Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

আব্বাসীয় খিলাফত

উমাইয়াদের খিলাফত চলেছিলো ৬৬১ খ্রি. থেকে ৭৫১ খ্রি. পর্যন্ত। তারপর এলো আব্বাসীয়রা। তাদের এই আসাটা এতোটা সহজ ছিলো না। আব্বাসীয় খিলাফতের প্রথম দুই খলিফা আবুল আব্বাস আল সাফ্ফাহ এবং আল মনসুরের পিতা মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আব্দুলাহ ইবন আল আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব উমর বিন আব্দুল আজিজ বা দ্বিতীয় উমরের রাজত্বকালে (৭১৭-৭২০) পারস্যে উমাইয়াদের বিরুদ্ধে এই মর্মে প্রচারণা শুরু করে যে খেলাফতের দায়িত্ব নবী (সাঃ) এর বংশেই থাকা উচিত। তার নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে তিনি নবী (সাঃ)-এর চাচা হযরত আব্বাস (রাঃ) এর “গ্রেট গ্রান্ডসন” বা তৃতীয় অধঃস্তন পুরুষ। অতঃপর দ্বিতীয় মারওয়ানের খিলাফতকালে (৭৪৭-৭৫০) ইব্রাহিম আল ইমাম যিনি হযরত আব্বাস (রাঃ)-এর চতুর্থ অধঃস্তন পুরুষ খোরাসানে বিদ্রোহ করেন। ৭৪৭ খ্রি. তিনি খলিফা কর্তৃক ধৃত হন এবং সম্ভবত তাকে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয়।
এরপর ঐ বছরই বিদ্রোহের নেতৃত্ব চলে যায় খোরাসানের আবু মুসলিমের হাতে। খোরাসানের পাশাপাশি মার্ভেও বিদ্রোহ দেখা দেয়। আবু মুসলিম প্রায় ১০,০০০ সৈন্য জোগাড় করতে সক্ষম হন। তার সেনাপতি কাহাতাবা উমাইয়াদের গভর্নর নাসির ইবন সায়ারকে তাড়া করলে পর পর কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয় যার সবগুলোতেই উমাইয়ারা পরাজিত হয়। খোরাসান, নাহাবন্দ এবং কারবালার এইসব যুদ্ধের সবগুলোই সংঘটিত হয়েছিলো পরের বছর অর্থাৎ ৭৪৮ খ্রি.।
এরপর আবার ধীরে ধীরে বিদ্রোহের নেতৃত্ব চলে আসে নবী (সাঃ) এর বংশে। একটু আগেই বলেছিলাম ৭৪৭ খ্রি. ইব্রাহিম আল ইমাম যিনি নিজেও মুহাম্মদ ইবন আলীর একজন পুত্র ছিলেন বিদ্রোহ করেছিলেন এবং বন্দী অবস্থায় নিহত হয়েছিলেন। এবার তার জায়গায় বিদ্রোহের দায়িত্ব নেন তারই ভ্রাতা আব্দুল্লাহ যিনি পরবর্তীতে আব্বাসীয় খিলাফতের প্রথম খলিফা আবুল আব্বাস আল সাফ্ফাহ নামে পরিচিত। ৭৫০ খ্রি. যাব নদীর যুদ্ধে উমাইয়াদের পরাজিত করেন। খলিফা দ্বিতীয় মারওয়ান মিশরে পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়। উমাইয়া পরিবারের মাত্র একজন পুরুষ সদস্য বাদে বাকি সবাইকেই হত্যা করা হয়েছিলো।

আব্বাসীয় খিলাফত (১৫ জানুয়ারি ৭৫০ - ২০ ফেব্রæয়ারি ১২৫৮):
আস-সাফাহ (৭৫০-৭৫৪) (আব্বাসীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা)
আল-মনসুর (৭৫৪-৭৭৫)
আল-মাহদি (৭৭৫-৭৮৫)
আল-হাদি (৭৮৫-৭৮৬)
হারুনুর রশিদ (৭৮৬-৮০৯)
আল-আমিন (৮০৯-৮১৩)
আল-মামুন (৮১৩-৮৩৩)
আল-মুতাসিম (৮৩৩-৮৪২)
আল-ওয়াসিক (৮৪২-৮৪৭)
আল-মুতাওয়াক্কিল (৮৪৭-৮৬১)
আল-মুনতাসির (৮৬১-৮৬২)
আল-মুসতাইন (৮৬২-৮৬৬)
আল-মুতাজ (৮৬৬-৮৬৯)
আল-মুহতাদি (৮৬৯-৮৭০)
আল-মুতামিদ (৮৭০-৮৯২)
আল-মুতাদিদ (৮৯২-৯০২)
আল-মুকতাফি (৯০২-৯০৮)
আল-মুকতাদির (৯০৮-৯৩২)
আল-কাহির (৯৩২-৯৩৪)
আর-রাদি (৯৩৪-৯৪০)
আল-মুত্তাকি (৯৪০-৯৪৪)
আল-মুসতাকফি (৯৪৪-৯৪৬)
আল-মুতি (৯৪৬-৯৭৪)
আল-তাই (৯৭৪-৯৯১)
আল-কাদির (৯৯১-১০৩১)
আল-কাইম (১০৩১-১০৭৫)
আল-মুকতাদি (১০৭৫-১০৯৪)
আল-মুসতাজির (১০৯৪-১১১৮)
আল-মুসতারশিদ (১১১৮-১১৩৫)
আর-রশিদ (১১৩৫-১১৩৬)
আল-মুক'তাফি (১১৩৬-১১৬০)
আল-মুসতানজিদ (১১৬০-১১৭০)
আল-মুসতাদি (১১৭০-১১৮০)
আন-নাসির (১১৮০-১২২৫)
আজ-জাহির (১২২৫-১২২৬)
আল-মুসতানসির (১২২৬-১২৪২)
আল-মুসতাসিম (১২৪২-১২৫৮) (বাগদাদের শেষ আব্বাসীয় খলিফা)
মামলুক আব্বাসীয় রাজবংশ (১২৬১ - ১৫১৭)
কায়রোর খলিফা (১৩ জুন ১২৬১ - ২২ জানুয়ারি ১৫১৭)
দ্বিতীয় মুসতানসির - (১২৬১-১২৬২)
প্রথম হাকিম (১২৬২-১৩০২)
প্রথম মুসতাকফি (১৩০২-১৩৪০)
দ্বিতীয় হাকিম (১৩৪১-১৩৫২)
প্রথম মুতাদিদ (১৩৫২-১৩৬২)
প্রথম মুতাওয়াক্কিল (১৩৬২-১৩৮৩)
দ্বিতীয় ওয়াসিক (১৩৮৩-১৩৮৬)
মুতাসিম (১৩৮৬-১৩৮৯)
প্রথম মুতাওয়াক্কিল, পুনরায় ক্ষমতালাভ (১৩৮৯-১৪০৬)
মুসতাইন (১৪০৬-১৪১৪)
দ্বিতীয় মুতাদিদ (১৪১৪-১৪৪১)
দ্বিতীয় মুসতাকফি (১৪৪১-১৪৫১)
কাইম (১৪৫১-১৪৫৫)
মুসতানজিদ (১৪৫৫-১৪৭৯)
দ্বিতীয় মুতাওয়াকিল (১৪৭৯-১৪৯৭)
মুসতামসিক (১৪৯৭-১৫০৮)
মুতাওয়াক্কিল তৃতীয় (১৫০৮-১৫১৭) (প্রথম সেলিমের কাছে উপাধি হস্তান্তর করেন)
    উসমানীয় খিলাফত (১৫১৭ - ৩রা মার্চ ১৯২৪)
    প্রথম সেলিম (১৫১৭-১৫২০) (মামলুক সালতানাতের পরাজয়ের পর     ১৫১৭ খ্রিষ্টাব্দে তৃতীয় আল মুতাওয়াক্কিলের কাছ থেকে সেলিমের কাছে উপাধি     হস্তান্তরিত হয়)
        প্রথম সুলাইমান (১৫২০-১৫৬৬)
        দ্বিতীয় সেলিম (১৫৬৬-১৫৭৪)
        তৃতীয় মুরাদ (১৫৭৪-১৫৯৫)
        তৃতীয় মুহাম্মদ (১৫৯৫-১৬০৩)
       প্রথম আহমেদ (১৬০৩-১৬১৭)
        প্রথম মুস্তাফা (১৬১৭-১৬১৮)
        দ্বিতীয় উসমান (১৬১৮-১৬২২)
        প্রথম মুস্তাফা, পুনরায় ক্ষমতালাভ (১৬২২-১৬২৩)
        চতুর্থ মুরাদ (১৬২৩-১৬৪০)
        ইবরাহিম (১৬৪০-১৬৪৮)
        চতুর্থ মুহাম্মদ (১৬৪৮-১৬৮৭)
        দ্বিতীয় সুলাইমান (১৬৮৭-১৬৯১)
        দ্বিতীয় আহমেদ (১৬৯১-১৬৯৫)
        দ্বিতীয় মোস্তফা (১৬৯৫-১৭০৩)
        তৃতীয় আহমেদ (১৭০৩-১৭৩০)
        প্রথম মাহমুদ (১৭৩০-১৭৫৪)
       তৃতীয় উসমান (১৭৫৪-১৭৫৭)
        তৃতীয় মুস্তাফা (১৭৫৭-১৭৭৪)
        প্রথম আবদুল হামিদ (১৭৭৪-১৭৮৯)
        তৃতীয় সেলিম (১৭৮৯-১৮০৭)
        চতুর্থ মুস্তাফা (১৮০৭-১৮০৮)
        দ্বিতীয় মাহমুদ (১৮০৮-১৮৩৯)
        প্রথম আবদুল মজিদ (১৮৩৯-১৮৬১)
        আবদুল আজিজ (১৮৬১-১৮৭৬)
        পঞ্চম মুরাদ (১৮৭৬)
        দ্বিতীয় আবদুল হামিদ (১৮৭৬-১৯০৯) (কার্যকরভাবে খলিফা     উপাধি ব্যবহার করেন)

১৯০৮ সালে ‘তরুণ তুর্কী বিপ্লব’ -এর পর থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে উসমানীয় সুলতানরা ‘নির্বাহী ক্ষমতাবিহীন সাংবিধানিক সম্রাট’ হিসেবে বিবেচিত হতেন। এসময় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত পার্লামেন্ট ক্ষমতা ভোগ করত।
    পঞ্চম মুহাম্মদ (১৯০৯-১৯১৮)
        ষষ্ঠ মুহাম্মদ (১৯১৮-১৯২২)
    দ্বিতীয় আবদুল মজিদ (১৯২২-১৯২৪) (তুরস্ক প্রজাতন্ত্র ও এর রাষ্ট্রপতি কামাল আতাতুর্কের পৃষ্ঠপোষকতায় আনুষ্ঠানিকভাবে খলিফা ছিলেন)
গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি (তুরস্ক)Ñ মার্চ ৩, ১৯২৪ খলিফার অফিস গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৯২৪ এর ৩রা মার্চ তারা অফিস বিলুপ্ত করে এবং তুরস্ক প্রজাতন্ত্র কর্তৃক ধর্মনিরপেক্ষতাকে নীতি হিসেবে বহাল রাখে। উসমান পরিবারের বর্তমান প্রধান হলেন বায়েজিদ উসমান। খলিফার অফিস বিলুপ্তির পর তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি রাষ্ট্রে ইসলামের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে আলাদা কার্যালয় স্থাপন করে।

অ-বৈশ্বিক খিলাফত
আবদুল্লাহ ইবনুল জুবায়ের (৬৮৪-৬৯২)
আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের ৬৮৪ সালে উমাইয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন। মক্কায় তিনি খলিফা ঘোষিত হন। কিন্তু ৬৯২ সালে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের ছয় মাসব্যাপী অবরোধের পর পরাজিত ও শহীদ হন।

কর্ডোবার উমাইয়া খিলাফত (৯২৯ - ১০৩১)
(তারা বিশ্বব্যপী স্বীকৃত ছিলেন না, তাদের কর্তৃত্ব স্পেন ও মাগরিবে সীমাবদ্ধ ছিল)
        তৃতীয় আবদুর রহমান (৯২৯-৯৬১)
        দ্বিতীয় আল-হাকাম (৯৬১-৯৭৬)
        দ্বিতীয় হিশাম ইবনুল হাকাম (৯৭৬-১০০৯)
        দ্বিতীয় মুহাম্মদ (১০০৯)
        সুলাইমান ইবনুল হাকাম (১০০৯-১০১০)
        দ্বিতীয় হিশাম ইবনুল হাকাম, পুনরায় ক্ষমতালাভ (১০১০-১০১৩)
       সুলাইমান ইবনুল হাকাম, পুনরায় ক্ষমতালাভ (১০১৩-১০১৬)
        চতুর্থ আবদুর রহমান (১০২১-১০২২)
       পঞ্চম আবদুর রহমান (১০২২-১০২৩)
        তৃতীয় মুহাম্মদ (১০২৩-১০২৪)
       তৃতীয় হিশাম (১০২৭-১০৩১)

ফাতেমীয় খিলাফত (৯০৯-১১৭১)
(ফাতেমীয়রা শিয়াদের ইসমাইলি শাখা থেকে উদ্ভুত। সুন্নিদের কাছে তারা স্বীকৃত নয়)

        আল মাহদি বিল্লাহ (৯০৯-৯৩৪) (ফাতেমীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা)
        আল কাইম বিআমরিল্লাহ (৯৩৪-৯৪৬)
        আল মনসুর বিল্লাহ (৯৪৬-৯৫৩)
        আল মুইজ লি দিনিল্লাহ (৯৫৩-৯৭৫)
       আল আজিজ বিল্লাহ (৯৭৫-৯৯৬)
        আল হাকিম বি আমরিল্লাহ (৯৯৬-১০২১)
        আলি আজ জাহির (১০২১-১০৩৬)
        আল মুসতানসির বিল্লাহ (১০৩৬-১০৯৪)
        আল মুসতালি (১০৯৪-১১০১)
        আল আমির (১১০১-১১৩০)
        আল হাফিজ (১১৩০-১১৪৯)
        আল জাফির (১১৪৯-১১৫৪)
        আল ফাইজ (১১৫৪-১১৬০)
        আল আজিদ (১১৬০-১১৭১)

আলমোহাদ খিলাফত (১১৪৫-১২৬৯)
(ব্যাপকভাবে স্বীকৃত নয়, উত্তর আফ্রিকার অংশবিশেষ ও ইবেরিয়ান উপদ্বীপে কার্যকর ছিল)

        আবদুল মুমিন (১১৪৫-১১৬৩)
        আবু ইয়কুব ইউসুফ (১১৬৩-১১৮৪)
        ইয়াকুব আল মনসুর (১১৮৪-১১৯৯)
        মুহাম্মদ আন নাসির (১১৯৯ - ১২১৩)
        দ্বিতীয় আবু ইয়াকুব ইউসুফ (১২১৩-১২২৪)
        প্রথম আবদুল ওয়ালিদ (১২২৪)
        আবদুল্লাহ আল আদিল (১২২৪-১২২৭)
        ইয়াহিয়া (১২২৭-১২৩৫)
        প্রথম ইদ্রিস (১২২৭-১২৩২)
        দ্বিতীয় আবদুল ওয়াহিদ (১২৩২-১২৪২)
        আলি (১২৪২-১২৪৮)
        উমর (১২৪৮-১২৬৬)
        দ্বিতীয় ইদ্রিস (১২৬৬-১২৬৯)

১৯০০-এর পর থেকে ঘোষিত অ-বৈশ্বিক খিলাফত
খলিফার পদ পুনরায় প্রতিষ্ঠার জন্য শেষ চেষ্টা করা হয় হুসাইন বিন আলির পক্ষ থেকে। তিনি ছিলেন হেজাজের রাজা ও মক্কার শরিফ। ১৯২৪ এর ১১ই মার্চ তিনি খিলাফত দাবি করেন এবং ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত তা বজায় ছিল। এরপর তিনি তার পুত্র আলী বিন হুসাইনকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। আলী বিন হুসাইন খলিফার উপাধি ধারণ করেননি।

ইসলামিক স্টেট (২০১৪ থেকে বর্তমান)
২০১৪ সালে জিহাদী সংস্থা আইসিস (পরবর্তীতে আইসিল) বৈশ্বিক খেলাফত এর ঘোষনা দেয়। আবু বকর আল বাগদাদী নিজেকে খলিফা হিসেবে দাবি করেন। তবে বর্তমানে কোনো ভূখÐ তাদের অধীনে নেই।
 

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে