Skip to main content

Fabricare receipt 01 08 2024

১৬ই ডিসেম্বর ঃ বিজয়ের মাহাত্ম্য এবং আমাদের উপলদ্ধি



প্রতি বছর ১৬ই ডিসেম্বর আসে যথাযথ মর্যাদায় পালনও হয় সংবাদপত্রের পাতা জুড়ে এই মহোৎসব পালনের ছবি কিংবা খবরাদি ছাপাও হয় আমরা বরাবরের মতো আবেগাপ্লুত হই পরদিন সকাল সবকিছু ভুলে গিয়ে আবার আগের মতো হয়ে যাই বিজয় দিবস আমাদের জন্যে অনেক বার্তা নিয়ে আসে অনেক স্মৃতি নিয়ে আসে সেসব আমাদের স্পর্শ করে না আমরা যারা বিখ্যাত তারা শুধু খুঁজে বেড়াই আমাদের কতোটা গুরুত্ব দেওয়া হলো কতটুকু কাভারেজ পেলাম যারা অখ্যাত তারা একদিনের ছুটি ভোগ করি কি অসাধারণ যোগসূত্র উভয় শ্রেণীর সবাই যার যার মতো করে এর অর্থ খুঁজতে চেষ্টা করি অথচ কিছু দিবসের নিজস্ব একটা বার্তা আছে একটা মাহাত্ম্য আছে আছে একটা অন্য রকম মহিমা
নগরের রাস্তায় যে ছাগলটি একটু পরেই জবাই হবে তার মালিককেও চাঁদা দিতে হচ্ছে আমাদের জন্য জীবন দিতে আসা প্রানীটিকেও তার শেষ বলিদানের পূর্বে অন্তিম প্রয়াণ ফি প্রদান করতে হয় কি নিদারুন বৈপরীত্য 
শেখ হাসিনার কোন নিদের্শ নেই তবু প্রতি বছর প্রতিটি জাতীয় উদযাপনে নিরীহ এলাকাবাসী চাঁদাবাজির শিকার হয় এই চাঁদার অতি সামান্য অংশ মাত্র আনুষ্ঠানিকতায় ব্যয় হয় বাকীটা যায় অবতারের পেটে আমরা যা কিছু বলি তার বেশির ভাগই করি না অসম্ভব একটা হুজুক আমাদের পেয়ে বসেছে সত্য কাজ করা আর সত্য কথা বলা এখন সত্যিই বড় বিপদের কাজ
প্রত্যেক ধনাঢ্য কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তি তার একটি মিডিয়া প্লাটফর্ম তৈরি করেছে সেই প্লাটফর্মে যে যার মতো তারই গুনগান করছে কেউ কারও কথা শুনছে না নতুন প্রজন্ম বিটিভির নাম জানে শুধু ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের মিডিয়ার একটা জাতীয় প্লাটফর্ম থাকা উচিত যেখান থেকে যা কিছু বলা হবে তাই সবাই শুনবে
আবারও বলছি শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন কিন্তু লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না উন্নয়ন আর একটা জাতির নৈতিক পরিবর্তন একই জিনিস নয় উন্নয়ন ক্ষমতার দুএক মেয়াদেই সম্ভব এটা অর্থনীতির ব্যাপার কিন্তু সামাজিক ব্যাপারটা সংস্কৃতির ব্যাপার হাজার বছরের ঐতিহ্য আমরা অন্ততঃ ছাগলের ওপর চাঁদাবাজিটুকু থামাতে পারি বড় বড় অর্জনের কথা পরে আসুক
দেশে একটা একচেটিয়া ভাব কায়েম হয়েছে এটা করতে হয়েছে কারন এর বিকল্প নেই তস্কর, লুচ্ছা, লাফাঙ্গাদের হাতে তো আর দেশ ছেড়ে দেওয়া যায় না ছেড়ে দিলে কি হবে তার প্রমাণ ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫, ২০০১ থেকে ২০০৫ এবং মাঝখানে ১৫ই ফেব্রুয়ারীর বিতর্কিত নির্বাচনে দেখা গেছে যারা এরূপ করেছিল তারা অনেকেই ইতোমধ্যে নির্বাসিত হয়েছে কিন্তু এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া না হলে একই দৃশ্যই দেখা যাবে নতুন কিছু হয়তো মেলা ভার আমরা কিছু মাত্র কাল ক্ষেপন করছি একটি মুভিকে বার বার দেখার মধ্য দিয়ে
আওয়ামী লীগের সময়কালেই অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগের কাছে ছোট ছোট আওয়ামী লীগ নিরাপদ নয়  আবার সামর্থ্যবান বিএনপি কিংবা জামায়াতও আওয়ামী লীগের সাথে পয়সা কিংবা ক্ষমতার মাধ্যমে হাত মিলিয়ে নিরীহ জনগনের ক্ষতি করে যাচ্ছে এক কথায় মার্ক্সের শ্রেণী শক্ররা আজও ক্ষমতায় বহাল সমাজে কি করে পরিবর্তন আসবে বোঝা কষ্ট
হাত বাড়ালেই যাবতীয় অপকর্মের উপাদান সহজলভ্য অস্ত্র, ইয়াবা, কালো টাকা, চাঁদাবাজির বস্তা ভরা অর্থ সবই হাতের নাগালে কেই বা আর কষ্ট করে পড়াশুনা করে বা চাকরি করে কিংবা ব্যবসা করে দারুন একটা দর্শন চলছে সবাই যার যার মতো পকেটে পুরে নিচ্ছে এসব কারোরই চোখে পড়ছে না অথবা হয়তো পড়ছে কিন্তু কথা বললে বিপদ পাছে মানহানি হয় হতেই তো পারে কন্যাকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবন দিতে হচ্ছে পিতাকে সত্যিই সেলুকাশ কি বিচিত্র এই দেশ
মহামান্য প্রধানমন্ত্রী একজনই তিনি একাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন গলা ফাটাচ্ছেন ভালো কিছু করো, সোনার বাংলা গড়ো লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না তার বিমানের নাট বল্টু ঢিলে করে দেওয়া হচ্ছে যাতে তিনি আর বেশী কথা বলতে না পারেন নীতি কথা কার কাহাতক ভালো লাগে যত আনন্দ তো নোংরামীতে এভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করা হচ্ছে আপনি থামুন আমাদের অপকর্ম করতে দিন নইলে এর পর পুরো বিমানের নাটবল্টু, জোড়া-জয়েন্ট খুলে দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী ভয় পাবার পাত্র নন আমরা ভুল জায়গায় বার বার নক করছি মনে রাখতে হবে তিনি মুজিব কন্যা মৃত্যু তার কাছে পায়ের ভৃত্য
সামাজিক অবক্ষয় সময়ের ঘুঁনপোকা ধীরে ধীরে পুরো অবকাঠামো খেয়ে ফেলবে সামাজিক দর্শনের দশটি উল্লেখযোগ্য প্যাটার্নের মধ্যে আমার সবচেয়ে মনে ধরে মার্ক্সের তত্ত্ব যেখানে বলা হয়েছে ক্ষমতা, অর্থ আর বিত্তশালীরা দমন পীড়নের মাধ্যমে, ভয়-ভীতির মাধ্যমেই সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করে বর্তমানে এই দর্শন শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো পৃথিবীতে কায়েম হয়েছে আমেরিকায় সম্প্রতি ট্্রাম্পের নির্বাচিত হওয়া এর সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ সমাজতন্ত্র পৃথিবী থেকে উঠে গেলেও যে কারণে সমাজতন্ত্রকে চিন্তা করা হয়েছিল তা আজও পুরোমাত্রায় বহাল আমার মনে হয় ভিন্ন আঙ্গিকে এই দর্শণ আরও জরুরী প্রাসঙ্গিক হবে
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পর ৪৪টি বিজয় দিবস পালিত হয়েছে এটি অর্থা ২০১৬ সালের বিজয় দিবসটি ৪৫তম আমরা আরও একটি অর্থহীন বিজয় দিবস দেখতে যাচ্ছি এর চেয়ে কষ্ট আর লজ্জার কিছু নেই
সত্যি কথা বলা আজ  বড়ো সমস্যা যে প্রতিবাদ করবে সে আওয়ামী লীগের শত্রু আবার বিত্রনপি কিংবা জামাতের দলেও নেই সে একটি বিচ্ছিন্ন প্রাণী ডিসকভারী চ্যানেলে যেমন দেখা যায় বিচ্ছিন্ন গরু কিংবা মহিষকে সিংহ কিংবা বাঘ এসে খেয়ে ফেলে তারও আগে বর্তমানে যা করতে হবে তা হলো নোংরামী করলে নোংরাদের সিংহ এসে খেয়ে ফেলবে ধন্যবাদ সবাইকে বিজয় দিবস সফল হোক

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে

NAZRUL ISLAM MAZUMDER : THE CHOICE OF THE TIME (a biography)

NAZRUL ISLAM MAZUMDER The choice of the time “The purpose of a business is to create a customer who creates customers.” -          Shiv Shing # NASSA GROUP # 30,000 employees #EXIM Bank # 3,000 employees And so on……….. A Biography By OMAR KHALED RUMI M. Sc., MBA, LL.B     ...................................................... “Patience, persistence and perspiration make an unbeatable combination for success.”    - Napoleon Hill   ...................................................... Prlogue Like another man Nazrul Islam Mazunder is also a man. But, how he has made some stories of success. Why people consider him as a special. Why he is applaused as Philanthropic in mind, dynamic in thinking, far-sighted in vision. There must some reasons. The reason is what he wanted himself he has been now. Mazumder, a conglomerate icon, in no way, a trifle name. His success, over years, mak