Skip to main content

Fabricare receipt 01 08 2024

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০

ধারা-১ঃ
ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ
ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে।

ধারা-২ঃ
সংজ্ঞা ঃ
অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে
এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে।

গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়।
ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।
বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন।

কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়।

কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝায় যে ইস্যুইং ব্যাংকের অনুরোধ সাপেক্ষে ঋণ প্রদান নিশ্চিত করে।
ঋণ বলতে ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যাহারের অযোগ্য স্বীকৃতি বুঝায় যা কোন কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে মেনে নিতে বাধ্য করে।

অনুমোদন বলতেঃ
(ক)    দেখামাত্রই মূল্য পরিশোধ করা যদি এলসিতে এই শর্ত থাকে যে দেখামাত্র মূল্য পরিশোধ হবে।
(খ)    যদি এলসিটি ডেফারড পেমেণ্ট ভিত্তিতে হয় তবে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে অর্থাৎ ম্যাচুরিটি ডেটে বিলের মূল্য পরিশোধ হবে।
(গ)    রপ্তানীকারক কর্তৃক ইস্যুইং ব্যাংকের উপর ড্র করা বিল অব এক্সচেঞ্জ ইস্যুইং ব্যাংককে গ্রহণ করতে হবে এবং মেয়াদ পূর্তিতে তার মূল্য পরিশোধ করতে হবে।

ইস্যুইং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বুঝায় যে আবেদনকারীর অনুরোধে কিংবা তার পক্ষে এলসি ইস্যু করে।

নেগোশিয়েসন বলতে নমিনেটেড ব্যাংক কর্তৃক অন্য ব্যাংকের উপর ইস্যু করা দলিলাদি ক্রয় করা বুঝায় অথবা নমিনেটিং ব্যাংক কর্তৃক বেনিফিসিয়ারীর অনুকূলে উপস্থাপনযোগ্য দলিলাদির বিপরীতে অগ্রীম পাওনা পরিশোধ কিংবা তার সম্মতি বুঝায় যা নমিনেটিং ব্যাংক কর্তৃক পাওনা পরিশোধের সময়সীমার মধ্যে হতে হবে।

নমিনেটেড ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বুঝায় যে ঋণপত্রের মূল্য পরিশোধ করার জন্য প্রস্তুত কিংবা ঋণপত্রের সাথে জড়িত অন্য কোন ব্যাংক যে ঋণপত্রের মূল্য পরিশোধ করতে প্রস্তুত।

উপস্থাপন বলতে দলিলাদি ইস্যুইং ব্যাংক কিংবা নমিনেটেড ব্যাংকের বরাবর প্রেরণ করা বুঝায় অথবা এই ধরণের প্রেরিতে ডকুমেণ্ট বুঝায়।

উপস্থাপনকারী বলতে বেনিফিসিয়ারী ব্যাংক কিংবা অন্য কোন পক্ষকে বুঝায় যে উপস্থাপন করে।

ধারা-৩ঃ
শুধুমাত্র এই বিধানের ক্ষেত্রে ঃ
প্রয়োজ্য ক্ষেত্রে একবচনের শব্দগুলো বহুবচনকে এবং বহুবচনের শব্দগুলি একবচনকে অন্তর্ভূক্ত করবে।

এলসিতে কোন নির্দেশ না থাকলেও সেটি অপ্রত্যাহারযোগ্য এলসি হিসেবে বিবেচিত হবে।

দলিলাদি হস্তাক্ষর দ্বারা স্বাক্ষরিত, ফ্যাক্সযোগে স্বাক্ষরিত, পারফোরেটেড দ্বারা স্বাক্ষরিত, স্ট্যাম্প সংকেত অথবা অন্য যে কোন যান্ত্রিক বা ইলেক্ট্রনিক অনুমোদিত পদ্ধতি দ্বারা স্বাক্ষরিত হতে হবে।

দলিলাদির আইনসম্মত, স্থানাত্তরযোগ্য ও প্রত্যায়িত হওয়ার প্রয়োজনীয় হলে যদি তাতে স্বাক্ষর, চিহ্ন, স্ট্যাম্প অথবা লেবেল নাগানো থাকে তবে তা সšেতাষজনক হবে। ভিন্ন দেশে অবস্থিত একই ব্যাংকের শাখাসমূহ পৃথক ব্যাংক বলে বিবেচিত হবে।

এলসিতে ’ফাস্ট ক্লাস’ ’ওয়েল নোন’,  ’কোয়ালিভাইড’, ইণ্ডিপেণ্ডেণ্ট’, অফিসিয়াল, ’কমপিটেণ্ট, অথবা ’লোকাল’ শব্দগুলো উল্লেখ থাকলে তা শুধুমাত্র ইস্যুয়ার এর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, বেনিফিসিয়ারীর ক্ষেত্রে নয়।

প্রয়োজন ব্যাতীত ‘Prompt’, ‘Immediately’ অথবা as soon as possible কথাগুলো উল্লেখ থাকলে তা বিবেচনা করা হবে না।

যদি কোথাও ’অন অর অ্যাবাউট’ কথাটি উল্লেখ থাকে তাহলে এটা ধরে নিতে হবে যে বিষয়টি পাঁচ পঞ্জিকা দিনের মধ্যে সংঘটিত হবে না শুরু এবং শেষের তারিখকে অন্তর্ভক্ত করতে হবে।

যখন টু, আনটিল, টিল, ফ্রম এবং বিটুইন শব্দগুলি কোন সময়কালকে বুঝানো ব্যবহৃত হবে তখন উল্লেখিত তারিখ বা তারিখগুলো ধরে নিতে হবে  কিšত যখন বিফোর অর আফটার শব্দগুলো উল্লেখ থাকবে তখন উল্লেখিত তারিখগুলো ব্যতিরেকেই হিসাব করা হবে।

যখন ’ফ্রম, এবং আফটার শব্দগুলো ম্যাচুরিটির তারিখ বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হবে তখন উল্লেখিত তারিখ বাদ যাবে।

মাসের প্রথমার্ধ বলতে ১ থেকে ১৫ তারিখ বুঝাবে এবং শেষার্ধ বলতে ১৬ থেকে মাসের শেষ দিন বুঝাবে যেখানে তারিখগুলো অšতভ্ক্তূ থাকবে। মাসের ’শুরু’, মধ্যভাগ এবং ’শেষভাগ’ বলতে ১ থেকে ১০, ১১ থেকে ২০ এবং ২১ থেকে মাসের শেষদিন বুঝাবে যেখানে তারিখগুলো অšতভূক্ত থাকবে।

ধারা-৪ঃ
ঋণ পত্র বনাম চুক্তিপত্র ঃ
(ক)    এলসি বিক্রয় চুক্তি বা অন্য কোন চুক্তিসমূহ হতে আলাদা। কাজেই ব্যাংকসমূহ এরূপ চুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে না, এমনকি এলসিতে চুক্তির কথা উল্লেখ থাকলেও এলসির সঙ্গে সংয্ক্তু হবে না।

এলসির শর্ত মোতাবেক ব্যাংক দেনা পরিশোধ করা, বিল গ্রহণ করা, ড্রাফ্ট পরিশোধ করা অথবা নিগোসিয়েশন করার অংগীকার কর্মকান্ড ইসুইং ব্যাংক বেনিফিসিয়ারীর সঙ্গে কোন দাবী পূরণের শর্ত হতে পারে না।

(খ)    রপ্তানীকারক কোন অবস্থাতেই ব্যাংক সমূহের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিসমূহের অথবা আমদানিকারক ও ইসুইং ব্যাংকের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে না।

ধারা-৫ ঃ
ডকুমেণ্ট বনাম দ্রব্য সামগ্রী ঃ
এলসির মধ্যে ব্যাংক শুধুমাত্র দলিলপত্র নিয়েই কাজ করে থাকে। কোন প্রকার দ্রব্যসামগ্রী বা অন্য কোন কার্যক্রমের সঙ্গে নয়।

ধারা-৬ ঃ
গ্রহণযোগ্যতা, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং উপস্থাপনের স্থান ঃ
(ক)    এলসিতে বিশেষ কোন ব্যাংক বা যে কোন ব্যাংকের কথা উল্লেখ থাকতে হবে। এলসিটি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হলে নমিনেটেড ব্যাংক কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হবে।
(খ)    এলসিতে অবশ্যই দেখামাত্র মূল্য পরিশোধ, নির্দিষ্ট মেয়াদাšেত মূল্য পরিশোধ কিংবা একস্পেট্যান্স অথবা নিগোশিয়েশন দ্বারা পরিশোধের কথা উল্লেখ থাকতে হবে।
(গ)    রপ্তানীকারক কর্তৃক কোন ড্রাফ্ট এর মাধ্যমে উত্তোলন করা সম্ভব এমন অবস্থায় কোন এলসি ইস্যু করা যাবে না।
(ঘ)    (১) এলসিতে অবশ্যই মোয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ থাকবে। মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখের মধ্যে অনুমোদন বা নিগোশিয়েশন কিংবা উপস্থাপনের বিষয়টি অšতভূক্ত থাকবে।
(২)    এলসিতে উল্লেখিত ব্যাংকেই এলসিটি উপস্থাপন করা যাবে। অন্যথায় যে কোন ব্যাংকের কথা উল্লেখ থাকলে উক্ত এলসিটি যে কোন ব্যাংকে উপস্থাপন করা যাবে। ইসুইং ব্যাংক ব্যতীত অন্য কোথাও উপস্থাপন করা সেটিও ইস্যুইং ব্যাংকেই উপস্থাপন করা হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
(৩)     কেবলমাত্র ২৯ (ক) উপধারা ব্যতীত রপ্তানীকারকের পক্ষে উপস্থাপন বলতে মেয়াদোত্তীর্ণের দিন অথবা তার পূর্বেই উপস্থাপন করতে হবে।

ধারা-৭ ঃ
ইস্যুইং ব্যাংকের দায় ঃ-
(ক)    যদি ধরে নেয়া হয় যে দলিলাদি নমিনেটেড ব্যাংক অথবা ইস্যুইং ব্যাংকে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তারা যৌথ উপস্থাপন সম্পন্ন করেছে, তাহলে ইস্যুইং ব্যাংকে এলসিটি পরিশোধ করবে যদি-
(১)    দেখামাত্র পরিশোধযোগ্য নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে পরিশোধযোগ্য অথবা ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হয়।
(২)    নমিনেটেড ব্যাংক কর্তৃক দেখামাত্র পরিশোধযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও যদি তা করা না হয়।
(৩)    নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে পরিশোধ্যযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও যদি নমিনেটেড ব্যাংক তা গ্রহণ না করে কিংবা মেনে নেওয়া সত্ত্বেও মেয়াদান্তে পরিশোধ না করা।
(৪)    নমিনেটেড ব্যাংক কর্তৃক একস্পেট্যান্স থাকা সত্ত্বেও যদি তার উপরে উত্তোলন করা ড্রাফট গ্রহণ না করা হয় এবং মেয়াদান্তে পরিশোধ না করা হয়।
(৫)    নমিনেটেড ব্যাংক কর্তৃক নেগোশিয়েটেড হওয়া সত্ত্বেও যদি সে তা নেগোশিয়েট না করে।
(খ)    ইস্যুইং ব্যাংক ইস্যুকৃত অপ্রত্যাহারযোগ্য এলসির দায় পরিশোধ করতে বাধ্য।
(গ)    ইস্যুইং ব্যাংক নমিনেটেড ব্যাংক কর্তৃক পরিশোধিত অথবা নেগোশিয়েটেড করা সঠিকভাবে উপস্থাপিত এলসির মূল্য পরিশোধ করতে অথবা নমিনেটেড ব্যাংক কর্তৃক প্রেরিত হলেও তা গ্রহণ করতে বাধ্য। নমিনেটেড ব্যাংক মেয়াদান্তে বা তার পূর্বে মূল্য পরিশোধ না করলে সঠিকভাবে উপস্থাপিত এলসির মূল্য পরিশোধ করতে ইস্যুইং ব্যাংক বাধ্য। ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক নমিনেটেড ব্যাংকের দেনা পরিশোধের দায় হতে ইস্যুইং ব্যাংক বেনিফিসিয়ারীর প্রতি সৃষ্ট দায় স্বাধীন।

ধারা-৮ ঃ
কনফার্মিং ব্যাংকের দায়ঃ-
(ক)    যদি ধরে নেয়া হয় যে, দলিলাদি কনফার্মিং ব্যাংক অথবা অন্য কোন নমিনেটেড ব্যাংকের বরাবরে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তা যথাযথভাবেই পরিপালন করা হয়েছে, তাহলে কনফার্মিং ব্যাংক অবশ্যই-
(১)    এলসির পাওনা পরিশোধ করবে যদি তা দেখামাত্রই পরিশোধযোগ্য কিংবা নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে পরিশোধযোগ্য অথবা কনফার্মিং ব্যাংকের একস্পেটেন্স থাকে।
(২)    অন্য নমিনেটেড ব্যাংক কর্তৃক দেখামাত্রই পরিশোধযোগ্য হয় এবং নমিনেটেড ব্যাংক নেগোশিয়েট করতে অ্স্বীকৃতি জ্ঞাপন।
(৩)    অন্য নমিনেটেড ব্যাংক কর্তৃক নির্দিষ্ট মেয়দাšেত পরিশোধযোগ্য হয় কিšত তারা এই পরিশোধের দায় গ্রহণ না করে এবং মেয়াদাšেত পরিশোধ করতে অস্মতি জানায়।
(৪)    যদি অন্য নমিনেটেড ব্যাংকের একস্পেটেন্স থাকে এবং তারা তা গ্রহণ না করে অথবা মেয়াদাšেত পরিশোধ না করে।
(৫)    যদি অন্য নমিনেটেড ব্যাংকের নেগোশিয়েশন থাকে এবং তারা তা নেগোশিয়েট না করে।
(খ)    কনফার্মিং ব্যাংক অপ্রত্যাহারযোগ্য ভাবে তখনই দায়বদ্ধ হয়ে যায় যখন সে এলসিতে কনফার্মেশন যোগ করে।
(গ)    কনফার্মিং ব্যাংক নমিনেটেড ব্যাংক কর্তৃক পরিশোধিত অথবা নেগোশিয়েটেড করা সঠিকভাবে উপস্থাপিত এলসির মূল্য পরিশোধ করতে অথবা নমিনেটেড ব্যাংক কর্তৃক প্রেরিত হলে তা গ্রহণ করতে বাধ্য। নমিনেটেড ব্যাংক মেয়াদাšেত বা তার পূর্বেই মূল্য পরিশোধ না করলেও সঠিকভাবে উপস্থাপিত এলসির মূল্য পরিশোধ করতে ইস্যুইং ব্যাংক বাধ্য। কনফার্মিং ব্যাংক কর্তৃক নমিনেটেড ব্যাংকের দেনা পরিশোধের দায় হতে কনফার্মিং ব্যাংক কর্তৃক বেনিফিসিয়ারীর প্রতি সৃষ্ট দায় স্বাধীন।

ধারা-৯ ঃ
ঋণপত্র প্রদান এবং সংশোধনী ঃ
(ক)    এডভাইজিং ব্যাংকের মাধ্যমে এলসির ইস্যু এবং তার সংশোধনী রপ্তানীকারককে জানাতে হবে। এডভাইজিং ব্যাংকটি যদি কনফার্মিং ব্যাংক না হয় তাহলেও এলসি অনার অথবা নেগোশিয়েট করার শর্ত ছাড়াই এডভাইজ ও সংশোধন করতে পারে।
(খ)    এলসির এডভাইজিং বা সংশোধনী বলতে বুঝা যায় যে এডভাইজিং ব্যাংক এলসির আপাতদৃষ্ট শর্তাবলীতে এবং সংশোধনীতে সšতুষ্ট এবং এডভাইস সঠিকভাবে এলসির সেইসব শর্তাবলী ও সংশোধনী প্রতিফলিত হয়েছে যা গ্রহণ করা হয়েছিল।
(গ)    এডভাইজিং ব্যাংক এডভাইজিং এর ব্যাপারে অন্য কোন ব্যাংকের সাহায্য নিতে পারে অর্থাৎ দ্বিতীয় অন্য কোন ব্যাংকে এডভাইজিং ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করতে পারে (দ্বিতীয় এডভাইজিং ব্যাংক) এবং রপ্তানীকারকে যে কোন সংশোধনীর নির্দেশ দিতে পারে। এক্ষেত্রে এডভাইজিং বা সংশোধনী বলতে বুঝাবে যে দ্বিতীয় এডভাইজিং ব্যাংক এলসি আপাতদৃষ্ট শর্তাবলী ও সংশোধনীতে সšতুষ্ট এবং এডভাইস সঠিকভাবে এলসির সেইসব শর্তাবলী প্রতিফলিত হয়েছে যা গ্রহণ করা হয়েছিল।
(ঘ)    যদি কোন ব্যাংক এডভাইজিং ব্যাংক বা দ্বিতীয় এডভাইজিং ব্যাংক এর সেবা গ্রহণ করে তাহলে এলসির সংশোধনীর জন্যও উক্ত ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ প্রদান করবে।
(ঙ)    যদি কোন ব্যাংক এলসির জন্য এডভাইজ কিংবা সংশোধনীর অনুরোধ প্রাপ্ত হয় কিন্ত সেমত কার্যক্রম না করার সিদ্ধাšত নেয় তাহলে তা অতি শীঘ্রই অনুরোধকারী ব্যাংকে জানাতে হবে।
(চ)    যদি কোন ব্যাংক এলসির জন্য এডভাইজ কিংবা সংশোধনীর অনুরোধ প্রাপ্ত হয় কিšত সেমত কার্যক্রম না করে তাহলে তা অতি শীঘ্রই অনুরোধকারী ব্যাংকে জানাতে হবে। যদি এডভাইজিং ব্যাংক কিংবা দ্বিতীয় এডভাইজিং ব্যাংক এলসি এডভাইজ কিংবা সংশোধন করতে অসম্মত হয় তাহলে তা যথাশীঘ্র সম্ভব রপ্তানীকারক কিংবা এডভাইজিং ব্যাংকে জানাতে হবে যে এলসিতে উল্লেখিত শর্তাবলী ও সংশোধনীর সঠিকতা আপাতদৃষ্টে তাদের কাছে সšেতাষজনক মনে হয়নি।

ধারা-১০ ঃ
সংশোধনঃ
(ক)    ধারা ৩৮ ব্যতীত অন্য কোন ক্ষেত্রে ইস্যুইং ব্যাংক, কনফার্মিং ব্যাংক অথবা রপ্তানীকারকের সম্মতি ব্যতিত এলসি সংশোধন করা যাবে না।
(খ)    ইস্যুইং ব্যাংক এলসির সংশোধন করলে তা মেনে চলতে বাধ্য থাকবে। কনফার্মিং ব্যাংকও ইচ্ছে করলে সংশোধন অনুমোদন করতে পারে এবং যদি তা করে তাহলে অবশ্যই তা মেনে চলতে বাধ্য থাকবে। কনফামিং ব্যাংক এলসি কনফার্মেশন ছাড়াও সংশোধন এডভাইজ করতে পারে এবং যদি এমনটা করে তাহলে তাকে তা অবশ্যই অতি সত্বর ইস্যুইং ব্যাংক ও রপ্তানীকারককে এডভাইসের মাধ্যমে জানাতে হবে।
(গ)    এলসিতে উল্লেখিত শর্তাবলী বলবৎ থাকবে (পূর্ববর্তী সংশোধনীসহ) যতক্ষণ না পর্যšত রপ্তানীকারক এডভাইস প্রদানকারী ব্যাংক কর্তৃক প্রেরিত এডভাইস গ্রহণ করার কথা না জানায়। রপ্তানীকারককে সংশোধনী গ্রহণ অথবা বর্জনের কথা জানাতে হবে। যদি রপ্তানীকারক তা জানতে ব্যর্থ হয় তাহলে ধরে নেয়া হবে যে সে এটা মেনে নিয়েছে এবং সংশোধনী কার্যকর হবে।
(ঘ)    যখন কোন ব্যাংক সংশোধনী এডভাইজ করে তখন তাকে তা এডভাইজ প্রদানকারী ব্যাংকে জানাতে হবে যে সে এটা গ্রহণ করেছে অথবা বর্জন করেছে।
(ঙ)    সংশোধনীর আংশিক গ্রহণযোগ্য হবে না এবং ধরে নেয়া হবে যে ব্যাংক এটা বর্জন করেছে।
(চ)    রপ্তানীকারক কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ে বর্জন না করা হলে সংশোধনী কার্যকরী হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।


ধারা-১১ ঃ
টেলি ট্রান্সমিশন ও প্রি এডভাইসড এলসি এবং সংশোধনঃ-
(ক)    যখন ইস্যুইং ব্যাংক টেলেক্স এর মাধ্যমে বা সংশোধনী এ্যাডভাইজিং ব্যাংককে নির্দেশ দেন সেক্ষেত্রে টেলেক্স এলসিকে অপারেটর এলসি হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং কোন মেইল কনফার্মেশন এর প্রয়োজন হবে না।
যদি এলসি টেলেক্স এ আসে এবং যদি উহাতে উল্লেখ থাকে যে, মেইল এলসিতে পরিপূর্ণ বর্ণনা থাকবে এবং মেইল কনফার্মেশনই হবে অপারেটিভ এলসি। সে ক্ষেত্রে টেলেক্স এলসি অপারেটিভ হিসেবে বিবেচ্য হবে না। এ অবস্থায় বিলম্ব না করে তাড়াতাড়ি ইস্যুইং ব্যাংক অপারেটিভ এলসি বা এলসি অপারেটিভ অ্যামেণ্ডমেণ্ট এ্যাডভাইজিং ব্যাংকের বরাবরে প্রেরণ করবে।
(খ)    ইস্যুইং ব্যাংক যদি অপারেটিভ এলসি বা তার সংশোধনী ইস্যু করতে প্রস্তুত থাকে সেক্ষেত্রে তাকে প্রাথমিক অবহিতকরণ পাঠাতে হবে। ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক প্রদানকৃত প্রাথমিক অবহিত করণে অন্য কিছু বর্ণিত না থাকে তাহলে প্রাথমিক জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ইস্যুইং ব্যাংক বিলম্ব না করে অপ্রত্যাহারযোগ্য এলসি বা সংশোধনী প্রদান করবে।

ধারা-১২ ঃ
নমিনেশন ঃ-
(ক)    যদি নমিনেটেড ব্যাংক কনফার্মিং ব্যাংক না হলে উহার দ্বারা প্রত্যায়ন করা অথবা নেগোশিয়েশন নমিনেটেড ব্যাংকের উপরে উক্ত এলসি প্রত্যায়ন করা অথবা নেগোশিয়েশন বাধ্যতামূলক করে না যদি না রপ্তানীকারকের সাথে সে এইরূপ করতে শর্তাধীন থাকে।
(খ)    ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক ড্রাফট গ্রহনের অথবা ডেফার্ড বিলের পেমেণ্টের দায় গ্রহণের অনুমতি প্রাপ্ত হলে নমিনেটিং ব্যাংক ইস্যুইং ব্যাংকের পক্ষে পূর্বেই ড্রাফট গ্রহণ কিংবা ডেফার্ড বিলের পাওনা পরিশোধ করতে পারে।
(গ)    নমিনেটেড ব্যাংক কনফার্মিং ব্যাংক না হলে তার গৃহীত ও পরীক্ষিত কিংবা প্রেরিত দলিলাদি অনার কিংবা নেগোশিয়েট করতে বাধ্য নয়।

ধারা-১৩ ঃ
ব্যাংক টু ব্যাংক পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা ঃ-
(ক)    যদি এলসিতে উল্লেখ থাকে যে, নমিনেটেড ব্যাংক কর্তৃক রিইমবার্সিং ব্যাংকের মাধ্যমে রিইমবার্সমেণ্ট করা হবে তাহলে এটা অবশ্যই ধরে নেয়া হবে যে এলসি ইস্যুর তারিখে আইসিসি কর্তৃক নির্ধারিত শর্তানুযায়ী রিইমবার্সমেণ্ট করা হয়েছে।
(খ)    যদি এলসিতে আইসিসি ব্যাংক টু ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের নিয়মানুযায়ী না হয় তাহলে-
(১)    ই্যসুইং ব্যাংক রিইমবার্সিং ব্যাংকে অবশ্যই এলসিতে বর্ণিত শর্তানুযায়ী রিইমার্স করার অনুমোদন প্রদান করবে। কিন্ত সে ক্ষেত্রে রিইমবামাণ্টের জন্য কোন অনুমোদন প্রদান করবে। কিন্তুু সে ক্ষেত্রে রিইমবার্সমেণ্টের জন্য কোন তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া যাবে না।
(২)    ক্লেইমিং ব্যাংক কর্তৃক রিইমবার্সিং ব্যাংকে এলসির শর্তাবলী মেনে চলার কোন প্রকার সনদপত্র প্রদানের প্রয়োজন নেই।
(৩)    যদি রিইমবার্সিং ব্যাংক কর্তৃক চাহিদানুযায়ী রিইমবার্সমেণ্ট প্রদান করা না হয় তাহলে ইস্যুইং ব্যাংক এলসির শর্তানুযায়ী যাবতীয় ক্ষতি অনাদায়ী সুদ পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে।
(৪)    রিইমবার্সিং ব্যাংক ইস্যুইং ব্যাংকের পক্ষে পাওনা আদায় করে। যদি তা বেনিফিসিয়ারীর পক্ষে করে থাকে তবে ইস্যুইং ব্যাংকে তা এলসির শর্তে উল্লেখ করতে হবে। যদি রিইমবার্সিং ব্যাংক বেনিফিসিয়ারীর পক্ষে পাওনা আদায় করে তাহলে তা ক্লেইমিং ব্যাংকের পাওনা থেকে কর্তন করা হবে। যদি রিইমবাসমেণ্ট না করা হয় তাহলে রিইমবার্সিং ব্যাংক এর পাওনা ইস্যুইং ব্যাংক পরিশোধ করতে বাধ্য।
(গ)    রিইমবার্সিং ব্যাংক যদি প্রথম চাহিদা মোতাবেক রিইমবার্স না করে তাহলে ইস্যুইং ব্যাংক তার দায় হতে মুক্ত হতে পারবে না।


ধারা-১৪ ঃ
ডকুমেণ্ট পরীক্ষা নিরীক্ষার সম্পকির্ত ঃ-
(ক)    নমিনেটেড ব্যাংক, কনফার্মিং ব্যাংক যদি থাকে এবং ইস্যুইং ব্যাংক এলসি উস্থাপনের পর তার নির্দেশাবলীর সাথে দলিলাদির মিল আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখবে।
(খ)    এলসির নির্দেশাবলী অনুযায়ী দলিলাদি উপস্থাপন করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য নমিনেটেড ব্যাংক, কনফার্মিং ব্যাংক যদি থাকে এবং ইস্যুইং ব্যাংক এলসি উপস্থাপনের পর পাঁচ দিন সময় পাবে। এই সময় মেয়াদোত্তীর্ণের সময় অথবা এলসি উপস্থাপনের দিন শেষ দিনের চেয়ে কম বা বেশী হবে না।
(গ)    ধারা ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪ ও ২৫ অনুযায়ী উপস্থাপিত কোন এলসিতে এক বা একাধিক মূল পরিবহন দলিল থাকলে রপ্তানীকারকের পক্ষে ২১ দিনের মধ্যে অথবা মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখের পূর্বে উপস্থাপন করতে হবে।
(ঘ)    এলসিতে উল্লেখিত তথ্যাবলী ইণ্টারন্যাশনাল স্ট্যাণ্ডার্ড ব্যাংকিং প্র্যাকটিস এর অনুযায়ী হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই কিšতু উল্লেখ থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
(ঙ)    কর্মাসিয়াল ইনভয়েস ব্যতীত অন্যান্য দলিলে উল্লেখিত দ্রব্য, সেবা অথবা কর্ম এলসিতে বর্ণনা থেকে পৃথক হওয়া ঠিক নয়।
(চ)    এলসিতে ট্রান্সপোর্ট ডকুমেণ্ট, ইস্যুরেন্স ডকুমেণ্ট অথবা কর্মশিয়াল ইনভয়েস ব্যতীত যদি অন্য কোন দলিল উপস্থাপনের প্রয়োজন হয় তাহলে ব্যাংক উহা কার দ্বারা কিংবা কার জন্য ইস্যু করা হয়েছে তা বিবেচনা ছাড়াই গ্রহণ করবে যদি সেটা প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে অথবা ধারা ১৪ (ক) অনুযায়ী সম্পন্ন হয়।
(ছ)    এলসিতে উল্লেখ নাই এমন কোন অপ্রয়োজনীয় দলিল উপস্থাপন করা হলে তা উপস্থাপনকারীর নিকট ফেরত পাঠানো হবে।
(জ)    যদি এলসিতে এমন কোন শর্ত উল্লেখ থাকে যা পরিপালন করা হযনি সেক্ষেত্রে ব্যাংক উক্ত শর্ত অনুল্লোখিত হিসেবেই ধরে নেবে।
(ঝ)    এলসি ইস্যর তারিখের পূর্ববর্তী যে কোন তারিখের দলিলাদি গ্রহণ করা যেতে পারে কিšতু পরবর্তী কোন তারিখের দলিলাদি গ্রহণযোগ্য হবে না।
(ঞ)    রপ্তানীকারক বা আবেদনকারীর এলসিতে উল্লেখিত ঠিকানা এবং দলিলাদি উল্লেখিত ঠিকানা একইজন না হলেও সমস্যা নেই যদি তা একই দেশের হয়। আবেদনকারীর সাথে যোগাযোগের যাবতীয় মাধ্যমে যেমন টেলেক্স, ফোন, ইমেইল কিংবা অনুরূপ কিছু বিবেচনা করা হবে না। কিšতু যদি রপ্তানীকারক বা আবেদনকারীর যোগাযোগের ঠিকানা কনসাইন বা নির্দেশ দানকারীর জন্য দরকারী হয় তাহলে তা ধারা ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪ ও ২৫ অনুযায়ী এলসিতে বর্ণিত ঠিকানাই ব্যবহৃত হবে।
(ট)    জাহাজীকরনকারী অথবা কনসাইনরকে বেনিফিসিয়ারী হতে হবে এমন কোন কথা নেই।
(ঠ)    যদি পরিবহন দলিলাদি ধারা ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪ ও ২৫ অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয় তাহলে তা বহনকারী, মালিক, মাষ্টার অথবা চার্টার ব্যতীত অন্য কোন পক্ষ প্রস্তুত করতে পারবে।
ধারা-১৫ ঃ
যথাযথভাবে উপস্থাপন ঃ-
(ক)    ইস্যুইং ব্যাংক যদি মনে করে উপস্থাপন যথাযথ হয়েছে তাহলে সে এটা গ্রহণ করতে পারে।
(খ)    কনফার্মিং ব্যাংক যদি মনে করে উপস্থাপন যথাযথ হয়েছে তাহলে সে এটা অবশ্যই গ্রহণ বা নেগোশিয়েট করবে এবং ইস্যুইং ব্যাংকের কাছে তা পাঠাবে।
(গ)    নমিনেটিং ব্যাংক যদি মনে করে উপস্থাপন যথাযথ হয়েছে তাহলে সে এটা অবশ্যই গ্রহণ বা নেগোশিয়েট করবে এবং ইসুইং ব্যাংক কিংবা কনফার্মিং ব্যাংক এর কাছে বিল পাঠাবে।

 ধারা-১৬ ঃ
ত্র“টিপূর্ণ ডকুমেণ্ট, অব্যাহতি ও নোটিশঃ
(ক)    ডকুমেণ্ট গ্রহণ করার শর্তানুসারে ইসুইং ব্যাংকে, কনফার্মিং ব্যাংক (যদি থাকে) অথবা নমিনেটিং ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। ডকুমেণ্ট যদি এলসির শর্ত মোতাবেক উপস্থাপিত না হয় সেক্ষেত্রে ব্যাংক দলিলপত্র গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করতে পারবে এবং তা ফেরত দিতে পারবে।
(খ)    ইসুইং ব্যাংক যদি মনে করে যে এলসির শর্তানুসারে দলিলাদি উপস্থাপন করা হয়নি তবে সেক্ষেত্রে ইস্যুইং ব্যাংক নিজস্ব বিবেচনায় আবেদনকারীকে দলিলের (ডকুমেণ্ট) অসঙ্গতি দূরীকরণে আহবান জানাতে পারে। এ ধরণের কার্যকলাপ কখনও ধারা ১৪ (খ) তে বর্ণিত সময়সীমা অতিক্রম করতে পারবে না।
(গ)    যদি ইস্যুইং ব্যাংক নিশ্চিতকারী ব্যাংক (যদি থাকে) অথবা তার পক্ষে কাজ করার জন্য নমিনেটিং কোন ব্যাংক দলিলাদি প্রত্যাখ্যান করতে হয় তাহলে তাদের এ সিদ্ধান্ত অবশ্যই নোটিশ এর মাধ্যমে উপস্থাপনকারীকে জানাতে হবে।

নোটিশে অবশ্যই নিম্নলিখিত বিষয়াবলী বর্ণিত হবেঃ-
(১)    ব্যাংক এটি গ্রহণ করতে অসম্মত।
(২)    অসম্মতির কারণগুলো অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে এবং
(৩)    ক) ব্যাংক প্রেরণকারীর কাছ থেকে পুন নির্দেশের অপেক্ষা দলিলাদি ধরে রেখেছে।
খ)    ইসুইং ব্যাংক আবেদনকারীর কাছ থেকে অব্যাহতির আশায় ধরে রেখেছে যা সে গ্রহণ কিংবা বর্জন করতে পারে অথবা গ্রহণ কিংবা বর্জনের পূর্বে অন্য কোন নির্দেশের অপেক্ষায় আছে।
গ)    ব্যাংক ডকুমেণ্ট (দলিলাদি) ফেরত পাঠাবে।
ঘ)    ব্যাংক উপস্থাপকের দেয়া পূর্ববর্তী নির্দেশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।
ঙ)    দলিলাদি উপস্থাপনের পরে ১৬ (গ) উপ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গৃহীত সিদ্ধান্তের নোটিশ টেলিফোন মারফত কিংবা এমন কোন মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে যাতে ৫ দিনের মধ্যে যথাস্থানে পৌঁছায়।
চ)    ইসুইং ব্যাংক অথবা কনফার্মিং ব্যাংক (যদি থাকে) অর্থাৎ যে কোন নমিনেটিং ব্যাংক উপ অনুচ্ছেদ ১৬ (গ) (৩) (ক) অথবা (খ) অনুযায়ী প্রদত্ত নোটিশের পর যে কোন সময় দলিলাদি ফেরত পাঠাতে পারবে।
ছ)    ইসুইং ব্যাংক অথবা কনফার্মিং ব্যাংক যদি এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিধি অনুযায়ী কার্য সম্পাদনে ব্যর্থ হয়। তাহলে ইসুইং ব্যাংক অথবা কনফার্মিং ব্যাংক এ কথা বলতে পারবে না যে, দলিলাদি এলসির শর্ত মোতাবেক উপস্থাপন হয়নি।
জ)    যদি ইসুইং ব্যাংক অথবা কনফার্মিং ব্যাংক উক্ত অনুচ্ছেদ বর্ণিত বিধি অনুযায়ী দলিলাদি অনুমোদন করতে অস্বীকার করে তাহলে পরিশোধিত পাওনা মুনাফাসহ ফেরত পাওয়ার দাবীদার হবে।

ধারা-১৭ ঃ
মূল দলিলাদি এবং কপিসমূহ ঃ
(ক)    এলসিতে বর্ণিত সকল মূল দলিলাদির কমপক্ষে একসেট দলিলাদি উপস্থাপন করতে হবে।
(খ)    ব্যাংক যে কোন দলিলাদিকে মূল দলিলাদি হিসেবে গণ্য করবে যাতে তা আপাতদৃষ্টে ইস্যুয়ার কর্তৃক প্রদত্ত মূল্য স্বাক্ষরের চিহ্ন, স্ট্যাম্প অথবা লেবেল বহন করে অর্থাৎ দলিলাদিতে যদি এমন কিছু উল্লেখ না থাকে যা প্রমাণ করে যে এটা মূল দলিলাদি নয়।
(গ)       এলসিতে যদি অন্য কিছু উল্লেখ না থাকে তাহলে ব্যাংক দলিলাদিতে মূল দলিলাদি হিসেবে গ্রহণ করবে যদি-
(১)    মনে হয় দলিলাদি ইস্যুকারীর হাতের লেখা, ছিদ্রকৃত অথবা ডাক টিকিটযুক্ত।
(২)    মনে হয় দলিলাদির ইস্যুয়ারের নিজস্ব মূল দলিলাদি অথবা
(৩)    উল্লেখ থাকে যে, এটিই মূল দলিলাদি এবং উপস্থাপিত দলিলাদিতেও বিপরীত কিছু উল্লেখ না থাকে।

(ঘ)         এলসিতে যদি দলিলাদি উপস্থাপনের প্রয়োজন হয় তাহলে সেক্ষেত্রে মূল দলিলাদি কিংবা তার কপি উপস্থাপন করা যাবে।
(ঙ)       এলসিতে যদি ডুপ্লিকেট, ’টুফোল্ড’ কিংবা ’ টু-কপিজ’ এই ধরণের বহুবিধ ডকুমেণ্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ থাকে সেক্ষেত্রে একটি মূল কপি (অরিজিনাল) আর অবশিষ্টগুলো কপি আকারে উপস্থাপন করতে হবে।

ধারা-১৮ ঃ
কর্মামিয়াল ইনভয়েস ঃ
(ক)    এলসিতে অন্যভাবে কোন কিছু উল্লেখ না থাকলে বণিজ্যিক ইনভয়েস-
(১)    অবশ্যই ইনভয়েস বেনিফিসিয়ারী কর্তৃক ইস্যুকৃত হতে হবে (উপধারা ৩৮ ব্যতীত)
(২)    অবশ্যই ইনভয়েস আবেদনকারীর নামে তৈরী করতে হবে (উপধারা ৩৮ (ছ) ব্যতীত।
(৩)    ক্রেডিট এর সমমুদ্রার হতে হবে এবং
(৪)    ইনভয়েস স্বাক্ষর করার প্রয়োজন নেই।
(খ)    এলসিতে অন্যভাবে কিছু উল্লেখ না থাকলে বণিজ্যিক ইনভয়েসের উল্লেখিত মূল্য এলসির উল্লেখিত মূল্য অপেক্ষা বেশী হলে ব্যাংক উক্ত ইনভয়েস ফেরত দিতে পারে। যদিও ব্যাংক পাওনা পরিশোধ করার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
(গ)    এলসিতে উল্লেখিত মালামালের সাথে বাণিজ্যিক ইনভয়েসের উল্লেখিত মালামালের অবশ্যই মিল থাকতে হবে।


ধারা-১৯ ঃ
বহু পরিবহন দলিলাদি-
(ক)    এলসিতে অন্য কিছু উল্লেখ না থাকলে পরিবহন দলিলাদিতে একাধিক পরিবহন ব্যবহার করে মালামাল বিতরণ করলে সেখানে মাল্টিমোডাল বা যৌথ পরিবহন দলিলাদি বলা হবে। সেক্ষেত্রে ব্যাংক দলিলাদি গ্রহণ করবে।
(র)    যদি প্রতীয়মান হয় যে ক্যারিয়ারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং বহুবিধ পরিবহণ সংঘটিত দলিলে বহনকারী বা বহুবিধ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়েছে।
নাবিকের এজেণ্ট বা তার নামে বা তার পক্ষে তার এজেণ্টে কর্তৃক এ রকম যে কোন ডকুমেণ্টে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বহনকারী নাবিক কিংবা তার এজেণ্ট কর্তৃক স্বাক্ষরিত ডকুমেণ্ট তাদের দ্বারা নিশ্চিত হতে হবে।
এজেণ্ট কর্তৃক স্বাক্ষরিত ডকুমেণ্ট এর ক্ষেত্রে নিশ্চিত হতে হবে যে সে নাবিক নাকি বহনকারীর পক্ষে স্বাক্ষর করেছে।
(রর)    যদি নির্দেশ করে যে পণ্য সামগ্রী যথাস্থান হতে পরিবহন উত্তোলন বা গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর ভার নেওয়া হয়েছে যা
ক্স    পূর্ব নির্দেশ অনুযায়ী অথবা
ক্স    স্ট্যাম্পে বা লিখিত নিদের্শনাম উল্লেখিত তারিখ অনুযায়ী করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে পণ্য পরিবহণের তারিখই হবে দলিল ইস্যু করার তারিখ এবং তা জাহাজীকরণের তারিখও বুঝাবে।
(ররর)    এলসিতে উল্লেখিত যে বন্দর থেকে মাল বোঝাই করা হবে এবং সে বন্দরে খালাস করা হবে।
(খ)    অন্য কোন বন্দরে মালের দায়িত্ব নেয়া অথবা মালামালের খালাসের কথা নির্দেশ করে অথবা
(গ)    পরিবহণ দলিলাদিতে ’ইণ্টেণ্ডেড’ কিংবা এই জাতীয় কিছু উল্লেখ থাকলে যা জাহাজ কিংবা মালামাল উত্তোলন ও সরবরাহের বন্দরের সাথে সম্পর্কিত।
(ঘ)    বহুবিধ পরিবহণের মূল দলিল বা একের অধিক মূল দলিলাদি পূর্ণ সেট প্রেরকের কাছে পাঠানো হয়েছে বুঝায়।
(ঙ)    বিল অব লেডিং এর অপর পৃষ্ঠায় পরিবহণের সকল শর্ত অথবা কিছু শর্ত অথবা অপর কোন সর্ট ফরম ও ব্লাংক বিল অব লেডিং থাকলে যা এলসির শর্ত মোতাবেক হলে ব্যাংক বিল অব লেডিং এর অপর পৃষ্ঠায় উল্লেখিত শর্ত পরীক্ষা করবে না।
(চ)    দলিলাদিতে বুঝা যায় সেটি চার্টার্ড পার্টি নয়।
(ছ)    এই অনুচ্ছেদে ’ট্রান্সশিপমেণ্ট’ বলতে পণ্য উত্তোলন, পরিবহান ও সরবরাহের পথে একাধিক একই উল্লেখ থাকলে যা জাহাজ কিংবা মালামাল উত্তোলন ও সরবরাহের বন্দরের সাথে সম্পর্কিত।
(জ)    (১)  পরিবহণ দলিলাদিতে ট্রান্সশিপমেণ্ট উল্লেখ থাকলেও তা একই পরিবহণ দলিল দ্বারা সম্পন্ন হতে পারে।
  (২)   দলিলাদিতে ট্রান্সশিপমেণ্ট এর সম্ভাব্যতার কথা উল্লেখ থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে যদিও এলসিতে ট্রান্সশিপমেণ্ট নির্দিষ্ট ছিল।

ধারা-২০ ঃ
বিল অব লেডিং ঃ
(ক)    এলসিতে অন্য কিছু উল্লেখ না থাকলে বিল অব লেডিং
(১)    বহনকারীর নাম উল্লেখ থাকবে এবং স্বাক্ষরিত হবে-
ক্স    বহনকারীর অথবা এজেণ্ট দ্বারা বহনকারীর পক্ষে
ক্স    মাষ্টার অথবা মাষ্টারের পক্ষে এজেণ্ট দ্বারা

বহনকারী, মাস্টার অথবা এজেণ্ট দ্বারা স্বাক্ষরিত কোন দলিলে তার স্বাক্ষরের সত্যতা পরীক্ষা করতে হবে।
এজেণ্টের দ্বারা স্বাক্ষরিত দলিলাদির ক্ষেত্রে বহনকারী বা মাস্টার দ্বারা উক্ত দলিলাদি স্ব্ক্ষারিত কিনা তা পরীক্ষিত হতে হবে।
(২)    যদি নির্দেশ করে যে মালামাল এলসিতে বর্ণিত বন্দর দ্বারা নির্দিষ্ট জাহাজে জাহাজীকরণ করা হয়েছে-
তবে তা পূর্ব মুদ্রিত শব্দ দ্বারা উল্লেখিত হবে অথবা জাহাজীকরণের নিদের্শক কাগজপত্র বর্ণিত তারিখ পণ্য জাহাজীকরণের তারিখ হিসাবে গণ্য হবে।
(৩)    বিল অব লেডিং ইস্যু করার তারিখেই জাহাজীকরণের তারিখ বলে বিবেচিত হবে, যদি না বিল অব লেডিং সংযুক্ত জাহাজীকরণ দলিলে অন্য কোন তারিখ নির্দেশিত থাকে। যদি বিল অব লেডিং এ জাহাজের নামের স্থলে ’ইণ্টেণ্ডেড ভেসেল’ কথাটি উল্লেখ থাকে তাহলে জাহাজীকরণের দলিলের সাথে জাহাজের নাম ও তারিখ সংযুক্ত দলিলাদি পেশ করতে হবে।
(৪)    মালামাল জাহাজীকরণের বন্দর ও খালাসের বন্দরের নাম এলসিতে উল্লেখ থাকে। যদি বিল অব লেডিং এ এলসিতে উল্লেখিত মালামাল জাহাজীকরণের নাম উল্লেখ না থাকে অথবা ইণ্টেণ্ডেড’ অথবা অন্য কোন কিছু উল্লেখ না থাকে তাহলে মালামাল জাহাজীকরণের দলিলে বর্ণিত বন্দর এবং তারিখই ও জাহাজের নাম উল্লেখ থাকতে হবে। বিল অব লেডিং এ জাহাজীকরণ ও জাহাজের নাম উল্লেখ থাকলেও এটা পরিপালনীয়।
(খ)    অন্য কোনরূপ ব্যাখ্যা না থাকলে এই অনুচ্ছেদে ’ট্রান্সশিপমেণ্ট বলতে মালামাল জাহাজীকরণ বন্দর থেকে খালাসকরণ বন্দরে পৌঁছানোর মধ্যবর্তী সময়ে এক জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে স্থানান্তর করা বুঝায়।
(গ)    যদি বিল অব লেডিং-এ ট্রান্সশিপমেণ্ট এর কথা উল্লেখ থাকে তাহলে ধরে নেয়া যায় যে পুরো পরিবহণ এর জন্য একটি মাত্র বিল অব লেডিং-ই যথেষ্ট।
(ঘ)    এলসিতে ট্রান্সশিপমেণ্ট নির্দিষ্ট থাকলেও যদি বিল অব লেডিং ট্রান্সশিপমেণ্ট এর কথা উল্লেখ থাকে তবুও তা গ্রহণ যোগ্য হবে যদি মালামাল কণ্টেইনার, ট্রেইলার বা ল্যান্সবার্জ এর পরিবহনে করা হয়।
(ঙ)    বিল অব লেডিং বহনকারী ট্রান্সশিপমেণ্ট এর অধিকার সংরক্ষণ করে এমন শর্ত গ্রহণযোগ্য নয়।

ধারা-২১ ঃ
নননেগোশিয়েবল নৌ-বিল ঃ
(ক)    একটি নন-নেগোশিয়েবল নৌবিল, তা সে যে নামেই অভিহিত করুক না কেন অবশ্যই জাহাজের নাম নির্দেশ করবে এবং স্বাক্ষরিত হবে।
(১)    জাহাজের নাম নির্দেশ করবে এবং স্বাক্ষরিত হবে
পরিবহন বা তার পক্ষে কোন নামকরা এজেণ্ট
মাস্টার বা তার পক্ষে কোন নামকরা এজেণ্ট।
পরিবহন অথবা মাস্টারের কোন স্বাক্ষর বা প্রমাণীকরণ অবশ্যই পরিবহণ বা মাস্টারের পক্ষে সত্যায়িত হতে হবে। পরিবহণ বা মাস্টারের পক্ষে কোন এজেণ্ট সহি স্বাক্ষর করবে তখন উক্ত এজেণ্ট অবশ্যই তার পরিবহণ বা মাস্টারের নাম ও ক্ষমতা উল্লেখ করবে।
(২)    বিল অব লোডিং এ উল্লেখ থাকে যে, মালামাল পরিবহনের জন্য কোন নামকরা জাহাজে বোঝাই করা হয়েছে, যা
ক্স    নন-নেগোশিয়েবল বিল অব লেডিং এর মধ্যে মুদ্রিত অক্ষরে উল্লেখ থাকবে অথবা
ক্স    এক্ষেত্রে জাহাজীকরণ দলিলাদিতে উল্লেখিত তারিখই হবে মালামাল জাহাজীকরণের তারিখ।
ক্স    নন নেগোশিয়েবল নৌবিল ইস্যুং তারিখই জাহাজীকরণের তারিখ ধরে নেয়া হবে যদি না নন নেগোশিয়েবল নৌবিল এমন কোন অন বোর্ড নোটেশন না থাকে যা জাহাজীকরণের তারিখ নির্দেশ করে। নন-নেগোশিয়েবল নৌবিলে জাহাজের নাম সংক্রান্ত ব্যাপারে ’ইণ্টেণ্ডেড ভেসেল’ বা এরকম কোন কিছু উল্লেখ না থাকলে জাহাজের নাম ও জাহাজীকরণের তারিখ উল্লেখকৃত অন বোর্ড নোটেশন প্রয়োজন হবে।
(৩)    এলসিতে বর্ণিত জাহাজীকরণের বন্দর ও খালাসের বন্দরের নাম নির্দেশ করে।
যদি নন নেগোশিয়েবল নৌবিল এলসিতে বর্ণিত জাহাজীকরণের বন্দর হিসেবে উল্লেখ না করা হয় অথবা ইণ্টেডেণ্ট কিংবা এই জাতীয় কিছু উল্লেখ থাকে তাহলে এলসিতে উল্লেখিত বন্দরের নাম, জাহাজীকরণের তারিখ এবং জাহাজের নাম উল্লেখিত অন বোর্ড নোটেশন প্রয়োজন হবে। এমনটি নন-নেগোশিয়েবল নৌবিল নামকরণ করা জাহাজে জাহাজীকরণের কথা মুদ্রিত থাকলেও এটা প্রয়োজন হবে।
(৪)    একসেট মূল নন-নেগোশিয়েবল নৌবিল হলেই চলবে অথবা একাধিক মূল হলে নন-নেগোশিয়েবল নৌবিলে উল্লেখিত সকল দলিলাদি সংযুক্ত থাকতে হবে।
(৫)    পরিবহণের শর্তাবলী অথবা তার উৎসের কথা উল্লেখ থাকতে হবে (সংক্ষিপ্তাকারে কিংবা ব্ল্যাংক নন-নেগোশিয়েবল নৌবিল) পরিবহণের শর্তাবলী পরীক্ষা করা হবে না।
(৬)    দলিলাদিতে এটি যে চার্টার পার্টি তা উল্লেখ থাকবে না।
(খ)    অন্য কোন কিছু উল্লেখ না থাকলে এই অনুচ্ছেদে ট্রান্সশিপমেণ্ট বলতে এলসিতে বর্ণিত জাহাজীকরণ বন্দর থেকে মালামাল খালাস করণের বন্দরে পৌঁছানোর মধ্যবর্তী সময়ে এক জাহাজ হতে অন্য জাহাজে স্থান্নান্তর বুঝাবে।
(গ)    (১) নন-নেগোশিয়েবল নৌবিল ট্রান্সশিপ্ড এর কথা উল্লেখ থাকলেও ধরে নিতে হবে যে, মালামাল একই নন-নেগোশিয়েবল নৌ বিলের অধীনে পরিবহণ করা হয়েছে।
(২)    এলসিতে ট্রান্সশিপমেণ্ট নিজস্ব থাকলেও নন-নেগোশিয়েবল নৌবিলে ট্রান্সশিপমেণ্ট উল্লেখ থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে। যদি মালামাল কণ্টেইনার, ট্রেইলার বা জাহাজে পরিবহণ করা হয়।
(ঘ)    নন-নেগোশিয়েবল এ ট্রান্সশিপমেণ্ট এর শর্ত উল্লেখ থাকলে তা অগ্রাহ্য করা হবে।

ধারা-২২ ঃ
চার্টার পার্টি বিল অব লেডিং ঃ
(ক)    এলসিতে অন্য কোন কিছু উল্লেখ না থাকলে ব্য্াংক এটিকে চার্টাড পাটি বিল অব লেডিং হিসেবে ধরে নেবে যদি
(১)    স্বাক্ষরিত হয়;
ক্স    মাস্টার বা তার পক্ষে কোন বিখ্যাত এজেণ্ট দ্বারা
ক্স    মালিক অথবা তার পক্ষে কোন নামকরা এজেণ্ট দ্বারা
ক্স    চার্টার অথবা তার পক্ষে কোন নামকরা এজেণ্ট দ্বারা মাস্টার, মালিক, চার্টার বা এজেণ্টের দ্বারা স্বাক্ষরিত দলিলাদিতে তাদের স্বাক্ষরের সত্যতা পরীক্ষিত হতে হবে।
ক্স    এজেণ্টের দ্বারা স্বাক্ষরিত হলে এটা বুঝা যাবে যে দলিলাদি মাস্টার, মালিক বা চার্টারের পক্ষে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
যখন এজেণ্ট মালিক বা চার্টারের পক্ষে স্বাক্ষর করবে তখন মালিক বা চার্টারের নাম উল্লেখ থাকবে।
(২)    এলসিতে বর্ণিত বন্দর থেকে মালামাল জাহাজীকরণ করা হয়েছে বুঝা যাবে যদি
পূর্ব মুদ্রিত শব্দাবলী দ্বারা অথবা
(ক) অন বোর্ড নোটেশনে জাহাজীকরণের তারিখ উল্লেখ থাকে চার্টার্ড পার্টি বিল অব লেডিং ইস্যুর তারিখই জাহাজীকরণের তারিখ হিসেবে বিবেচিত হবে যদি না চার্টাড পার্টিতে অন বোর্ড নোটেশন সংযুক্ত না থাকে যাতে জাহাজীকরণের তারিখ উল্লেখ করা আছে।
(৩)    যদি চার্টাড পার্টি বিল অব লেডিং এলসিতে বর্ণিত জাহাজীকরণ বন্দর ও মালামাল খালাসের বন্দর নির্দেশ করে। মালামাল খালাসের বন্দর বা বন্দরের ভৌগলিক আওতাভূক্ত হলেই চলবে।
(৪)    একসেট মূল চার্টার্ড পার্টি বিল অব লেডিং হলেই চলবে অথবা একাধিক মূল হলে চার্টার্ড পার্টি বিল অব লেডিং এ বর্ণিত সকল দলিলাদি সংযুক্ত থাকলেই চলবে।
(খ)    ব্যাংক চার্টার্ড পার্টি বিল অব লেডিং পরীক্ষা করবে না যদিও এলসিতে অন্য কোন শর্ত উল্লেখ থাকে।

ধারা-২৩ ঃ
বিমান পরিবহণ দলিলঃ
(ক)    যেভাবেই বলা হউক না কেন বিমান পরিবহণ দলিল বলতে  উক্ত দলিলাদি বুঝাবে যদি
(১)    যাতে পরিবহণের নাম উল্লেখ থাকে এবং স্বাক্ষরিত হয়
ক্স    পরিবহণ দ্বারা অথবা
ক্স    পরিবহণের পক্ষে নামকরা এজেণ্ট দ্বারা।
পরিবহণকারী অথবা এজেণ্টের দ্বারা স্বাক্ষরিত হলে তাদের স্বাক্ষরের সত্যতা পরীক্ষিত হতে হবে।
এজেণ্টের দ্বারা স্বাক্ষরিত হলে ধরে নিতে হবে যে এজেণ্ট পরিবহণের পক্ষে স্বাক্ষর করেছে।
(২)    যদি নির্দেশ করে যে মালামাল পরিবহণের জন্য গৃহীত হয়েছে।
(৩)    ইসুর তারিখ নির্দেশিত থাকে। এই তারিখেই জাহাজীকরণের তারিখ বলে ধরে নেয়া হবে যদি না উক্ত দলিলে জাহাজীকরণের কোন সুনির্দিষ্ট দলিল সংযুক্ত না থাকে।
জাহাজীকরণের তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিমান পরিবহন দলিলে উল্লেখিত ফ্লাইট নাম্বার বা তারিখ উল্লেখ থাকলেও তা বিবেচনা করা হবে না।
(৪)    এলসিতে উল্লেখিত জাহাজীকরণের বিমান ঘাঁটি এবং মালামাল খালাসের বিমানঘাঁটি নির্দেশ করে।
(৫)    কনসাইনর বা জাহাজীকরণের জন্য একসেট মূল দলিলই যথেষ্ট কিন্ত একাধিক মূল দলিল হলেও চলবে।
(৬)    মালামাল পরিবহণের শর্তাবলী অথবা তার উৎস উল্লেখ থাকবে কিন্তু ব্যাংক উক্ত শর্তাবলী পরীক্ষা করে দেখবে না।
(খ)    অন্য কোন কিছু উল্লেখ না থাকলে এই অনুচ্ছেদে ট্রান্সশিপমেণ্ট বলতে মালামাল এক বিমানঘাঁটি থেকে অন্য বিমানঘাঁটিতে নেওয়ার সময় এক বিমান থেকে অন্য বিমানে স্থানান্তর বুঝায়।
(গ)    (১) বিমান পরিবহণ দলিলে ট্রান্সশিপমেণ্ট উল্লেখ থাকলে ধরে নিতে হবে মালামাল একটি মাত্র বিমান পরিবহণ দলিলের অধীনে পরিবহণ করা হয়েছে।
(৪)    এলসিতে ট্রান্সশিপমেণ্ট নিজস্ব থাকলেও বিমান পরিবহণ দলিল ট্রান্সশিপমেণ্ট নির্দেশ করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে।

ধারা-২৪ ঃ
স্থল পথ, রেলপথ অথবা অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ ডকুমেণ্টঃ
(ক)    যেভাবেই বলা হউক না কেন স্থল পথ, রেলপথ অথবা অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ ডকুমেণ্ট বলতে উক্ত দলিলাদি বুঝাবে।
(১)    যাতে পরিবহণের নাম উল্লেখ থাকবে এবং
(খ)    পরিবহণ অথবা পরিবহণের পক্ষে কোন নামকরণ এজেণ্ট দ্বারা স্বাক্ষরিত হবে।
(গ)    স্বাক্ষর, স্ট্যাম্প অথবা চিহ্ন দ্বারা পরিবহণ বা তার পক্ষে কোন নামকরা এজেণ্ট দ্বারা মালামাল গৃহীত হয়েছে নির্দেশ করলে।
মালামাল গ্রহণের স্বপক্ষে এজেণ্ট কর্তৃক স্বাক্ষর, স্ট্যাম্প বা চিহ্ন প্রদান করা হলে তা পরিবহণের পক্ষে করা হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। যদি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোন পরিবহণ চিহ্নিত না করে তাহলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর অথবা স্ট্যাম্প, পরিচহন কর্তৃক প্রদত্ত হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।
(২)    যদি এলসির বর্ণনা মোতাবেক (স্থান হতে) মালামাল জাহাজীকরণের তারিখ অথবা মালামাল গ্রহণ, সরবরাহ অথবা পরিবহণের তারিখ উল্লেখ থাকে।
পরিবহণ দলিলাদিতে মালামাল গ্রহণের তারিখযুক্ত স্ট্যাম্প অথবা মালামাল জাহাজীকরণ অথবা গ্রহণের তারিখ নির্দেশক দলিলাদি, পরিবহণ দলিলাদির ইস্যুর তারিখ জাহাজীকরণের তারিখ বলে ধরে নেয়া হবে।
(৩)    এলসিতে বর্ণিত মালামাল জাহাজীকরণ এবং মালামাল খালাসকরণ স্থান নির্দেশ করে।
(খ)    (১)    কনসাইনরের অথবা জাহাজীকরণকারীর জন্য পরিবহণ দলিলাদির মূল কপি দরকার  অন্যথায় কার জন্য দলিলাদি প্রস্তুত করা হয়েছে সে সংক্রান্ত কোন চিহ্ন থাকবে না।
(২)    রেল ডকুমেণ্ট ’ডুপ্লিকেট’ লেখা থাকলে তা মূল দলিল হিসাবে গৃহীত হবে।
(৩)    রেল ও অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ দলিলাদিতে ’মূল’ কথাটি লেখা না থাকলে তা মূল হিসাবে গৃহীত হবে।
(গ) যদি মূল দলিলের সংখ্যা উল্লেখ না করা হয় তাহলে উপস্থাপিত সকল দলিলাদি একসেট মূল দলিলাদি হিসাবে গণ্য হবে।
(ঘ)    অন্য কোন কিছু উল্লেখ না থাকলে এই অনুচ্ছেদে এলসির ট্রান্সশিপমেণ্ট বলতে এলসির বর্ণনা অনুযায়ী মালামাল একস্থান হইতে অন্য স্থানে পরিবহনের সময় একই জাতীয় মাধ্যমের ক্ষেত্রে এক পরিবহণ হতে অন্য পরিবহণে স্থানান্তর বুঝায়।
(ঙ)    (১) রেল, স্থল ও অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ দলিলে ট্রান্সশিপমেণ্ট উল্লেখ থাকলেও ধরে নেয়া হবে যে পুরো পরিবহণে একই পরিবহণ দলিলাদি দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে।
(২)    রেল, স্থল ও অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ দলিলে ট্রান্সশিপমেণ্ট উল্লেখ থাকলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে যদিও এলসিতে ট্রান্সশিপমেণ্ট নিজস্ব থাকে।


ধারা-২৫ ঃ
কুরিয়ার, ডাক রিসিট বা সার্টিফিকেট অব টেস্টিংঃ
(ক)    মালামাল ডেলিভারী দেয়ার জন্য গৃহীত হয়েছে কুরিয়ার কর্তৃক ইস্যুকৃত এমন কোন দলিলের কথা যদি এলসিতে উল্লেখ থাকে, সেক্ষেত্রে ব্যাংক যে কোন দলিলে তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন গ্রহণ করবে যদি -
(র)    উক্ত দলিলে কুরিয়ার এর নাম উল্লেখ থাকে এবং উক্ত দলিলটি কুরিয়ার কর্তৃক সীল মোহরকৃত বা অন্য কোন নামে সত্যায়িত করা থাকে। এলসিতে যদি বিশেষ কোন কুরিয়ার সার্ভিসের উল্লেখ না থাকে সেক্ষেত্রে ব্যাংক যে কোন কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃক ইস্যুকৃত দলিল গ্রহণ করবে।
(রর)    উক্ত দলিল এ মালামাল গ্রহণের তারিখ উল্লেখ থাকবে এবং উক্ত তারিখই মালামাল শিপমেণ্ট এর তারিখ বলে নিবেচিত হবে। 
(খ)    প্রদেয় কিংবা প্রদত্ত করিয়ার সার্ভিসের খরচ পরিবহন দলিল সাপেক্ষে কনসাইন ব্যতীত অন্য যে কোন পক্ষ কর্তৃক পরিশোধিত হবে।
(গ)    এলসিতে যদি অন্য কোন শর্তের উল্লেখ না থাকে এবং এলসিতে যদি ডাক রশিদ এর কথা উল্লেখ না থাকে সেক্ষেত্রে ব্যাংক কোন রশিদকে তখনই ডাক রশিদ হিসাবে গণ্য করবে।
যদি উক্ত রশিদ এলসিতে উল্লেখিত মালামাল শিপমেণ্ট এর স্থান থেকে তারিখসহ সীল মোহরকৃত হয়ে থাকে, সীল মোহর এর তারিখই শিপমেণ্ট এর তারিখ হিসাবে গণ্য হবে।

ধারা-২৬ ঃ
অনডেক (পাটাতনে), জাহাজীবহন ও কাউণ্ট (গণনা), সেইড বাই শিপার টু কনটেইন ও অতিরিক্ত পরিবহণ খরচ ধার্যঃ
(ক)    নির্দেশনা থাকে যে সমুদ্র পথে বহন অথবা একের অধিক মাধ্যম দিয়ে সমুদ্র পথে আবর্তিত যাহা মালামাল ডেকে বা পাটাতনে বোঝাই করা হবে। যদিও ব্যাংক ট্রান্সপোর্ট ডকুমেণ্ট গ্রহণ করবে যার মধ্যে প্রতীয়মান হয় যে, মালামাল ডেকে বহন করা হয়েছে। পরিবহণ দলিলাদি প্রত্যাখ্যান করবে না যাতে মালামাল পাটাতনে (ডেকে) পরিবাহিত হতে পারে এ বিধান রয়েছে।
(খ)    যদি উক্ত ডকুমেণ্টে প্রতীয়মান হয় যে শিপার্স লোড কাউণ্ট অথবা জাহাজে তোলা হয়েছে অথবা এরূপ ধরণের শব্দ উল্লেখিত থাকে।
(গ)    পরিবহণ দলিলাদিতে স্ট্যাম্প লাগানো থাকলে কিংবা উল্লেখ থাকলে ফ্রেইট এর অধিক ধার্য করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে দলিল নিজেই অন্য কিছু নির্দেশ করে সেক্ষেত্রে এ নিয়ম কার্যকরী হবে না।

ধারা-২৭ ঃ
পরিস্কার পরিবহণে ডকুমেণ্ট ঃ
ব্যাংক শুধুমাত্র পরিস্কার পরিবহণ দলিল গ্রহণ করবে। পরিস্কার দলিল এমন একটি দলিল যা বহণ করে না অতি আরোপিত ধারা অথবা পণ্যের তথা প্যাকেজিং এর ত্র“টি সংক্রান্ত শর্ত থাকে না। পরিস্কার শব্দটি এলসিতে উল্লেখ থাকার দরকার নেই যদিও এলসির শর্ত অনুযায়ী ব্যাংক ট্রান্সপোর্ট ডকুমেণ্ট গ্রহণ করবে যা বহন করে ক্লিন অন বোর্ড।

ধারা-২৮ ঃ
বীমা দলিলপত্র ঃ
(ক)    বীমা দলিলাদি যেমন বীমা পলিসি, বীমা সনদ অথবা উন্মুক্ত ঘোষণা অবশ্য কোন বীমা কোম্পানী, তার অধীনস্থ কোন দায় ভার গ্রহণকারী কিংবা অন্য কোন এজেণ্ট অথবা তার পক্ষে তৃতীয় কেউ দ্বারা ইস্যুকৃত ও স্বাক্ষরিত হতে হবে।
এজেণ্ট অথবা তার পক্ষে কারো দ্বারা প্রদত্ত স্বাক্ষর প্রমাণিত হবে যে তারা বীমা কোম্পানী বা তার পক্ষে দায়ভার গ্রহণকারীর পক্ষে স্বাক্ষর করেছে।
(খ)    যদি বীমা দলিলে একাধিক মূল কপি সরবরাহ করা হয় তবে সমস্ত ক্ষেত্রেই মূলকপি উপস্থাপন করতে হবে।
(গ)    কভার নোটস গ্রহণযোগ্য হবে না।
(ঘ)    ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট অথবা উন্মুক্ত বীমা পত্রের পরিবর্তে বীমা পলিসি গ্রহণযোগ্য হবে।
(ঙ)    জাহাজীকরণের তারিখের পরবর্তী তারিখের কোন বীমা দলিল গ্রহণযোগ্য হবে না, অন্যথায় বীমা দলিলে উল্লেখ থাকতে হবে যে উন্মুক্ত বীমা পত্রটি জাহাজীকরণের তারিখের পূর্বের তারিখ থেকেই কার্যকর হবে।
(চ)    (১) বীমা দলিলে বীমার অংকের পরিমাণ উল্লেখ থাকতে হবে এবং তা এলসিতে বর্ণিত মুদ্রায় হতে হবে।
(২)    বীমা দলিলে বর্ণিত সর্বনিম্ন পরিমাণ বীমাকৃত অংকে বীমাকৃত হতে হবে যা এলসিতে বর্ণিত মালামালের মূল্য, ইনভয়েসের মূল্য অথবা অনুরূপ কিছুর একটা নির্দিষ্ট শতকরা হার।
এলসিতে কোন কিছু উল্লেখ না থাকলে বীমার অংক মালামালের সিআটএ আসে সিআইপি এবং শতকরা ভাগ ১১০ হতে হবে। যখন দলিলাদি হতে সিআইএফ অথবা সিআইপি মূল্য নির্ধারণ করা অসম্ভব তখন বীমার অংক অনার অথবা নেগোশিয়েমণের উপর অথবা ইনভয়েসে বর্ণিত মালামালের মূল্যের মধ্যে যেটি বৃহত্তর সেই অনুযায়ী হবে।
(৩)    বীমা দলিলে উল্লেখ থাকতে হবে যে, এটি এলসিতে বর্ণিত মালামাল পরিবহণের শুরুর মূল বা জাহাজীকরণ স্থল হতে মালামাল খালাসকরণের স্থল পর্যন্ত যাবতীয় ঝুঁকি বহন করে।
(ছ)    এলসিতে বীমার ধরণ উল্লেখ থাকতে হবে এবং অতিরিক্ত ঝুঁকি বহন সম্পর্কে বর্ণনা থাকতে হবে। বীমা দলিল গ্রহণযোগ্য হবে যদি তা বিশেষ কোন ঝুঁকি বহণ নাও করে সেখানে এলসিতে যথাযথ না এমন শর্ত যেমন- সচরাচর ঝুঁকি অথবা কাস্টমারি ঝুঁকি ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।
(জ)    যদি এলসিতে সকল ঝুঁকি বহনকারী বীমার কথা বলা থাকে এবং এমন ধরণের বীমা দলিল সংযুক্ত করা হয় যা সব ধরণের বীমা ঝুঁকি বহন করলেও তার শিরোনামে সকল ঝুঁকি বহনকারী বীমা কথাটি উল্লেখ থাকে না সেক্ষেত্রে ব্যাংক একই দলিলাদি গ্রহণ করবে যে কোন ঝুঁকিই বাদ পড়েনি।
(ঝ)    বীমা দলিলে উল্লেখ থাকতে পারে যে উন্মুক্ত বীমা পত্র ফ্রান্সইস অথবা ’অতিরিক্ত’ তাই কর্তনযোগ্য।

ধারা-২৯ ঃ ঃ
মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ বর্ধিতকরণ ঃ
(ক)    এলসির শর্ত মোতাবেক এলসির মেয়াদোত্তীর্ণ হবার তারিখ অথবা দলিলাদি উপস্থাপনের শেষ তারিখ যদি ধারা ৩৬ মোতাবেক এমন একটি দিনে হয় সে দিন যে ব্যাংকে দলিলাদি উপস্থাপন করতে হবে সে ব্যাংক বন্ধ থাকে, তাহলে ব্যাংক খোলার প্রথম দিবসই হবে দলিলাদি উপস্থাপনের শেষ তারিখ।
(খ)    যদি খোলার প্রথম দিবসে দলিলাদি উপস্থাপন করা হয় তাহলে মনোনীত ব্যাংক ইস্যুইং ব্যাংক এই মর্মে লিখিত প্রদান করবে যে উপস্থাপন ২৯ (ক) উপধারা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে করা হয়েছে।
(গ)    ২৯ (ক) উপধারা বর্ণিত কারণে উপস্থাপনের তারিখ বর্ধিত করা যাবে না।

ধারা-৩০ ঃ
এলসির মূল্য, পরিমাণ, ইউনিট মূল্য ঃ
(ক)    এলসিতে উল্লেখিত মূল্য পরিমাণ ও ইউনিট বুঝাতে প্রায় কাছাকাছি বা নগদ বা এ ধরণের শব্দ ব্যবহৃত হলে সেক্ষেত্রে আনুমানিক ১০ অধিক বা ১০ কম হলে উক্ত কাগজপত্র গ্রহণ করা যাবে।
(খ)    এলসিতে বর্ণিত পণ্যের নির্দিষ্ট মাত্রার কম বা বেশী উল্লেখ না থাকলে সেক্ষেত্রে পণ্যের ঘাটতি বা কমতি ৫/- কম বা বেশী হলে তা গ্রহণীয় হবে। কোন এলসির মূল্য অতিক্রম করা যাবে না। এই কম বেশী বিধান এলসির পণ্যের প্যাকিং-এর সংখ্যা বা ভিন্ন ভিন্ন পণ্যের কথা উল্লেখ থাকলে প্রযোজ্য হবে না।
(গ)    এলসিতে আংশিক জাহাজীকরণ যদি নির্দিষ্ট থাকে অথবা উপরের ’খ’ বর্ণিত উপধারা প্রযোজ্য হয় সেক্ষেত্রে সহনীয় ৫/- মূল্য কম গ্রহণীয় হবে যদি এলসিতে বর্ণিত পণ্যের জাহাজীকরণ সম্পূর্ণ এবং এলসিতে বর্ণিত ইউনিট প্রাইজ কখনও কমানো যাবে না। এই বিধান প্রযোজ্য হবে না যখন এলসিতে বর্ণিত উপধারা (ক) ব্যবহৃত হয়।

ধারা-৩১ ঃ
আংশিক জাহাজীকরণ উত্তোলন ঃ
(ক)    যদি এলসিতে অন্য কোন শর্ত উল্লেখিত না থাকে সেক্ষেত্রে আংশিক পাওনা উত্তোলন এবং জাহাজে পণ্য প্রেরণ গ্রহণযোগ্য হবে।
(খ)    পরিবহণ দলিলে যদি প্রমাণিত হয় যে, বিভিন্ন তারিখে জাহাজে মাল বোঝাই বা বিভিন্ন বন্দর হতে মাল বোঝাই এর কথা দলিলে থাকলেও বা সমুদ্র পথে মালামাল প্রেরণ বা বিভিন্ন ধরণের পরিবহণের মাধ্যমে মালামাল প্রেরণ বা বিভিন্ন ধরণের পরিবহণের মাধ্যমে প্রেরিত হলেও আংশিকভাবে মালামাল প্রেরিত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে না।
যদি বিভিন্ন ধরণের পরিবহণ মাধ্যম ব্যবহার করা হয় তাহলে একই দিনে এবং একই গন্তব্যে প্রেরিত মালামালের এক বা একাধিক দলিলাদিতে আংশিক জাহাজীকরণ বলে বিবেচিত হবে না।
(গ)    ডাক বা কুরিয়ারের প্রেরিত মালামাল আংশিক মালামাল প্রেরণ হিসাবে প্রমাণিত হবে না যদি এলসিতে বর্ণিত স্থান ও তারিখেই মালামাল প্রেরণের ব্যাপারে স্বাক্ষর বা তা নিশ্চিত করা হয়ে থাকে।

ধারা-৩২ ঃ
মালামাল কিস্তিতে জাহাজীকরণ ঃ
এলসির শর্ত মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালামাল জাহাজীকরণ এবং অথবা মালামাল প্রেরণ না হলে বা এলসিতে অন্য কোন শর্ত না থাকলে ঐ সময়ের জন্য নির্দিষ্ট কিস্তি এবং পরবর্তী কিস্তি সমূহ বাতিল বলে গণ্য হবে।


ধারা-৩৩ ঃ
ব্যাংকিং সময়ে উপস্থাপন ঃ
ব্যাংকিং লেনদেনের সময়কাল অতিক্রান্ত হওয়ার পর উপস্থাপিত দলিলাদি কোন অবস্থাতেই ব্যাংক গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে না।

ধারা-৩৪ ঃ
ডকুমেণ্টের কার্যকারিতার দায় অস্বীকার ঃ-
কোন ডকুমেণ্ট পর্যাপ্ততা, যথার্থতা, মিথ্যা বর্ণনা বা ডকুমেণ্টে বর্ণিত বিশেষ কোন শর্তের বা তাতে কোন আরোপিত শর্তের জন্য ব্যাংক কোন দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করে না, এমনকি বর্ণনা, পরিমাণ, ওজন, মান, গুণ, অবস্থান, প্যাকেট, বাধাই সরবরাহ মূল্য বা ডকুমেণ্ট মূল্য, উপস্থাপিত পণ্যের অস্তিত্ব অথবা পণ্য প্রেরণের প্রতিপালন, অনুমোদন বা পণ্য বীমাকরী বা পণ্য কোন ব্যক্তি সে সম্পর্কে যেই হউক না কেন, ব্যাংক তার দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করে না, অর্থাৎ ব্যাংক শুধুমাত্র ডকুমেণ্ট এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

ধারা-৩৫ ঃ
পরিবর্তন ও রূপান্তর কার্যকারিতায় দায় অস্বীকার ঃ
ডকুমেণ্ট প্রেরণের সময় পথিমধ্যে হারিয়ে যাওয়ার কারণে বা পৌঁছাতে বিলম্ব হলে অথবা প্রেরিত তার বার্তায় ভুলের কারণে সৃষ্ট উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য ব্যাংক দায়ী থাকবে না।

এছাড়াও পরিভাষাগত অনুবাদে ভুল বা ভুল ব্যাখ্যার জন্য ব্যাংক কোন দায় দায়িত্ব গ্রহণ করে না। কোন প্রকার রূপান্তরে/অনুবাদ ছাড়াই এলসির শর্তসমূহ প্রেরণের অধিকার সংরক্ষণ করে।

ধারা-৩৬ ঃ
নিয়ন্ত্রণ বর্হিভূত ক্ষেত্রে অক্ষমতা ঃ
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দাঙ্গা, গৃহযুদ্ধ, বিদ্রোহ বা আওতাবহির্ভূত অন্য কোন কারণে বা ধর্মঘট, লক আউট ইত্যাদির কারণে ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলে ব্যাংক কোন দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করে না। উল্লেখ্য যে বর্ণিত কারণে ঐ সময়ে এলসি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে তার অধীনে ব্যাংক নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে পাওনা পরিশোধ বা পাওনা কার্যকর, গ্রহণ বা নেগোশিয়েশন এর দায়িত্ব গ্রহণ করে না।

ধারা-৩৭ ঃ
নির্দেশ গ্রহণকারীর কর্মের জন্য দায় অস্বীকার ঃ
(ক)    এলসির আবেদনকারীর নির্দেশ বাস্তবে রূপান্তরিত করার নিমিত্তে যদি কোন ব্যাংক বা অন্য কোন ব্যাংকের সেবা গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে দায়-দায়িত্ব আবেদনকারীর।
(খ)    প্রেরিত নির্দেশাবলী যদি পালন না করা হয় সে দায়-দায়িত্ব ব্যাংক বহন করবে না, এমনকি নির্দেশ পালনকারী ব্যাংকটি যদি ইস্যুইং ব্যাংক নিজ পছন্দানুসারে বাছাই করে থাকে সেক্ষেত্রেও নয়।
(গ)    একটি ব্যাংক যখন অন্য একটি ব্যাংকে সেবা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করে সেক্ষেত্রে সেবা প্রদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কমিশন ফি, অন্যান্য খরচসহ সকল চার্জ নির্দেশ প্রদানকারী ব্যাংককেই বহন করতে হবে।
এলসিতে যদি আবেদনকারীর পক্ষে পরিশোধের কথা থাকে এবং এ সকল চার্জ পরিশোধ নিষিদ্ধ থাকে সেক্ষেত্রে ইস্যুইং ব্যাংককে উক্ত চার্জ পরিশোধ করতে হবে।
এলসি বা সংশোধনীতে উল্লেখ থাকা ঠিক নয় এ্যাডভাইজিং ব্যাংক অথবা এডভাইজিং ব্যাংক চার্জ গ্রহণ সাপেক্ষে রপ্তানীকারককে এডভাইজ করতে বাধ্য।
(ঘ)    আন্তজার্তিক আইন ও নিয়ম অনুযায়ী নিয়মনীতি দ্বারা ব্যাংকের উপর দায়-দায়িত্ব বর্তাবে তা থেকে ব্যাংককে রক্ষা করার সকল দায়িত্ব আবেদনকারীর।

ধারা-৩৮ ঃ
হস্তান্তরযোগ্য ঋণ পত্র ঃ
(ক)    ব্যাংক কোন এলসি হস্তান্তর করতে বাধ্য নয় যদি না সে এই মর্মে কোন সম্মতি প্রদান করে থাকে।
অন্য কোন অর্থে ব্যবহৃত না হলে, এই অনুচ্ছেদে-
হস্তান্তরযোগ্য এলসি বলতে সেই এলসিকে বোঝাবে যেখানে বিশেষভাবে ’হস্তান্তরযোগ্য’ কথাটি উল্লেখ থাকবে। হস্তান্তরযোগ্য এলসির অধীনে পাওনা পরিশোধে বা গ্রহণ করার নিমিেেত্ত নিযুক্ত অন্য কোন ব্যাংককে সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে বেনিফিসিয়ারী ব্যাংক অনুরোধ করতে পারে।
হস্তান্তরকারী ব্যাংব বলতে  নমিনেটেড ব্যাংককে বুঝায় যা এলসি হস্তান্তর করে অথবা ইসুইং ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত এমন কোন ব্যাংক যা এলসি হস্তান্তর করতে পারে। ইসুইং ব্যাংক ইচ্ছে করে করলে হস্তান্তরকারী ব্যাংকের ভূমিকা পালন করতে পারে।
হস্তান্তরিত এলসি বলতে সেই এলসি বুঝায় যা হস্তান্তরকারী ব্যাংক কর্তৃক দ্বিতীয় বেনিফিসিয়ারীর অধিকারভ্ক্তূ করা হয়েছে।    
(খ)    হস্তান্তর সম্পর্কে অন্য কোন শর্ত উল্লেখ না থাকলে হস্তান্তর সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় যেমন-কমিশন, ফি, খরচাদি ইত্যাদি প্রথম বেনিফিসিয়ারী বহন করবে।
(গ)    এলসির অংশবিশেষ একাধিক বেনিফিসিয়ারীর কাছে হস্তান্তর করা যাবে যাতে তারা আংশিক উত্তোলন বা জাহাজীকরণ করতে পারে।
একটি হস্তান্তরযোগ্য এলসি দ্বিতীয় বেনিফিসিয়ারীর অনুরোধে হস্তান্তর করা যাবে না। এক্ষেত্রে প্রথম বেনিফিসিয়ারী ও পরবর্তী বেনিফিসিয়ারীর ভূমিকা পালন করতে পারবে না।
(ঘ)    সংশোধনীর জন্য অনুরোধ করা হলে সেখানে কি কারণে এবং কোন অবস্থায় দ্বিতীয় বেনিফিসিয়ারী কে সংশোধনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে। হস্তান্তরযোগ্য এলসিতে শর্তাবলীর উল্লেখ থাকতে হবে।
(ঙ)    যদি কোন এলসি একাধিক দ্বিতীয় বেনিফিসিয়ারীর কাছে হস্তান্তর করা হয়-সেক্ষেত্রে কোন একজন দ্তিীয় বেনিফিসিয়ারী কর্তৃক কোন শর্ত গৃহীত না হলেও তা অন্যদের গ্রহণকে বাতিল করবে না। যে দ্বিতীয় বেনিফিসিয়ারী সংশোধন অস্বীকার করেছে শুধুমাত্র তার জন্য সংশোধন অপরিবর্তনীয় থাকবে।
(চ)    নিম্নলিখিত ব্যতিক্রম ব্যতীত হস্তান্তরযোগ্য এলসিতে কনফার্মেশনসহ এলসির সকল শর্তাবলীর উল্লেখ থাকবে যেমন-
ক্স    এলসির পরিমাণ
ক্স    একক প্রতি উল্লেখিত মূল্য
ক্স    মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ
ক্স    উপস্থাপনের সময়কাল
ক্স    জাহাজীকরণের সর্বশেষ তারিখ অথবা জাহাজীকরণের জন্য প্রদত্ত কমিশন সবক্ষেত্রে যেটুকু কমানো বা কর্তন করা যায় এমন।
ক্স    এই অনুচ্ছেদে বা এলসিতে বর্ণিত শর্তাবলী পূরণের জন্য শতকরা যে হারের জন্য এলসি কভার কার্যকরী তা বাড়ানো যেতে পারে।
ক্স    রপ্তানীকারকের পরিবর্তে প্রথম বেনিফিসিয়ারীর নাম স্থানান্তরিত করা যেতে পারে।
এলসি অনুযায়ী যদি আবেদনকারী নাম এলসি ইনভয়েস ব্যতীত অন্য কোথাও উল্লেখ করার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই তা হস্তান্তরযোগ্য দলিলে উল্লেখ থাকতে হবে।
(ছ)    প্রথম বেনিফিসিয়ারী তার সংযুক্ত যে কোন ইনভয়েস পরিবর্তন করতে পারে যদি তা দ্বিতীয় বেনিফিসিয়ারীর ইনভয়েসের সাথে মূল্যের পার্থক্য সৃষ্টি করে এবং উক্ত ক্ষেত্রে প্রথম বেনিফিসিয়ারী এই দুই ইনভয়েসের মূল্যের পার্থক্যের পরিমাণ উত্তোলন করার দাবীদার।
(জ)    যদি প্রথম বেনিফিসিয়ারীর দ্বারা কোন ইনভয়েস বা ড্রাফট পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় কিন্ত চাহিদানুযায়ী প্রথম বেনিফিসিয়ারী তা করতে ব্যর্থ হয় অথবা কোন প্রকার অনিয়ম করে তাহলে হস্তান্তরকারী ব্যাংক দ্বিতীয় বেনিফিসিয়ারী কর্তৃক প্রদত্ত দলিলাদি গ্রহণ করতে পারবে এবং সেক্ষেত্রে প্রথম বেনিফিসিয়ারীর কাছে তার কোন দায় থাকবে না।
(ঝ)    প্রথম বেনিফিসিয়ারী ইচ্ছে করলে তার অনুরোধে উল্লেখ করতে পারে যে গ্রহণ অথবা নেগোশিয়েশন দ্বিতীয় বেনিফিসিয়ারীর বরাবর যেখানে এলসি হস্তান্তর করা হয়েছে সেখানেই মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখে অথবা তার পূর্বে করা হোক। অবশ্য এক্ষেত্রে ৩৮ (ক) অনুচ্ছেদ ব্যতীত ক্ষেত্রেই উক্ত অনুরোধ কার্যকরী হবে।
(ঞ)    দ্বিতীয় বেনিফিসিয়ারীর দ্বারা অথবা পক্ষে দলিলাদি হস্তান্তরকারী ব্যাংক বরাবর উপস্থাপন করতে হবে।

ধারা-৩৯ ঃ
এলসি হস্তান্তরের শর্ত উল্লেখ না থাকলেও তার প্রাপ্য যে কোন পাওনা হস্তান্তর বা এই আইনসমূহ অনুসারে এলসির অধীনে যে পাওনা প্রাপ্য হবে বেনিফিসিয়ারীর তা হস্তান্তরের অধিকার ক্ষুন্ন হবে না। এই ধারা কেবলমাত্র পাওনা হস্তান্তরের সংগে সংশ্লিষ্ট এবং এলসির প্রাপ্ত পাওনা হস্তান্তরের অধিকার সংরক্ষণ করে না।

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে

NAZRUL ISLAM MAZUMDER : THE CHOICE OF THE TIME (a biography)

NAZRUL ISLAM MAZUMDER The choice of the time “The purpose of a business is to create a customer who creates customers.” -          Shiv Shing # NASSA GROUP # 30,000 employees #EXIM Bank # 3,000 employees And so on……….. A Biography By OMAR KHALED RUMI M. Sc., MBA, LL.B     ...................................................... “Patience, persistence and perspiration make an unbeatable combination for success.”    - Napoleon Hill   ...................................................... Prlogue Like another man Nazrul Islam Mazunder is also a man. But, how he has made some stories of success. Why people consider him as a special. Why he is applaused as Philanthropic in mind, dynamic in thinking, far-sighted in vision. There must some reasons. The reason is what he wanted himself he has been now. Mazumder, a conglomerate icon, in no way, a trifle name. His success, over years, mak