৬৭৪ খ্রি. যখন উমাইয়া খলিফা হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর সময় কনস্ট্যান্টিনোপল অবরোধ করা হয় সেই দলের সাথে ছিলেন বৃদ্ধ সাহাবী হযরত আবু আইউব আনসারী (রাঃ)। অবরোধ চলাকালীন তিনি পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মারা যাওয়ার আগে তিনি বলে যান, যদি কনস্ট্যান্টিনোপল বিজয়ের আগেই আমার মৃত্যু হয় তোমরা আমাকে কনস্ট্যান্টিনোপলের যতোটা কাছাকাছি সম্ভব কবর দিও।
আমরা সবাই জানি সে যাত্রা কনস্ট্যান্টিনোপল বিজিত হয়নি। কনস্ট্যান্টিনোপল বিজিত হয়েছিলো তারও বহু শতাব্দী পরে ১৪৫৩ খ্রি. অটোমান সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ বা দ্বিতীয় মুহাম্মদ কর্তৃক।
হযরত আবু আইউব আনসারী (রাঃ) কে তার সঙ্গীরা অত্যন্ত গোপনে কনস্ট্যান্টিনোপলের থিওডেসিয়াস দেয়ালের কাছাকাছি একটা জায়গায় কবর দিয়েছিলো। খ্রিস্টানরা এ খবর জানতে পার। একজন সাহাবীর কবর যে কতোটা বরকতময় তা তারা জানতো।
জানা যায় কনস্ট্যান্টিনোপলে প্রায়ই মারাত্মক খরা দেখা দিতো। কথিত আছে যতোবারই কনস্ট্যান্টিনোপলে এরকম খরা দেখা দিয়েছে তারা সাহাবী হযরত আবু আইউব আনসারী (রাঃ) এর কবরের কাছে এসে তাকে উসিলা করে আল্লাহ্র কাছে বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা করেছে। আর এর ফলও তারা পেয়েছে। আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে।
১৪৫৩ খ্রি. ৬ই এপ্রিল থেকে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ যখন কনস্ট্যান্টিনোপলের দূর্গ জয় করার জন্য টানা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তখনও কোনমতেই সাফল্যের মুখ দেখছিলেন না। সুলতান তখন হতাশ। তিনি জয়ের আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। এ অবস্থায় তিনি তার প্রিয় শিক্ষক শায়খ আক শামসুদ্দিনের সাথে দেখা করলেন। শায়খ শাসসুদ্দিন তাকে বললেন কনস্ট্যান্টিনোপলের দূর্গের দেয়ালের পাশে সাহাবী হযরত আবু আইউব আনসারী (রাঃ) এর কবর রয়েছে। প্রথমে আমাদেরকে সেই কবর খুঁজে বের করতে হবে। সুলতান মুহাম্মদ প্রিয় শিক্ষক শায়খ আক শাসসুদ্দিন এবং বিশ্বস্ত একজন উজীরকে সাথে নিয়ে অত্যন্ত গোপনে কবর খুঁজতে বের হলেন। টানা তিন দিন তিন রাত মশাল হাতে নিয়ে খুঁজে অতঃপর কবর খুঁজে পেলেন। কবর উম্মুক্ত করা হলে দেখলেন তার হাতের সাথে একটি চিঠি আটকানো। তাতে লেখা আছে তোমরা কি কেউ আমাকে কনস্ট্যান্টিনোপলের মাটি এনে দেবে না। চিঠি পড়ে সুলতান এতোটাই আবেগাপ্লুত হন যে, তিনি শপথ নিলেন হয় তিনি শহীদ হবেন নয় কনস্ট্যান্টিনোপল জয় করবন। তিনি মহানবী (সাঃ) এর ভবিষ্যৎদ্বাণী পূরণ করার পাশাপাশি তার অত্যন্ত প্রিয় সাহাবীর মনস্কামনা পূর্ণ করবেন।
পরদিন ২৯শে মে ১৪৫৩ খ্রি.। সুলতান ফজরের নামাজের জামাতে ইমামতি করলেন। তারপর সমস্ত সৈন্যবাহিনীর উদ্দেশ্যে বললেন, হয় তারা শহীদ হবেন না, হয় কনস্ট্যান্টিনোপল জয় করবেন। সৈন্যরাও অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হলো। তাদের “আল্লাহু আকবর” ধ্বনিতে রণক্ষেত্র মুখরিত হলো। সন্ধ্যা হওয়ার খানিকটা আগেই কনস্ট্যান্টিনোপল বিজিত হলো। সুলতান দূর্গের ভেতর প্রবেশ করে পাগড়ি খুলে কনস্ট্যান্টিনোপলের মটি হাতে মাখিয়ে সেই মাটি মাথায় মাখলেন। এভাবেই মহানবী (সাঃ) এর সেই ভবিষ্যদ্বানী সত্যে পরিণত হলো। শত শত বছর পূর্বে তিনি বেশ কয়েকবার বলেছিলেন,“কনস্ট্যান্টিনোপল বিজিত হবে। কতই না উৎকৃষ্ট সেই বাহিনী। আর কতই না উত্তম সেই বাহিনীর আমির।” Ñমুসনাদে আহমদ।
মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন মনের আধুনিক অ
Comments
Post a Comment