জীবনের জটিলতা নিয়ে কথা বলার
কোন যৌক্তিকতা আমি কখনও খুঁজে পাইনি। কারণ আর কিছু নয়। এ ধরনের বেদনাবোধ
প্রতিটি মানুষের জন্য এতোটাই নিত্য নৈমিত্তিক যে তা কাউকে আকর্ষণ করে বলে
মনে হয় না। বরং মানুষ আজকাল এমন কিছু দেখতে চায় বা শুনতে চায় যা তাকে
সামান্য হলেও আনন্দ দেয়। এ যেন এক ধরনের ব্যথার ওষুধ সেবনের মতো ব্যাপার।
এছাড়া সবাই তো আর নেশায় ডুবে সব দুঃখ কষ্ট যন্ত্রনা তুলে থাকার পক্ষেও নয়।
তাই আপাততঃ আনন্দ লাভের জন্যে হাল্কা ধরনের হাস্যরসই মানুষ বেছে নিচ্ছে।
আমি তাই ঠিক করেছি কোন দুঃখ দুর্দশার গল্প নয় বরং মজার কিছু করেই নিজেও
সুস্থ থাকবো এবং অন্যকেও কিছুটা সুস্থ রাখার চেষ্টা করবো। এমন একটা
লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমি কোমর বেঁধে নেমে পড়ি মজার সব ভিডিও বানাতে।
ব্যাপারটা প্রথমটায় অতোটা সহজ ছিলো না যতোটা ভাবা যায়। যারা এগুলো তৈরী করে
তাদেরকে ধন্যবাদ দিতেই হয় যে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্যে তারা এতোটা কষ্ট
করে। হ্যাঁ। আমি শ্রম দিতে শুরু করলাম। কিন্তু যা কিছু তৈরী করছিলাম তা যে
একেবারেই আকর্ষণহীন হচ্ছিলো তা বলবো না। তবে লোকের নজরে আসছিলো না।
চেষ্টায় কোনো কমতি রাখলাম না। কন্টেন্টগুলোকে দিন দিন আরও সহজ করার চেষ্টা
করছিলাম। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হচ্ছিলো না। সোশ্যাল মিডিয়া খুব দ্রæত
বদলায়। নিত্য নতুন চমক। এখানে সোফিয়া আনসারী, মন্টি রায়, স্যান্ডি সাহার
পাশাপাশি পাগলা গোছের হিরো আলম, ভূবন বাদ্যকর আর রানু মন্ডলরা হঠাৎ করেই
পাদ প্রদীপের আলোতে এসে পড়ে। এরকম একটা পাগলামির জায়গার উপর আস্থা রাখা
কঠিন। কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে যেখানে তরতাজা তরুনীরা বেফাস কথার পাশাপাশি
অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দিয়ে নিজেদের উপস্থাপন করে সেখানে একজন মাঝবয়সী ভদ্র
গোছের রমণীর জায়গা কোথায়?
Comments
Post a Comment