Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

হুমায়ুন Humayun Mughal Emperor

 হুমায়ুনের ক্ষমতায় বসার শুরুতেই প্রধান হুমকিটা ছিলো যে তার পিতা বাবুরের অধীনস্থ আমীর ওমরাহরাই হুমায়ুনের যোগ্য মনে করেছিলো না। তারা বরং বাবুরের দুলাভাই খাজা মাহাদিকে ক্ষমতায় বসাতে রাজী ছিলো। সাবেক এই প্রাধমিক ধাক্কাটা কাটলেও একের পর এক ঝামেলা আসলে লাগলো। তার ভাইদের সমর্থনও তার প্রতি ছিলো না। একমাত্র ভাই খলিল মির্জা তাকে সমর্থন করেছিলো কিন্তু তাকে অকালে নিহত হতে হলো। লাহোর এবং কাবুল আগেই কামরানকে দেওয়া হয়েছিলো। অতএব হুমায়ুনকে দিল্লীতেই টিকে থাকতে হবে। অথচ সেখানে ঝুকি ক্রমশ: বাড়ছিলো। একদিকে বাংলায় শের শাহ সুরী অন্যদিকে গুজরাটে সুলতান বাহাদুর। হুমায়ুন বাংলায় শের শাহকে দমনের জন্য আগালেন বটে তবে তা বাদ দিতে হলো গুজরাট অভিযানের জন্যে।

গুজরাট তার নিয়ন্ত্রণে এলো বটে তবে বাংলায় শের শাহ ততদিনে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠলো। অতঃপর হুমায়ুন বাধ্য হলেন বাংলার দিকে অগ্রসর হতে।
হুমায়ুনের গুজরাট অভিযানের সুযোগে শের শাহ আগ্রা দখলের জন্য অগ্রসর হলেন। চুনার দূর্গও শের শাহের দখলে চলে এলো। হুমায়ুন গুজরাটকে ফেলে রেখে আগ্রাকে বাঁচাতে চলে আসতে বাধ্য হলেন। আগ্রাকে রক্ষার করা গেলেও শের শাহ বাংলার রাজধানী গৌড় লুট করলো এবং আরও সমৃদ্ধ হলো।
হুমায়ুন চুনার দূর্গ জয় করার জন্যে বেশ খানিকটা সময় ব্যয় করে ফেললো। কারণ শের শাহের পুত্রের দখলে থাকা এই দূর্গ থেকে বাংলার দিকে অগ্রসর হওয়া হুমায়ুনের বাহিনীর উপর পেছন দিক থেকে আক্রমণ হতে পারে।
চুনার দূর্গ জয় করতে গিয়ে হুমায়ুনকে অনেক সময় ব্যয় করতে হলো। অবশেষে ৪ মাস অবরোধের পর চুনার দূর্গ তার দখলে এলো কিন্তু তিনি আর সামনে অগ্রসর হলেন না। ইতিহাস বলে এটাই তার জন্যে কাল হলো। শেরশাহ হাতে সময় পেয়ে শক্তি সঞ্চয় করলো। এ ঘটনা ১৫৩২ খ্রিস্টাব্দের।
১৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে শের শাহ পুনরায় চুনার দূর্গ দখল করলো। হুমায়ুন আবারও দূর্গ পুনরুদ্ধারের জন্যে অগ্রসর হলেন। ৬ মাস অবরোধের পর চুনার দূর্গ হুমায়ুনের দখলে এলো।
হুমায়ুন এবারও আর সামনে অগ্রসর হলেন না। শের শাহ আবারও অবকাশ পেলো শক্তি সঞ্চয় করার। ওদিকে হিন্দাল মির্জা যে হুমায়ুনকে সাহায্য করার জন্য এসেছিলো সে হুমায়ুনকে পরিত্যাগ করে আগ্রা অভিমুখে যাত্রা করলো। নিজেকে স¤্রাট ঘোষণা করলো এবং নিজের নামে মুদ্রার প্রচলনের পাশাপাশি খুৎবা পাঠের হুকুম দিলো।
হুমায়ুন ভাইকে বোঝাতে গ্রান্ড মুফতি শেখ বাহলুলকে পাঠালেন। তাকে হত্যা করা হলো। এই সুযোগে কামরানও পাঞ্জাব থেকে এসে আগ্রায় হাজির হলো। সে এসেছিলো মূলতঃ হিন্দালের সাথে একজোট হয়ে হুমায়ুনের ভেঙ্গে পড়া সা¤্রাজ্যের দখল নিতে।
১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে হুমায়ুন চৌসার যুদ্ধে শের শাহের মুখোমুখি হলেন এবং কৌশলগত কারণে পরাজিত হলেন। তিনি আগ্রা ফিরে গিয়ে তার তিন ভাইকে পেলেন। কামরান হুমায়ুনকে পরিত্যাগ করে লাহোর চলে গেলো। বাকী দুই ভাই হিন্দাল ও আশকারি তাকে সঙ্গ দিলো। হুমায়ুন ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই মে কনৌজের যুদ্ধে পুনরায় শের শাহের হাতে পরাজিত হয়ে লাহোর গমন করলেন। আর এভাবেই আগ্রা ও দিল্লী তার হাতছাড়া হয়ে গেলো।
সেখানে কামরানের কাছে সে সা¤্রাজ্যের দায়িত্ব চাইলো। উল্টো কামরান পাঞ্জাবের দখলের বিনিময়ে হুমায়ুনকে শের শাহের হাতে তুলে দিতে চাইলো। হুমাযুন বুঝতে পেরে অজানার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো। থর মরুভূমি পাড়ি দিয়ে ইরানে পৌঁছালো। সেখানে সাফাভিদ স¤্রাট শাহ তাহামাসাস্প তাকে স্বাগত জানালো।
পৃথিবীর সকল রাজবংশের ইতিহাসে সারমর্ম খুঁজে পাওয়া যায় তাদের যুবরাজদের মৃত্যুর ঘটনা বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে। কি উসমানীয় খেলাফত কি মোঘলরা কেউ এর বাইরে নয়। কিছুটা ব্যতিক্রম বাবুরের পুত্রদের কাহিনী। হয়তো তাও এমনটা হতো না যদি না বাবুর বলে যেতেন,
“Do not fight against you brothers even though they may deserve it.”
আর তাইতো ভীষণ অপরাধ করা কামরানকেও কোন কঠিন শাস্তি দেননি হুমায়ুন। যে অপরাধ সে করেছিলো তাতে মৃত্যুদন্ড তো তার প্রাপ্যই ছিলো। বরং তাকে থামাতে শেষ পর্যন্ত তিনি তাকে না মেরে বরং অন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। অবশেষে হুমায়ুনের মৃত্যুর পরের বছর মক্কায় হজব্রত পালনরত অবস্থায় তিনি মারা যান। ঐ একই বছর হুমায়ুনের ভাই আশকারিও হজব্রত অবস্থায় মারা যান।

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে