বাবরের প্রাণদানে বেঁচে যাওয়া যুবরাজ হুমায়ুনের দুর্ভাগ্য কখনোই তার পিছু ছাড়েনি। পুরো জীবনটাই গেছে লড়াই সংগ্রামে। ১৫৩০ থেকে ১৫৪০ পর্যন্ত যে সময়কাল তার পুরো সময়টাই গেছে লড়াই যুদ্ধে। আসলে কেউই একথা বলে না যে হুমায়ুনের জন্য চ্যালেঞ্জটা ছিলো একদম তাজা। কারণ আর কিছু নয়। মাত্র বছর চারেক আগে বাবর দিল্লী দখল করলেও আফগানরা তো রাতারাতি ফুরিয়ে যাননি। এরা হলো ৩৪০ বছরের সুলতানী আমলের আফগানরা যারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো পুরো উপমহাদেশ জুড়ে। আর সবচেয়ে বড় কথা তারা তাদের ঘাঁটি হিসেবে বেছে নিয়েছিলো দিল্লী থেকে দূরবর্তী দুর্গম বাংলা, বিহার আর উড়িষ্যাকে। মোঘলদের পক্ষে অতো তাড়াতাড়ি উপমহাদেশের পুরোটা কভার করা সম্ভব হয়নি। আর সেই সুযোগটা নিলেন শের শাহ নামক চতুর আর ধূর্ত একটা লোক। তবে ইতিহাস কিন্তু তার ফলাফল নির্ধারণ করে দিয়েছিলো। আফগানরা নয় পরবর্তী প্রায় তিনশ বছর মোঘলরাই শাসন করেছিলো উপমহাদেশ। বাংলায় মীর জাফর না থাকলে ইংরেজরা যেমন ঘাঁটি করতে পারতো না তেমনি মোঘলদের হারিয়ে যেতে হতো না। মূলত ইংরেজদের এই আগমন মোঘল তথা মুসলমানদের পিছিয়ে দিয়েছিলো সবচেয়ে বেশী। আজও তার ক্ষতি বইতে হচ্ছে।
মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন মনের আধুনিক অ
Comments
Post a Comment