আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম মূলতঃ শুরু হয়েছিলো ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পূর্র্বেই। দেশভাগের পর মূলতঃ সেই সংগ্রাম তার প্রকৃত স্বরূপে প্রকাশিত হয়। তমদ্দুন মজলিশ নামক তৎকালীন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রকাশনায় সেই চিত্র স্পষ্টরূপেই ফুটে ওঠে। পরবর্তীতে ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তা অগ্নিগর্ভ রূপ ধারন করে। কিন্তÍ সবকিছুর জন্যই একটা সময়ের প্রয়োজন হয়। ১৯৫২ সালের সেই জাগরনকে সত্যিকারের গনজাগরণে রূপ দিতে প্রায় ১৮ বছর লেগে গেল। মাঝখানের সময়টা যে থমকে ছিলো তা কিন্তÍ নয়। “৫৪, ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭০-এর ঘটনাবহুল সময়কে ইতিহাসের অন্যতম নির্ধারকই বলেেত হবে। সবকিছু বদলে দিলো ১৯৭১ এর মার্চ। ২৩ বছরকে একটা সুতোয় নিয়ে এলো। ২৫শে মার্চের কালো রাতের ঘটনাপ্রবাহ তাই জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নির্ণায়ক। মূলতঃ ঐ একটা রাতই বলে দিয়েছিলো বাঙ্গালীর পরবর্তী কর্তব্য কি। আর ৭ই মার্চের ভাষন। সে তো ইতিহাসের অমর মহাকাব্য। শেখ মুজিব সেই মহাকাব্যের কবি। ৭ই মার্চকে তাই আমি সবসময় আলাদাভাবে মূল্যায়ন করি। বাঙ্গালী জাতির জীবনে হয়ত এরকম আর একটা আগুন ঝরা বিকেল আর কখনও আসবে কিনা সে ব্যাপারে শুধু আমি একা নই পুরো ইতিহাসই সন্দিহান। শেখ মুজিব তার ত’ড়ান্ত মুহুর্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ইতিহাস তাই মুজিবকে তার চিবুকে ধারণ করেছে। ইতিহাসের চোখ থেকে যতো জল ঝরে তার প্রতিটি ফোঁটা মুজিবকে ছুঁয়ে যায়। যারা যুদ্ধ দেখেনি তাদের মধ্যে সর্বজেষ্ঠ যে সেও আজ ৪৫ ছুই ছুই একটা পরিণত মানুষ। তার অনুভূতি তাই চিরকালই সেই অনুভূতিকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়। এদের সবাইকে একটা আফসোস করতে দেখা যায় যুদ্ধের সময় যদি থাকতাম। থাক। সে কথা না হয় বাদই দিলাম। যুদ্ধ পরবর্তী সময়েও তো তাদের সবচেয়ে বড় করণীয় ছিলো। দেশ গড়া তো কোনো যুদ্ধের চেয়ে কম নয়। আমরা কি সেই কাজটা সঠিকভাবে করতে পেরেছি? পারিনি। যদি পারতাম তাহলে জাতিকে বারবার বিভ্রান্ত হতে হতো না। ১৯৭১-এ যদি ১০ বছরের কিশোর যুদ্ধে যেতে পারে ১৯৯০-এ কেনো ১৯ বছরের যুবককে রাজপথে পাওয়া যায় না? এটা সচেতনতার ব্যাপার। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।
জাতি হিসেবে বাঙ্গালী বরাবরই হুজুকে। উত্তম নেতৃত্বের আওতায় না রাখলে বিপর্যয় অনিবার্য। তার এই গুরুদায়িত্ব মূলতঃ স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি বা আওয়ামী লীগের ওপরই বর্তায়। আওয়ামী লীগকে সেটা মাথায় রাখতে হবে। ইতিহাসের অহংকার যার দায়ভারও তার বেশী। তাকে সর্ব অবস্থায় সামনে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অতীতের মতো আগামীতেও যারা যুদ্ধ দেখিনি তাদেরও নেতৃত্ব দেবে। জয়তু শেখ হাসিনা, জয়তু সজীব ওয়াজেদ জয়।
জাতি হিসেবে বাঙ্গালী বরাবরই হুজুকে। উত্তম নেতৃত্বের আওতায় না রাখলে বিপর্যয় অনিবার্য। তার এই গুরুদায়িত্ব মূলতঃ স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি বা আওয়ামী লীগের ওপরই বর্তায়। আওয়ামী লীগকে সেটা মাথায় রাখতে হবে। ইতিহাসের অহংকার যার দায়ভারও তার বেশী। তাকে সর্ব অবস্থায় সামনে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অতীতের মতো আগামীতেও যারা যুদ্ধ দেখিনি তাদেরও নেতৃত্ব দেবে। জয়তু শেখ হাসিনা, জয়তু সজীব ওয়াজেদ জয়।
Comments
Post a Comment