Skip to main content

Fabricare receipt 01 08 2024

কেন এই মুখোমুখি অবস্থান

রাজনীতিতে বিরোধীতার পাশাপাশি সহনশীলতাও যে প্রয়োজনীয় একটা উপাদান তা রাজনীতিক মাত্রই স্বীকার করেন। নিতান্ত নোংরা রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনাকারী দলসমূহের ইতিহাস ঘাঁটলেও দেখা যাবে রাজনীতির মূল আদর্শগত বিষয়গুলোর প্রতি তারাও শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু বাস্তবতার খাতিরে কিংবা অনেকটা দায়ে পড়েই তাদের বেছে নিতে হয় ভিন্ন পথ। বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলেও রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে এসবের খুব একটা অমিল পাওয়া যাবে না। এটাই চেনা বাস্তবতা।

১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের জন্ম যে প্রেক্ষাপটে তার বাস্তবতাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এর মাত্র কিছু দিন আগেই কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। অথচ জন্মের পরপরই আওয়ামী লীগ পাক নেতাদের চোখে ভিলেনে পরিণত হয়ে গেল। তারপর টানা পোড়েনের ২৭ বছর। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে ১৯৭১। শুধু কথায় চিড়ে ভিজেনি। টানা নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। অত:পর স্বাধীনতা।

১৯৭১ থেকে ১৯৭৫। ভুল বোঝাবুঝি। পাওয়া না পাওয়ার সমান্তরাল রশি টানাটানি। অবশেষে সেই রশি ছিড়ে গেল ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে এসে। দানব তার খোলস থেকে বেরিয়ে ছোবল মারল। কেউ কেউ বলে এটা ইতিহাসেরই পরিণতি। আমি অত শত বুঝিনা। কাজটা মোটেও ভালো হয়নি। কারণ এরপরই নতুন ঠিকানা খোঁজার চেষ্টা। এত সহজে কি সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়। ব্যাপারটা সবচেয়ে ভালো বুঝেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনিও কম চেষ্টা করেননি। কিন্তু শেষ মেষ মরে বাঁচলেন ১৯৮১ তে এসে।

আরেকজন এসে জুটল। সামরিক শাসক। তবে কিছুটা আলাদা দর্শনের। একই ফুল শুধু ঘ্রাণটা একটু আলাদা। আমরা বুঁদ হয়ে থাকলাম নয়টি বছর। তারপর নাড়ী ছেড়া টান। সবকিছু ছিন্ন ভিন্ন করে গনতন্ত্রের শিশুর জন্ম হলো। ভালোই বলতে হবে। নির্বাচন হলো। কিন্তু চমক ছিলো তাতে। ঘুমিয়ে থাকা বিরুদ্ধবাদীরা নতুন ধারার সাথে যুক্ত হয়ে ঘরে তুলল সোনালী ফসল। ১৯৯১-১৯৯৬ সাল। কিভাবে কাটল সবার জানা। তবুও বলতে হবে সহনশীলতা তখনও ছিলো।

তারপর জয়ী হলো মূলধারা। ১৯৯৭ থেকে ২০০১। অনেক পুরনো হিসেব জমে ছিলো হিসেবের খেরো খাতায়। ঐতিহ্যের জ্বালা অনেক। অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। হিমসিম খেলেও কোনো মতে সামলে নিলো। কিন্তু আবারও ছন্দ পতন। ২০০১-এ আবার ক্ষমতায় ভিন্ন মতাবলম্বীরা। পুতুলের পিছনে নাচের সূক্ষ্ম কারিগর। সবাই জানে। তবুও চুপচাপ। মনে মনে অনেক কিছুর ভয়। আওয়ামীলীগ আসলে যদি পরকালটাই যায়। কিন্তু সবই অমূলক। যা কিছু চলছিল তা চালানো মুশকিল। পাঁচ বছর ধর্ম কর্ম সব বাদ দিয়ে আখের গোছানোর চেষ্টা। রাজনীতির সরল সমীকরণ। কিন্তু পরিণতি ভালো হলো না। কারা যেন এসে বাঁধ  সাধল। বলল এসব করো না। পথ দেখো।

তারপর আরো দুটো বছর। ঘরে ফেরা ২০০৯-এ। ২০১৪ তে আবারও আগলে রাখা। সবই প্রয়োজনের তাগিদে। বাংলাদেশকে ২০২১-এ নিয়ে যেতে হবে। নিয়ে যেতে হবে ২০৪১-এ। দুবৃৃত্তের দ্বারা তা সম্ভব নয়। অন্তহীন চেষ্টা। কিন্তু বিরুদ্ধবাদীরা তো আর বসে থাকে না। তারা চলে গেল মুখোমুখি অবস্থানে।

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে

NAZRUL ISLAM MAZUMDER : THE CHOICE OF THE TIME (a biography)

NAZRUL ISLAM MAZUMDER The choice of the time “The purpose of a business is to create a customer who creates customers.” -          Shiv Shing # NASSA GROUP # 30,000 employees #EXIM Bank # 3,000 employees And so on……….. A Biography By OMAR KHALED RUMI M. Sc., MBA, LL.B     ...................................................... “Patience, persistence and perspiration make an unbeatable combination for success.”    - Napoleon Hill   ...................................................... Prlogue Like another man Nazrul Islam Mazunder is also a man. But, how he has made some stories of success. Why people consider him as a special. Why he is applaused as Philanthropic in mind, dynamic in thinking, far-sighted in vision. There must some reasons. The reason is what he wanted himself he has been now. Mazumder, a conglomerate icon, in no way, a trifle name. His success, over years, mak