Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

অভাব নাকি স্বচ্ছলতা - মূলতঃ কে দায়ী?

সমাজ ব্যবস্থা সবসমই পরিবর্তনশীল। আর এই পরিবর্তনশীলতাকে প্রভাবিত করে বেশ কিছু প্রভাবক। স্বাধীনতা পূর্ববতী সময়ের দিকে যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে মোঘল আমলে এটা মোঘলদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। তারপর ইংরেজ এলো। ইংরেজরা সামাজিকতার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও ধর্মেও হাত দিলো। তারপর পাকিস্তানীরা। সবার মতো তারাও বিদেশী আচরন করল। যদিও অর্থনীতিই ছিলো প্রত্যেক সময়কালের মূল প্রভাবক। কিন্তÍ তাকে আড়াল করতে অন্যান্য প্রভাবকগুলোকেও নির্ণায়ক হিসেবে দেওয়া হয়েছিলো।
এই ধারাবাহিকতার পাশাপাশি দু দুটো বিশ্বযুদ্ধও কম দায়ী নয়। আর একটু পেছনে গেলে রুশ বিপ্লব, ফরাসী বিপ্লব, রেঁনেসা এবং সর্বোপরি বৈশ্বিক ক্ষমতা থেকে মুসলমানদের পিছু হটা পর্যন্ত অনায়াসে বিবেচনা যোগ্য। 
’৬০ এর দশকে আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামো গড়ে উঠেছিল পাকিস্তান বিরোধীতাকে কেন্দ্র করে। আমরা তখন জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একাট্টা হয়েছিলাম পাকিস্তানীদের হটানোর প্রশ্নে। আমাদের শিল্প, সাহিত্যেও ছিলো তার ছাপ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই ভাবধারায় পরিবর্তন আসে। আমরা নিজেরাই আমাদের শাসক আর শোষকে পরিনত হই। ঘরে-বাইরে আমরাই কর্তা আর কর্মী। সর্বত্র তার ছাপ পড়ল। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত আমাদের দৃষ্টিতে নিদানের কাল। দেশ গড়ার জন্য একদল প্রানপন চেষ্টা করেছিল। আর একদল যারা মূলতঃ পরাজিত তারা খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলো। দ্বন্দ্বের ফল যা হলো পরাজিতরাই জয়ী হলো। তাদের একজন ১৯৮১ সাল পর্যন্ত চালিয়ে গেলো। তার দর্শন সমাজ ব্যবস্থার ওপর দারুন প্রভাব বিস্তার করলো। হোক তা ভুল বা ঠিক।
তারপর এলো আর একজন। দেশে অন্যরকম একটা কালচার প্রতিষ্ঠিত হলো। একদিকে উন্নয়ের ছোঁয়া। অন্য দিকে নীতি-নৈতিকতাহীনতার প্রবল প্রভাব। আমরা ধরে নিলাম সবকিছু এভাবেই হয়। সমাজ অন্য এক আঙ্গিকে বদলাতে লাগলো। তিনি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রোমান্টিক এবং ক্লাসিকের মিশেল দিয়ে কোনোমতে চালিয়ে গেলেন। উল্লেখযোগ্য কোন সামাজিক কাঠামো তো দাঁড়ালোই না বরং জাতি একটা নীতিবোধহীন অনিশ্চয়তায় ধুকতে লাগলো। সমাজ ব্যবস্থায়ও এর ছাপ স্পষ্ট ছিলো।
১৯৯০ এর গন-আন্দোলন জাতিকে আশাবাদী করেছিল অনেকটাই। কিন্তÍ পরবর্তীতে সম্পূর্ণ হতাশ হতে হলো। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যারা থাকলো তারা পূর্বের সময়ের ই পুনরাবৃত্তি করলো।
সত্যিকারের পরিবর্তনটা এলো ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো। ৬৮ বছরের পূরনো দলটি আমাদের সামাজিক ও সাস্কৃতিক বোধের গভীরে নিয়ে যেতে পারলো। আমরা নতুন করে ভাবতে শুরু করলাম। এই ধারা বেশি দিন অব্যাহত থাকলো না। ২০০১ সালে আবারও ষড়যন্ত্রকারীরা জয়ী হলো। ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভীষন একটা সময় পার হলো। স্বাধীনতার পর সম্ভবত সব চেয়ে মারান্তক নীতি আর সংস্কৃতিহীনতার সময়। জাতি আবার বিভ্রান্ত হলো। এই সময়ে ঘটলো ভয়াবহ সব ঘটনা। সবচেয়ে বড় কথা আমরা ধরেই নিলাম আগামী দিনগুলোও হয়তো এভাবেই সামনে আসবে। কিন্ত না। কোন অবস্থাই বেশিদিন চলে না। ২০০৯ এ এসে ছন্দ পতন ঘটলো। প্রতিটি আঁধারই আলোতে সমাপ্ত হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলো। আবারও আশাবাদী হলো জাতি ও সমাজ, রাষ্ট্র এবং তার জনগন। সর্বত্র একটা ছোঁয়া লাগল। উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক বিপ্লব। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ ও জাতি একযোগে সামনে আগাতে লাগল সমস্ত জঞ্জাল ঠেলে। সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন থাকলো শেখ হাসিনার তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহনের মাধ্যমে। সমাজ ব্যবস্থা গতি নিয়ে সামনে আগাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য সব পরিবর্তন এসেছে। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। সামাজের সর্বত্র এর ছাপ পড়েছে। আমরা আশাকরি এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে