যেহেতু লেখালেখির সাথে আমার আশৈশব ওঠাবসা, বসবাস, জীবন-যাপন। তাই সেই আঙ্গিক থেকেই গল্প বলতে আমি সবচেয়ে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই গল্পগুলো এতোটাই হৃদয় বিদারক যে এসব গল্প খুব বেশীক্ষণ বলার ধৈর্য্য রাখা যায় না। আমি প্রায়শ:ই অস্থির হয়ে উঠি। কিন্তু এই অস্থিরতাও কেন জানি সবসময় মুক্তি দিয়ে চিরদিনের জন্যে বিদায় হয় না। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অস্থিরতা ভর করে। পুরনো অস্থিরতাগুলো তো আছেই। আমি এবং আমার হয়তো এভাবেই বাঁচি। অন্যরা কিভাবে বাঁচে আমি জানিনা।
আমি অবশ্য অনেক কবি সাহিত্যিককে আমার মতোই বাঁচতে দেখেছি কিংবা শুনেছি কিংবা হয়তো আমার মনের মধ্যে এমন ধারণাই বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে কবিরা এভাবেই বাঁচে। ভাবতে ভালো লাগে আমি কবি। তবে গল্প এবং উপন্যাসও লিখি। কিন্তু কবি পরিচয়েই আমি বেশী বিশুদ্ধ। এই পরিচয়ে আমি গর্ববোধ করি। কারণ একটাই। চাইলেই কবি হওয়া যায় না। একজন কবি প্রতিদিন জন্মায় না। তার জন্যে অপেক্ষা করতে হয়।
রাস্তায় বেরোলেই অস্বস্তিগুলো বাড়ে। বদ্ধ ঘরের মধ্যেই বরং ভালো। নাক-চোখ-মুখ বন্ধ করে বেঁচে থাকা। কোনো ভাবনা নেই। কেউ জিজ্ঞেস করবে না। রাস্তায় বের হয়েছো কি মানুষ ধরে নেবে তুমি বেঁচে আছো। আর বেঁচে আছো তো হেরে গেছো। প্রতিদিন সহস্র হার। তোমার নিজের কিংবা তোমার মতো অন্য কারো। সবই হারের খেলা। তাহলে জিতবেটা কে? আমি জানিনা। বিজয়ী কারো সাথে আমার কখনও দেখা হয়নি। আমি পরাজিতের দলে।
আমি প্রেসের ছেলেটির গল্প বলতে চেয়েছিলাম। অবশ্য সময় ফুরিয়ে যায়নি। যেহেতু লেখালেখি করি প্রেসে তো যেতেই হয়। একদিন প্রেসে গিয়ে দেখি একটা নতুন ছেলে কাজ করছে। একদম নতুন। অভাবের তাড়নায় গ্রাম থেকে এসেছে। আর দশজন হতভাগার মতো তারও একটা কষ্টের গল্প আছে। কিন্তু আমার শোনার সময় নাই। তারও বলার সময় নাই। কাজের ভীষণ চাপ।
প্রেসে তার কাজের অভ্যাস নেই। নেই কোন অভিজ্ঞতা। প্রথম দিনেই আহত হয়েছে। কদিন পরে গিয়ে দেখলাম একটা আঙ্গুলই হারিয়ে বসে আছে। দারুন কষ্ট। তবু একটা ময়লা কাপড় পেঁচিয়ে কাজ করছে। হায়রে কপাল। ডাক্তার দেখানোর কথা বললাম। মালিক বললো, পরে দেখালে হবে। কাজ শেষ করে যাবে। আমি চলে এলাম। এভাবে অজস্র হতভাগা প্রতিনিয়ত এক একটা মর্মান্তিক গল্পের জন্ম দিচ্ছে।
আমি অবশ্য অনেক কবি সাহিত্যিককে আমার মতোই বাঁচতে দেখেছি কিংবা শুনেছি কিংবা হয়তো আমার মনের মধ্যে এমন ধারণাই বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে কবিরা এভাবেই বাঁচে। ভাবতে ভালো লাগে আমি কবি। তবে গল্প এবং উপন্যাসও লিখি। কিন্তু কবি পরিচয়েই আমি বেশী বিশুদ্ধ। এই পরিচয়ে আমি গর্ববোধ করি। কারণ একটাই। চাইলেই কবি হওয়া যায় না। একজন কবি প্রতিদিন জন্মায় না। তার জন্যে অপেক্ষা করতে হয়।
রাস্তায় বেরোলেই অস্বস্তিগুলো বাড়ে। বদ্ধ ঘরের মধ্যেই বরং ভালো। নাক-চোখ-মুখ বন্ধ করে বেঁচে থাকা। কোনো ভাবনা নেই। কেউ জিজ্ঞেস করবে না। রাস্তায় বের হয়েছো কি মানুষ ধরে নেবে তুমি বেঁচে আছো। আর বেঁচে আছো তো হেরে গেছো। প্রতিদিন সহস্র হার। তোমার নিজের কিংবা তোমার মতো অন্য কারো। সবই হারের খেলা। তাহলে জিতবেটা কে? আমি জানিনা। বিজয়ী কারো সাথে আমার কখনও দেখা হয়নি। আমি পরাজিতের দলে।
আমি প্রেসের ছেলেটির গল্প বলতে চেয়েছিলাম। অবশ্য সময় ফুরিয়ে যায়নি। যেহেতু লেখালেখি করি প্রেসে তো যেতেই হয়। একদিন প্রেসে গিয়ে দেখি একটা নতুন ছেলে কাজ করছে। একদম নতুন। অভাবের তাড়নায় গ্রাম থেকে এসেছে। আর দশজন হতভাগার মতো তারও একটা কষ্টের গল্প আছে। কিন্তু আমার শোনার সময় নাই। তারও বলার সময় নাই। কাজের ভীষণ চাপ।
প্রেসে তার কাজের অভ্যাস নেই। নেই কোন অভিজ্ঞতা। প্রথম দিনেই আহত হয়েছে। কদিন পরে গিয়ে দেখলাম একটা আঙ্গুলই হারিয়ে বসে আছে। দারুন কষ্ট। তবু একটা ময়লা কাপড় পেঁচিয়ে কাজ করছে। হায়রে কপাল। ডাক্তার দেখানোর কথা বললাম। মালিক বললো, পরে দেখালে হবে। কাজ শেষ করে যাবে। আমি চলে এলাম। এভাবে অজস্র হতভাগা প্রতিনিয়ত এক একটা মর্মান্তিক গল্পের জন্ম দিচ্ছে।
Comments
Post a Comment