Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

মহানবী (সাঃ)-এর হাত ধরে নতুন ইসলামিক রাষ্ট্র

৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মহানবী (সাঃ) জন্মেছিলেন সমস্ত জাহানকে ধন্য করে। ২৫ বছর বয়সে আল আমিন খ্যাত এই আরব যুবক বিয়ে করলেন ৪০ বছর বয়সী হযরত খাদিজা (রাঃ) কে। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ব্যতিক্রমী এই মানুষটি ৪০ বছর বয়সে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে বাণী লাভ করলেন। তার একত্ববাদ প্রচারের বাণী।
তিনি প্রথমটায় ভীত হলেন ঐ ঐশী নির্দশনে। অতঃপর উম্মুল মুমেনীন হযরত খাদিজাতুল কোবরার ডাকে সম্বিৎ ফিরে পেলেন। তিনি তার দায়িত্ব বুঝে নিলেন। ইসলামের প্রচারে নামলেন। প্রথমেই তার দাওয়াত গ্রহণ করলেন উম্মুল মোমেনীন হযরত খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ)। অতঃপর স্বীয় চাচাত ভাই ১২ বছরের কিশোর হযরত আলী (রাঃ)। অতঃপর হযরত আবু বকর (রাঃ)। অতঃপর হযরত উসমান (রাঃ)। মহানবী (সাঃ) এর চার কন্যা তাদের মাতার ইসলাম গ্রহণের পরপরই ইসলাম কবুল করেছিলেন।
তারপর দাওয়াত প্রশস্ত হতে লাগল মক্কার ঘরে ঘরে। নতুন মত, নতুন পথ, শত্রæর অভাব হলো না। কতো অত্যাচার, কতো নির্যাতন, আবিসিনিয়ায় হিজরত। শেবে আবু তালেবের নির্বাসনের দিনগুলোর নিদারুণ কষ্ট। তায়েফের নির্যাতন। সর্বোপরি সারাক্ষনই প্রাণ সংহারের সংশয়। মক্কার তের বছরের জীবনে মুসলমানদের সংখ্যা আশানুরূপ বৃদ্ধি না পেলেও তার দাওয়াত একটা শক্ত ভিত্তি তৈরিতে সক্ষম হয়েছিলো। কাফেররা অস্থির হয়ে উঠলো। হত্যার চূড়ান্ত ষড়যন্ত্র করা হলো। আল্লাহ্র নবী হিযরতের নির্দেশ পেলেন। সঙ্গী হলেন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)। গন্তব্য মদীনা। মদীনায় নবী (সাঃ) অধিকতর সুবিধা পেলেন।
অনুকূল পরিবেশ তৈরী হলো আল্লাহ্র নির্দেশে। দলে দলে মানুষ ইসলামে আসতে শুরু করলো। এর মধ্যেই ঘটে গেলো বীরে মাওনার মর্মান্তিক ঘটনা। আল্লাহ্র নবীর অন্তর ভীষণ ব্যথিত হলো। এভাবে নানা পথ পরিক্রমায় এলো হুদায়বিয়ার সন্ধির ঐতিহাসিক ঘটনা। আপাতদৃষ্টে মুসলমানদের নিকট অবমাননার মনে হলেও আল্লাহ্ এর মধ্যেই রাখলেন মুসলমানদের বিজয়ের বীজ।
মুতার যুদ্ধে মুসলমানরা যে বীরত্ব দেখালো তা প্রতিবেশী সবগুলো শক্তির বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিলো। অতঃপর এলো বাহুল আকাক্সিক্ষত মক্কা বিজয়। মক্কা বিজয়ের পর হুনাইন এবং তাবুকের যুদ্ধে জয়ের মাধ্যমে পুরো আরব উপত্যাকায় ইসলামের পতাকা উড্ডীন হলো। মহানবী (সাঃ) বিদায় হজ্জ পালন করলেন এবং তিনি উপস্থিত লোকদের কাছ থেকে দায়িত্ব পালনের সাক্ষ্য নিলেন।
অতঃপর আল্লাহ্র তরফ থেকে ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পূর্ণ করার ঘোষনা যখন হলো সাহাবা (রাঃ)-এর বুঝতে বাকি রইলোনা জমিনে আল্লাহ্র নবীর (সাঃ) মিশন শেষ। অতএব তার উর্ধ্ব লোকে আল্লাহ্র সান্নিধ্যে গমনের সময় সমাগত। অতঃপর ৬২ খ্রিস্টাব্দের ৮ই জুন ১২ই রবিউল আলা সোমবার তিনি মহান প্রভুর সান্নিধ্যে চলে যান।
ইহজগত ত্যাগ করার সময় তার মস্তক মোবারক ছিলো আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ)-এর কোলে এবং তার নির্দেশ ছিলো তার নিকটে থাকা শেষ ৭টি মুদ্রাও দান করে দেওয়ার। অতঃপর তিনি নামাজের আদেশ দিয়ে এবং অধীনস্ত দাস দাসীদের যতœ করার কথা বলে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান এবং আমাদের জন্য রেখে যান আল্লাহ্র কালাম পবিত্র কোরআন শরীফ এবং তার মুখনিঃসৃত বাণী হাদীস শরীফ এবং এ দুটোর জীবন্ত নমুনা তার উত্তম জীবন বিধান যাকে সুন্নাহ বলা হয়।  
মদীনার বুকে মসজিদে নববীর পাশে তার হুজরায় যেখানে তিনি ইন্তেকাল করেন সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয় বর্তমানে যার উপর সবুজ মিনার বিরাজ করছে। প্রতিবছর হজ্জ ব্রত পালন এবং ধর্মীয় ভ্রমণ বা ওমরাহ করার জন্য কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান তার রওজা মোবারক জিয়ারত করেন এবং আল্লাহ্র নবীর রওজা মোবারকের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সশ্রদ্ধ ও ভক্তিপূর্ণ ছালাম পেশ করেন-

আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া নবী আল্লাহ্
আসসালাতু আসসালামু আলাইক ইয়া হাবিব আল্লাহ্
আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রসুলাল্লাহ
আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া সাফিয়াল মুজলেমিন
আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামীন।

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে