Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

যারা যুদ্ধ দেখিনি

আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম মূলতঃ শুরু হয়েছিলো ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পূর্র্বেই। দেশভাগের পর মূলতঃ সেই সংগ্রাম তার প্রকৃত স্বরূপে প্রকাশিত হয়। তমদ্দুন মজলিশ নামক তৎকালীন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রকাশনায় সেই চিত্র স্পষ্টরূপেই ফুটে ওঠে। পরবর্তীতে ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তা অগ্নিগর্ভ রূপ ধারন করে। কিন্তÍ সবকিছুর জন্যই একটা সময়ের প্রয়োজন হয়। ১৯৫২ সালের সেই জাগরনকে সত্যিকারের গনজাগরণে রূপ দিতে প্রায় ১৮ বছর লেগে গেল। মাঝখানের সময়টা যে থমকে ছিলো তা কিন্তÍ নয়। “৫৪, ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭০-এর ঘটনাবহুল সময়কে ইতিহাসের অন্যতম নির্ধারকই বলেেত হবে। সবকিছু বদলে দিলো ১৯৭১ এর মার্চ। ২৩ বছরকে একটা সুতোয় নিয়ে এলো। ২৫শে মার্চের কালো রাতের ঘটনাপ্রবাহ তাই জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নির্ণায়ক। মূলতঃ ঐ একটা রাতই বলে দিয়েছিলো বাঙ্গালীর পরবর্তী কর্তব্য কি। আর ৭ই মার্চের ভাষন। সে তো ইতিহাসের অমর মহাকাব্য। শেখ মুজিব সেই মহাকাব্যের কবি। ৭ই মার্চকে তাই আমি সবসময় আলাদাভাবে মূল্যায়ন করি। বাঙ্গালী জাতির জীবনে হয়ত এরকম আর একটা আগুন ঝরা বিকেল আর কখনও আসবে কিনা সে ব্যাপারে শুধু আমি একা নই পুরো ইতিহাসই সন্দিহান। শেখ মুজিব তার ত’ড়ান্ত মুহুর্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ইতিহাস তাই মুজিবকে তার চিবুকে ধারণ করেছে। ইতিহাসের চোখ থেকে যতো জল ঝরে তার প্রতিটি ফোঁটা মুজিবকে ছুঁয়ে যায়। যারা যুদ্ধ দেখেনি তাদের মধ্যে সর্বজেষ্ঠ যে সেও আজ ৪৫ ছুই ছুই একটা পরিণত মানুষ। তার অনুভূতি তাই চিরকালই সেই অনুভূতিকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়। এদের সবাইকে একটা আফসোস করতে দেখা যায় যুদ্ধের সময় যদি থাকতাম। থাক। সে কথা না হয় বাদই দিলাম। যুদ্ধ পরবর্তী সময়েও তো তাদের সবচেয়ে বড় করণীয় ছিলো। দেশ গড়া তো কোনো যুদ্ধের চেয়ে কম নয়। আমরা কি সেই কাজটা সঠিকভাবে করতে পেরেছি? পারিনি। যদি পারতাম তাহলে জাতিকে বারবার বিভ্রান্ত হতে হতো না। ১৯৭১-এ যদি ১০ বছরের কিশোর যুদ্ধে যেতে পারে ১৯৯০-এ কেনো ১৯ বছরের যুবককে রাজপথে পাওয়া যায় না? এটা সচেতনতার ব্যাপার। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।
জাতি হিসেবে বাঙ্গালী বরাবরই হুজুকে। উত্তম নেতৃত্বের আওতায় না রাখলে বিপর্যয় অনিবার্য। তার এই গুরুদায়িত্ব মূলতঃ স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি বা আওয়ামী লীগের ওপরই বর্তায়। আওয়ামী লীগকে সেটা মাথায় রাখতে হবে। ইতিহাসের অহংকার যার দায়ভারও তার বেশী। তাকে সর্ব অবস্থায় সামনে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অতীতের মতো আগামীতেও যারা যুদ্ধ দেখিনি তাদেরও নেতৃত্ব দেবে। জয়তু শেখ হাসিনা, জয়তু সজীব ওয়াজেদ জয়।

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে