যদিও হযরত ওমর (রাঃ)-এর সময়েই ইসলামিক সাম্রাজ্য আরবের এক বিরাট অঞ্চলে বিস্তৃতি লাভ করে এবং ইরাক, সিরিয়া ও মিশর প্রভৃতি অঞ্চল ইসলামী দুনিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয় আর এই বিষয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ছিলো আল্লাহ্র তরবারী খ্যাত হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ)-এর তবে হযরত উসমান (রাঃ) এবং হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ)-এর সময়েও এই বিজয় অনেকটা অব্যাহত থাকে।
কিন্তু ইসলামের ইতিহাসে সাম্রাজ্য জয়ের সবচেয়ে যুগান্তকারী ঘটনাগুলো ঘটে উমাইয়া খলিফা আর ওয়ালিদের সময়ে। ইসলামিক সাম্রাজ্যের বিস্তারে তার যে অবদান তার জন্যে ইসলামের ইতিহাসে তার নাম চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
৭০৬-৭০৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়কালে তিনি পুরো মধ্য এশিয়ায় যে বিজয় অভিযান পরিচালনা করেন পরবর্তীতে ইসলামিক সাম্রাজ্য গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে তার মূল্য অপরিসীম। আমু দরিয়া পাড়ি দিয়ে ওপারে তার পূর্বাঞ্চলীয় গভর্ণর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সেনাপতি কোতয়বা বিন মুসলিম একে একে জয় করেন বলখ, বোখারা, তুখারিস্তান, খাওয়ারিজম, সমরকন্দ, ফারগানা, খোজান্দা, শাশ সহ আরও অনেক শহর জয়ের পরে শেষ পর্যন্ত কাশগড় জয় করে চীনের সীমান্তে পৌঁছে যান।
ঠিক এসময় খলিফার মৃত্যু হলে সে যাত্রা তার বিজয় অভিযান থেমে যায়। আল্লাহ্ই ভালো জানেন সে যাত্রা ওখানে না থামলে পরবর্তীতে আরও কতো ভূ-খÐ তিনি জয় করতেন।
এদিকে মুহাম্মদ বিন কাসিম রওয়ানা হন ভারত জয়ে। তার সাথে থাকা সামান্য সংখ্যক সৈন্য সিন্ধু ও মুলতান জয়ে সক্ষম হন। ওদিকে তারিক জিন জিয়াদ ও মুসার নেতৃত্বে স্পেন মুসলমানদের পদানত হয়। এভাবেই মাত্র তিনটি বছরের মধ্যেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত ইসলামের পতাকা উড্ডীন হয়।
এ সময়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো তুর্কীদের ইসলামে দীক্ষিত হওয়া এবং মুসলমানদের হয়ে সাম্রাজ্য বিস্তার ও সাম্রাজ্য রক্ষার কাজে অংশগ্রহণ করতে শুরু করা। আর এরই ফলশ্রæতিতে পরবর্তীতে আমরা মহান সব ইসলামিক সাম্রাজ্য যেমন, সেলজুক সাম্রাজ্য, খারিজমান সাম্রাজ্য, উসমানিয় সাম্রাজ্য ইত্যাদি পেয়ে যাই যারা পুরো পৃথিবীতে সেরাদের সেরা হয়ে মুসলমানদের গৌরবকে সমুন্নত করেছেন।
মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন মনের আধুনিক অ
Comments
Post a Comment