Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

আমাদের একজন জাকিলুর ছিলো

তখন এক্সিম ব্যাংকের খুলনা শাখায় ছিলাম। কি দায়িত্বে ছিলাম সেটা বলা জরুরী না। হবে হয়তো ম্যানেজার অথবা অপারেশন ম্যানেজার বা তথাকথিত সেকেন্ড অফিসার। সে যাই হোক জাকিলুর ছেলেটা আমার নজর কাড়লো। সুন্দর প্রশস্ত মুখ, নিষ্পাপ হাসি। কথাবার্তায়ও চমৎকার। সে জানালো তার বাড়ী গোপালগঞ্জে। এটা খুলনার পাশ্ববর্তী একটা জেলা।
 
ছেলেটা কাজেও বেশ মনোযোগী। কাজ করতো ক্যাশে। তাই বাইরে যে খুব একটা আসতে পারত তাও নয়। ব্যাংকে ক্যাশে কাজ করা ছেলে মেয়েদের মাথা নিচু করে কাজ করতে হয়। শত হোক টাকা পয়সার মামলা। একটু এদিক-ওদিক হলেই পকেট থেকে জরিমানা গুণতে হয়।
 
জাকিলুরের বউয়ের নাম জাহান বুড়ি। আমার ধারণা জাহান মেয়েটার ভালো নাম। বুড়ি তার আদরের বা ডাক নাম। তবে সব ধারণা যাচাই করা হয় না। কর্মব্যস্ত জীবনে আমাদের অনেক কিছুই জিজ্ঞেস করার সময় সুযোগ কখনোই হয় ওঠে না। বিশেষ করে প্রাইভেট ব্যাংকগুলোতে পাশাপাশি বসে কাজ করা মানুষগুলোর কারোরই দুঃখ কষ্টের খোঁজ নেওয়ার সময় থাকে না।
 
সময় গড়ায়। আমারও জাকিলুরের সম্পর্কে খুব বেশী কিছু জানা হয় না। তবে একুটু জানি যে একটা মোটর সাইকেলে কওে সে অফিসে আসে।
 
একদিন অফিসে আসার সময় জাকিলুর তার মোটর সাইকেল নিয়ে একটা ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পতিত হয়। তার পা ভেঙ্গে দু’ভাগ হয়ে যায়। তার অফিসে আসাও বন্ধ হয়ে যায়।
 
আমিও বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যাই। জাকিলুরের পা তখনো মোটেই ভালো হয়নি। ততদিনে প্রায় বছর ঘুরতে চললো।
একদিন হঠাৎ করেই তুহিন নামের এক সহকর্মীর ফোন পাই। সে আবেগ জড়িত কন্ঠে জানায়, জাকিলুর আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।
 
বুকের খাঁচার ভেতরে হৃদয় নামের যে একটা যন্ত্র থাকে তার কথা আমরা প্রায়শঃই ভুলে থাকি। কারণ আমাদের তো হৃদয়ের খুব একটা দরকার পড়ে না। আমাদের প্রয়োজন হয় শুধু হাত, পা আর পেটের। ইদানিং মাথার ব্যবহারও কম। তবে খবরটা শুনে সেই হৃদয়টা যেন খানিকটা মোচড় দিয়ে ওঠে। 
 
সময় আরও গড়ায়। সামনে আগাই। অবশ্য কতোটা আগাই জানি না। গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত এই তিন ঋতুতে প্রকৃতি ঘুরপাক খায়। জাকিলুরের স্মৃতি ক্রমশঃ মলিন হতে থাকে।
 
দু’একজন থাকে যারা মনে রাখে কিছু কিছু স্মৃতি, কিছু কিছু কথা। চয়ন, যার ভালো নাম জাকির, যে জাকিলুরের একজন সহকর্মী, প্রতি বছর জাকিলুরের মৃত্যুদিনে একটা কালো ব্যানার শেয়ার করে তার টাইম লাইনে। আমরা যে আজও তাকে ভালোবাসি তার এটা একটা প্রমাণ।
 
জাকিলুরের চাকরি খুব বেশী দিনের ছিলো না। তাই সার্ভিস বেনিফিট তেমন কিছু পায়নি। জাকিলুরের একটা ছোট্ট ছেলে আছে। তার স্ত্রী বুড়ি কেমন আছে তা আমাদের খোঁজ নেওয়া হয় না। জীবনের ব্যস্ততা বাড়ে।
 
আমরা অনেকেই আহত সিংহের মতো ভেতরে ভেতরে গর্জাই। নদীর ¯্রােত, তার ঢেউ, বহুমুখী বাতাস, আইফোনের নতুন মডেল, ল্যাপটপের নিউ ভার্সন ইত্যাদি ইত্যাদি আমাদের অবলীলায় অবজ্ঞা করে সামনে আগায়। আমরা মরুভূমির মতো নিঃসঙ্গ থেকে আরও নিঃসঙ্গ হই।
 
একজন আমাকে বলেছিলো, আমি এতোটাই নিঃসঙ্গ যে কথা বলার মতো কেউ নেই। তাই শহরের সব সুন্দরী মহিলা ডাক্তারদের কয়েকদিন পর পর ভিজিট দিয়ে দেখাই। একবার ভুল করে একজন গাইনি ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট নিয়েছিলাম। তারপর সে কি হাস্যকর কান্ড।
 
আমাদের আজকাল আর ঘুমের বড়িতে কাজ হয় না। হিরো আলম. রাণু মন্ডল, বাদাম কাকু কিংবা জায়েদ খান অথবা অনন্ত জলিলের মতো ডোজ নিতে হয়। মাঝে মাঝে বাড়তি হিসেবে থাকে স্যার মাহফুজের সঙ্গীতের হৃদয় হরণ করা বিনোদন। আমরা যে বেঁচে আছি এটা তার প্রমাণ।
 
যারা একটু স্মার্ট তারা অবশ্য খারাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কমেডি দেখে। আরও যারা এগিয়ে তারা মি. বিন, চার্লি চ্যাপলিন অথবা হলিউডের আরও অনেক হাসির কারুকাজ অথবা কারসাজি দেখে। এই যেমন ধরুন থ্রি স্টুজেস ইত্যাদি ইত্যাদি।
এ লেখা সারারাত লিখলেও ফুরোবে না। তবে থামতে হয়ই কোথাও না কোথাও। এ লেখা কিন্তু জাকিলুরের স্মরণে। জাকিলুর, আল্লাহ্ তোমাকে ভালো রাখুন এই দোয়া করি।

 

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে