প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮) এবং ১৯২৪ সালে উসমানীয় খেলাফতের বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে মূলত প্রায় এক হাজার তিনশ বছর ধরে এশিয়ার বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে চলা রাজনৈতিক ও সামরিক খেলায় অজস্র শক্তি অংশগ্রহণ করলেও মূল চালিকাশক্তিগুলো ছিলো ইসলামী শক্তি, খ্রিস্টান শক্তি এবং মোঙ্গল শক্তি।
মুসলমানদের উত্থান হয়েছিলো মদিনায় মহানবী (সাঃ) এর মাধ্যমে ঐশ্বরিক ছোঁয়ায়। মহানবীর (সাঃ) জীবদ্দশায় আরব ভূখÐ মুখরিত হয়েছিলো তাদের পদচারনায়। তার ইন্তেকালের পর (৬৩২ খ্রি.) খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে আরবের বাইরেও তা বিস্তার লাভ করতে থাকে।
প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রাঃ) এর সময়ে ৬৩৩ খ্রি. ইরাক এবং ফিলিস্তিনের বেশ কয়েকটি শহর দখল করে নেওয়া হয়।
হযরত ওমর (রাঃ) এর সময় (৬৩৪-৬৪৪) খেলাফতের সর্বাধিক বিস্তৃতি হয়। তার সময়ে লেভান্ত (সাইপ্রাস, ইসরাইল, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, তুরস্ক, মিশর, গ্রীস, ইরাক, লিবিয়া) পারস্য, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, ককেশাশ (মূলত জর্জিয়া) এবং সিন্ধ এর মাকরান ইসলামী খেলাফতের অন্তর্ভুক্ত হয়। ৬৬১ খ্রি. পর্যন্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের শাসনামলেও মুসলমানদের বিজয় অভিযান অব্যাহত থাকে।
৭৫০ খ্রি. উমাইয়াদের পতন হলে আব্বাসীয়রা ক্ষমতা দখল করে। মুসলমানদের ইতিহাসে তখন পর্যন্ত আব্বাসীয় খিলাফতই হলো সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্য। ১২৫৮ সালে হালাকু খানের বাগদাদ ধ্বংসের মাধ্যমে আব্বাসীয় খেলাফতের সমাপ্তি ঘটলেও নামমাত্র খলিফা পদবীটি নিয়ে পরবর্তী খলিফারা মিশরের ফাতেমীয় খিলাফতের এক সময়ের কেন্দ্রবিন্দু কায়রোতে ১৫১৭ খ্রি. পর্যন্ত টিকে ছিলো। পরবর্তীতে উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাসক কায়রো দখল করলে খেলাফতের পদটি উসমানীয়দের হস্তগত হয়। আর তখন থেকেই ইস্তাম্বুল হয় খেলাফতের নতুন কেন্দ্রবিন্দু।
১৯২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এটিই ছিলো ইসলামী খিলাফতের কেন্দ্রবিন্দু। ১২৪৩ সালের কোসেদাগের যুদ্ধে সেলজুকদের পরাজয়, ১২৫৮ সালে বাগদাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর মোঙ্গলরা এগিয়ে গেলো মিশরের দিকে। এখানে এগোতে গিয়ে অবশ্য তাদের প্রথম ধাক্কাটা খেতে হলো সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুজ আর তার সেনাপতি রুকনুদ্দিন বাইবার্সের কাছে। আইন জালুতের যুদ্ধে মোঙ্গল সেনাপতি কিতবুকা প্রথম পরাজয়ের স্বাদ নিলো। ভাগ্য ভালো ছিলো মুসলমানদের। মংকে খান মারা যাওয়ায় প্রায় ৫ লক্ষ সৈন্য নিয়ে হালাকু খান গিয়েছিলেন বুরখান খালদুনে তার শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করতে। বাকি ১ লক্ষ সৈন্য রেখে যান কিতবুকার অধীনে যুদ্ধের জন্য। মুসলমানরা এই সুযোগটি কাজে লাগায়। আইন জালুতের পরাজয় মোঙ্গলদের আফ্রিকা বিজয় থামিয়ে দিয়েছিলো। নইলে উত্তর আফ্রিকা হয়ে তারা হয়তো ইউরোপও জয় করে ফেলতো।
মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন মনের আধুনিক অ
Comments
Post a Comment