Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

১১৯২ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের দ্বিতীয় যুুদ্ধে মোহাম্মদ ঘুরী পৃথ্বিীরাজ চৌহানকে পরাজিত করে Muhammad of Ghor Prithviraj Chauhan Daud Khan Karrani Isa Khan

১১৯২ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের দ্বিতীয় যুুদ্ধে মোহাম্মদ ঘুরী পৃথ্বিীরাজ চৌহানকে পরাজিত করে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের সূচনা করেন। পাশাপাশি বাংলায়ও মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বখতিয়ার খিলজি কর্তৃক ১২০৩ খ্রিস্টাব্দে। সেই থেকে বাংলা কখনও দিল্লীর অধীন আবার কখনও স্বাধীন সুলতান দ্বারা শাসিত হয়েছে।
তবে ঘটনায় মোড় আসে যখন ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে শের শাহ তৎকালীন বাংলার রাজধানী গৌড় দখল করেন। নিহত করেন গিয়াস উদ্দীন মাহমুদ শাহ ও তার দুই পুত্রকে। বেঁচে ছিলো তার কন্যা মোমেনা খাতুন। যার গর্ভে জন্মেছিলো বারো ভূঁইয়ার প্রধান ইসা খাঁ। অবশ্য পরবর্তীতে এই মোমেনা খাতুনের স্বামী সোলাইমান খানকেও হত্যা করা হয়। তার পুত্রদ্বয় ইসা খাঁ ও ইসমাইল খাঁকেও বিক্রি করে দেওয়া হয় ক্রীতদাস হিসেবে।
শের শাহের অধীন বাংলার প্রথম গভর্ণর ছিলেন খিজির খান। আর শেষ গভর্ণর ছিলেন শাহবাজ খান। এরপর শুরু হলো মুহাম্মদ শাহ ডাইনেস্টির শাসনকাল। প্রথম শাসক মোহাম্মদ খান সুর। আর শেষ শাসক তৃতীয় গিয়াসউদ্দীন বাহাদুর শাহ। ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে তাজ খান কররানী তৃতীয় গিয়াসউদ্দীন বাহাদুর শাহকে পরাজিত করে বাংলা দখল করেন। এই বংশের শেষ শাসক ছিলেন দাউদ খান কররানী যিনি ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় মোঘল সুবাদার খান জাহানের হাতে নিহত হন।
দাউদ খান কররানীর সাথে ইসা খাঁর সুসম্পর্ক ছিলো। কারণ দাউদ খান কররানীর চাচা তাজ খান কররানী ইসা খাঁকে ক্রীতদাস থেকে মুক্ত করে এনে তাদের পুরনো জমিদারী ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দে দাউদ যখন মোঘল সুবাদার খান জাহানের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ইসা খাঁ তখন সোনারগাঁওয়ে মোঘল সেনাপতি শাহবর্দীর নৌ-বহরে আক্রমন করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেন। মোঘলদের সাথে ইসা খাঁর সংঘাত এভাবেই শুরু হয়েছিলো।
এই সংঘাত চলেছিলো ইসা খাঁর মৃত্যু পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। তখন বাংলার সুবাদার ছিলেন মান সিংহ। এরপর ইসা খাঁর পুত্র মুসা খাঁ দায়িত্ব নেন। তিনি ১৬১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান। অতঃপর তিনিও মোঘল সুবাদার ইসলাম খান চিশ্তির কাছে পরাজিত হন এবং বশ্যতা মেনে নেন।
প্রতাপাদিত্য ক্ষমতায় বসেছিলো ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে। ১৬১১ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে মোঘল সুবাদার ইসলাম খান একই সাথে যশোরের প্রতাপাদিত্য ও বাকলা তথা চন্দ্রদ্বীপের রামচন্দ্র বসুকে পরাজিত ও নিহত করেন।
বারো ভূঁইয়াদের মধ্যের অন্যতম শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী কেদার রায় ও চাঁদ রায় ১৬০৩ খ্রিস্টাব্দে মোঘল সুবাদার মানসিংহের হাতে নিহত হন।

 

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে