Skip to main content

Posts

Showing posts from June, 2015

Fabricare receipt 01 08 2024

স্বপ্নের উল্টো পিঠ

The future belongs to those who believe in the beauty of their dreams. - Eleanor Roosevelt The point, as Marx saw it, is that dreams never come true. - Hannah Arendt I was not looking for my dreams to interpret my life, but rather for my life to interpret my dreams. - Susan Sontag জামশেদের সাথে মুনার পরিচয় হয় আরিচার ফেরিঘাটে। অনেক বছর পর মুনারা সেবার সবাই মিলে বরিশালে তাদের বাপ-দাদার ভিটেয় গিয়েছিল ঈদ করতে। কিন্তু ঈদের সেই আনন্দ আরিচার ফেরিঘাটে এসে লম্বা জ্যামে পড়ে যখন মাটি হওয়ার জোগাড় তখনই জামশেদ নামক এই অদ্ভুত প্রাণীটির সাথে তার পরিচয়। জ্যামের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়ীতে বসে থেকে মুনার যখন নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার জোগাড় তখনই সে তাদের নতুন কেনা বিএমডব্লিউ গাড়ী থেকে নেমে রাস্তার পাশে গিয়ে দাঁড়াল। জ্যাম দেখে তার মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। যতদূর চোখ যায় থেমে থাকা গাড়ীর সারি। ঘাট থেকে তারা এখনও বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে। সে আনমনে বলে উঠল- সর্বনাশ! এ জ্যাম তো আজ ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে না। তার উপরে নদীর পানি নেমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলেও বিঘœ হচ্ছে। আজ তাদের কপালে দুর্ভোগ আছে। এসব ভাবতে ভাবতে সে যখন আবারও

হেলেনকে আমি ভালোবেসেছিলাম

ফইজত রাহেলা গায়-গতরে ভালোই। দেখতে শুনতেও মন্দ নয়। মানুষের বাড়ি কাজ করেই তার দিন যায়। কাজ বলতে নির্দিষ্ট কিছু নয়। এই ধান ভানা, উঠান ঝাড়– দেওয়া, গোবর দেওয়া, ঘইষা বানানো, হাড়ি পাতিল ধোয়া, পানি আনা-এসব আর কি। পাশাপাশি ছোট-খাট ফুট-ফরমাশ খাটা। মাঝে মাঝে অবশ্য কাঁথা সেলাই করা, ছেঁড়া কাপড় রিপু করা ইত্যাদি। কাজও জুটে যায়। কাজ যাই হোক রাহেলা না বলে না। অভাবের সংসার না যতটা তারও চেয়ে বেশি ভদ্রতার খাতিরে। রাহেলা মেয়েটাই এমন।  কারো মুখের উপর না বলতে পারে না। এটা অবশ্য কম বলা হল। সে আসলে এতটা বিনয়ী আর লাজুক যে কারো দিকে চোখ তুলে পর্যন্ত তাকায় না। তা সে মেয়ে মানুষই হোক আর ছেলে মানুষই হোক। কোন কাজেই রাহেলার না নেই। এ যেন পুরাণে বর্ণিত পৌরাণিক সেবাদাসী। সাত চড়ে রা নেই। নির্ভেজাল  মানুষ। রাহেলা যুবতী  মেয়ে। তাই তার পক্ষে কোন বাড়িতে স্থায়ীভাবে থেকে কাজ করা সম্ভব নয়। পাছে বদনাম হয়। আর একবার বদমান হয়ে গেলে মেয়ের বিয়ে দেওয়া সত্যিই কঠিন। একে তো গরীব তার উপর দাগ পড়লে এই মেয়ে কে বিয়ে করবে। রাহেলাদের বাড়িটা বড় রাস্তার পাশে। ছোট্ট বাড়িটা গাছ-পালা দিয়ে ঘেরা। দিনের বেলায়ও কেমন যেন একটা অন্ধকার অন্ধকার  ভাব। অগভীর

আমার অমৃত সত্তা

প্রথম পর্ব ঃ আমার অমৃত সত্তা ছোট ছেলেটি ঘুমের ঘোরে হঠাৎ কেঁদে উঠেছে। একটু পরেই ঘুম ভেঙ্গে পুরোপুরি উঠে গেল। তার চোখের কোণে এখনো পানি। আমি তাকে উঠে বসতে সাহায্য করলাম। সে উঠে বসল। এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিলাম। সে ইশরায় জানিয়ে দিল পানি খাবে না। আমি তার পানে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। ওকে এখনো ভীষণ অসহায় লাগছে। স্বাভাবিক হতে ওর হয়ত খানিকটা সময় লাগছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম-স্বপ্ন দেখেছ? সে ভাবলেশহীন মুখে উত্তর দিল-হ্যাঁ। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম না সে কি স্বপ্নে দেখেছে। কিন্তু তার নিরুত্তাপ মুখ দেখে তবু কেন জানি মনে হলো সে হয়ত তার স্বপ্নের ঘটনাটা বলতে আগ্রহী। আমি একটু থেমে কি জানি ভেবে তার স্বপ্নের কথাটা জিজ্ঞেস করতে গিয়েও করলাম না। সে আমাকে বলল-স্বপ্নের কথা নাকি রাতে বলতে নেই। মা বলেছে। তোমার মা কখন তোমাকে এ কথা বলেছেন। তুমি যা কিছু জানো তার সবটাই দেখছি তোমার মায়ের শেখানো। আমার তো মনে হয় তুমি তোমার মায়ের পেট থেকেই এত কথা শিখে বেরিয়েছ। সে নিরুত্তাপ গলায় জবাব দিল-হতে পারে। তার এই জবাবের ভঙ্গিটা আমার কাছে একটা অভিজ্ঞ লোকের মতোই মনে হলো। যদিও তার বেশির ভাগ আচরণই ছেলেমানুষের মতোই। আমি তাকে বললাম,