আমাদের স্বাধীনতার হাফ সেঞ্চুরী রহস্যের পর রহস্যে ভরা। ১৬ই ডিসেম্বরের পর থেকে যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সূত্রপাত বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়েই নটরাজরা সেই প্রথম অধ্যায়ের একটা আপাতঃ পরিসমাপ্তি টেনেছিলো। কিন্তু তাদের সেই তথাকথিত সমাপ্তিই যে একটা সম্পূর্ণ নতুন এবং পরিপূর্ণ অধ্যায়ের সূত্রপাত তা এরা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেনি। বুঝতে পারলে ইতিহাস অন্যরকম করার চেষ্টা করতো তারা। কিন্তু সময় সব সময় ইচ্ছে মতো চলতে বা কথা বলতে নাও পারে। জেনারেল (স্বঘোষিত) জিয়ার সময়কালটাতে দারুন ব্রেইন ওয়াশ করার অপচেষ্টা করা হলো। অবশ্য সত্যি কথা বলতে তাতে কাজও হলো। ভক্তকুল তৈরি হলো, তারা নিষ্ঠাবান, যদিও দেশপ্রেম আর দূরদর্শিতা-এই দুটোরই অভাব তাদের ভোগাচ্ছে বেশ তবু ভক্তকুলের অভাব যে নেই তা বাতাসে কান পাতলেই টের পাওয়া যায়। তারা আশায় বুক বেঁধে আছে।
ক্ষমতার মসনদে বসার আশায়। দেশের হাল ধরা নয় বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের বিপরীতে সুবিধা না করতে পারার বুক ভরা যন্ত্রনা তাদের কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। প্রতিশোধস্পৃহা এসিডের চাইতেও খারাপ। যে ধারণ করে এটা তারই ক্ষতি করে। তবু বুকের ভেতরে জ্বলা দাউ দাউ করা আগুনের লেলিহান শিখা সবকিছুকে পুড়িয়ে ছাই করে দিতে চায়। মানুষ তার ইচ্ছের বিরোধী কিছুকে সহ্য তো করতেই পারে না বরং তার সাথে লড়তে গিয়ে সে বরং নিজেকেই ধ্বংস করে ফেলে। বেশীরভাগ সময়ই তাই অনিয়ন্ত্রিত ইচ্ছা লাগামহীন ঘোড়ার চাইতেও বেশী স্বেচ্ছাচারী। তারা নিজেরাও জানে একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবীতে রাজনীতি করার মতো মেধাগত সক্ষমতা তাদের নেই তবু তারা সিংহাসনের স্বপ্ন দেখে। ভয় শুধু একটাই জনগণ শেষমেষ বিভ্রান্ত হবে তো। যদি না হয় আশা যেমন দূরাশা স্বপ্ন পূরণও তেমনি সুদূরপরাহত।
এরশাদও একই পথে হেঁটে ছিলো। বেচারার দোষ দেবো না। চোখের সামনে সবকিছু দেখে দেখে শিখেছেন। লোভ সামলাতে পারেননি। এতো সহজ ক্ষমতা। এতোটা হাতের কাছে মসনদ। তিনি বসে পড়লেন। চারপাশে যারা ছিলো তাদেরকে বুঝালেন তাকে পাহারা দিয়ে রাখলে লাভ তাদেরই। তিনি কারও মন ভাঙ্গবেন না। আশ্বাসে কাজ হলো। তারা কোমর বেঁধে নামলেন। আরও পোক্ত হলো বন্ধন। টানা নয়টি বছর। পাশা খেলার মতো একের পর এক দান চালাচালি আর ঘোলা পানির ভেতর বর কনের আঙুলে আঙুলে ছুঁয়ে প্রণয়ের খেলা। আহা! কি দারুণ! তিনিও টিকে গেলেন। রাজনীতির সংজ্ঞাই গেলো বদলে। রাজনীতি করার জন্যে, ক্ষমতায় বসার জন্যে একটা জীবন সাধনা করতে হয় না। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটাতে হয় না। শেরে বাংলা, ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিব হতে হয় না। একটু বুদ্ধি থাকলে জেনারেলও হতে পারে রাজা। গঠন করতে পারে সরকার। মার্শাল ল’ নামক মহার্ঘ আইন দ্বারা থামিয়ে দেওয়া যায় সংবিধান। তাহলে এতো ভাবাভাবির কি প্রয়োজন। তবে তাই হোক। উর্দির আড়ালে গণতন্ত্রের কফিন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সময়কালটাতে বাঙালির দেশপ্রেম, রাজনীতি আর জাতীয়তাবোধের গলা টিপে হত্যা করার যে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো এরপর এটাকে কোন একটা ভিত্তির উপর দাঁড় করানোটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ালো। আমি ভাবলে অবাক হই বটে এরপরও যে বাঙালি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ছে, ১৯৯৬-২০০১, ২০০৯ থেকে আজ ২০২২ অবধি স্বাধীনতার পক্ষের একটা শক্তিকে গদিতে সমাসীন রেখেছে এটা তার অতিমানবীয় আচরণ ছাড়া কিছুই নয়। তাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়।
এই আলোচনার ফাঁকে একটা কথা একটু বলে নিতে চাই। সরকারের শক্তি জনগণ। দেশ চালাতে গিয়ে, আন্তর্জাতিক রাজনীতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে বা তাল মেলাতে গিয়ে অনেক দেশের সাথেই সখ্যতা করে চলতে হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী সেই সখ্যতা কখনও একটু বেশীও হতে পারে। তবে এটা জনগণের এমনটা ভাবা উচিত নয় যে সরকারের আর জনগণকে প্রয়োজন নেই। ধারণাটা সম্পূর্ণই ভুল। একটা দেশের জনগণের সমর্থনই ঐ দেশের সরকারের প্রকৃত শক্তি। এটা তাকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহস জোগায়। ধনী বা গরীব বলে কোন কথা নয়, যে কোন সরকারকে উঁচু গলায়, কথা বলার সাহস জোগায়। এটা মনে রাখা আমাদের প্রত্যেকেরই কর্তব্য। সরকারকে সমর্থন জানালে সরকার আভ্যন্তরীন ক্ষেত্রে অনেক ভালো ভূমিকা রাখতে পারে যার সুফল জনগণই ভোগ করতে পারে। জনসমর্থন তাই সরকারের প্রথম ও প্রধান শর্ত।
কারা আসতে চায় ক্ষমতায়? কেন আসতে চায়? তাদের অতীত কীর্তিকলাপ কি তাদের পক্ষে সমর্থন জানায়? উল্টোটা একটু জটিল বটে। দেখা গেলো সমস্ত কিছু নেগেটিভ তাই উত্তরও না বটে কিন্তু তবুও ফলাফল বিপরীত। কারণ বেশীরভাগ জনগণই যদি মনে করে অমুকের পরিবর্তে অমুক ক্ষমতায় বসলে তার সুবিধা হবে তবে তো ক্ষমতাসীন সরকার যদি সে দেশের রাস্তাঘাটও সোনা দিয়ে মুুড়িয়ে দেয় তবুও তারা তাদের ব্যক্তিগত কমফোর্টের চিন্তাকে রাষ্ট্রের কল্যাণ চিন্তার চাইতে কম গুরুত্বপূর্ণ ভাববে না। তারা বরং তাদের ইগো স্যাটিসফেকশনকেই বড় করে দেখবে। আর এই কারণেই পৃথিবীর অনেক দেশে অনেক উন্নয়ন বান্ধব তথা জনকল্যাণকামী সরকারকেও পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয়েছে।
আর এই ভীতি থেকেই উৎপত্তি হয় একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরাচারবাদের। কারণ সে জানে দেশের জন্যে তার মঙ্গল চিন্তা সবার জন্যে একই রকম মানে রাখে না। এটাকে এক একজন এক এক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখে সেখানে মূলতঃ তার কমফোর্টটাই স্যাটিসফেকটরী লেভেলে সে প্রত্যাশা করে। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে এরকম জনগনের অভাব নেই যাদের মধ্যে দেশপ্রেম, উদারতা, গণমানুষের ভাবনা, কল্যান, মানবতা এসবের লেশমাত্রও নেই অথচ তার ব্যক্তিগতভাবে সুবিধা হবে এই প্রত্যাশায়ই তারা তাদেরই সমমনা একটা জনগোষ্ঠীকে সরকারে আশা করে। একটা নোংরা মানসিকতার মানুষ এর চেয়ে ভালো কিছু ভাবতে পারে না।
এরশাদের সময় কালটা পেরিয়ে এলো একটা আরও অস্থির আর অন্ধকার সময়। এবার যারা এলো তারা বোধ বুদ্ধির মাথা খেয়ে খুবই সস্তা আর উগ্রবাদী চিন্তাধারার অধিকারী মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণা বিশ্বাসী কয়েকটা জনগোষ্ঠীকে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা করলো। ব্যাপারটা এখানেই থেমে থাকলো না। তারা লুটতরাজের মহোৎসবেও মেতে উঠলো। এর ভাগ যারা পেলো তারা ক্রমশও পুঞ্জীভূত হলো। বাকীরাও নিজেদের জড়িয়ে ফেললো নানামুখী সুবিধা প্রাপ্তির জালে। সব মিলিয়ে এক কালো অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হলো বটে তবে পরিসমাপ্তির সেই ক্রান্তিকালে একদল আগন্তুক শ্রেণির লোক অদ্ভুত রাজনৈতিক দর্শন আর ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে জনগণকে সাময়িক চমক দেওয়ার চেষ্টা করলো। তবে তা ধোপে টিকলো না।
অনেকেই বলে, সরকার তো অনেক উন্নয়ন করেছে তাহলে আর চিন্তা কেন। এটা একটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। মানুষের আগ্রহ তার পার্সোনাল কমফোর্টে একথা আগেই বলেছি। তার ভালোবাসা তার নিজস্ব মতবাদে। সেখানে কে দেশপ্রেমের পরাকাষ্ঠা দেখালো, কে উন্নয়নের ডালা সাজালো তাতে তার কি আসে যায়। আসে বা যাবে না যে আদৌ তার প্রমান নূরুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নির্বাচিত হওয়া। মানুষের মনের গোপন কোনে যা লুকানো তা যদি বিষাক্তও হয় আপনি তা বলুন। দেখবেন বেশীরভাগ মানুষই সরু লাইনে আপনার পেছনে এসে দাঁড়াবে। কারণ আপনি তাদের হৃদয়ের গহীনের গোপন ক্ষতটির কথা বলতে পেরেছেন। এটাই তার সবচেয়ে বড় সান্ত¦না বা সন্তুষ্টি। অতএব আপনি কার হিরো। এতো কষ্ট করে যারা জড়িয়ে কাঠ খড় পুড়িয়ে উন্নয়ন করে উল্টো কথা শোনার কি দরকার। অনেকেই তো ধরেই নিয়েছেন সরকার যে এতো কাজ করছে এর উদ্দেশ্য তো লুটপাট করার অপরচুনিটি তৈরী করা। নিরস দেশপ্রেমের আলোচনার চাইতে, কর্মক্লান্ত ঘর্মাক্ত কর্মীর শরীরের চাইতে চটকদার কথা বলে চমক নেওয়া তথাকথিত নেতার বুলি আর বয়ানে হৃদয়ের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে মুক্তির যে সুর বাজে তার আমেজ যেন কাটতেই চায় না কিছুতে। এ এক এমন এক ধরনের রোমান্টিসিজম যার ভাবনায় ডুবে থাকতে মন চায় সদা। মনে হয় এ ঘোর যেন না কাটে। হ্যামিলনের বাশিওয়ালার মতো এই সুমধুর সুর যে তাদের কোন পাহাড়ের আড়ালে নিয়ে যাবে, পুরো জাতিই যে কোন কানাগলির চোরাবালিতে হারাবে তার ভাবনা ভাববার সময় কই। কর্ম নয় বরং চটকদার মতবাদের স্ফুরণ ঘটিয়েই যদি জনগণকে আশ্বস্ত করা যায় যে তারা ইউটোপিয়ার অধিবাসী হতে যাচ্ছে তবে ভাবনার আর কোন প্রয়োজন নেই। বরং কিছু একটা করা যে কতোটা যন্ত্রনার তাতো শুধু সেই জানে যারা কিছু একটা করে।
একজন প্রাক্তন গভর্ণর এবং একজন সামরিক বাহিনীর প্রধান মিলে একটা দুই বৎসর সময়কালের নাটক মঞ্চস্থ করলেন। তারপর অন্ধকারের অবসান হলো। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় বসলো। তবে যারা দীর্ঘশ্বাস ফেলার তারা বরাবরের মতো আবারও তপ্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলতে শুরু করলো। পুরনো পাপীরা সুবিধা করতে না পারায় আড়ালের কুশীলবরা নতুন চারা রোপন করা শুরু করলো। সেই চারা পুরুষ্ট করার জন্যে তারা পানি ঢালার প্রক্রিয়াটাও করলো বেশ যতœ সহকারে। সাধারণ সব ইস্যুকে অসাধারণ করার চেষ্টা এটাই প্রমান করলো যে, এ শুধু এক ইগো তাড়িত বিরোধীতার নাটকের মঞ্চায়ন। তথাকথিত মুরব্বীদের দেওয়া প্রেসক্রিপশন নিয়ে এরা এদের ব্যক্তিগত জল্পনা কল্পনার জাল বুনতে বুনতে একদিন রাজপথে এসে দাঁড়ালো। যারা অতীতেও অপরাধীদের পক্ষে সাফাই গেয়েছে কারণ তারা ছিলো এদেশের মাটিতে তাদের দোসর তারা সেই একই কায়দায় নানামুখী অজুহাত (যার মধ্যে একটা প্রধান অস্ত্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের দোহাই) খাড়া করে সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করলো। জনগণের সমর্থন অবশ্য অনেক কিছুকে ¤øান করে দিলো বটে তবে ষড়যন্ত্রকারীরা কিন্তু থেমে নেই। তারা দেশী-বিদেশী শুভাকাক্সক্ষীদের ¯েœহের হাতের ছোঁয়া নিয়ে প্রতিটি মুহুর্তে অপেক্ষা করছে এই বুঝি তাদের ভাগ্যের শিকে ছিড়লো। এদেশে রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের নামে স্বাধীনতা বিরোধীদের এর চেয়ে ভালো কোনো চর্চা কখনও কেউ দেখেছে বলে মনে হয় না। তবু তারা আশাবাদী। কারণ আজ যারা তাদের দল ক্ষমতায় নাই বলে একটা নিদারুণ অস্বস্তিতে আছে এদের সমর্থনতো তাদের জন্যে আশীর্বাদ।
বাংলা বরাবরই দুঃখিনী মা। এর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, এর একটু আধটু ভালো থাকা- এই অমৃত ভাবনা কি তাদের দ্বারা কখনও সম্ভব যারা এর স্বাধীনতাকেই চায়নি কখনও। তবু স্বাধীন দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে সকলেরই সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে নিশ্চিত করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলতে গেলে সবাইকে এর সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই উদারতাই যেন কাল হলো। তাকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলার মাটিকে আবারও পূর্বের অভিভাবকদের অধীনে নিয়ে যাওয়ার হেন চেষ্টা নেই যা করা হলো না। যারা এটাকে রুখবে তাদের দেশপ্রেম আর আত্মত্যাগের মানসিকতাকে পরীক্ষা করে দেখা হলো বারবার। অজ¯্র মহৎ প্রাণ মানুষ তাদের জীবনের বিনিময়ে সেই সব ঘৃণ্য প্রচেষ্টার জবাব দিয়ে গেলো। ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলার নিহতদের দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
বড় অনুতাপের সাথে লিখতে হয় আমরা মোকাবেলা করছি এমন সব পরিস্থিতির সাথে যা রাতারাতি দুঃখজনক ও লজ্জার। এমন সব মানুষেরা এ দেশের কর্তৃত্ব চাইছে যারা টাটার এদেশে আগমনের সুযোগকে কাজে লাগিয়েও পার্সেন্টেজ কামানোর চেষ্টায় ভারত ভ্রমণ করেছিলো। অবশেষে টাটার প্রধান নির্বাহী রতন টাটা নিজ হাতে এসব কথা ফাইলে লিপিবদ্ধ করে সেই ফাইল দিল্লীতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের হাতে পৌঁছে দিয়েছিলেন। দেশকে এর চেয়ে বড় লজ্জায় ডুবানোর মতো কাজ আর কি থাকতে পারে আমার অন্ততঃ জানা নাই।
একটা জাতিকে পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে, উন্নয়নকে ব্যাহত করে, উগ্রপন্থাকে প্রশ্রয় দিয়ে খুব বেশীদূর তো দূরে থাক এক পাও যে সামনে বাড়া যায় না তার প্রমাণ তো আমাদের কাছে ভুরি ভুরি আছে।
বাংলাদেশের স্বার্থে শেখ হাসিনা যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাথা উঁচু করে লড়ে তখন যে সব তথাকথিত মুরব্বীদের আঁতে ঘা লাগে তারাই দেশের ভেতরে তাদের এজেন্ট তৈরী করার জন্যে উঠে পড়ে লাগে। এ প্রচেষ্টায় তারা পেয়েও যায় সুদের মাধ্যমে গরীবের রক্ত চোষার সার্বজনীন হোতা সহ আরও অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নটরাজদের যাদের দ্বারা দেশের কোনো কল্যাণ কখনও হয়েছে বলে তো মনে হয়নি। নিজেদের স্বার্থে তারা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ কারী আন্তর্জাতিক অপশক্তির সাথে হাত মিলায়। সবাই বলে ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফরের ষড়যন্ত্রে বাংলার স্বাধীনতা বিপন্ন হয়েছিলো। কিন্তু সেই সব মীরজাফরের ছায়া আজও বাঙলার আকাশে শকুনের মতো দল বেঁধে পুরো আকাশকে ছেয়ে রেখেছে। আর এই সব ঘৃণ্য প্রচেষ্টার কারনেই আমরা পরিত্যাক্তের আস্ফালনের পাশাপাশি রাজনীতির ব্রাহ্মন্যবাদে শূদ্রের উত্থানের উদ্ধত আস্ফালন লক্ষ্য করছি। আমার বাংলা সুরক্ষিত থাকুক সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনাই করি।
Comments
Post a Comment