Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2023

Fabricare receipt 01 08 2024

১১৯২ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের দ্বিতীয় যুুদ্ধে মোহাম্মদ ঘুরী পৃথ্বিীরাজ চৌহানকে পরাজিত করে Muhammad of Ghor Prithviraj Chauhan Daud Khan Karrani Isa Khan

১১৯২ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের দ্বিতীয় যুুদ্ধে মোহাম্মদ ঘুরী পৃথ্বিীরাজ চৌহানকে পরাজিত করে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের সূচনা করেন। পাশাপাশি বাংলায়ও মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বখতিয়ার খিলজি কর্তৃক ১২০৩ খ্রিস্টাব্দে। সেই থেকে বাংলা কখনও দিল্লীর অধীন আবার কখনও স্বাধীন সুলতান দ্বারা শাসিত হয়েছে। তবে ঘটনায় মোড় আসে যখন ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে শের শাহ তৎকালীন বাংলার রাজধানী গৌড় দখল করেন। নিহত করেন গিয়াস উদ্দীন মাহমুদ শাহ ও তার দুই পুত্রকে। বেঁচে ছিলো তার কন্যা মোমেনা খাতুন। যার গর্ভে জন্মেছিলো বারো ভূঁইয়ার প্রধান ইসা খাঁ। অবশ্য পরবর্তীতে এই মোমেনা খাতুনের স্বামী সোলাইমান খানকেও হত্যা করা হয়। তার পুত্রদ্বয় ইসা খাঁ ও ইসমাইল খাঁকেও বিক্রি করে দেওয়া হয় ক্রীতদাস হিসেবে। শের শাহের অধীন বাংলার প্রথম গভর্ণর ছিলেন খিজির খান। আর শেষ গভর্ণর ছিলেন শাহবাজ খান। এরপর শুরু হলো মুহাম্মদ শাহ ডাইনেস্টির শাসনকাল। প্রথম শাসক মোহাম্মদ খান সুর। আর শেষ শাসক তৃতীয় গিয়াসউদ্দীন বাহাদুর শাহ। ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে তাজ খান কররানী তৃতীয় গিয়াসউদ্দীন বাহাদুর শাহকে পরাজিত করে বাংলা দখল করেন। এই বংশের শেষ শাসক ছিলেন দাউদ খান কররানী যি

মোঘলদের বাংলা অধ্যায়ে ঘটনার ভেতরেও রয়েছে অনেক ঘটনা

  মোঘলদের বাংলা অধ্যায়ে ঘটনার ভেতরেও রয়েছে অনেক ঘটনা। রহস্যের ভেতরে রহস্য। যারা বাংলায় সুবেদার হয়ে এসেছিলো তারা যে অযোগ্য ছিলো একথা কখনও বলবো না। তবে একথা সত্য এদের প্রত্যেকেরই আগমনের পিছনে কোনো না কোনো জটিল কারণ বর্তমান ছিলো। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা ছিলো শাস্তিমূলক পদায়ন। মোঘল বাদশা যখন যার উপর ক্ষিপ্ত হতেন তখনই তাকে বাংলায় বদলি করতেন। জলা-জংলার এই দূর্গম জনপদ ছিলো অনেক কীর্তিমান শাসকের পানিশমেন্ট ট্রান্সফারের জায়গা। এতো গেলো রাজ কর্মচারীদের কথা। আর শাহজাদা হয়েও যারা সুবেদার হয়ে এসেছিলেন তাদেরও অবস্থা অনেকটা ওরকমই। কেন্দ্র থেকে যাতে সিংহাসন জয়ের ষড়যন্ত্র না করতে পারে তাই দূরত্ব তৈরী করার জন্যেই এই এতো দূরে বাংলায় ট্রান্সফার। শাহসুজা থেকে মুহাম্মদ আযম। ঘটনা ঐ একই। সে যাই হোক যারা এসেছিলো তাদের সবার মধ্যে একটা দারুণ মিল ছিলো। আর তা হলো সবাই-ই বাংলাকে ভালোবেসেছিলো। এই বাংলার জল হাওয়া কাদায় এদের অনেকেই খুঁজে পেয়েছিলো তাদের জীবনের সেরা সাফল্য। সুবেদার ইসলাম খান চিশ্তির কথা দিয়েই শুরু করা যাক। তার সময়কাল হলো ১৬০৮ থেকে ১৬১৩ খ্রিস্টাব্দ। এই সময়কালে তিনি সমগ্র বাংলাকে মোঘল শাসনাধীনে নিয়ে আস

MUGHAL IN INDIA NURUDDIN BAKER JANG TIPU SULTAN IMAD UL MULK AHMAD SHAH DURRANI

  আমাদের অনেকেই মনে করেন যেহেতু মোঘলরা ভিনদেশী তাই তারা আমাদেও আপন তো নয়ই বরং পর বা আমাদের ইতিহাসের অংশ নয়। এটা যে কতো বড় একটা নির্বোধের ভাবনা তা বোঝানো মুশকিল। পৃথিবীতে মানব সভ্যতার ইতিহাসই মাইগ্রেশনের ইতিহাস। ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায় এই অঞ্চলে প্রথম যারা এসেছিলো তারা আফ্রিকা থেকে সমুদ্র উপকূল ধরে মিশর আরব হয়ে আরব সাগরের তীর ঘেঁষে ভারতের শেষ সীমানায় এসে পৌঁছায়। তারপর যারা আসে তারা ইউরোপের নি¤œভাগ অর্থাৎ কৃষ্ণসাগর, কাষ্পিয়ান সাগর, আরল সাগর ইত্যাদি অঞ্চল থেকে আগত মানুষ যাদেরকে আমরা আর্য বলি। তারপর যারা তারা হলো শক, হুন, তাতার আর শেষ দিকে এসে যারা এলো তারা হলো আফগান, মোঘল কিংবা ইংরেজ। অবশ্য খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ প্রায় পাঁচশ বছর আগে গ্রীকরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে এসেছিলো মিশর ও এশিয়া মাইনরে আর পরবর্তীতে তাদেরকে স্থানান্তরিত করেছিলো রোমনরা। এসব ইতিহাস তো আমাদের সবারই জানা। মূলতঃ যে কারণে এতো কথা বলা তা হলো সাম্প্রতিক শতাব্দীগুলোর যে ইতিহাস তাতে যাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায় তাদের মধ্যে মোঘলদের ইতিহাসই সবচেয়ে বর্ণাঢ্য। ইতিহাস সাক্ষী দেয় তারা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ।   কখ

রহমাত বানু বেগম RAMNI GAVRU MUGHAL PRINCE MUHAMMAD AZAM MIR JUMLA II

  মীর জুমলার কথা মনে পড়ে। বিখ্যাত মোঘল সুবাদার। ৬৯ বছর বয়সে বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হয়েছিলেন। তখন ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দ। তৎকালীন কোচবিহারের রাজা প্রাণ নারায়ন এবং তৎকালীন অহোম বা বর্তমান আসামের রাজা জয়ধ্বজ সিংহ মোঘলদের আধিপত্য মেনে নিতে গড়িমসি করছিলো। উল্টো রাজা জয়ধ্বজ তো অহোমের পশ্চিমবঙ্গ অর্থাৎ কামরূপ যা তখন মোঘল আধিপত্যে ছিলো তার উপর কর্তৃত্ব দাবী করে বসলো। বৃদ্ধ মীর জুমলা, রক্তে যিনি একজন জেনারেল, নিজে ছুটলেন কোচ বিহারের দিকে আর তার বিশাল বাহিনীকে ছোটালেন অহোমের দিকে। মাত্র একমাসের মধ্যে কোচ বিহারকে বশে এনে রওয়ানা হলেন অহোমের দিকে। গৌহাঁটি দখলে নিয়ে সামনে এগিয়ে করলেন রাজধানী গড়গাঁও দখল। ইতোমধ্যে সেখানে শুরু হয়ে গেলো তুমুল বর্ষাকাল। মোঘল বাহিনী অনেকটা বন্দী দশা কাটাতে লাগলো। আর রাজা জয়ধ্বজ ততক্ষণে আশ্রয় নিয়েছেন জঙ্গলে। যা হোক বর্ষাকাল শেষ হলো। মোঘল বাহিনী তখন চাঙ্গা। রাজা বুঝলেন এ যাত্রা আর রক্ষা নেই। তিনি মীর জুমলার সাথে চুক্তিতে আসলেন। মোঘল হেরেমে দান করলেন রাজার কণ্যা রমনী গাভরুকে। পরবর্তীতে তিনি হলেন আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মুহম্মদ আযম শাহের পতœী। নাম হলো রহমত বানু বেগম।

মোঘল-আসাম সংঘর্ষ MUGHAL AHOM CONFLICT MIR JUMLA II

  মোঘলদের সাথে আসামের সংঘর্ষ চলেছিলো ১৬১৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৬৮২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এই দীর্ঘ সংঘর্ষে উভয় পক্ষেরই ছিলো জয় পরাজয়ের গল্প। যদিও অবশেষে মোঘলদেরই ত্যাগ করতে হয়েছিলো আসাম তবুও আসামের দুর্গম এলাকায় অনেক দুঃখ-কষ্ট-ভোগান্তির মধ্যেও অনেক মোঘল সেনাপতি যেমন কাসিম খান চিশ্তি, দ্বিতীয় মীর জুমলারা যে ইতিহাস রচনা করেছিলো তাও কম সাফল্যের আর গৌরবের নয়। আসামের সাথে মোঘলদের সংঘর্ষ আলোচনা করতে গেলে শুরুতেই একটা ব্যাপার পরিষ্কার করা দরকার। বর্তমানে যা কুচ বিহার তার সাথে আসামের ইতিহাস ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। এই কোচ বিহার যা এখন কুচ বিহার নামে পরিচিত ছিলো তারও ছিলো দুটো ভাগ। একটা কোচ বিহার আর একটা কোচ হাজো।   তিক্ততার সূত্রপাত হয়েছিলো যখন মোঘলরা রাজা নর নারায়নের পুত্র লক্ষী নারায়নকে সমর্থন দান করেন। তখনই কোচ হাজোর রাজা দাবী করা রঘুদেব যিনি চিলা রায়ের পুত্র তার মেয়েকে বিয়ে করেন আসামের রাজা সুখাম্ফা। তারা এই সম্পর্ক আরও গভীর করেন পরবর্তীতে কোচ হাজোর আরেক রাজা পরিক্ষিতের মেয়েকে আসামের আরেক রাজা সুসেংফার সাথে বিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে।   তবে মূল সংঘাত শুরু হয় ১৬১৫ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে। যখন মোঘল সুবাদার কা

আকবর AKBAR THE GREAT AIN I AKBARI AKBARNAMA

ইতিহাস আকবরকে মহামতি খেতাব দিয়েছে। সম্ভবতঃ এটা তার প্রাপ্য। মোঘল সা¤্রাজ্যকে সর্বধর্মের, সর্ববর্ণের, সব ধরনের মানুষের সা¤্রাজ্যে পরিণত করার পেছনে তার যেমন অসামান্য অবদান তেমনি হুমায়ুনের ভীতিকর ব্যর্থতার পর সদ্য পুণরুদ্ধার করা টালমাটাল সা¤্রাজ্যের হাল ধরে তাকে স্থিতিশীল করা যেন তেন চ্যালেঞ্জ ছিলো না। তার উপর আকবরের বয়সটাই বা কতো তখন। ঐ বয়সে তো রাজপুত্ররা শিকার করে বেড়ায়। যা হোক আকবর সব সামলেছেন। ঘর এবং বাহির একই সাথে। বৈরাম খাঁর তত্ত¡াবধানে ছিলেন মাত্র চার বছর। অবশ্য এই সময়টাতেই বৈরাম খাঁ লড়েছিল পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ যা মূলতঃ মোঘল শাসনামলকে স্থায়ী ভিত্তি এনে দিয়েছিলো। আকবরের শাসনামল অর্জন আর কৃতিত্বে পরিপূর্ণ। তার শাসনামলে তাকে কেবলমাত্র দুর্গম বাংলা নিয়ে খানিকটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পরবর্তীতে যা তার সুযোগ্য পুত্র জাহাঙ্গীর আর তার যুগান্তকারী সব সুবাদাররা পুষিয়ে নেন। বারো ভুঁইয়ারা বিশেষ করে ভুঁইয়াকুল শিরোমণি “ঈসা খাঁ” আকবরকে দারুণ ভুগিয়েছিলেন। আকবর যখন পরিণত যুবক তখন তার জীবনে পূর্ণতা আনেন তার সুযোগ্যা স্ত্রী যোধা বাই। আকবর সক্ষম হয়েছিলেন তার সময়কার সেরা প্রতিভাবানদেরকে তার রাজ দরবার

হুমায়ুন HUMAYUN SHER SHAH SURI THE BRITISH IN INDIA

বাবরের প্রাণদানে বেঁচে যাওয়া যুবরাজ হুমায়ুনের দুর্ভাগ্য কখনোই তার পিছু ছাড়েনি। পুরো জীবনটাই গেছে লড়াই সংগ্রামে। ১৫৩০ থেকে ১৫৪০ পর্যন্ত যে সময়কাল তার পুরো সময়টাই গেছে লড়াই যুদ্ধে। আসলে কেউই একথা বলে না যে হুমায়ুনের জন্য চ্যালেঞ্জটা ছিলো একদম তাজা। কারণ আর কিছু নয়। মাত্র বছর চারেক আগে বাবর দিল্লী দখল করলেও আফগানরা তো রাতারাতি ফুরিয়ে যাননি। এরা হলো ৩৪০ বছরের সুলতানী আমলের আফগানরা যারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো পুরো উপমহাদেশ জুড়ে। আর সবচেয়ে বড় কথা তারা তাদের ঘাঁটি হিসেবে বেছে নিয়েছিলো দিল্লী থেকে দূরবর্তী দুর্গম বাংলা, বিহার আর উড়িষ্যাকে। মোঘলদের পক্ষে অতো তাড়াতাড়ি উপমহাদেশের পুরোটা কভার করা সম্ভব হয়নি। আর সেই সুযোগটা নিলেন শের শাহ নামক চতুর আর ধূর্ত একটা লোক। তবে ইতিহাস কিন্তু তার ফলাফল নির্ধারণ করে দিয়েছিলো। আফগানরা নয় পরবর্তী প্রায় তিনশ বছর মোঘলরাই শাসন করেছিলো উপমহাদেশ। বাংলায় মীর জাফর না থাকলে ইংরেজরা যেমন ঘাঁটি করতে পারতো না তেমনি মোঘলদের হারিয়ে যেতে হতো না। মূলত ইংরেজদের এই আগমন মোঘল তথা মুসলমানদের পিছিয়ে দিয়েছিলো সবচেয়ে বেশী। আজও তার ক্ষতি বইতে হচ্ছে।

MUGHAL SUBAHDARS IN BENGAL

 বাবর মাত্র চার বছর পেয়েছিলেন। এর মধ্যেই তিনি ১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে ঘাঘরার যুদ্ধে বাংলার সুলতানকে পরাজিত করে গৌড় দখল করেন। আর হুমায়ুন। তাকে একই সাথে লড়তে হলো শত্রæ আর নিজের দুর্ভাগা নিয়তির সাথে। অবশ্য নিয়তির সাথে কি লড়া যায়। যায় না। হুমায়ুনকে তাই হারতে হলো। হতে হলো দেশ ছাড়া। এটাই তো হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত সেই সাফাভিদদের দেশ ইরান। সেখান থেকে নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে প্রথমে কান্দাহার, তারপর কাবুল, মুলতান, লাহোর, পাঞ্জাব ইত্যাদি অতঃপর দিল্লি।   হুমায়ুন বহাল হলেন ঠিকই, তবে আয়ু তার শেষ। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দুনিয়া থেকে বিদায়। বাংলার কথা ভাববার সময়ই বা কই? তখনও বাংলায় আফগানদের শাসন চলছে। এই আফগানরাও আবার বলতে গেলে অনেকটা স্বাধীনের মতোই। দিল্লীর বৈশ্যতা মানার ধার তারা ধারে না। অতঃপর আকবর বসলেন। তার সামনেও চ্যালেঞ্জ। নাম তার হিমু। বৈরাম খাঁ দাঁড়ালেন কোমর শক্ত করে। আবার লড়াই হলো পানিপথের মাঠে। আকবর জিতলেন বৈরাম খাঁর তরবারীতে। তারপর ধীরে ধীরে ক্ষমতায় নিজেকে স্থির করলেন।   ১৫৭৪ এ প্রথম সুবাদার পাঠালেন খান ই খানান মুনিম খানকে। শুরু হলো বাংলা অভিযান। তারপর একে একে খান জাহান, হাসান কুলি খান, মুজাফফর খান তুরবাতি,

হুমায়ুন Humayun Mughal Emperor

 হুমায়ুনের ক্ষমতায় বসার শুরুতেই প্রধান হুমকিটা ছিলো যে তার পিতা বাবুরের অধীনস্থ আমীর ওমরাহরাই হুমায়ুনের যোগ্য মনে করেছিলো না। তারা বরং বাবুরের দুলাভাই খাজা মাহাদিকে ক্ষমতায় বসাতে রাজী ছিলো। সাবেক এই প্রাধমিক ধাক্কাটা কাটলেও একের পর এক ঝামেলা আসলে লাগলো। তার ভাইদের সমর্থনও তার প্রতি ছিলো না। একমাত্র ভাই খলিল মির্জা তাকে সমর্থন করেছিলো কিন্তু তাকে অকালে নিহত হতে হলো। লাহোর এবং কাবুল আগেই কামরানকে দেওয়া হয়েছিলো। অতএব হুমায়ুনকে দিল্লীতেই টিকে থাকতে হবে। অথচ সেখানে ঝুকি ক্রমশ: বাড়ছিলো। একদিকে বাংলায় শের শাহ সুরী অন্যদিকে গুজরাটে সুলতান বাহাদুর। হুমায়ুন বাংলায় শের শাহকে দমনের জন্য আগালেন বটে তবে তা বাদ দিতে হলো গুজরাট অভিযানের জন্যে। গুজরাট তার নিয়ন্ত্রণে এলো বটে তবে বাংলায় শের শাহ ততদিনে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠলো। অতঃপর হুমায়ুন বাধ্য হলেন বাংলার দিকে অগ্রসর হতে। হুমায়ুনের গুজরাট অভিযানের সুযোগে শের শাহ আগ্রা দখলের জন্য অগ্রসর হলেন। চুনার দূর্গও শের শাহের দখলে চলে এলো। হুমায়ুন গুজরাটকে ফেলে রেখে আগ্রাকে বাঁচাতে চলে আসতে বাধ্য হলেন। আগ্রাকে রক্ষার করা গেলেও শের শাহ বাংলার রাজধানী গৌড় লুট করলো এব

দানিয়াল মির্জা (১১ই সেপ্টেম্বর ১৫৭২ - ১৯ শে মার্চ ১৬০৫)

 The Mughal Emperor Jahangir writes in the Tuzuk-i-Jahangiri: "Daniyal was of pleasing figure, of exceedingly agreeable manners and appearance, he was very fond of elephants and horses. It was impossible for him to hear of anyone as having a good elephant or horse and not take it from him. He was fond of Hindi songs, and would occasionally compose verses with correct idiom in the language of the people of India, which were not bad."   আকবরের তৃতীয় পুত্র। আকবরের প্রিয় পুত্র ছিলেন। এলাহাবাদের গভর্নর হন ১৫৯৭ খ্রিস্টাব্দে। ১৬০১ খ্রিস্টাব্দে দাক্ষিণাত্যের গভর্ণর হন খান্দেস বিজয়ের প্রতিদানস্বরূপ।   কিছুটা কবি প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। লেখালেখি করতেন উর্দু, ফার্সী এবং হিন্দীতে।   খান্দেস এর দ্বিতীয় বুরহান নিজাম শাহকে পরাজিত করেন। এছাড়াও আহমেদ নগরের অবিজীত এলাকার শাসকদ্বয় মালিক আম্বার এবং রাজু ডেকানিকে পরাজিত করেন।   জীবনের প্রথমদিকে কাজ কর্মে কিছুটা অমনযোগী হলেও শ্বশুর কুলিজ খান আন্দিজানির তত্ত¡াবধানে নিজেকে গুছিয়ে নেন। একজন ভালো জেনারেল ছিলেন। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে আকবরের মৃত্যুর মা

আধ ঘন্টা

সময় আধ ঘন্টা পেছানো তোমার ওখানে এই অধ ঘন্টা পরেই মনে হয় তোমার শাড়ী খোলাটাই ছিলো অসাধারণ এক ভুল এই আধ ঘন্টায় আমারও এক কাপ চা হয়ে যায় যেহেতু সিগারেট খাই না তাই এই আধ ঘন্টায় একটা ভ্রমর চষে ফেলে একটা সম্পূর্ণ ফুল তার বেনী করা চুল এলোমেলো দিশেহারা সময় গড়িয়ে যায় আর পিশাচেরা ততক্ষণেই শিরোনাম হয় পত্রিকার পাতায় এই আধ ঘন্টায় একজন রাজনীতিবিদ সম্পূর্ণ বিপরীত সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে করে ফেলে বিয়ে তারপর সংসারী বৈরাগী কবি অথবা আরো কতো কি হতে চায় আধ ঘন্টায় আমাদের মতো করে ভাবে যাদের মণটা তাদের জন্যে মহা মূল্যবান এই সময়ের ভগ্নাংশ আধ ঘন্টা।

আমাদের একজন জাকিলুর ছিলো

তখন এক্সিম ব্যাংকের খুলনা শাখায় ছিলাম। কি দায়িত্বে ছিলাম সেটা বলা জরুরী না। হবে হয়তো ম্যানেজার অথবা অপারেশন ম্যানেজার বা তথাকথিত সেকেন্ড অফিসার। সে যাই হোক জাকিলুর ছেলেটা আমার নজর কাড়লো। সুন্দর প্রশস্ত মুখ, নিষ্পাপ হাসি। কথাবার্তায়ও চমৎকার। সে জানালো তার বাড়ী গোপালগঞ্জে। এটা খুলনার পাশ্ববর্তী একটা জেলা।   ছেলেটা কাজেও বেশ মনোযোগী। কাজ করতো ক্যাশে। তাই বাইরে যে খুব একটা আসতে পারত তাও নয়। ব্যাংকে ক্যাশে কাজ করা ছেলে মেয়েদের মাথা নিচু করে কাজ করতে হয়। শত হোক টাকা পয়সার মামলা। একটু এদিক-ওদিক হলেই পকেট থেকে জরিমানা গুণতে হয়।   জাকিলুরের বউয়ের নাম জাহান বুড়ি। আমার ধারণা জাহান মেয়েটার ভালো নাম। বুড়ি তার আদরের বা ডাক নাম। তবে সব ধারণা যাচাই করা হয় না। কর্মব্যস্ত জীবনে আমাদের অনেক কিছুই জিজ্ঞেস করার সময় সুযোগ কখনোই হয় ওঠে না। বিশেষ করে প্রাইভেট ব্যাংকগুলোতে পাশাপাশি বসে কাজ করা মানুষগুলোর কারোরই দুঃখ কষ্টের খোঁজ নেওয়ার সময় থাকে না।   সময় গড়ায়। আমারও জাকিলুরের সম্পর্কে খুব বেশী কিছু জানা হয় না। তবে একুটু জানি যে একটা মোটর সাইকেলে কওে সে অফিসে আসে।   একদিন অফিসে আসার সময় জাকিলুর তার মোটর সাইকেল

নারী মূলতঃ কোনো কিছুতেই আটকায় না

  “বহুদ্ভ শাহ জাহাঙ্গীর যাফ্ৎ সাদ জেবর বনামে নূরজহাঁ বাদসহে বেগম অর।”   এই লাইন দু’টো কোথায় লেখা থাকতো জানেন? জাহাঙ্গীর, হ্যাঁ, স¤্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে প্রচলিত মুদ্রায় তাদের দু’জনের নাম যেমন অংকিত থাকতো তেমনি লেখা থাকতো এই লাইন দু’টো। একজন তো পেলাম স¤্রাট জাহাঙ্গীর। অন্যজন তাহলে কে? নূরজহাঁ। নূর জাহান।   হ্যাঁ। তিনি স¤্রাজ্ঞী নূর জাহান। স¤্রাট জাহাঙ্গীরের স্ত্রী। কিন্তু কে এই নূর জাহান? কি তার অতীত? ইতিহাস জাহাঙ্গীরের নাম অমর করে রেখেছে। কিন্তু ক’জন জানে শের আফগানের কথা। এই শের আফগান ছিলো নূর জাহানের স্বামী।   নূর জাহানের দিকে জাহাঙ্গীরের নজর পড়ার পরই তিনি হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন তাকে মরতে হবে। কিন্তু সে না হয় তার মনের ভাবনা। তবে নূর জাহানও কি এটা চেয়েছিলো? হয়তো তাই। তাতে তার অনেক লাভ। মোঘল স¤্রাজ্ঞী হওয়ার হাতছানি। অথচ কি-না করেছিলো শের আফগান স্ত্রীকে নিয়ে বেঁচে থাকতে। তবে শেষ তক যা হবার তাই হয়েছিলো। তাকে মরতে হয়েছিলো? কিন্তু কিভাবে?   জাহাঙ্গীর যখন বাঘ শিকারে বের হলেন বাঘকে ঘিরে ফেলার পর প্রস্তাব দিলেন কে একা বাঘকে হত্যা করতে পারবে? অনেকেই রাজী হলো কিন্তু শের আফগান দেখলেন এতে বীরত্ব নাই।

প্রথম ক্রসেড বিজয়ী কিলিজ আরসলানের কথা

আমরা অনেকেই হয়তো জানি মধ্য এশিয়া থেকে একজন যুদ্ধবাজ তুর্কী যার নাম সেলজুক ভাগ্যান্বেষণে তার দলবল নিয়ে রওয়ানা দিয়েছিলেন তৎকালীন পারস্য তথা ইরানের দিকে। পথ চলতে চলতে তিনি চলে আসলেন ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে। তার পুত্রদের মধ্যে দু’জন খুবই অসাধারণ যোদ্ধা। একজন মিকাঈল, অন্যজন আরসলান যার অর্থ “সিংহ”। এই মিকাঈলের দুই পুত্র। একজন তুঘরিল এবং অন্যজন চাঘরি। এই তুঘরিলই গ্রেট সেলজুক সা¤্রাজ্যের সত্যিকারের প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু তিনি ছিলেন নিঃসন্তান। তাই তার মৃত্যুর পর ক্ষমতায় বসে তারই ভাই চাঘরির ছেলে  আলপ আরসলান ইতিহাসে যিনি “ব্যাটল অব মানজিকার্ট” জয়ের জন্যে বিখ্যাত হয়ে আছেন। এ তো গেলো সেলজুক সা¤্রাজ্যেও কথা যা গ্রেট সেলজুক নামে পরিচিত। তাহলে জানতে ইচ্ছে হতেই পারে সেলজুকের যে আর একজন পুত্র যার নাম আরসলান তার কি হলো? যুদ্ধ করতে গিয়ে বেচারা পুত্র কুতলমিশ সহ ধরা পড়লেন গজনীর সুলতান মাহমুদের হাতে। সুলতান মাহমুদ তাদের জেলে পুরে দিলেন। আরসলানের ভাইপো তুঘরিল সুলতান মাহমেিদর সাথে চুক্তি করতে চাইলেন। কিন্তু সফল হলেন না। উল্টো তাদেরকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো কালিঞ্জর দূর্গে যা বর্তমান ভারতে অবস্থিত। এই জেলখানাতেই বন্দী অব