Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration
খালের গা ঘেষেই গ্রামের একমাত্র পাকা রাস্তা। এই রাস্তা ধরে উপজেলা শহর থেকে মাত্র এক কিলোমিটারের পথ গেলেই সুলতানের বাড়ী। ছোট্ট ছিমছাম। সুলতানের রুচি বোধের ছাপ যে তার আর্থিক অসঙ্গতিকে ছাপিয়ে গেছে তা বাড়ীতে ঢুকলেই বোঝা যায়। সাদামাটা ধরনের। কিন্তু সবকিছু পরিপাটি। সুলতানের এখন বয়স হয়েছে। গুনে গুনে এবার সে সত্তরে পা রাখলো। সুলতানের স্ত্রী রাবেয়ারও কম বয়স না। কিন্তুু গাও গেরামের খেঁটে খাওয়া মানুষ। সকাল সন্ধ্যা পরিশ্রম করে। তাই শরীর স্বাস্থ্যও ভালো আছে। রাবেয়া নিজের হাতেই সবকিছু গুছিয়ে রাখে।
সুলতান নিঃসন্তান। কিন্তু এই নিয়ে তার তেমন কোনো আফসোস নেই। সবই আল্লাহ্র হুকুম। আল্লাহ্ চাইলে তাদেরও তো হতে পারতো। নিঃসন্তান রাবেয়া অবশ্য মাঝে মাঝে গভীর গাঢ় নিঃশ্বাস ফেলে। তার ভয় ছিলো সন্তান না হওয়ার কারণে সুলতান হয়তো তাকে বিদায় করে দেবে। কিন্তু সুলতান অন্যরকম মানুষ। এ নিয়ে রাবেয়াকে কখনও খোঁটা দেয়নি।
সুলতানের বয়স যখন পঁচিশ বছর তখন মু্িক্তযুদ্ধ শুরু হয়। কিন্তুু সুলতানের কাছে এটা নতুন কিছু ছিলো না। কারণ অনেক আগে থেকেই সে কমবেশি রাজনীতির সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শোনার জন্যে এলাকা থেকে সামান্য যে কয়জন লোক ঢাকায় গিয়েছিলো সুলতান তাদের অন্যতম। সুলতান তাই মনে মনে প্রস্তুত ছিল। এবার যে একটা কিছু হতে যাচ্ছে তা সুলতান ভালো করেই জানত। রাবেয়াকেও সে সবকিছুই জানিয়ে রেখেছিলো।
বছর দুয়েক আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। তাদের মধুর সম্পর্ক যখন দিনে দিনে বাড়ছিলো তখনই এলো যুদ্ধের ডাক। ২৫শে মার্চের রাতের হামলা সুলতানকে অস্থির করে তুলল। ২৬শে মার্চ বিকালে তারা বাজারের মাঠে জড়ো হলো। প্রাথমিক আলোচনা শেষে সবাই যার যার মতো বিদায় নিলো। রাবেয়া রাতে জিজ্ঞাসা করলো কি কথাবর্তা হলো। সুলতান শুধু বলল, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। আমাকে যুদ্ধ যেতে হবে।
কয়েকটা দিন দেখতে দেখতে কেটে গেলো। ইতোমধ্যে অবশ্য প্রস্তুতিও শেষ। এবার বর্ডার পার হয়ে ওপারে যেতে হবে। সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে যুদ্ধ। সুলতানের চেহারায় প্রেম আর দ্রোহের যুগপৎ ঘাম শেষ বিকেলের পড়ন্ত রৌদ্রে চিকচিক করছিল। আমি কি তবে রাবেয়াকে হারাতে যাচ্ছি। অবশ্য দেশকে ফিরে পেতে গেলে কিছুতো হারাতে হবে।
একদিন বিকেলে রাবেয়া বাপের বাড়ী চলে যায়। গভীর রাতে সুলতান ঘর ছাড়ে। তারপর পুরোটাই ইতিহাস।
বর্ডার পেরিয়ে সুলতান যখন ওপারে পৌঁছায় তখন ওখানেও লোকের ভীড় জমে গেছে। সুলতান অবাক হয় এতো লোক দেশ ছেড়েছে দেখে। যুদ্ধ কি তবে শুধু ঘরেই নয় বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। সুলতান ভেবে উঠতে পারে না দেশের ভবিষ্যত কি হবে।
প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নতুন জীবন শুরু হয় সুলতানের। খেটে খাওয়া ঘর সংসারী মানুষ হঠাৎ করেই নিজেকে দেখতে পায় সৈনিকের বেশে। সুলতান নিজেই যেন নিজেকে চিনতে পারে না। যুদ্ধ আসলে অনেক কিছু বদলে দেয়। মাস দেড়েকের ট্রেনিং শেষে সুলতান তার সঙ্গীদের সাথে নিজ দেশের সীমানার ভেতর ঢুকে পড়ে।
এই প্রথম সম্মুখে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা। সুলতানের সাহস তাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। সবাই জানে....(চলবে)
সুলতান নিঃসন্তান। কিন্তু এই নিয়ে তার তেমন কোনো আফসোস নেই। সবই আল্লাহ্র হুকুম। আল্লাহ্ চাইলে তাদেরও তো হতে পারতো। নিঃসন্তান রাবেয়া অবশ্য মাঝে মাঝে গভীর গাঢ় নিঃশ্বাস ফেলে। তার ভয় ছিলো সন্তান না হওয়ার কারণে সুলতান হয়তো তাকে বিদায় করে দেবে। কিন্তু সুলতান অন্যরকম মানুষ। এ নিয়ে রাবেয়াকে কখনও খোঁটা দেয়নি।
সুলতানের বয়স যখন পঁচিশ বছর তখন মু্িক্তযুদ্ধ শুরু হয়। কিন্তুু সুলতানের কাছে এটা নতুন কিছু ছিলো না। কারণ অনেক আগে থেকেই সে কমবেশি রাজনীতির সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শোনার জন্যে এলাকা থেকে সামান্য যে কয়জন লোক ঢাকায় গিয়েছিলো সুলতান তাদের অন্যতম। সুলতান তাই মনে মনে প্রস্তুত ছিল। এবার যে একটা কিছু হতে যাচ্ছে তা সুলতান ভালো করেই জানত। রাবেয়াকেও সে সবকিছুই জানিয়ে রেখেছিলো।
বছর দুয়েক আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। তাদের মধুর সম্পর্ক যখন দিনে দিনে বাড়ছিলো তখনই এলো যুদ্ধের ডাক। ২৫শে মার্চের রাতের হামলা সুলতানকে অস্থির করে তুলল। ২৬শে মার্চ বিকালে তারা বাজারের মাঠে জড়ো হলো। প্রাথমিক আলোচনা শেষে সবাই যার যার মতো বিদায় নিলো। রাবেয়া রাতে জিজ্ঞাসা করলো কি কথাবর্তা হলো। সুলতান শুধু বলল, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। আমাকে যুদ্ধ যেতে হবে।
কয়েকটা দিন দেখতে দেখতে কেটে গেলো। ইতোমধ্যে অবশ্য প্রস্তুতিও শেষ। এবার বর্ডার পার হয়ে ওপারে যেতে হবে। সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে যুদ্ধ। সুলতানের চেহারায় প্রেম আর দ্রোহের যুগপৎ ঘাম শেষ বিকেলের পড়ন্ত রৌদ্রে চিকচিক করছিল। আমি কি তবে রাবেয়াকে হারাতে যাচ্ছি। অবশ্য দেশকে ফিরে পেতে গেলে কিছুতো হারাতে হবে।
একদিন বিকেলে রাবেয়া বাপের বাড়ী চলে যায়। গভীর রাতে সুলতান ঘর ছাড়ে। তারপর পুরোটাই ইতিহাস।
বর্ডার পেরিয়ে সুলতান যখন ওপারে পৌঁছায় তখন ওখানেও লোকের ভীড় জমে গেছে। সুলতান অবাক হয় এতো লোক দেশ ছেড়েছে দেখে। যুদ্ধ কি তবে শুধু ঘরেই নয় বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। সুলতান ভেবে উঠতে পারে না দেশের ভবিষ্যত কি হবে।
প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নতুন জীবন শুরু হয় সুলতানের। খেটে খাওয়া ঘর সংসারী মানুষ হঠাৎ করেই নিজেকে দেখতে পায় সৈনিকের বেশে। সুলতান নিজেই যেন নিজেকে চিনতে পারে না। যুদ্ধ আসলে অনেক কিছু বদলে দেয়। মাস দেড়েকের ট্রেনিং শেষে সুলতান তার সঙ্গীদের সাথে নিজ দেশের সীমানার ভেতর ঢুকে পড়ে।
এই প্রথম সম্মুখে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা। সুলতানের সাহস তাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। সবাই জানে....(চলবে)
Comments
Post a Comment