Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

তোমার নাম দিলাম প্রীতিলতা


আজকাল সংগ্রামী মেয়েদের একদম দেখাই যায় না। যাবেই বা কেমন করে। অর্থনীতির সূচক এগিয়েছে। বেড়েছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা । মধ্যম আয়ের একটা দেশের  মানুষের জীবন যাত্রায় যে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে তাতে বেশীর ভাগ মানুষই আপাতঃ স্বচ্ছলতা ভোগ করছে। অর্থের সূচক সাধারণ মানুষের জীবনের গতিধারায় যে পরিবর্তন এনেছে তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার তেমন কোন সুযোগ নেই। সমস্যা আসলে অন্যত্র। এই পরিবর্তন মূলতঃ আমাদের আগামীর জন্যে আশাবাদী না করে বর্তমানের জন্যে ভীষন ভোগবাদী করে তুলেছে। ফাষ্ট ফুডের দোকানে গোগ্রাসে গলাধকরণ ছেলেমেয়েদের ধ্যানজ্ঞান হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতির পরিণতি যে কতোটা ভয়াবহ হতে পারে তা আইনস্টাইন অনেক আগেই বলে গিয়েছিলেন। We are going to get a generation of idiots. কথাটা ফলতে শুরু করেছে এরই মধ্যে। সংগ্রামী মেয়ের আবার কোথায় দেখায় পাওয়া যাবে । এটা এখন রাতারাতি দুর্লভ ।

তবুও এই গল্প বলতে হচ্ছে। কারন সব কালে, সব যুগে, সব দেশে ব্যতিক্রম সব সময়ই ছিলো । তবে তা কম আর বেশী এই যা। পথ চলতে চলতে অবশেষে তার দেখা পেলাম । গরংং গধষরহধ. দিন রাত নাক চোখ বন্ধ করে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বপ্ন একটাই । ঘুরে দাঁড়াবেন। স্বপ্ন দেখা দোষের নয়। গরংং গধষরহধ-ও দেখতে পারেন। তাকে কেউ মানাও করেনি। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। কোন কিছুই যেন তাকে ঝঁরঃ করছে না। তার সময় যেন কিছুতেই ফিরছে না। একটার পর একটা বিপত্তি তাকে বেসামাল করে তুলছে প্রতিদিন। কিন্তু গরংং গধষরহধ একটুও হতাশ নয় । তাকে এগিয়ে যেতে হবে। জড়নবৎঃ ঋৎড়ংঃ বলেছেন- গরষবং ঃড় মড় নবভড়ৎব ও ংষববঢ়. কিন্তু জটিলতা বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত ।

তার মা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন কিছুদিন হলো । সত্তরোর্ধ্ব বুড়ো বাপের শরীরটাও ইদানিং যথারীতি ভালো যাচ্ছে না। বড় বোনটার  বিয়ে হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। তার অবস্থা সামান্য ভালো । সে-ই শহরতলীতে ছোট একটা জায়গা কিনে একটা টিনের ঘর তুলে দিয়েছে । এখন গরংং গধষরহধ তার অসুস্থ বুড়ো বাপকে নিয়ে থাকেন। একমাত্র ভাইটা শহরে  থাকে । দিন মজুরী করে পেট চালায় । লেখাপড়া  তেমন কিছু শেখেনি। শহরতলীতে ভদ্রলোকের বসবাস খুবই কম। যত সব আগাছায় ভরা । এই এলাকাটাও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানে নাক চোখ বন্ধ করে পথ চলতে হয়। ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে বসে থাকতে হয়। তাতেও রেহাই নেই। গরংং গধষরহধ র পদে পদে বাধা । এলাকার বখাটেদের নজর তার দিকে । তার যে এখনও বিয়ে হয়নি। শত হোক মাস্টার্স পাস মেয়ে ।

গরংং গধষরহধ – র একটা চাকরি হয়ে গেল। চাকরিটা মন্দ না। সময়ের তুলনায় ভালোই বলতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা এ এলাকায় এ রকম লোকের সংখ্যাও নেই বললেই চলে। গরংং গধষরহধ এখন এই পতিত এলাকার নজর কাড়াদের মধ্যে একজন। উৎপাত বেড়েই চলেছে।

গরংং গধষরহধ তবুও নির্বিকার। কারন আর কিছুই নয়। এখানে তার কোন গধঃপযরহম নাই। অবশেষে গধঃপযরহম পাওয়া গেল। তার মতোই সমমনা সমপেশারই একজন । ছেলেটিকে ভদ্রই বলতে হবে। সব মিলিয়ে মন্দ নয়।  গরংং গধষরহধ কে সুখীই বলতে হবে। যদিও প্রতিটি সুখের মধ্যেও অসংখ্য বেদনা লুকিয়ে থাকে। গরংং গধষরহধ র কাছে সবকিছুই মন্দের ভালো।

বিয়ে গরংং গধষরহধ - র জীবনে তেমন কোন পরিবর্তন  আনেনি। সবেেচয় বড় কথা তার নবঃঃবৎ যধষভ কে চাকরির সুবাধে তার কাছ থেকে আপাততঃ দূরেই থাকতে হচ্ছে। তবে মনে মনে ইচ্ছে গুছিয়ে নিয়ে কাছে চলে আসার। ইচ্ছেটা মন্দ নয়। একত্রে থাকা। একটু ভালো থাকা। একটু ভালোবাসা। খুব বেশী না হোক সামান্য হলেও ভালোলাগা।

গরংং গধষরহধ বিধ্বস্ত হলেও এলোমেলো না। তাকে অনেকগুলো চৎড়নষবস ভরী করতে হবে। তার বিশ্বাস সে পারবে। যদিও ব্যাপারটা কঠিন। আর মাঝে মাঝে তা তার কাছে কঠিনতর মনে হয়। তবুও সে আশাবাদী । ধৈর্য্যরে ফল দেরীতে হলেও ফলে।  গরংং গধষরহধ নিজেকে বুঝ দেয় । ইবঃঃবৎ ষধঃব ঃযধহ হবাবৎ. না হয় একটু দেরী হোক। কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্রী সে না।

সবচেয়ে  বড়ো কথা একটা সুন্দর জীবনের জন্যে সে বেঁচে আছে। তার স্বপ্নের কাছে তাকে পৌঁছাতে হবে। গরংং গধষরহধ- র কাছে কুপ্রস্তাবের ছড়াছড়ি। সে বিবাহিত জেনেও যে কেউ ড়ভভবৎ দিচ্ছে। কিন্তু সব কিছু মুখ বুঝে মেনে নি্েচ্ছ সে। ঝিনুক নীরবে সহো।

সবকিছুর পরও তার কাছে মনে হচ্ছে একটা ছেলে খুব বাড়াবাড়ি করছে। যখন তখন সামনা সামনি এসে দাঁড়ায়। শালীন অশালীন মিলিয়ে যা কিছু বলে তার সারমর্ম একটাই । তোমার শরীরটা চাই। এই নিদানের দিনে তুমিই অমূল্য। গরংং গধষরহধ সবকিছু বোঝে। হাজার সমস্যা। তবুও বিকৃতির ভেতরেই যাদের আনন্দ তাদের কাছে তেতো মদও অমৃত। এভাবেই পৃথিবী তার ভারসাম্য রক্ষা করছে।

গরংং গধষরহধ র মনটা দিনে দিনে কেন জানি অস্থির হয়ে উঠছে। দূরে কোথাও চলে যেতে পারলেই ভালো হতো । কিন্তু বদলির ব্যাপারটাও তার কাছে কেন জানি কঠিন ঠেকছে। কেউই তার ব্যাপারটা সিরিয়াসলি নিচ্ছেনা। গরংং গধষরহধ ভেতরে ভেতরে কিছুটা হতাশ। কিন্তু তবুও সে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তার কাছে চেষ্টার বিকল্প নাই।

দিনগুলো ক্রমশঃ খারাপের দিকে এগুচ্ছে। কিছু কিছু মানুষের জীবনটাই এমন। সবকিছু ক্রমশঃ উল্টো দিকে প্রবাহিত হয়। অন্যেরা যা না চাইতেই পায় তাদের তার জন্যেই সংগ্রাম করতে হয়। এই যেমন ধরুন আমরা কেউ কেউ জন্মেছিই স্বাধীন দেশে । আর অনেককেই এই দেশটিকে পেতে পুরো জীবনটাই ঝঃৎঁমমষব  করতে হয়েছে। তারপরও তারা স্বাধীনতা দেখে যেতে পারেননি। কি করুন! কি দুর্বিসহ! একবার ভাবুনতো।

ভাববার আকাঙ্খাটুকুও গরংং গধষরহধ - র নেই। অফিসের হাড়ভাঙ্গা খাঁটুনীর পর ঘরে ফিরে সব ঝামেলা। অসুস্থ বুড়ো বাপের পরিচর্যা । গরংং গধষরহধ  তার আজন্ম রুগ্ন শরীর নিয়ে তবুও ক্লান্তিহীন। সবচেয়ে বড় কথা নিয়তিকে সে মেনে নিয়েছে। তাই সে আরও অভিযোগহীন, নিরুত্তর।

গরংং গধষরহধ উপর দিয়ে একটার পর একটা ধকল যাচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে হঠাৎ করেই বখাটে ছেলেটা সামনে এসে হাজির। বরাবরের মতো সেই আচরণ। গরংং গধষরহধ-র মাথা নষ্ট হয়ে যায়। সে একটু বাড়াবাড়িই করে ফেলে। পুরো ব্যাপারটা ছেলেটি ভালোভাবে নিতে পারেনি। তা তার মুখ দেখেই গরংং গধষরহধ বুঝতে পারে। কিন্তু তার আর কিইবা করার আছে। একটা জীবনে একজন মানুষ কতটা সহ্য করতে পারে। গরংং  গধষরহধ এখন নিঃস্ব।

দেখতে দেখতে ঈদুল ফিতর এসে পড়ে। গরংং গধষরহধ  তাদের বাসাটা খালি রেখে কোন এক আত্মীয়ের বাসায় একটা রাত্রের জন্যে বেড়াতে যায়। আর সেই রাতেই তাদের বাসায় চুরি হয়ে যায়। গরংং গধষরহধ  বুঝতে পারে ঘটনার নেপথ্যে কারা। সে ইচ্ছে করলে পুলিশকে জানাতে পারে। কিন্তু সে জানে এতে কোন লাভ হবে না। এসব অপরাধীরা বরাবরই ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

সময় গড়িয়ে যায়। গরংং গধষরহধ জীবন বরাবরের মতোই ম্লান আর ফিকে। সমস্যা জর্জরিত জীবনে আর কিভাবেই বা চলবে।  সে এখন একটা বারোমাস কর্দমাক্ত পানির স্রোত নিয়ে বয়ে চলা নদী।

সপ্তাহের শেষ দিন অফিস শেষ করে গরংং গধষরহধ বাসায় ফেরে। মনটা আজ ভীষন খারাপ। সামনে ঈদুল আযহা। কিন্তু তার মনে কোন আনন্দ নেই। মুসলমানদের বৎসরে তিনটি ধর্মীয় উসবের দিন। তার মধ্যে ইদুল আযহা একটি। চারিদিকে কিছুটা উৎসবের আমেজ। কিন্তু তার জীবন বরাবরে মতোই নিস্প্রভ । গরংং গধষরহধ-র মনে বহুমূখী চিন্তার জটিল জাল। সেই জাল তার অস্তিত্ত্বকে আপাদমস্তক ছড়িয়ে রেখেছে।

রাত বাড়তে থাকে। হঠাৎ কিছু লোক ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে। তার মধ্যে সেদিনের সেই ছেলেটিও আছে। তারা গরংং গধষরহধ-র বুড়ো বাপকে আঘাত করতে শুরু করে। গরংং গধষরহধ ছুটে গিয়ে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারা গরংং গধষরহধ কে হাতে নাতে ধরে ফেলে। দুর্বৃত্তদের আঘাতে গরংং গধষরহধ -র বুড়ো বাপ তার চোখের সামনেই ঢলে পড়ে। তার পর শুরু হয় গরংং গধষরহধ -র উপর শারীরিক নির্যাতন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে গরংং গধষরহধ পৃথিবী ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমায়।

তার শেষ যাত্রা এতোটা অনাড়ম্বর হবে এই কথা সে কখনও চিন্তাও করেনি। 

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে