মীর জুমলার কথা মনে পড়ে। বিখ্যাত মোঘল সুবাদার। ৬৯ বছর বয়সে বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হয়েছিলেন। তখন ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দ। তৎকালীন কোচবিহারের রাজা প্রাণ নারায়ন এবং তৎকালীন অহোম বা বর্তমান আসামের রাজা জয়ধ্বজ সিংহ মোঘলদের আধিপত্য মেনে নিতে গড়িমসি করছিলো। উল্টো রাজা জয়ধ্বজ তো অহোমের পশ্চিমবঙ্গ অর্থাৎ কামরূপ যা তখন মোঘল আধিপত্যে ছিলো তার উপর কর্তৃত্ব দাবী করে বসলো। বৃদ্ধ মীর জুমলা, রক্তে যিনি একজন জেনারেল, নিজে ছুটলেন কোচ বিহারের দিকে আর তার বিশাল বাহিনীকে ছোটালেন অহোমের দিকে। মাত্র একমাসের মধ্যে কোচ বিহারকে বশে এনে রওয়ানা হলেন অহোমের দিকে। গৌহাঁটি দখলে নিয়ে সামনে এগিয়ে করলেন রাজধানী গড়গাঁও দখল। ইতোমধ্যে সেখানে শুরু হয়ে গেলো তুমুল বর্ষাকাল। মোঘল বাহিনী অনেকটা বন্দী দশা কাটাতে লাগলো। আর রাজা জয়ধ্বজ ততক্ষণে আশ্রয় নিয়েছেন জঙ্গলে।
যা হোক বর্ষাকাল শেষ হলো। মোঘল বাহিনী তখন চাঙ্গা। রাজা বুঝলেন এ যাত্রা আর রক্ষা নেই। তিনি মীর জুমলার সাথে চুক্তিতে আসলেন। মোঘল হেরেমে দান করলেন রাজার কণ্যা রমনী গাভরুকে। পরবর্তীতে তিনি হলেন আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মুহম্মদ আযম শাহের পতœী। নাম হলো রহমত বানু বেগম।
Comments
Post a Comment