ভালোবাসা কেমন করে হবে! আমি ছুটছি
টর্নেডোর পিছনে। টর্নেডো অনুষরন করে ধোয়া।।
সেঁজুতি এসে বলল- তোমার একটা সুখের খবর আছে।
আমি বললাম- তাই নাকি! সুখের খবর! তাও
আবার আমার। আর মানুষ পেলে না।
কেন! তোমার বুঝি কোন সুখের খবর থাকতে নাই।
না। কখনো এমন হয় নি। অন্তত: বিগত ২৬ বছরে।
২৬ বছর কেন! সংখ্যাটা ২৬ কেন!
আমি ১৯৯০ তে ঢাকায় আসি। আর এখন ২০১৫। ২৬ বছর ই তো, এই শহরে। এ দীর্ঘ সময় আমি শুধুই পরাজিত।
এমনটা ভাবা ঠিক নয়। এই আমার সাথে তোমার পরিচয়। এত বড়লোকের একটা সুন্দরী মেয়ে। এটা কি একটা ছোট খাটো বিজয় নয়।
কিন্তু সম্পর্কের মধ্যে আমি কখনো কোন প্রীতিলতার ছায়া দেখি না। এটা আমার স্বভাব নয়। আমি যা চাই, তা আমি আর্জন করতে চাই
তাহলে তো তুমি তোমার বিপক্ষে বললে।
সেটা কেমন?
নয়তো কি! যারা সংগ্রামী তারা কখনও রিহফ ভঁষষ এ বিশ্বাস করে না। তুমি যে বিজয়ের কথা বলছ তার মধ্যে প্রাপ্তির একটা প্রচন্ড ঈঙ্গিত আছে। এটা তোমার চিন্তা ধারার সাথে যায় না।
সামান্য অভিমান বলতে পারো। আমি আসলে প্রাপ্তির কথা বলছি না। সামান্য ফেবার আারকি? সবাই যা না চাইতেও পায়।
অন্যদের সর্ম্পকে তুমি কতটুকুই বা জানো।
হতে পারে। অসম্ভব কিছু না। আমি আর কতটুকুই বা জানি।
আসলে তোমারও অনেক বিষয় ছিলো। তুমি সেগুলোকে কখনো বড় করে দেখোনি। পার্থক্য এইটুকু যা।
মন্দ বলোনি। আসলে তোমার সাথে পরিচয়ের আগে আমি অনেক কিছুকেই তোমার মতো করে ভেবে দেখিনি।
এখও তুমি আমার মতো করে ভাবো না। এটা সম্ভব নয়। আমি প্রত্যেককে নিজের মতো করে ভাবি। আমি শুধু তোমাকে কিছুটা প্রভাবিত করার চেষ্টা করছি মাত্র। এটা সাময়িক। রৈাদ্রের উত্তাপে ক্ষণিকের জন্য উত্তপ্ত হওয়া মাত্র। সরে গেলেই স্বাভাবিক। ঠিক আগের মতোই।
তুমি মন্দ বলোনি। তুমি সরে গেলেই আমার হতাশা গুলো আমাকে ঘিরে ধরে। মনে হয় আমিই জগতের সবচেয়ে নি:ষ্ঠুর মানুষ। আমি আসলে আমার মতোই।
এটাই স্বাভাবিক। আমি চাইলেও আমার স্টাম্প তোমার উপর বসাতে পারব না। প্রত্যেকটি মানুষের একটা নিজেস্ব ব্যাকারন থাকে। তুমিও এর বাইরের কিছু নও। কাউকে বদলানো যায় না, আমি এখন চলে যাবো। আমার কিছু কাজ আছে।
আমি কি তোমার সাথে আসবো? আমার কাজগুলো আমাকে আমার মতো করে করতে দাও। তোমাকে আমি অন্য সময়ে ডাকবো।
আচ্ছা। ঠিক আছে।
হটাৎ করে ফোন বেজে ওঠে। ফোনের আওয়াজ বরাবরই আমার কাছে বিরক্তিকর।
Comments
Post a Comment