Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

মায়াবতী

এমনিতেই সংসার চলে না। তার উপরে আরও একজন এসে জুটেছে। ভাগে কম পড়ার কারণে যদিও সবাই বিরক্ত তবুও একজন ঠিকই হাসি খুশী। সে আর কেউ নয়। এই বাড়ীর গৃহকর্ত্রী রাবেয়া। পরিস্থিতি যত খারাপই হোক রাবেয়ার মুখে হাসি। তার বিশ্বাস আল্লাহ্র তরফ থেকে একটা না একটা বন্দোবস্ত হয়ে যাবে।
এই আশ্রয়স্থলটা রাবেয়া খুলেছিল বছর কয়েক আগে। এর যদিও কোন সাইনবোর্ড নাই তবুও এটাকে সবাই আশ্রয়স্থল হিসেবে জানে। রাবেয়ার সামর্থ্য সীমিত। সেই সীমিত সামর্থ্য দিয়েই সে এটা পরিচালনা করছে। তার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি আর তার অতৃপ্ত আত্মার শেষ ইচ্ছে ছিলো এটা। রাবেয়া যেন তার রেখে যাওয়া টাকায় গরীব, অসহায় মানুষের সেবা করে। সমাজে গরীব মানুষের কোন অভাব নেই। রাবেয়া দেখেছে যে এতো গরীবের দায়িত্ব সে নিতে পারবে না। তাই সে সিদ্বান্ত নিয়ে ফেলে শুধুমাত্র পিতৃমাতৃহীন অসহায় কিন্তু পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই তাদেরকেই সে শুধু আশ্রয় দেবে যাতে অন্ততঃ কুকুর, বিড়াল খেয়ে না ফেলে।
সিদ্বান্ত নেওয়ার পর রাবেয়া অপেক্ষা করতে থাকে। পিতার কবরের ভিজা মাটি তখনও শুকায়নি। রাবেয়ার দুচোখের কোনে তখনও থেকে থেকে দুচার ফোটা অশ্রু জল। হঠাৎই প্রথম খবরটা আসে। স্টেশনের পাশে কাপড় দিয়ে প্যাঁচানো একটা বাচ্চা কারা যেন ফেলে রেখে গেছে। রাবেয়া ছুটে যায়। চাঁদের মতো শিশু। পৃথিবীর সব শিশুই সুন্দর। আহা! এরা কি জালিম। এভাবে মায়ের নাড়ী ছেঁড়া ধন ফেলে রেখে যায়। আর এর মাও বা কেমন। শুধু শুধু দোষ দিয়ে লাভ নেই। হয়তো বা পরিস্থিতির উপর সেই অসহায় মার কোন হাত নেই।
এসব ভাবতে ভাবতে রাবেয়া শিশুটিকে কোলে তুলে নেয়। সেই যে শুরু তারপর বিগত কয়েক বছরে একে একে সাত জন। নতুন জনকে নিয়ে সংখ্যা এবার আটে দাঁড়াল। যারা আছে তাদেরই কষ্ট হয়। নতুন জন খাবে কি! তবে রাবেয়ার এ নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। তার ঐ এক কথা। যার রিজিক সে খাবে। আমি কে খাওয়ানোর। বাজার ঘাট অবশ্য রাবেয়ার বাপের রেখে যাওয়া টাকায়ই হচ্ছে। তবুও সে জানে এসব দুনিয়াবী। এর পেছনে আল্লাহ্র হাত। তিনি কোন কোন হেকমত অবলম্বন করেন। অতএব, চিন্তা করার কিছু নেই। তার কাজ সঠিক কাজটি করা আর আল্লাহ্র সাহায্য চাওয়া। ফায়সালা একটা না একটা হয়ে যাবে।
নতুন আগন্তুক অনেক চটপটে। তার চাহনিতে যাদু আছে। রাবেয়া সেই যাদুর মায়ায় পড়ে যায়। বাবা, মা একসাথে মরেছে। বেচারী একা যাবে কোথায়। শেষমেষ রাবেয়ার কোলে। রাবেয়াও খুশি। এই আশ্রয়স্থলে যে প্রথম এসেছিল সে তখন মোটামুটি বড় হয়েছে বলা যায়। অনেক কথা বলতে শিখেছে। রাবেয়াকে ডাকে মাদার টেরিজা বলে। রাবেয়া তার নাম রেখেছিল কুলসুম। কুলসুম এসে রাবেয়াকে বলে মাদার টেরিজা। মেম্বার যেভাবে বাড়ছে তাতে কদিন পরে আমাদের কপালে কি কিছু জুটবে।
রাবেয়া হাসে। কুলসুমও হাসে। এই হাসির মানে। আলাদা দুজনেই খুশি। রাবেয়ার আশ্রয়স্থল নিয়ে এলাকায় কম রাজনীতি হয়নি। বাপের টাকা পয়সা খরচ করে এতিম অসহায়দের লালন পালনের পাশাপাশি তাকে এ নিয়ে অনেক যন্ত্রনা পোহাতে হয়েছে। অবশেষে খবর গিয়ে পৌঁছায় জেলা প্রশাসকের কাছে। জেলা প্রশাসক স্বশরীরে এসে হাজির। রাবেয়াকে বলা হয় শিশু পাচারকারী। রাবেয়া কার জন্যে শিশু পাচার করবে। তার টাকা পয়সার কি দরকার। সে মানুষটা বিধবা, নিঃসন্তান। জগত সংসারে যার কেউ নেই। এই এতিম অসহায় বাচ্চারা ছাড়া সে কার জন্য মানব পাচার করবে। পয়সা কামাবে। তার পিতার রেখে যাওয়া জায়গাই তো সে ভোগ করছে না। তাহলে কার জন্য সে অন্ধকার জগতে পা বাড়াবে।
তবুও কথা হয়। মানুষের জিহবা তরবারীর চাইতেও ধারালো। তরবারীতে কাটলে দেখা যায়। কথায় কাটলে দেখা যায় না। কলিজায় লাগে।
জেলা প্রশাসক সাহেব বিস্তারিত স্বচক্ষে দেখেন। তিনি খুশি। খোঁজ খরব নিয়ে জানতে পারেন বিগত কয়েক বছর যত ছেলেমেয়েরা এসেছে তারা সবাই আছে। তাহলে পাচার হলো কে। জেলা প্রশাসকের দুচোখের কোনে পানি। তিনি তার কর্মকর্তাসুলভ আচরনে সেই পানি লুকোন। তারপর সবার সামনে ঘোষনা করেন আজ থেকে এই আশ্রয়স্থল নিয়ে কেউ কোন কথা তুললে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তিনি কর্মকর্তাদের ডেকে আশ্রয়স্থলের দিকে লক্ষ্য রাখতে বলেন। রাবেয়ার কোন সমস্যা হলে বাংলাদেশের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন তাকে জানাতে বলেন। তিনি রাবেয়াকে তার কর্মের অনুপ্রেরণা ও সমর্থন স্বরূপ তার স্বরচিত একটা স্মারক প্রদান করেন। সেটা ঘরে লাগানো হয়।
রাবেয়া ভীষন খুশি। খুশি আশ্রয়স্থলের সবাই। বাড়ীর নামকরণ করা হয় রাবেয়া হাউস। কুলসুমই কাজটা করে। সে এবার তেরতে পা রেখেছে। জেলা প্রশাসকের সাথে তার মায়ের হয়ে অনেক কথা সে বলেছে। জেলা প্রশাসক তার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করেছে। রাবেয়া এক ফাঁকে জানিয়ে দিয়েছে এই আশ্রয়স্থলে কুলসুমই প্রথম।
বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে। রাবেয়া তার আট সন্তানকে নিয়ে বারান্দায় গুটি সুটি মেরে বসে আছে। শীতকালের বৃষ্টি ঠান্ডাটা বাড়িয়ে দিয়েছে। তার কষ্টের কিছু নেই। এই সব আবহাওয়ায় তারা অভ্যস্ত। হঠাৎ করে বৃষ্টি ঠেলে একটা লোক এসে হাজির। সারা শরীর বলতে গেলে ভিজা। কাঁদো কাঁদো গলায় বলে, এর মা একে জন্ম দিতে গিয়ে মরে গেছে। এর বাপ এর মাকে আগেই ছেড়ে দিয়েছিল। এখন বেচারা কোথায় যাবে।
রাবেয়ার জন্যে এটা নতুন কিছু নয়। তবে পার্থক্য এটুকুই যে রাবেয়ার জায়গাটা এখন অনেকটা কুলসুমই নিয়ে নিয়েছে। এতে রাবেয়ার কিছুটা স্বস্থি হয়েছে। সে কুলসুমকে ডাক দেয়। আগন্তুক কুলসুমের হাতে ছোট্ট শিশুটিকে তুলে দিয়ে পলকের মধ্যেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়।

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে