ঢাকার আবর্জনাভরা রাস্তার ভিড়ে
গ্রীনরোড আমার কাছে ছিল
তাৎপর্যরঞ্জিত। সোনালি।
কারণ গ্রীররোড থাকতেন
আবদুল মান্নান সৈয়দ।
আমি গ্রীনরোডের সামনে দিয়ে
পথ চলতে গিয়ে
মাঝেমধ্যে থমকে দাঁড়াতাম।
মনে হত ৫১ নম্বর বাড়িটা থেকে
চক্ষুষ্মান জনতার ভিড়ে বিরল প্রজাতির
একজন জন্মান্ধ আমাকে খুব সংগোপনে
ডাকছেন তার সযতœ-নির্মিত পরোক্ষের দিকে।
কুহেলি ভর কর আমার অস্তিত্বের ওপরে।
আমি তার আহ্বানে প্রলুব্ধ হতেই দেখি
এ এক গোলকধাঁধা।
সৈয়দ মঞ্জিলের সমস্ত দরোজায় তালা ঝুলছে।
চাবি খুঁজছি মহারাজ বলে সবাই চেঁচাচ্ছে আর
এমনকি রাস্তাও চলেছে আশ্চর্য রাস্তায়।
দিগি¦দিকহারা আমি চিৎকার শুরু করতেই
কোত্থেকে হঠাৎ বেরিয়ে এলেন
জ্যোৎ¯œা-রৌদ্রের সেই চিকিৎসক।
বললেন ‘বদমাশ সত্য অপবাস্তবকে
জীবন প্রতীয়মান করতে চায় বলেই
আমি দশদিগন্ত থেকে ধার করে এনেছি
এই মাতাল মানচিত্র।
এখন আপনার ইচ্ছে হলে বেছে নিতে পারেন
আমার অশোককানন।’
স্মৃতি থেকে আমি দিব্যি মনে করতে পারি
অমরতার জন্যে একমাত্র মৃত্যুই
আশ্রয় নিয়েছিল তার নিঃসঙ্গ কাননে।
গ্রীনরোড দিয়ে হাঁটতে থাকলে এখন
কেউ আমার পথরোধ করে না।
আর সহ্য করতে হয় না
কারও রূপালি সংবেদন কিংবা
নীলাভ জলতরঙ্গের
রক্তাভ-প্রহার।
গ্রীনরোড আমার কাছে ছিল
তাৎপর্যরঞ্জিত। সোনালি।
কারণ গ্রীররোড থাকতেন
আবদুল মান্নান সৈয়দ।
আমি গ্রীনরোডের সামনে দিয়ে
পথ চলতে গিয়ে
মাঝেমধ্যে থমকে দাঁড়াতাম।
মনে হত ৫১ নম্বর বাড়িটা থেকে
চক্ষুষ্মান জনতার ভিড়ে বিরল প্রজাতির
একজন জন্মান্ধ আমাকে খুব সংগোপনে
ডাকছেন তার সযতœ-নির্মিত পরোক্ষের দিকে।
কুহেলি ভর কর আমার অস্তিত্বের ওপরে।
আমি তার আহ্বানে প্রলুব্ধ হতেই দেখি
এ এক গোলকধাঁধা।
সৈয়দ মঞ্জিলের সমস্ত দরোজায় তালা ঝুলছে।
চাবি খুঁজছি মহারাজ বলে সবাই চেঁচাচ্ছে আর
এমনকি রাস্তাও চলেছে আশ্চর্য রাস্তায়।
দিগি¦দিকহারা আমি চিৎকার শুরু করতেই
কোত্থেকে হঠাৎ বেরিয়ে এলেন
জ্যোৎ¯œা-রৌদ্রের সেই চিকিৎসক।
বললেন ‘বদমাশ সত্য অপবাস্তবকে
জীবন প্রতীয়মান করতে চায় বলেই
আমি দশদিগন্ত থেকে ধার করে এনেছি
এই মাতাল মানচিত্র।
এখন আপনার ইচ্ছে হলে বেছে নিতে পারেন
আমার অশোককানন।’
স্মৃতি থেকে আমি দিব্যি মনে করতে পারি
অমরতার জন্যে একমাত্র মৃত্যুই
আশ্রয় নিয়েছিল তার নিঃসঙ্গ কাননে।
গ্রীনরোড দিয়ে হাঁটতে থাকলে এখন
কেউ আমার পথরোধ করে না।
আর সহ্য করতে হয় না
কারও রূপালি সংবেদন কিংবা
নীলাভ জলতরঙ্গের
রক্তাভ-প্রহার।
Comments
Post a Comment