আমরা অনেকেই হয়তো জানি মধ্য এশিয়া থেকে একজন যুদ্ধবাজ তুর্কী যার নাম সেলজুক ভাগ্যান্বেষণে তার দলবল নিয়ে রওয়ানা দিয়েছিলেন তৎকালীন পারস্য তথা ইরানের দিকে। পথ চলতে চলতে তিনি চলে আসলেন ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে। তার পুত্রদের মধ্যে দু’জন খুবই অসাধারণ যোদ্ধা। একজন মিকাঈল, অন্যজন আরসলান যার অর্থ “সিংহ”। এই মিকাঈলের দুই পুত্র। একজন তুঘরিল এবং অন্যজন চাঘরি। এই তুঘরিলই গ্রেট সেলজুক সা¤্রাজ্যের সত্যিকারের প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু তিনি ছিলেন নিঃসন্তান। তাই তার মৃত্যুর পর ক্ষমতায় বসে তারই ভাই চাঘরির ছেলে আলপ আরসলান ইতিহাসে যিনি “ব্যাটল অব মানজিকার্ট” জয়ের জন্যে বিখ্যাত হয়ে আছেন। এ তো গেলো সেলজুক সা¤্রাজ্যেও কথা যা গ্রেট সেলজুক নামে পরিচিত।
তাহলে জানতে ইচ্ছে হতেই পারে সেলজুকের যে আর একজন পুত্র যার নাম আরসলান তার কি হলো? যুদ্ধ করতে গিয়ে বেচারা পুত্র কুতলমিশ সহ ধরা পড়লেন গজনীর সুলতান মাহমুদের হাতে। সুলতান মাহমুদ তাদের জেলে পুরে দিলেন। আরসলানের ভাইপো তুঘরিল সুলতান মাহমেিদর সাথে চুক্তি করতে চাইলেন। কিন্তু সফল হলেন না। উল্টো তাদেরকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো কালিঞ্জর দূর্গে যা বর্তমান ভারতে অবস্থিত। এই জেলখানাতেই বন্দী অবস্থায় মারা গেলেন আরসলান। তার পুত্র কুতলমিশ পালাতে সক্ষম হলেন। তার পর যোগ দিলেন চাচাতো ভাইদের সাথে। অনেক যুদ্ধে অংশগ্রহণও করলেন। চাইলেন সা¤্রাজ্যের ভাগীদার হতে। কিন্তু তারা তা দিতে অস্বীকার করলো।
কুতলমিশের ছেলে সুলেইমান ততদিনে যোগ্য হয়ে উঠেছেন। সে দেখলো গ্রেট সেলজুক সা¤্রাজ্যে তাদের জায়গা হবে না। তাই অন্য পথ ধরলো। আনাতোলিয়া অর্থাৎ বর্তমান তুরষ্কে তখন রোমানদের শাসন চলছিলো। তারা খ্রিস্টান। তাদের হঁটিয়ে একটা বিস্তৃত এলাকা সে দখল করতে সক্ষম হলো। প্রতিষ্ঠিত হলো সেলজুক সালতানাত অব রুম। সোলেইমানের মৃত্যুর পর ১০৯২ খ্রিস্টাব্দে মাত্র তের বছর বয়সে ক্ষমতায় বসলেন তার পুত্র কিলিজ আরসলান। এই কিলিজ আরসলানই ইতিহাস হয়ে গেলেন ১১০১ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ২২ বছর বয়সে ক্রসেডারদের বিরুদ্ধে পর পর তিনটি যুদ্ধে জয়লাভ করে। যদিও তখনকার সময়ে ঝড়ের বেগে আসা ক্রসেডারদের বিশাল বাহিনীকে ঐ অঞ্চলের কেউই রুখতে পারেনি বরং তারা একের পর এক মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা জয় করে নতুন নতুন রাজ্য স্থাপন করছিলো এবং যা শেষ পর্যন্ত মামলুক শাসক বাইবার্স ও কালাউন দ্বারা শেষমেষ ১২৯০ খ্রিস্টাব্দে উৎখাত হয়েছিলো। তাই তাদের বিরুদ্ধে তার সেই বিজয়কে খুব বেশী স্থায়িত্ব দিতে না পারলেও ইতিহাস এই তরুণ যোদ্ধা কিলিজ আরসলানকে মনে রেখেছে এতো অল্প বয়সে এতোটা সাহসী ভূমিকার জন্যে।
মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন মনের আধুনিক অ
Comments
Post a Comment