আমরা যে স্বাধীন এটা বুঝতে আমার
একটা বয়স পার করতে হয়েছিলো। ঐ বয়সে এসে আমি দেশ, স্বাধীনতা, পতাকা,
মানচিত্র ইত্যাদি বুঝতে শুরু করলাম। এরপর যখন আরও একটু বড় হলাম এবং আমি
আমার শরীরে কিছু অদ্ভুত পরিবর্তন দেখে অবাক হলাম তখন বুঝতে পারলাম
সার্বভৌমত্ব কি? কিন্তু যখন সবটা ইতিহাসের কিছুটা জানতে পারলাম তখন অন্ততঃ
এটুকু বুঝাতে পারলাম যে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে কতিপয় বিকৃতগামী আমাদের
গণতন্ত্র এবং সমৃদ্ধ ইতিহাসের অর্জনের ............ মেরে দিয়েছে। শুধু
এখানেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। দেশজুড়ে এমন একটা পরিবেশ তৈরী করে ছেড়েছে যেখান
স্বাধীনতার কথা বলাই এক ধরনের অপরাধ। তাদের ভাব ভঙ্গি অনেকটা এমনই যে “ইয়ে
আজাদি ঝুঁটা হ্যায়।” ইয়ে দেশ পাকিস্তান ছিলো পাকিস্তানই রহেগা।” এর পর আর
কি বলার থাকতে পারে।
একটা অস্বস্তিকর, বদ্ধ আর গুমোট পরিবেশে আমাদের
বেড়ে ওঠার কাজ চলছিলো। এটা একটা প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যে
ক্ষতিকর কিন্তু আমরা এমন এক জাতি যাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসাই
যেখানে অপ্রতুল সেখানে মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভাবাটাই তো হাস্যকর।
ইতিহাসের বিকৃতি চললো পুরোদমে। কতিপয় তথাকথিত বিকৃত বুদ্ধিজীবী সংস্কৃতির
সৎকারের ব্যবস্থা করলেন। বাংলা, বাঙালি, বাংলাদেশ এসব যেন অচ্ছ্যুৎ। সময়টা
যেমন তীব্র তেমনি ঘোলাটে। স্বাধীনতার পক্ষের মানুষগুলোর মুখ লুকানোর জায়গা
পাওয়া ভার। (সেদিনের সেই ভাবনার মানুষগুলোর অবশেষ আজও কিন্তু রয়ে গেছে।
শুধু সময়টা তাদের জন্য দুঃসময় হয়ে গেছে বলে তারা চুপ করে আছে।)
মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন মনের আধুনিক অ
Comments
Post a Comment