৭৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে জানুয়ারীতে যাব নদীর যুদ্ধে পরাজয়ের মাধ্যমে উমাইয়াদের পতন ঘটে। যদিও উমাইয়াদের উৎখাতের এই অভিযান শুরু হয়েছিলো উমাইয়া খলিফা উমর বিন আব্দুল আজিজের সময়কালে এবং এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুহাম্মদ ইবন আলী। পরবর্তী খলিয়া দ্বিতীয় মারওয়ানের সময় ইব্রাহিম আল ইমাম এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন এবং সম্ভবতঃ কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি নিহত হন।
ইব্রাহিম আল ইমাম নিহত হলে ৭৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৯ই জুন শিয়া বংশোদ্ভুত আবু মুসলিম খোরাসানে বিদ্রোহ করেন। ঠিক একই সময় মার্ভেও উমাইয়া বিরোধী বিক্ষোভ জমে ওঠে। তিনি গোরগান, নাহাবন্ধ এবং কারবালার তিন তিনটি যুদ্ধে উমাইয়াদের পরাজিত করেন। এসব যুদ্ধের সবগুলোই ৭৪৮ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত হয়েছিলো।
পরবর্তীতে আন্দোলনের নেতৃত্ব চলে যায় ইব্রাহিম আল ইমামের ভ্রাতা আবু আল-আব্বাস আস-সাফ্ফাহ্র হাতে। ৭৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে জানুয়ারী যাব নদীর যুদ্ধে আব্দুল্লাহ ইবন আলী এবং আবু আওয়ান-এর সহযোগিতায় সাফ্ফাহ্ উমাইয়াদের পরাজিত করতে সক্ষম হন।
ঠিক পরের বছর ৭৫১ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে আব্বাসীয়রা ট্যাং ডাইনেস্টির সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে তাদের সাথে ছিলো তিব্বত সাম্রাজ্য। পরবর্তীতে যুদ্ধ শুরু হলে কারলুক যোদ্ধারা যারা মূলত শুরুতে ট্যাংদের পক্ষে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলো পক্ষ ত্যাগ করে আব্বাসীয়দের সাথে যোগ দেয়।
ট্যাং-রা ফারগানাদের সাথে নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যায়। প্রায় পাঁচ মাস যুদ্ধ চলার পর ঐ বছরেরই অর্থাৎ ৭৫১ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে ট্যাং-রা আব্বাসীয়দের কাছে পরাজিত হয়। সম্ভবত তালাশ নদীর তীরে সংঘটিত এই যুদ্ধ ইতিহাসে তালাশ নদীর যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধ আব্বাসীয়দের জন্যে অনেক দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়।
যদিও এই নিয়ে বিতর্ক আছে যে যুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বন্দী চীনাদের মধ্যে কেউ কেউ কাগজ বানানোর প্রযুক্তি জানতো যাদের মাধ্যমে পরবর্তীতে ইসলামী দুনিয়ায় এ প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়ে। তবে একথা সত্য যে, এই যুদ্ধের পরবর্তীতে ইউরোপে ও এশিয়ার অন্যান্য অনেক অঞ্চলে কাগজ তৈরীর প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়েছিলো।
মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন মনের আধুনিক অ
Comments
Post a Comment