পথ চেনা নাই
তবুও হাঁটছি, যদিও পথ চেনা নাই।
সে এসে হাত ধরে বললো
চলে এসো, ভয় নেই, সামনেই খোলা মাঠ
তারপর সদর রাস্তা
আমার উপরে রাখো পূর্ণ আস্থা;
কি যে করি বলো, এমন মায়া
হাত ধরি, পথ চলি
গভীর জঙ্গল, মাঠ কই!
অন্ধকারে গা ছমছম
কোথায় টমটম;
না, না, কিছু একটা ভুল হয়ে গেছে হয়তো
পথ চেনা নাই
এখন বলছো, আগে বলোনি কেন?
আমার তাহলে কি হবে
যদি শুরুতেই হেরে যাই।
সে এসে বলে গেলো
জঘন্য! এসব কি!
এই বয়সে প্রেম
তুমি নাকি পত্র লেখ
কবিতায় খাতায়
আমি কিন্তু আপত্তি দিলেম;
না, না, তা হবে কেন!
এ কেমন কথা
কবিতার দোষ হবে কেন
এসব তোমারই কথা
তোমাকেই আমি জানালেম।
সারারাত স্বপ্নের ভেতর
সারারাত ঘুরিফিরি স্বপ্নের ভেতর
কাছে এসে কথা বলে
মিল্টন, বায়রন, মার্ভেল
সবারই দেখি শুধু ব্যাথার পাহাড়
আমাকেই মনে হয় অসহায়
অতো ব্যাথা আমার তো নেই
তবে কি আশা নেই কবি হওয়ার
না না হবে না কেন রবিকেই দেখ
জানালার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো
তাঁর পা ছুলেই তো ভোর হয়ে যায়
তোমার কি দোষ বলো
লেগে থাকো হয়ে যাবে
চেনা কবি অচেনা খাতায়।
এটা তবে কি
পাশ নয় ফেলও নয়
এটা তবে কি
বললো জিতে গেছি
পাশ ফেল কেন
ওসব বাদ দাও
পুরনো ধারণা
এসো একটা ছবি আঁকি
আমি বলি
রং কই, কাগজ, ইজেল
লাগবে না; আধুনিক ছবি
কল্পনায় আঁকো
আমার স্বপ্নের ভেতর
তোমার স্বপ্ন
গুলিয়ে ফেলো না কিন্তু
তুমি না কবি, নীরব থাকো।
মেধাস্বত্ব
কিনে নিলাম
দাম দেবো! কেন?
এটা কি পেটেন্ট করা তোমার বাপের
হতাশ করলে ছেলে, এ যুগে দাপট সাপের
আমার কাছে আছে বিষ
নেবেন, দারুন সস্তা, মূল্যহীন
আরও ভালো, আমি দেব ডাবল বোনাস
এক ডোজে দুই ডোজ, কিসের অভাব
না না ছেলে লাগবে না
কেন চাচা, এতো সস্তা তবু অনীহা
আহা! কি যে বলো
অনীহা হবে কেন
পাশের বাড়ি দেখ
প্রতিবেশীর লাগতে পারে
খানিকটা ঘুরে আবার
আমাকে অধিক দিতে পারবে
কোথায়, মাঠে না স্কুলে ?
মেধাস্বস্ত! দেখ কি সব কথা বলে!
আসলে কেউ নেই
সে বলে আমি শুনি আমি বলি শোনার কেউ নেই
আরে ভাই ছায়ার কাছে কথা বলে কি লাভ
কথা শুনে চমকে উঠি
এটাও যে ছায়া
আহা! আজ ছায়ারাই শুধু
শুধু যে তোমারই অভাব
তুমি কি আসলেই ছিলে
নাকি ভুল কোন ধারণার ভেতর
তোমার অস্তিত্ব বারবার
ঘুরে ফিরে আসে
আলোর ভেতর আলো
মায়াময় হরিনের ছায়া
সবকিছু স্থির থাকে তুচ্ছ এক নারীর ভেতর
আসলে কেউ নেই
আমি শুধু অর্থহীন হারি, বেদনায়
হয়তো ভুল করে ধরে ফেলি রূপালী পাহাড়।
একটা কবিতাই যথেষ্ট
যদি তুমি হাত দিয়ে লেখো
একটা কবিতাই যথেষ্ট
আমি নিজেই নিজেকে ঠকিয়েছি
তোমাকে ফিরিয়ে দিয়ে
প্রচীন গুহা থেকে আধুনিক প্রাসাদে
তোমাকে খুঁজেছি কত না অনাহুত হয়ে
আলোর ঝলক দেখে বলে উঠি, এইতো তুমি
অন্ধকারে ভুলে করে বলেছি, এটাই আমি
অবশেষে সাগরের ধারে, ঢেউয়ের কোলে
তোমাকেই খুঁজি যেন ফেনিল ফেনায়
দুগ্ধ ফেননিভ বাতিঘর আজ
কাজের ভারে যদি পর হয়ে যায়
আমাকে ক্ষমা করো
ফিরে আসো তুমি কিংবা তোমারই মতন
একটা কবিতাই যথেষ্ট যদি তুমি হাত দিয়ে লেখো
সত্যি বলছি, ঠেকাতে পতন।
বারান্দায় রাখা ক্যাকটাস
লোহার খাঁচায় রাখি কাকের ভয়ে
এতো কাঁটা শরীরে
তবুও যথেষ্ট নয় সে নিজেকে বাঁচাতে
হায়রে জীবন!
এতো ব্যর্থতা দেখি এর চারপাশে।
সফল পড়শীরাও একদিন উদ্ধাস্তু হয়ে যায়
কোথায় যে পাপ ছিলো কেউ জানে না
রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা ঠিকানাহীন কুকুর
সামান্য নড়ে চড়ে আবার বসে পড়ে
তার স্বপ্ন এখনও অনাগত দিনে।
আমি যেন একা একা বসে
ভাবনার ধুলো মাখা চাদর
সামান্য উল্টে দেখি পুরনো সময়
আমিও ক্যাকটাস এক ঘরের ভেতর
পলাতক আসামী যেন দারুন অসহায়।
পরীর শরীর
তোমাকে পাওয়ার জন্যে
শহরের রাস্তায় রাস্তায় হেঁটে হেঁটে
অবশেষে ক্লান্ত শরীর;
আমাকে ডাক দাও
স্বপ্নের ভিতর; বিব্রত আমি
এটা কি পরীর শরীর
কপালে হাত রাখ
পুরে যাওয়া জ্বরের ভেতর
আহা! কত শীতলতা।
তোমার হাত যেন নীরারই হাত
তুমি তো সুনীলের ছিলে
কেন হলে আমার মিতা।
প্রেম নেই নীরবতাটুকুই দাও
সারাটা জীবন দুহাতে মুখ চেপে কেঁদেছি
সংসার বড়ো বেশী ভালো লেগে গেছে
ছোট্র একটা আলপিনকে বাঁচাতে
তোমাকে হত্যা করেছি
কতো শতো বিমূর্ত রাতে
তুমি বলে কথা, ক্ষমা করো বার বার
তাতেই বেড়ে যায় ধৃষ্ঠতা
খালি হাত দেই
তুলে দাও দীপালির আলো
তোমার তবুও যেন কত সচেতনতা
শুধু তোমার বেলায়
তুমি যে ভালো বাসে তাই
নিতে পারি হাত ভরে
দিতে গেলে বাজে
সেই তুমি বলো
প্রেম নয় নীরবতাটুকুুই দাও
আমিও অমর হবো
প্রেমহীন সকাল আর সাঁঝে।
বিষ কবিতা
গাছ রুয়েছি
ঘরের কোণে
নীল রঙ্গের
বিষ কবিতার
গাছ
তোরই জন্যে
অভিশাপ
এক জনমে
হাজার বছর
বাঁচ।
এসে চলে গেছে
প্রচন্ড অভিমানী একজন
তাই শুধু এসেই চলে গেছে
বলে গেছে, ভুল সবই ভুল
আমার জীবনে যা আছে
আবাক কান্ড তো, আমি কি পাথর
যার নেই কোন উচ্চারণ
কথা যে বলে ভুল তো তারই হয়
হোক না তা যতোই অসাধারণ
বোঝাতে চাই বার বার
চলে এসো সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে
সে বলে -সম্ভব নয়
একা একা বাঁচো । আমাকে কল্পনায় পাবে।
কাছো এসো না
ভীষণ ভূতুড়ে সন্ধ্যায়
কাছে এসো না
এ নগর আজ অন্নহীন বস্ত্রহীন।
মানুষের ক্রন্দনে ভারী
কিছুই পারি না যখন
তোমাকে প্রতিপক্ষ করে
ভালবাসার সাথে দিলাম আড়ি
যুক্তিহীন! তুমি বলছো
এভাবে বলতো পারো
আমি প্রচীন বট
এখনও বেঁছে আছি অর্থহীন
এতো বড়ো কথা
হায় সত্যিই তো
তোমার কি দোষ
আমার জীবন আজ মৃত্যুতে গাঁথা।
আমাকে হেয় করো
আমাকে হেয় করো মেধায় মননে
আধুনিক কথার ঝাঁজে
তুচ্ছ করো পন্ডিতের কেশ
তোমরাই রাজত্ব করো, আমি কিছু বলবো না
নির্বোধের সময় কাটছে তো বেশ
যে আছে দাঁড়িয়ে সেও হতবাক
যুক্তির বিচারে তার পরাজিত শব
যারা তার মখোমুখি তারাও অবাক
কার জন্যে এতো কলরব
অর্থহীন এইসব মিথ্যা আয়োজন
সবাই জানে, ভালবাসার বাইবেল
থেকে আজ কোন মুক্তি নেই
কোষাগার খালি করে নিয়ে গেছে
পন্ডিতের দল, শহরের বাবু
ধূর্ত ইঁদুর বলে এতো খালি গোলা সেই।
সাদার উপরে সাদা
আচ্ছা হেয়ালি তো
এ তো সাদার উপরেও সাদা
তুমি কেমন শিল্পী বলো
রাধার প্রেমিক দেখি কৃষ্ণ নয়
আস্ত একটা রাধা
ও তুমি বুঝবে না সেকালের ভাষা ছেড়ে
আধুনিক হও যদি কথা কও
তোমাকে বলা হবে নির্বোধ
বদনাম কেন নিতে চাও
তার চেয়ে বরং
একটু চালাক হও
চোখের ভেতর রেখে পান্ডিত্যের ঘোড়া
ঠোঁটের কোনায় রাখ রহস্যের নিঃশব্দ হাসি
ফাঁসির দড়ি দেখে বলে ওঠো
অপূর্ব, বিস্ময়কর, দারুন
হাত তালি শুনে বলো
না না অনেক হয়েছে
এই শিল্প আমি ভালবাসি।
আমাকে আহত করো
আমাকে কেউ অন্ততঃ আহত করো
তবু পৃথিবী বলবে আমি দুঃখি
আমার অন্ততঃ একটা পরিচয় হবে
এতো বড় পৃথিবীতে আমার কোন পরিচয় নেই
লেনিন বিল্পবী হলো, চে হলো আগুন
বলিভার চলে গেলো সীমানা পেরিয়ে
মহাত্মা গান্ধীর তবু অন্ততঃ একটা বুলেট জুটেছিল
বঙ্গবন্ধু রেখে গেলো একটা পুরো দেশ
কত জন কত কিছু নিয়ে
অবলীলায় খেলা করে যাদুকর সেজে
আমি শুধু একা বসে বসে একাকী বারান্দায়
সন্ধ্যার অন্ধকারে প্রতিদিনই পরাজিত
সৈনিকের মতো গোঙ্গানীতেই সার
আমাকে অন্ততঃ কেউ আহত করো
আজ দেখি তীব্র দহন ছাড়া
জীবন অসাড়।
একজন গবেষক
আজও সে আবার ফোন করেছিল
ভীষন ভালো মানুষ মনে হয়
তবুও কোথায় যেন ভেতরে ভেতরে
হেরে যাই আমি
শোলাগুলোও তুলতে গেলে ভীষন ভারী মনে হয়
পাথরের কথা না হয় বাদই দিলাম
রাতভর ভেবে ভেবে ক্লান্ত
চেষ্টার অন্ত নেই
একটা ছোট পথ অন্ততঃ তৈরী হোক
মহাসড়কে যাওয়ার
আমি না হয় নাই বা গেলাম অন্যরা যাবে
আমাকে তার চমৎকার কণ্ঠ
বারবার ইচ্ছেগুলো পাঁঠিয়ে দেয়
তারের বার্তায়
কোথাও বাগান নেই
হাতের ফুলগুলো কোথায় রাখবো
এভাবে কি আগলে রাখা যায়।
পুল পেরোলেই নীরবতা
প্রতিদিন সন্ধ্যা নামে
সবাই বলে এক অপরকে
চলো ওঠা যাক, আর কতো
আমিও বলি চলো উঠি
শহরের রাস্তায় নিয়ন বাতি
ক্রমশঃ ক্লান্ত যেন নিজস্ব ভঙ্গিতে
আমাদের ওঠার সময় তবু হতে চায় না
তারপরও আলো আছে
না গেলেই নয়
কিছুটা পথ হেঁটে ঘরের দিকে
পুল পেরোলেই নীরবতা
তুমি হাত বাড়িয়ে আছো
আরো একটা ঘর যেন ঘরের ভেতর
ভালবাসার সাজানো ট্রে
ক”ি কচি হাসিমুখ
বাইরে রাত্রি নামে গভীর গাঢ়
ঘরের ভেতর যেন এই মাত্র সন্ধ্যা হলো।
যাদের যাওয়ার কথা ছিলো
যাদের যাওয়ার কথা ছিলো
তারা কেউ যায়নি
হতভাগা কিছু লোক এসে বললো
তারাই যাবে
অগত্যা কি আর করার
একেবারে বাদ যাওয়ার চাইতে ভালো
অবশেষে তারাই গেলো
দূরে সকালে মাঠ ঘাঠ মরুভূমি
সব পেরিয়ে কিছু লোক
হঠাৎ হয়ে গেলো আগন্তুক অচেনা জনপদে
এভাবে সীমানা ছাড়িয়ে
দেশ কাল পাত্র
সব ভেদাভেদ ভুলে
আমাদের পূর্ব পুরুষেরাও হয়তো
একদিন এসেছিলো এই জনপদে।
প্রেম বলে কথা
সবাই বকবক করছে এখানে
বিবাহ বার্ষিকী তো তাই
ওহ! প্রেম বলে কথা
তাই বলে এতোটা, এতো মাখামাখি
আসলে কি এতোটা ভালবাসি আমরা আমারদের
তবে চারিদিকে এতো ঘৃনার ধোয়া কিসের
যারা ঘরে ভালো তারা বাইরেও
এই ভাবে পুরো পৃথিবী
তুমি আমি আমরা
আামাদের সন্তানদের নিয়েই এই পুরো পৃথিবী
এসো আগে ভালোবাসা শিখি
তারপর বকবক ভালোবাসা নিয়ে।
হাত ধরো, সাগরে নামবো
সমস্ত শরীরে ধুলো ময়লা
ধুয়ে মুছে সাফ হতে হবো
হাত ধরো সাগরে নামবো
অতো দূর থেকে এসেছি
খালি হাতে ফিরে যেতে চাই না
অন্ততঃ একটা স্মৃতি সাথে নিয়ে ফিরি
তুমি বসে বসে কি ভাবছো
আমি তো এখনও আগের মতোই আছি
সাবলীল, স্বাচ্ছন্দ্য, আধুনিকতায় মোড়ানো প্রচীন মানুষ
না হয় কিছুটা বয়স হয়েছে
চোখের নিচে জমেছে ক্লান্তির কালি
সমস্ত অবয়ব কিছুটা হলেও মলিন
তবু আশাবাদী জ্যোৎস্নার প্লাবনে
হাত ধরো। সাগরে নামবো
এখনও সব কিছু ফুরিয়ে যায়নি।
তুমি বললে
তুমি বললে পাথর হবো
সারি সারি দেবদারু
তরু, লতা, ফুল, ফল
সব হতে পারি
মানুষের জন্ম যে আমার
কাঠ বিড়ালী না হয় নাই বা হলাম
তোমার তাতে ভয়
হঠাৎ হঠাৎ দৌঁড়ে আসে
কি দরকার আতংকের মাঝে
ছড়িয়ে দেয়া ক্ষয়
অক্ষয় অব্যয় যদি হতে পারি
জ্যোৎস্নার মলিন রঙ, ধূলো মাখা সূর্য
কিংবা হাত গোটানো পেঙ্গুইনের মতো
কষ্ট যতো নিয়ে নেবো
পাথর হবো ইচ্ছে হলেই
তুমি বললেই কাঁদবো অবিরত।
কবিতার ক্লাস
আজ কবিতার ক্লাসে
একজনই ছাত্রী
আমি বসে আছি একা
স্ত্রীর মতো অনুগত আর কউ নেই
পুরো সংসারটাই একটা ভাঙাচোরা কাব্য যেন
তোমার হাতে সাজানো
বাংঙ্গালী কবি আমি
হেরে যাবো, তবু মচকাবো না
আজ কবিতার ক্লাসে
একজনই ছাত্রী
শুধু তুমি বসে আছ একা একা
আমি যেন ভুলে বসে আছি
কি যেন পড়ানোর কথা ছিল দিন রাত্রি।
অভাব
ফেরাতে পারোনি বলে
চলে গেলে, এটা কোন কথা হলো
এ কেমন সিন্ধান্ত তোমার
আমাকে দিলে অভিশাপ
আমিও বা কম কিসে
মেনে নিলাম, পিছু পিছু যাইনি
তোমাকে থামাতে একাবারও
গেলেই হয়তো হতো
ভেবেছি আমার কিসের অভাব
অভাব তো আছেই
শূন্য ঘর, তুমি ছাড়া সব আছে
নিঃস্ব সাগর, কীর্তিনাশার একুল ওকুল
দিন-রাত দারুণ প্রলাপ।
নাম রেখেছি আনন্দ লতা
হাত ধর, কি লাভ
এসো পাশাপাশি বসি।
ঝিলের জলে নগরের প্রতিবিম্ব
দালানগুলো সব একা একা দাঁড়িয়ে।
ইট, কাঠ পাথর যদি একা একা দাঁড়াতে পারে
আমাদের কি লাভ ভালোবেসে হাত ধরাধরি করে।
একটু বিজ্ঞান মনস্ক হও এই আধুনিক যুগে
তুমি দেখছি এখনো সেকেলেই রয়ে গেলে।
ইরানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চলছে।
মুসলমানদের বাঁচাতে আজ পারমাণবিক বোমার বড়ই প্রয়োজন।
পৃথিবী বাঁচতে চায় বিজ্ঞানের উপর ভর করে।
তুমি ডুবে আছো ভালোবাসায়, এভাবে হয় না, হবেও না।
একটু স্বধীন হতে চেষ্টা কর।
শহরের দালানগুলোর মত একাকী নিঃসঙ্গ নিজের পায়ে।
প্রাচীন যুগ পেরিয়ে এসেছি সেই কবে।
তারপর মধ্যযুগ পেরিয়ে এখন বিংশ শতাব্দিতে।
মানুষ যখন আর পাথর ঘষে আগুন জালায় না।
জলের উপর ফু দিলেই আগুন জ্বলে।
তবু তুমি আমি সেই প্রচীন
ভুল করে কবিতার খাতায় লেখ
নাম রেখেছি আনন্দ লতা।
কিছু প্রেম বেদনায় বাঁচে
ঘুম ভেঙ্গে জেগে দেখি
ঘরময় একরাশ ¯িœগ্ধ নিরবতা
সবকিছু ঠিকঠাক আছে
ফুলদানিতে তাজা ফুল
টেবিলের উপর গরম কফি
আলনায় গোছানো কাপড়
সর্বত্র তোমার হাতের ছোয়া
শুধু তুমি নেই।
আমি প্রতিদিন ভুলে যাই
খুব ভোরে উঠে চলে যেতে হয় তোমাকে
আমি সারাদিন একা পড়ে থাকি এই ঘরে
জগতে আমার কোন কাজ নেই
প্রতিটি বিষন্ন দুপুর, অলস বিকেল
ক্রমশঃ ভারি হয়ে আশা
সন্ধ্যার কিছু অংশ।
আমার ঘাড়ের উপর চেপে বসে
শক্ত পাথরের মত
তারপর তুমি ফিরে আস
একটা অনিন্দ রাত্রি
এভাবে হাজারটা রাত
আমি বাঁচি তুমি বাঁচ এভাবেই
কিছু প্রেম ঠিকঠিক
বেদনায় বাঁচে।
চুপ করে বসে থেকো না
চুপ করে বসে থেকো না।
উঠে কাজে রেগে পড়ো
কার সাররাত খুব বৃষ্টি হয়েছে;
জীবন ভিজে একাকার
তোমার আমার স্বস্তি- কোথায়
আমরা তো সামান্য মানুষ মাত্র।
তোমার তত্ত্ব কথা রাখ
আমার পেটে ভাত নেই
কিছু একটা খাওয়া দরকার;
এই অসময়ে খাবার কোথায় পাবে
তার চেয়ে বরং কাজে মন দাও
দেখবে ক্ষুধার কথা বেমালুমভুলে যাবে।
এভাবেই তা কেছে জীবন
ক্ষুধার কতা ভুলে থাকতে থাকতে
নারী-ভুরি সব শুকিয়ে শুরু হয়ে গেছে
চুপ করে বসে থেকো না
উঠে কাজে লেগে পড়ো
কাল সারারাত খুব বৃষ্টি হয়েছে।
মন বলে তোমাকে পাবো
কবে কোথায় কিভাবে জানি না
মন বলেতোমাকে পাবো
মন তো অনেক ছিুই বলে
ভুলে ভরা মানুষের জীবন।
তুমি দেখছি আগের মতোই আছে
ভীষণ আশাবাদী একজন মানুষ
এ এমন কিছু নয়
কিছু কিছু মানুষ স্বপ্ন নিয়েই জন্মায়।
অনেক দিন পর তোমাকে দেখলাম
চোখের নীচটা কিছুটা ম্লান
ওখানেই সব প্রশ্নের জবাব
অজস্র বিনিদ্র রাজনীর হতাশা লুকানো।
দুখের কখাগুলো থাকা না আজ
তুমি বরং অন্য কিছু বলো
এতোদিন পর দেখা হলো দুজন
শুধু শুধু সময় নষ্ট করে কি লাভ
কি আর বলো তোমাকে
মরে বেঁচে আছি যুগ যুগ
তুমি কি পাগল হয়ে গেছো
আমি তো তোমাকে জীবিতই দেখতে পাচ্ছি।
কে তাকায় এমন স্বার্থপর
অমন স্বার্থপরের মতো কে তাকায়
অন্যকে ভালোবেসে নিজে সুখী হতে চায়
আমি আর কারো ভালোবাসার উপকরণ হবো না;
বেশ তো, পালিয়ে যাও, অন্য কোথাও,
পৃথিবী ছেড়ে, দূরে আরো দুরে
তারা ঝিলমিল ম্লান জ্যেৎস্নার রাতে
আকাশের শরীর ছুয়ে, পরে থাকো, সারাটা জীবন
মানুষের জন্ম নিয়ে, দুঃখী হতে তোমাকে কেইবা বলেছে;
কেউ বলেনি, তবুও তো কোন এক ভীষণ খেয়াল
জড়িয়ে গেছি আমি, পূরাতন খেয়াল
সবকিছু কি আমার ইচ্ছেতে হয়?
হয় না, এই বলে কি ধরা দেবে স্বেচ্ছায় দহনে
প্রেম ছাড়া কি মানুষ বাঁচে না
কে বরেছে, কতজনই তো, পড়েনি, ভালোবাসার হাতে;
তারাওতো বেঁচে ছিল যুগ যুগ নক্ষত্রের রাতে-
আকাশ কে ভালোবেসে, গেয়েছিল মরমিয়া গান-
জলের স্রোতের সাথে, মিশেছিল সেই ঐক্যতান-
হায়। এরপরেও দেখি মানুষ স্বার্থপর হয়। ভালেবাসে। থাকে এক সাথে
কবির কোন নাম নেই
সবাই জিগ্যেস করে- কি নাম আপনার?
মূলতঃ কবির কোন নাম নেই
ফুলের যে নাম কবিরও সেই নাম
ফলের যে নাম কবিরও সেই নাম
পাখির যে নাম কবিরও সেই নাম
সব নামেই মূলত কবির নাম
আসলে কবির কোননাম নেই।
একদিন বৃক্ষ এসে বলে যায়
একদিন বৃক্ষ এসে বলে যায়
এখানে রাত্রির ভীড়ে অনেক জ্যোৎসা হারিয়ে গেছে
তুমি চলে আসো তুমিও তো নিঃস্ব
বাগানের গাছে গাছালির মতো
খসে পড়া শুকনো পাতার মতো
খসে পড়া শুকনো পাতার মতো
বৃষ্টি ভেজা শালিকের মতো
ঝড়ের শেষে ক্লান্ত ধানক্ষেত যেমন
পড়ে থাকে সব হারানো নদী সিকস্তি মানুষের মতো
তুমিও তেমনি সব কিছু পেছনে ফেরে (মূলতঃ তুমি তো নিঃস্বই)
চরে আসো আমাদের কাছে।
তোমাকে নিয়েই সংঘাতে যাবো
পথ চেয়ে থাকো, সব বুঝি
শত হলেও নারীর মন তো
আন্দোলনের দিনগুলোতে তোমার দুর্ভবনাগুলো
ভেতরে ভেতরে কুরের কুরে যায় তোমার আত্মা
পাছে আমি মারা যাই।
কচি কচি শিশুদের মুখ
ভীষণ ভয, ওরা যদি এতিম হয়ে যায়
জীবনের কানাগুলি পার হয়ে সদর রাস্তায় গিয়েও দেখি
আজকাল যৌক্তিকতার পথ হারিয়ে ফেলেছে
তবু যেতে যাই রাপজপথে।
কথায় কথায় আশা বাড়ে
মূলতঃ আমিও সে সঠিক তা কিছু নয়
তবু লেগে আছি একটা কিচু হয় তো হবে কিংবা কিছুই না
নেতারা অবশ্য অনেক আমার কথা বলে যখন তখন
আমাদের স্বপ্ন মূলতঃ টিকে থাকা।
আমি যে কিভাবে এখানে এলামা নিজেও জানি না।
হয় তো সময়ই টেনে নিয়ে এসেছে স্রোতের শ্যাওলার মতো
আমাদের মতো মানুষের পথ চলা মূলত কোন ইতিহাস তৈরী করে না
পিপিলিকারা বরাবরাই সরি বেঁধে হাঁটে কিংবা হাজির পায়ের নীচে
পিষ্ট হয়ে যখন তখন মারা যায়।
আমি সব বুঝি তোমার কষ্ট কেথায়
কিন্তু সেই ক্ষত কখনোই মুছতে পারি না।
ভেবেছি এবার তোমাকে নিয়েই সংঘাতে যাবো
আসলে এসব করার কোন মানে হয় না।
হ্যালো
সকালে তোমাকে একবার বলেছি
তারপর, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত
কতোবার বরেীছ ঠিক মনে নেই
হ্যালো কিন্তু তোমার নাম না।
তবুও সাড়া দাও এই নামে
অন্যের প্রিয়তমার নাই যেন আজ তোমার নাম
এভাবে কি প্রণয় হয় বলো
সেখানে তোমার একটা নাম দেওয়া যায় না
ঠিক করেছি তোমাকেই ডাকবো
হোক না তা ভীষণ একান্ত কিছু
যা তোমার নাম কিংবা কোন কবিতার শব্দেই
তোমাকে তখন আর চেনা যায় না।
তুমি সেই হ্যালেতেই আছ
আমাকেও বলো হ্যালো! কেমন আছো!
হ্যালো কিন্তু আমরও নাম নয়
কিছুতেই তোমাকে বোঝানো যায়না
আসলে বোঝাবো কি, কিংস বুঝবোই নিজে
তোমার আমার মূলত চিরন্তন ধারা
তুমি আজ তুমি আছি অন্য সবারই মতো
ভালোবাস কিংবা ভুলেভাবে বেঁচে থাকা এক স্মৃতি গাঁথা।
কয়েকজন কবি ছিলো
এক সাথে হেটে ছি অনেক পখ
অনেকেই কবি ছিলো আমাদের মাঝে
তারা তো জানতোই না তারাই কবি
ভুল করে পথ ছেড়ে চলে গেছে কাজে;
ভেবেছে এসব করে কি হবে
মিদ্যে সময় নষ্ট আবেগের খেলা
বার বারই বলেছি তুমি কবি
কাব্যকে করো না হেলা;
কি লাভ বলো
আখের পস্তাবে, কিছুটা সেয়ানা হও
মৌখিক, ফিরে আসে বাস্তবতা
তখন কতা হবে যদি কথা কও;
আমি বলি, জানি না, দেখাও হবে কিনা
নির্বোধ আমি, একা শুধু আজও
তবু আজও আছি কবিতার সাথে
নক্ষত্রের আগুন ঝরানো রূপালী চাঁদের রাতে।
পাখিদের রাণী
রাতভর কথা চলে অবশেষে হত্যা করা হলো বাবাকে। তখন ভোর
পাখিরা ডাকছে চারিদিকে, রাজকন্যার ঘুম ভেঙ্গে গেলে দু চোখ
সবকিছু দেখে নেয়। নির্জলা শূন্য, এত্ত কি মানা যায়।
অসময়ে মেনে নিতে হয়, অনেক কিছুই
পিতার হত্যাকে তাই অবরাই থেকে যায় আপাতত
বাতাসে রক্তের গন্ধ, ভুলের প্রাণ মুছে গিয়ে সেই জারা নিয়ে সেবিষেব আধার।
রাজকণ্যা হয়ে যায় পাখীদের রানী
ডাকে তার চলে আসে অসংখ্য সংখ্যার সবই যে আল্লাহর ই দান
পাখিরাই নিয়ে নেবে প্রতিশোধ তার পিতার হত্যার।
জনতার মাঝেই বাঁচে নেতা
জনাতার মাঝেই বাঁচে নতো সবাই বলে
অথচ জনতারা বাদ পড়ে যায় সবার আগে।
অতো সময় কমবে জনতাকে নিয়ে ভাবার
যে যার মতো এগিয়ে যায় সামনের দিকে
দেশপ্রেম এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে সসবজির দরে
পোস্টারে শহর সময়টার গ্রামগঞ্জেও
রাতভর হিসাবের খেলা চলে দলে দলে
কোনায় নেতার ছবি তবে পরে উত্তরাদীকারে দলে দলে
হায ইতিহাস কি এভাবেই লেখা হয় কিংবা লেখা ুযায়।
ইতিহাস চলে তার নিজ পথে নিজ পায়ে হেঁটে হেঁটে
ইতিহাস ওঠে যায় তবে মঞ্চে উচ্ছিষ্ট সব পড়ে থাকে
পাথর কাছে তবে অভাবেী মানুষগুলোর হাড় গেছে।
ফুস ফুস ধরে নেতা তাই এখনই হতে
পারে বাকী যারা উচ্ছিষ্ট ভোগী নেতার শরীরে ভেঙ্গে
টুকরা টুকরা করে বেঁচে থাকা পরজীবী কিংবা সরীসৃষ্টের
ঘৃণিত শব মহান নেতাকে মরেগেলেও বেঁচে থাকে চিরতরে।
পরোবাসে যাবো
হাত ধরেছি তোমার সাথে পরবাসে যাবো
তুমিই বলো এমনটা কি হতে পারে এটা কি সম্ভব
বসআতুভিাট ফেলে দেখে পোটলা বাধা জীবনে নিযে কদিন বাঁচা যায়
তোমার শরীর তার যে সুখ তা কি মেলে অন্ধকারে মাঝে দোঁটা একটাুখানি ছয়ায়।
হেয়ালি
আকাশের রঙ ধরে এনে দিতে পারবো না
তুমি তাই বিড়লী চাইতে পারো।
কাঁশবনের অন্ধকারে কিংবা উভাবে কোন আধুনিক ফ্লাইয় সকার
কল্পনায় ভাসতে পারো জলহীন জলে
ভাসাতে পারো আমার অর্থহীন অতল তলে
নিয়ে নিয়ে হাত ধরে খেলা করো জীবনের অনুর্বর ফলে।
হায় তুমি এতোটাই উদাসীন এতাটাই
বলতে বলতে ভাবি এসবেবর কিইবা মানে তুমি তো
তোমারটাই মতো হেয়ালিতে জীবনের পাথর রাখ তোমারই কোলে।
আমিকি আকাশ হবো দিগন্তের রেখা
কেলাসিত পাথর হবো তোমার সখা
না হয় কিছুই বা না হলাম এতটুকুই শুধু মনে রাখো
আমিই আকাশের রঙ, দিগন্তের রেখা
সীসরের কেউ যত সুসুমু কোমল গাম্ভার
আমিই দিবস জেলে, রজনীর শোভা সুভ দুঃখ দেনা ব্যথার পাড়ে।
ভালোবাসি
ভালোবাসে এতো কাছে এসেও
বলতে পারেনি ভালোবাসি
আমি কি করে আসি
পাশাপাশি....
আহায় রাত ভেবে বৃষ্টির ভেতর
হাঁটিাহাঁটি, কাটাকাটি বুকের ভেতর
তোমার সাথে তবু কত যে, নিঃশব্দ
হাসাহাসি
বুকের ভেতর ব্যথার তুফান চলে
তুমি বলো, আমি বলি সন্ধ্যায়,
রাত পেরিয়ে, সকাল, দিন চলে যায়
তবু চলে ভালোবসি।
তবুও হাঁটছি, যদিও পথ চেনা নাই।
সে এসে হাত ধরে বললো
চলে এসো, ভয় নেই, সামনেই খোলা মাঠ
তারপর সদর রাস্তা
আমার উপরে রাখো পূর্ণ আস্থা;
কি যে করি বলো, এমন মায়া
হাত ধরি, পথ চলি
গভীর জঙ্গল, মাঠ কই!
অন্ধকারে গা ছমছম
কোথায় টমটম;
না, না, কিছু একটা ভুল হয়ে গেছে হয়তো
পথ চেনা নাই
এখন বলছো, আগে বলোনি কেন?
আমার তাহলে কি হবে
যদি শুরুতেই হেরে যাই।
সে এসে বলে গেলো
জঘন্য! এসব কি!
এই বয়সে প্রেম
তুমি নাকি পত্র লেখ
কবিতায় খাতায়
আমি কিন্তু আপত্তি দিলেম;
না, না, তা হবে কেন!
এ কেমন কথা
কবিতার দোষ হবে কেন
এসব তোমারই কথা
তোমাকেই আমি জানালেম।
সারারাত স্বপ্নের ভেতর
সারারাত ঘুরিফিরি স্বপ্নের ভেতর
কাছে এসে কথা বলে
মিল্টন, বায়রন, মার্ভেল
সবারই দেখি শুধু ব্যাথার পাহাড়
আমাকেই মনে হয় অসহায়
অতো ব্যাথা আমার তো নেই
তবে কি আশা নেই কবি হওয়ার
না না হবে না কেন রবিকেই দেখ
জানালার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো
তাঁর পা ছুলেই তো ভোর হয়ে যায়
তোমার কি দোষ বলো
লেগে থাকো হয়ে যাবে
চেনা কবি অচেনা খাতায়।
এটা তবে কি
পাশ নয় ফেলও নয়
এটা তবে কি
বললো জিতে গেছি
পাশ ফেল কেন
ওসব বাদ দাও
পুরনো ধারণা
এসো একটা ছবি আঁকি
আমি বলি
রং কই, কাগজ, ইজেল
লাগবে না; আধুনিক ছবি
কল্পনায় আঁকো
আমার স্বপ্নের ভেতর
তোমার স্বপ্ন
গুলিয়ে ফেলো না কিন্তু
তুমি না কবি, নীরব থাকো।
মেধাস্বত্ব
কিনে নিলাম
দাম দেবো! কেন?
এটা কি পেটেন্ট করা তোমার বাপের
হতাশ করলে ছেলে, এ যুগে দাপট সাপের
আমার কাছে আছে বিষ
নেবেন, দারুন সস্তা, মূল্যহীন
আরও ভালো, আমি দেব ডাবল বোনাস
এক ডোজে দুই ডোজ, কিসের অভাব
না না ছেলে লাগবে না
কেন চাচা, এতো সস্তা তবু অনীহা
আহা! কি যে বলো
অনীহা হবে কেন
পাশের বাড়ি দেখ
প্রতিবেশীর লাগতে পারে
খানিকটা ঘুরে আবার
আমাকে অধিক দিতে পারবে
কোথায়, মাঠে না স্কুলে ?
মেধাস্বস্ত! দেখ কি সব কথা বলে!
আসলে কেউ নেই
সে বলে আমি শুনি আমি বলি শোনার কেউ নেই
আরে ভাই ছায়ার কাছে কথা বলে কি লাভ
কথা শুনে চমকে উঠি
এটাও যে ছায়া
আহা! আজ ছায়ারাই শুধু
শুধু যে তোমারই অভাব
তুমি কি আসলেই ছিলে
নাকি ভুল কোন ধারণার ভেতর
তোমার অস্তিত্ব বারবার
ঘুরে ফিরে আসে
আলোর ভেতর আলো
মায়াময় হরিনের ছায়া
সবকিছু স্থির থাকে তুচ্ছ এক নারীর ভেতর
আসলে কেউ নেই
আমি শুধু অর্থহীন হারি, বেদনায়
হয়তো ভুল করে ধরে ফেলি রূপালী পাহাড়।
একটা কবিতাই যথেষ্ট
যদি তুমি হাত দিয়ে লেখো
একটা কবিতাই যথেষ্ট
আমি নিজেই নিজেকে ঠকিয়েছি
তোমাকে ফিরিয়ে দিয়ে
প্রচীন গুহা থেকে আধুনিক প্রাসাদে
তোমাকে খুঁজেছি কত না অনাহুত হয়ে
আলোর ঝলক দেখে বলে উঠি, এইতো তুমি
অন্ধকারে ভুলে করে বলেছি, এটাই আমি
অবশেষে সাগরের ধারে, ঢেউয়ের কোলে
তোমাকেই খুঁজি যেন ফেনিল ফেনায়
দুগ্ধ ফেননিভ বাতিঘর আজ
কাজের ভারে যদি পর হয়ে যায়
আমাকে ক্ষমা করো
ফিরে আসো তুমি কিংবা তোমারই মতন
একটা কবিতাই যথেষ্ট যদি তুমি হাত দিয়ে লেখো
সত্যি বলছি, ঠেকাতে পতন।
বারান্দায় রাখা ক্যাকটাস
লোহার খাঁচায় রাখি কাকের ভয়ে
এতো কাঁটা শরীরে
তবুও যথেষ্ট নয় সে নিজেকে বাঁচাতে
হায়রে জীবন!
এতো ব্যর্থতা দেখি এর চারপাশে।
সফল পড়শীরাও একদিন উদ্ধাস্তু হয়ে যায়
কোথায় যে পাপ ছিলো কেউ জানে না
রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা ঠিকানাহীন কুকুর
সামান্য নড়ে চড়ে আবার বসে পড়ে
তার স্বপ্ন এখনও অনাগত দিনে।
আমি যেন একা একা বসে
ভাবনার ধুলো মাখা চাদর
সামান্য উল্টে দেখি পুরনো সময়
আমিও ক্যাকটাস এক ঘরের ভেতর
পলাতক আসামী যেন দারুন অসহায়।
পরীর শরীর
তোমাকে পাওয়ার জন্যে
শহরের রাস্তায় রাস্তায় হেঁটে হেঁটে
অবশেষে ক্লান্ত শরীর;
আমাকে ডাক দাও
স্বপ্নের ভিতর; বিব্রত আমি
এটা কি পরীর শরীর
কপালে হাত রাখ
পুরে যাওয়া জ্বরের ভেতর
আহা! কত শীতলতা।
তোমার হাত যেন নীরারই হাত
তুমি তো সুনীলের ছিলে
কেন হলে আমার মিতা।
প্রেম নেই নীরবতাটুকুই দাও
সারাটা জীবন দুহাতে মুখ চেপে কেঁদেছি
সংসার বড়ো বেশী ভালো লেগে গেছে
ছোট্র একটা আলপিনকে বাঁচাতে
তোমাকে হত্যা করেছি
কতো শতো বিমূর্ত রাতে
তুমি বলে কথা, ক্ষমা করো বার বার
তাতেই বেড়ে যায় ধৃষ্ঠতা
খালি হাত দেই
তুলে দাও দীপালির আলো
তোমার তবুও যেন কত সচেতনতা
শুধু তোমার বেলায়
তুমি যে ভালো বাসে তাই
নিতে পারি হাত ভরে
দিতে গেলে বাজে
সেই তুমি বলো
প্রেম নয় নীরবতাটুকুুই দাও
আমিও অমর হবো
প্রেমহীন সকাল আর সাঁঝে।
বিষ কবিতা
গাছ রুয়েছি
ঘরের কোণে
নীল রঙ্গের
বিষ কবিতার
গাছ
তোরই জন্যে
অভিশাপ
এক জনমে
হাজার বছর
বাঁচ।
এসে চলে গেছে
প্রচন্ড অভিমানী একজন
তাই শুধু এসেই চলে গেছে
বলে গেছে, ভুল সবই ভুল
আমার জীবনে যা আছে
আবাক কান্ড তো, আমি কি পাথর
যার নেই কোন উচ্চারণ
কথা যে বলে ভুল তো তারই হয়
হোক না তা যতোই অসাধারণ
বোঝাতে চাই বার বার
চলে এসো সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে
সে বলে -সম্ভব নয়
একা একা বাঁচো । আমাকে কল্পনায় পাবে।
কাছো এসো না
ভীষণ ভূতুড়ে সন্ধ্যায়
কাছে এসো না
এ নগর আজ অন্নহীন বস্ত্রহীন।
মানুষের ক্রন্দনে ভারী
কিছুই পারি না যখন
তোমাকে প্রতিপক্ষ করে
ভালবাসার সাথে দিলাম আড়ি
যুক্তিহীন! তুমি বলছো
এভাবে বলতো পারো
আমি প্রচীন বট
এখনও বেঁছে আছি অর্থহীন
এতো বড়ো কথা
হায় সত্যিই তো
তোমার কি দোষ
আমার জীবন আজ মৃত্যুতে গাঁথা।
আমাকে হেয় করো
আমাকে হেয় করো মেধায় মননে
আধুনিক কথার ঝাঁজে
তুচ্ছ করো পন্ডিতের কেশ
তোমরাই রাজত্ব করো, আমি কিছু বলবো না
নির্বোধের সময় কাটছে তো বেশ
যে আছে দাঁড়িয়ে সেও হতবাক
যুক্তির বিচারে তার পরাজিত শব
যারা তার মখোমুখি তারাও অবাক
কার জন্যে এতো কলরব
অর্থহীন এইসব মিথ্যা আয়োজন
সবাই জানে, ভালবাসার বাইবেল
থেকে আজ কোন মুক্তি নেই
কোষাগার খালি করে নিয়ে গেছে
পন্ডিতের দল, শহরের বাবু
ধূর্ত ইঁদুর বলে এতো খালি গোলা সেই।
সাদার উপরে সাদা
আচ্ছা হেয়ালি তো
এ তো সাদার উপরেও সাদা
তুমি কেমন শিল্পী বলো
রাধার প্রেমিক দেখি কৃষ্ণ নয়
আস্ত একটা রাধা
ও তুমি বুঝবে না সেকালের ভাষা ছেড়ে
আধুনিক হও যদি কথা কও
তোমাকে বলা হবে নির্বোধ
বদনাম কেন নিতে চাও
তার চেয়ে বরং
একটু চালাক হও
চোখের ভেতর রেখে পান্ডিত্যের ঘোড়া
ঠোঁটের কোনায় রাখ রহস্যের নিঃশব্দ হাসি
ফাঁসির দড়ি দেখে বলে ওঠো
অপূর্ব, বিস্ময়কর, দারুন
হাত তালি শুনে বলো
না না অনেক হয়েছে
এই শিল্প আমি ভালবাসি।
আমাকে আহত করো
আমাকে কেউ অন্ততঃ আহত করো
তবু পৃথিবী বলবে আমি দুঃখি
আমার অন্ততঃ একটা পরিচয় হবে
এতো বড় পৃথিবীতে আমার কোন পরিচয় নেই
লেনিন বিল্পবী হলো, চে হলো আগুন
বলিভার চলে গেলো সীমানা পেরিয়ে
মহাত্মা গান্ধীর তবু অন্ততঃ একটা বুলেট জুটেছিল
বঙ্গবন্ধু রেখে গেলো একটা পুরো দেশ
কত জন কত কিছু নিয়ে
অবলীলায় খেলা করে যাদুকর সেজে
আমি শুধু একা বসে বসে একাকী বারান্দায়
সন্ধ্যার অন্ধকারে প্রতিদিনই পরাজিত
সৈনিকের মতো গোঙ্গানীতেই সার
আমাকে অন্ততঃ কেউ আহত করো
আজ দেখি তীব্র দহন ছাড়া
জীবন অসাড়।
একজন গবেষক
আজও সে আবার ফোন করেছিল
ভীষন ভালো মানুষ মনে হয়
তবুও কোথায় যেন ভেতরে ভেতরে
হেরে যাই আমি
শোলাগুলোও তুলতে গেলে ভীষন ভারী মনে হয়
পাথরের কথা না হয় বাদই দিলাম
রাতভর ভেবে ভেবে ক্লান্ত
চেষ্টার অন্ত নেই
একটা ছোট পথ অন্ততঃ তৈরী হোক
মহাসড়কে যাওয়ার
আমি না হয় নাই বা গেলাম অন্যরা যাবে
আমাকে তার চমৎকার কণ্ঠ
বারবার ইচ্ছেগুলো পাঁঠিয়ে দেয়
তারের বার্তায়
কোথাও বাগান নেই
হাতের ফুলগুলো কোথায় রাখবো
এভাবে কি আগলে রাখা যায়।
পুল পেরোলেই নীরবতা
প্রতিদিন সন্ধ্যা নামে
সবাই বলে এক অপরকে
চলো ওঠা যাক, আর কতো
আমিও বলি চলো উঠি
শহরের রাস্তায় নিয়ন বাতি
ক্রমশঃ ক্লান্ত যেন নিজস্ব ভঙ্গিতে
আমাদের ওঠার সময় তবু হতে চায় না
তারপরও আলো আছে
না গেলেই নয়
কিছুটা পথ হেঁটে ঘরের দিকে
পুল পেরোলেই নীরবতা
তুমি হাত বাড়িয়ে আছো
আরো একটা ঘর যেন ঘরের ভেতর
ভালবাসার সাজানো ট্রে
ক”ি কচি হাসিমুখ
বাইরে রাত্রি নামে গভীর গাঢ়
ঘরের ভেতর যেন এই মাত্র সন্ধ্যা হলো।
যাদের যাওয়ার কথা ছিলো
যাদের যাওয়ার কথা ছিলো
তারা কেউ যায়নি
হতভাগা কিছু লোক এসে বললো
তারাই যাবে
অগত্যা কি আর করার
একেবারে বাদ যাওয়ার চাইতে ভালো
অবশেষে তারাই গেলো
দূরে সকালে মাঠ ঘাঠ মরুভূমি
সব পেরিয়ে কিছু লোক
হঠাৎ হয়ে গেলো আগন্তুক অচেনা জনপদে
এভাবে সীমানা ছাড়িয়ে
দেশ কাল পাত্র
সব ভেদাভেদ ভুলে
আমাদের পূর্ব পুরুষেরাও হয়তো
একদিন এসেছিলো এই জনপদে।
প্রেম বলে কথা
সবাই বকবক করছে এখানে
বিবাহ বার্ষিকী তো তাই
ওহ! প্রেম বলে কথা
তাই বলে এতোটা, এতো মাখামাখি
আসলে কি এতোটা ভালবাসি আমরা আমারদের
তবে চারিদিকে এতো ঘৃনার ধোয়া কিসের
যারা ঘরে ভালো তারা বাইরেও
এই ভাবে পুরো পৃথিবী
তুমি আমি আমরা
আামাদের সন্তানদের নিয়েই এই পুরো পৃথিবী
এসো আগে ভালোবাসা শিখি
তারপর বকবক ভালোবাসা নিয়ে।
হাত ধরো, সাগরে নামবো
সমস্ত শরীরে ধুলো ময়লা
ধুয়ে মুছে সাফ হতে হবো
হাত ধরো সাগরে নামবো
অতো দূর থেকে এসেছি
খালি হাতে ফিরে যেতে চাই না
অন্ততঃ একটা স্মৃতি সাথে নিয়ে ফিরি
তুমি বসে বসে কি ভাবছো
আমি তো এখনও আগের মতোই আছি
সাবলীল, স্বাচ্ছন্দ্য, আধুনিকতায় মোড়ানো প্রচীন মানুষ
না হয় কিছুটা বয়স হয়েছে
চোখের নিচে জমেছে ক্লান্তির কালি
সমস্ত অবয়ব কিছুটা হলেও মলিন
তবু আশাবাদী জ্যোৎস্নার প্লাবনে
হাত ধরো। সাগরে নামবো
এখনও সব কিছু ফুরিয়ে যায়নি।
তুমি বললে
তুমি বললে পাথর হবো
সারি সারি দেবদারু
তরু, লতা, ফুল, ফল
সব হতে পারি
মানুষের জন্ম যে আমার
কাঠ বিড়ালী না হয় নাই বা হলাম
তোমার তাতে ভয়
হঠাৎ হঠাৎ দৌঁড়ে আসে
কি দরকার আতংকের মাঝে
ছড়িয়ে দেয়া ক্ষয়
অক্ষয় অব্যয় যদি হতে পারি
জ্যোৎস্নার মলিন রঙ, ধূলো মাখা সূর্য
কিংবা হাত গোটানো পেঙ্গুইনের মতো
কষ্ট যতো নিয়ে নেবো
পাথর হবো ইচ্ছে হলেই
তুমি বললেই কাঁদবো অবিরত।
কবিতার ক্লাস
আজ কবিতার ক্লাসে
একজনই ছাত্রী
আমি বসে আছি একা
স্ত্রীর মতো অনুগত আর কউ নেই
পুরো সংসারটাই একটা ভাঙাচোরা কাব্য যেন
তোমার হাতে সাজানো
বাংঙ্গালী কবি আমি
হেরে যাবো, তবু মচকাবো না
আজ কবিতার ক্লাসে
একজনই ছাত্রী
শুধু তুমি বসে আছ একা একা
আমি যেন ভুলে বসে আছি
কি যেন পড়ানোর কথা ছিল দিন রাত্রি।
অভাব
ফেরাতে পারোনি বলে
চলে গেলে, এটা কোন কথা হলো
এ কেমন সিন্ধান্ত তোমার
আমাকে দিলে অভিশাপ
আমিও বা কম কিসে
মেনে নিলাম, পিছু পিছু যাইনি
তোমাকে থামাতে একাবারও
গেলেই হয়তো হতো
ভেবেছি আমার কিসের অভাব
অভাব তো আছেই
শূন্য ঘর, তুমি ছাড়া সব আছে
নিঃস্ব সাগর, কীর্তিনাশার একুল ওকুল
দিন-রাত দারুণ প্রলাপ।
নাম রেখেছি আনন্দ লতা
হাত ধর, কি লাভ
এসো পাশাপাশি বসি।
ঝিলের জলে নগরের প্রতিবিম্ব
দালানগুলো সব একা একা দাঁড়িয়ে।
ইট, কাঠ পাথর যদি একা একা দাঁড়াতে পারে
আমাদের কি লাভ ভালোবেসে হাত ধরাধরি করে।
একটু বিজ্ঞান মনস্ক হও এই আধুনিক যুগে
তুমি দেখছি এখনো সেকেলেই রয়ে গেলে।
ইরানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চলছে।
মুসলমানদের বাঁচাতে আজ পারমাণবিক বোমার বড়ই প্রয়োজন।
পৃথিবী বাঁচতে চায় বিজ্ঞানের উপর ভর করে।
তুমি ডুবে আছো ভালোবাসায়, এভাবে হয় না, হবেও না।
একটু স্বধীন হতে চেষ্টা কর।
শহরের দালানগুলোর মত একাকী নিঃসঙ্গ নিজের পায়ে।
প্রাচীন যুগ পেরিয়ে এসেছি সেই কবে।
তারপর মধ্যযুগ পেরিয়ে এখন বিংশ শতাব্দিতে।
মানুষ যখন আর পাথর ঘষে আগুন জালায় না।
জলের উপর ফু দিলেই আগুন জ্বলে।
তবু তুমি আমি সেই প্রচীন
ভুল করে কবিতার খাতায় লেখ
নাম রেখেছি আনন্দ লতা।
কিছু প্রেম বেদনায় বাঁচে
ঘুম ভেঙ্গে জেগে দেখি
ঘরময় একরাশ ¯িœগ্ধ নিরবতা
সবকিছু ঠিকঠাক আছে
ফুলদানিতে তাজা ফুল
টেবিলের উপর গরম কফি
আলনায় গোছানো কাপড়
সর্বত্র তোমার হাতের ছোয়া
শুধু তুমি নেই।
আমি প্রতিদিন ভুলে যাই
খুব ভোরে উঠে চলে যেতে হয় তোমাকে
আমি সারাদিন একা পড়ে থাকি এই ঘরে
জগতে আমার কোন কাজ নেই
প্রতিটি বিষন্ন দুপুর, অলস বিকেল
ক্রমশঃ ভারি হয়ে আশা
সন্ধ্যার কিছু অংশ।
আমার ঘাড়ের উপর চেপে বসে
শক্ত পাথরের মত
তারপর তুমি ফিরে আস
একটা অনিন্দ রাত্রি
এভাবে হাজারটা রাত
আমি বাঁচি তুমি বাঁচ এভাবেই
কিছু প্রেম ঠিকঠিক
বেদনায় বাঁচে।
চুপ করে বসে থেকো না
চুপ করে বসে থেকো না।
উঠে কাজে রেগে পড়ো
কার সাররাত খুব বৃষ্টি হয়েছে;
জীবন ভিজে একাকার
তোমার আমার স্বস্তি- কোথায়
আমরা তো সামান্য মানুষ মাত্র।
তোমার তত্ত্ব কথা রাখ
আমার পেটে ভাত নেই
কিছু একটা খাওয়া দরকার;
এই অসময়ে খাবার কোথায় পাবে
তার চেয়ে বরং কাজে মন দাও
দেখবে ক্ষুধার কথা বেমালুমভুলে যাবে।
এভাবেই তা কেছে জীবন
ক্ষুধার কতা ভুলে থাকতে থাকতে
নারী-ভুরি সব শুকিয়ে শুরু হয়ে গেছে
চুপ করে বসে থেকো না
উঠে কাজে লেগে পড়ো
কাল সারারাত খুব বৃষ্টি হয়েছে।
মন বলে তোমাকে পাবো
কবে কোথায় কিভাবে জানি না
মন বলেতোমাকে পাবো
মন তো অনেক ছিুই বলে
ভুলে ভরা মানুষের জীবন।
তুমি দেখছি আগের মতোই আছে
ভীষণ আশাবাদী একজন মানুষ
এ এমন কিছু নয়
কিছু কিছু মানুষ স্বপ্ন নিয়েই জন্মায়।
অনেক দিন পর তোমাকে দেখলাম
চোখের নীচটা কিছুটা ম্লান
ওখানেই সব প্রশ্নের জবাব
অজস্র বিনিদ্র রাজনীর হতাশা লুকানো।
দুখের কখাগুলো থাকা না আজ
তুমি বরং অন্য কিছু বলো
এতোদিন পর দেখা হলো দুজন
শুধু শুধু সময় নষ্ট করে কি লাভ
কি আর বলো তোমাকে
মরে বেঁচে আছি যুগ যুগ
তুমি কি পাগল হয়ে গেছো
আমি তো তোমাকে জীবিতই দেখতে পাচ্ছি।
কে তাকায় এমন স্বার্থপর
অমন স্বার্থপরের মতো কে তাকায়
অন্যকে ভালোবেসে নিজে সুখী হতে চায়
আমি আর কারো ভালোবাসার উপকরণ হবো না;
বেশ তো, পালিয়ে যাও, অন্য কোথাও,
পৃথিবী ছেড়ে, দূরে আরো দুরে
তারা ঝিলমিল ম্লান জ্যেৎস্নার রাতে
আকাশের শরীর ছুয়ে, পরে থাকো, সারাটা জীবন
মানুষের জন্ম নিয়ে, দুঃখী হতে তোমাকে কেইবা বলেছে;
কেউ বলেনি, তবুও তো কোন এক ভীষণ খেয়াল
জড়িয়ে গেছি আমি, পূরাতন খেয়াল
সবকিছু কি আমার ইচ্ছেতে হয়?
হয় না, এই বলে কি ধরা দেবে স্বেচ্ছায় দহনে
প্রেম ছাড়া কি মানুষ বাঁচে না
কে বরেছে, কতজনই তো, পড়েনি, ভালোবাসার হাতে;
তারাওতো বেঁচে ছিল যুগ যুগ নক্ষত্রের রাতে-
আকাশ কে ভালোবেসে, গেয়েছিল মরমিয়া গান-
জলের স্রোতের সাথে, মিশেছিল সেই ঐক্যতান-
হায়। এরপরেও দেখি মানুষ স্বার্থপর হয়। ভালেবাসে। থাকে এক সাথে
কবির কোন নাম নেই
সবাই জিগ্যেস করে- কি নাম আপনার?
মূলতঃ কবির কোন নাম নেই
ফুলের যে নাম কবিরও সেই নাম
ফলের যে নাম কবিরও সেই নাম
পাখির যে নাম কবিরও সেই নাম
সব নামেই মূলত কবির নাম
আসলে কবির কোননাম নেই।
একদিন বৃক্ষ এসে বলে যায়
একদিন বৃক্ষ এসে বলে যায়
এখানে রাত্রির ভীড়ে অনেক জ্যোৎসা হারিয়ে গেছে
তুমি চলে আসো তুমিও তো নিঃস্ব
বাগানের গাছে গাছালির মতো
খসে পড়া শুকনো পাতার মতো
খসে পড়া শুকনো পাতার মতো
বৃষ্টি ভেজা শালিকের মতো
ঝড়ের শেষে ক্লান্ত ধানক্ষেত যেমন
পড়ে থাকে সব হারানো নদী সিকস্তি মানুষের মতো
তুমিও তেমনি সব কিছু পেছনে ফেরে (মূলতঃ তুমি তো নিঃস্বই)
চরে আসো আমাদের কাছে।
তোমাকে নিয়েই সংঘাতে যাবো
পথ চেয়ে থাকো, সব বুঝি
শত হলেও নারীর মন তো
আন্দোলনের দিনগুলোতে তোমার দুর্ভবনাগুলো
ভেতরে ভেতরে কুরের কুরে যায় তোমার আত্মা
পাছে আমি মারা যাই।
কচি কচি শিশুদের মুখ
ভীষণ ভয, ওরা যদি এতিম হয়ে যায়
জীবনের কানাগুলি পার হয়ে সদর রাস্তায় গিয়েও দেখি
আজকাল যৌক্তিকতার পথ হারিয়ে ফেলেছে
তবু যেতে যাই রাপজপথে।
কথায় কথায় আশা বাড়ে
মূলতঃ আমিও সে সঠিক তা কিছু নয়
তবু লেগে আছি একটা কিচু হয় তো হবে কিংবা কিছুই না
নেতারা অবশ্য অনেক আমার কথা বলে যখন তখন
আমাদের স্বপ্ন মূলতঃ টিকে থাকা।
আমি যে কিভাবে এখানে এলামা নিজেও জানি না।
হয় তো সময়ই টেনে নিয়ে এসেছে স্রোতের শ্যাওলার মতো
আমাদের মতো মানুষের পথ চলা মূলত কোন ইতিহাস তৈরী করে না
পিপিলিকারা বরাবরাই সরি বেঁধে হাঁটে কিংবা হাজির পায়ের নীচে
পিষ্ট হয়ে যখন তখন মারা যায়।
আমি সব বুঝি তোমার কষ্ট কেথায়
কিন্তু সেই ক্ষত কখনোই মুছতে পারি না।
ভেবেছি এবার তোমাকে নিয়েই সংঘাতে যাবো
আসলে এসব করার কোন মানে হয় না।
হ্যালো
সকালে তোমাকে একবার বলেছি
তারপর, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত
কতোবার বরেীছ ঠিক মনে নেই
হ্যালো কিন্তু তোমার নাম না।
তবুও সাড়া দাও এই নামে
অন্যের প্রিয়তমার নাই যেন আজ তোমার নাম
এভাবে কি প্রণয় হয় বলো
সেখানে তোমার একটা নাম দেওয়া যায় না
ঠিক করেছি তোমাকেই ডাকবো
হোক না তা ভীষণ একান্ত কিছু
যা তোমার নাম কিংবা কোন কবিতার শব্দেই
তোমাকে তখন আর চেনা যায় না।
তুমি সেই হ্যালেতেই আছ
আমাকেও বলো হ্যালো! কেমন আছো!
হ্যালো কিন্তু আমরও নাম নয়
কিছুতেই তোমাকে বোঝানো যায়না
আসলে বোঝাবো কি, কিংস বুঝবোই নিজে
তোমার আমার মূলত চিরন্তন ধারা
তুমি আজ তুমি আছি অন্য সবারই মতো
ভালোবাস কিংবা ভুলেভাবে বেঁচে থাকা এক স্মৃতি গাঁথা।
কয়েকজন কবি ছিলো
এক সাথে হেটে ছি অনেক পখ
অনেকেই কবি ছিলো আমাদের মাঝে
তারা তো জানতোই না তারাই কবি
ভুল করে পথ ছেড়ে চলে গেছে কাজে;
ভেবেছে এসব করে কি হবে
মিদ্যে সময় নষ্ট আবেগের খেলা
বার বারই বলেছি তুমি কবি
কাব্যকে করো না হেলা;
কি লাভ বলো
আখের পস্তাবে, কিছুটা সেয়ানা হও
মৌখিক, ফিরে আসে বাস্তবতা
তখন কতা হবে যদি কথা কও;
আমি বলি, জানি না, দেখাও হবে কিনা
নির্বোধ আমি, একা শুধু আজও
তবু আজও আছি কবিতার সাথে
নক্ষত্রের আগুন ঝরানো রূপালী চাঁদের রাতে।
পাখিদের রাণী
রাতভর কথা চলে অবশেষে হত্যা করা হলো বাবাকে। তখন ভোর
পাখিরা ডাকছে চারিদিকে, রাজকন্যার ঘুম ভেঙ্গে গেলে দু চোখ
সবকিছু দেখে নেয়। নির্জলা শূন্য, এত্ত কি মানা যায়।
অসময়ে মেনে নিতে হয়, অনেক কিছুই
পিতার হত্যাকে তাই অবরাই থেকে যায় আপাতত
বাতাসে রক্তের গন্ধ, ভুলের প্রাণ মুছে গিয়ে সেই জারা নিয়ে সেবিষেব আধার।
রাজকণ্যা হয়ে যায় পাখীদের রানী
ডাকে তার চলে আসে অসংখ্য সংখ্যার সবই যে আল্লাহর ই দান
পাখিরাই নিয়ে নেবে প্রতিশোধ তার পিতার হত্যার।
জনতার মাঝেই বাঁচে নেতা
জনাতার মাঝেই বাঁচে নতো সবাই বলে
অথচ জনতারা বাদ পড়ে যায় সবার আগে।
অতো সময় কমবে জনতাকে নিয়ে ভাবার
যে যার মতো এগিয়ে যায় সামনের দিকে
দেশপ্রেম এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে সসবজির দরে
পোস্টারে শহর সময়টার গ্রামগঞ্জেও
রাতভর হিসাবের খেলা চলে দলে দলে
কোনায় নেতার ছবি তবে পরে উত্তরাদীকারে দলে দলে
হায ইতিহাস কি এভাবেই লেখা হয় কিংবা লেখা ুযায়।
ইতিহাস চলে তার নিজ পথে নিজ পায়ে হেঁটে হেঁটে
ইতিহাস ওঠে যায় তবে মঞ্চে উচ্ছিষ্ট সব পড়ে থাকে
পাথর কাছে তবে অভাবেী মানুষগুলোর হাড় গেছে।
ফুস ফুস ধরে নেতা তাই এখনই হতে
পারে বাকী যারা উচ্ছিষ্ট ভোগী নেতার শরীরে ভেঙ্গে
টুকরা টুকরা করে বেঁচে থাকা পরজীবী কিংবা সরীসৃষ্টের
ঘৃণিত শব মহান নেতাকে মরেগেলেও বেঁচে থাকে চিরতরে।
পরোবাসে যাবো
হাত ধরেছি তোমার সাথে পরবাসে যাবো
তুমিই বলো এমনটা কি হতে পারে এটা কি সম্ভব
বসআতুভিাট ফেলে দেখে পোটলা বাধা জীবনে নিযে কদিন বাঁচা যায়
তোমার শরীর তার যে সুখ তা কি মেলে অন্ধকারে মাঝে দোঁটা একটাুখানি ছয়ায়।
হেয়ালি
আকাশের রঙ ধরে এনে দিতে পারবো না
তুমি তাই বিড়লী চাইতে পারো।
কাঁশবনের অন্ধকারে কিংবা উভাবে কোন আধুনিক ফ্লাইয় সকার
কল্পনায় ভাসতে পারো জলহীন জলে
ভাসাতে পারো আমার অর্থহীন অতল তলে
নিয়ে নিয়ে হাত ধরে খেলা করো জীবনের অনুর্বর ফলে।
হায় তুমি এতোটাই উদাসীন এতাটাই
বলতে বলতে ভাবি এসবেবর কিইবা মানে তুমি তো
তোমারটাই মতো হেয়ালিতে জীবনের পাথর রাখ তোমারই কোলে।
আমিকি আকাশ হবো দিগন্তের রেখা
কেলাসিত পাথর হবো তোমার সখা
না হয় কিছুই বা না হলাম এতটুকুই শুধু মনে রাখো
আমিই আকাশের রঙ, দিগন্তের রেখা
সীসরের কেউ যত সুসুমু কোমল গাম্ভার
আমিই দিবস জেলে, রজনীর শোভা সুভ দুঃখ দেনা ব্যথার পাড়ে।
ভালোবাসি
ভালোবাসে এতো কাছে এসেও
বলতে পারেনি ভালোবাসি
আমি কি করে আসি
পাশাপাশি....
আহায় রাত ভেবে বৃষ্টির ভেতর
হাঁটিাহাঁটি, কাটাকাটি বুকের ভেতর
তোমার সাথে তবু কত যে, নিঃশব্দ
হাসাহাসি
বুকের ভেতর ব্যথার তুফান চলে
তুমি বলো, আমি বলি সন্ধ্যায়,
রাত পেরিয়ে, সকাল, দিন চলে যায়
তবু চলে ভালোবসি।
Comments
Post a Comment