাকা বা রাজধানী কেন্দ্রিক নব্বই সালের পর থেকে ২০১২ সালে তার ওফাতের সময়কালটা পর্যন্ত মূলতঃ হুমায়ুন আহমেদের দখলে ছিলো। তার ওফাতের পর এই বিভ্রান্ত পাঠককুলকে ধরে রাখার মতো চৌম্বকীয় কিংবা যাদুকরী শক্তির লেখক না থাকায় এর একটা বিরাট অংশ মোটিভেশনালদের খপ্পরে পড়েছে। বাকীরা মজে আছে মোবাইলের ভেতর। সেখানে হিরো আলম, রাণু মন্ডল আর বাদাম কাকুরা সপাটে এবং দাপটে ব্যাট চালিয়ে রান তুলছে।
আর এই ফাঁক দিয়ে সাহিত্যের বাজারের বারোটা যা বাজার তা বেজে গেছে। ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে যে সাহিত্যিকরা সাহিত্য রচনায়ও আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে দিনে দিনে। কারণ হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে পাঠকহীনতা। পাশাপাশি লেখার মান নিয়েও কথা হচ্ছে। আমার তো মনে হয় বর্তমানে যারা লিখছে তাদের মধ্যে আমাদের নাসরিন জাহান আপার লেখা উড়–ক্কুর মানেরও একটা উপন্যাস লেখার মতো শক্তিশালী ঔপন্যাসিকও নেই। রবীন্দ্রনাথ নজরুল তো বাদই দিলাম।
সংকট ও সমস্যা তাই উভয় দিক দিয়েই। সৃষ্ট সাহিত্যের নি¤œমান, সম্পাদক মহোদয়ের তেলের প্রতি আগ্রহ, পাঠকদের জীবনে মোবাইল এবং তার হাত ধরে ফ্রি ফায়ার, পাবজি, ফেসবুক হিরো আলম, বাদাম কাকুদের উৎপাত সব মিলিয়ে একটা অসুস্থ পরিবেশ বিরাজ করছে। যা কিছু পাঠক পাচ্ছে ইসলামী ঘরানার লেখক-লেখিকারা। লোকে এর মাধ্যমে আত্মার শুদ্ধি ও পাপ মোচনের উপায় খুঁজছে। যদিও তার নিজেকে বদলানোর ইচ্ছে খুব একটা শক্তিশালী নয়। তবুও সে চারপাশের অস্থিরতার ভেতর এক ধরনের মানসিক সান্তনা বা স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা করছে। মুক্তির যদি তার এতোই আগ্রহ তবে তারা ইমাম গাজালি, জামালুদ্দীন রুমি, আল্লামা ইকবাল কিংবা হালের সৌদি পন্ডিত ও লেখক ওয়ায়েজ আল করণীয় লেখা পড়ে না কেন? আসল কথা তা নয়। পাতলা আবেগ দ্বারা তাড়িত মানুষ এর চেয়ে বেশী কোন চিন্তার বাজেটকে হজম করতে পারবে না। এটা আমাদের জাতিগত সমস্যা। আমরা নাসিরুদ্দীন আলবানী, ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়্যুম ইত্যাদি ইত্যাদি প্রসিদ্ধ পন্ডিতদের লেখা চাইলেই পড়তে পারি। কিন্তু সেই পথে আমরা হাঁটবো না। কারণ আর কিছু নয়। আমাদের জন্যে এ প্লাস বি হোলস্কোয়ারের ফর্মুলাই যথেষ্ট। ই ইজ ইকোয়াল টু এম সি স্কোয়ারের দরকার কি।
বলছিলাম বাংলা সাহিত্যের বারোটা বাজার কথা। কর্তৃপক্ষও নিশ্চুপ। সাহিত্য নিয়ে অনেক দূর তো দূরে থাক সামান্য দূরও যাওয়ার ইচ্ছে নেই। বাংলা সাহিত্যের বর্তমান বইগুলো যে দেশের গন্ডি পেরিয়ে খুব একটা বাইরে যায় না এটা নিয়ে ভাববার মতো কেউ নেই। সাহিত্যের চর্চা উঠে যেতে যেতে উচ্ছন্নে যেতে বসেছে।
সবচেয়ে দুঃসংবাদ যেটা তা হলো আমাদের গুটিকয়েক লেখক তাদের আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে থাকা রুগ্ম সাহিত্য প্রতিভা নিয়ে শেষতক কোথায় গিয়ে যে ঠেকবে তা তারা নিজেরাও জানে না। সর্বত্র একটা অসুস্থতার চিহ্ন। বিভ্রান্তির চরম। সবাই উদাসীন। কর্তৃপক্ষ বেখবর।
সাহিত্য যে একটা বাণিজ্যিক পণ্য হতে পারে এটা যে বিশ্বব্যাপী একটি জাতির জন্যে একটা পাওয়ার বেজ গড়ে দিতে পারে এ ব্যাপারে আমাদের কোন মাথা ব্যাথাই নেই। আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে বাংলা সাহিত্যের মান নামতে নামতে আজ তা তলানীতে এসে ঠেকেছে। তবুও নির্বিকার। আমাদের বোধোদয় হোক।

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে

NAZRUL ISLAM MAZUMDER : THE CHOICE OF THE TIME (a biography)

NAZRUL ISLAM MAZUMDER The choice of the time “The purpose of a business is to create a customer who creates customers.” -          Shiv Shing # NASSA GROUP # 30,000 employees #EXIM Bank # 3,000 employees And so on……….. A Biography By OMAR KHALED RUMI M. Sc., MBA, LL.B     ...................................................... “Patience, persistence and perspiration make an unbeatable combination for success.”    - Napoleon Hill   ...................................................... Prlogue Like another man Nazrul Islam Mazunder is also a man. But, how he has made some stories of success. Why people consider him as a special. Why he is applaused as Philanthropic in mind, dynamic in thinking, far-sighted in vision. There must some reasons. The reason is what he wanted himself he has been now. Mazumder, a conglomerate icon, in no way, a trifle name. His success, over years, mak