হুমায়ুনের ক্ষমতায় বসার শুরুতেই প্রধান হুমকিটা ছিলো যে তার পিতা বাবুরের অধীনস্থ আমীর ওমরাহরাই হুমায়ুনের যোগ্য মনে করেছিলো না। তারা বরং বাবুরের দুলাভাই খাজা মাহাদিকে ক্ষমতায় বসাতে রাজী ছিলো। সাবেক এই প্রাধমিক ধাক্কাটা কাটলেও একের পর এক ঝামেলা আসলে লাগলো। তার ভাইদের সমর্থনও তার প্রতি ছিলো না। একমাত্র ভাই খলিল মির্জা তাকে সমর্থন করেছিলো কিন্তু তাকে অকালে নিহত হতে হলো। লাহোর এবং কাবুল আগেই কামরানকে দেওয়া হয়েছিলো। অতএব হুমায়ুনকে দিল্লীতেই টিকে থাকতে হবে। অথচ সেখানে ঝুকি ক্রমশ: বাড়ছিলো। একদিকে বাংলায় শের শাহ সুরী অন্যদিকে গুজরাটে সুলতান বাহাদুর। হুমায়ুন বাংলায় শের শাহকে দমনের জন্য আগালেন বটে তবে তা বাদ দিতে হলো গুজরাট অভিযানের জন্যে।
মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন মনের আধুনিক অ
Comments
Post a Comment