সমাজ ব্যবস্থা সবসমই পরিবর্তনশীল। আর এই পরিবর্তনশীলতাকে প্রভাবিত করে বেশ কিছু প্রভাবক। স্বাধীনতা পূর্ববতী সময়ের দিকে যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে মোঘল আমলে এটা মোঘলদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। তারপর ইংরেজ এলো। ইংরেজরা সামাজিকতার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও ধর্মেও হাত দিলো। তারপর পাকিস্তানীরা। সবার মতো তারাও বিদেশী আচরন করল। যদিও অর্থনীতিই ছিলো প্রত্যেক সময়কালের মূল প্রভাবক। কিন্তÍ তাকে আড়াল করতে অন্যান্য প্রভাবকগুলোকেও নির্ণায়ক হিসেবে দেওয়া হয়েছিলো।
এই ধারাবাহিকতার পাশাপাশি দু দুটো বিশ্বযুদ্ধও কম দায়ী নয়। আর একটু পেছনে গেলে রুশ বিপ্লব, ফরাসী বিপ্লব, রেঁনেসা এবং সর্বোপরি বৈশ্বিক ক্ষমতা থেকে মুসলমানদের পিছু হটা পর্যন্ত অনায়াসে বিবেচনা যোগ্য।
’৬০ এর দশকে আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামো গড়ে উঠেছিল পাকিস্তান বিরোধীতাকে কেন্দ্র করে। আমরা তখন জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একাট্টা হয়েছিলাম পাকিস্তানীদের হটানোর প্রশ্নে। আমাদের শিল্প, সাহিত্যেও ছিলো তার ছাপ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই ভাবধারায় পরিবর্তন আসে। আমরা নিজেরাই আমাদের শাসক আর শোষকে পরিনত হই। ঘরে-বাইরে আমরাই কর্তা আর কর্মী। সর্বত্র তার ছাপ পড়ল। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত আমাদের দৃষ্টিতে নিদানের কাল। দেশ গড়ার জন্য একদল প্রানপন চেষ্টা করেছিল। আর একদল যারা মূলতঃ পরাজিত তারা খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলো। দ্বন্দ্বের ফল যা হলো পরাজিতরাই জয়ী হলো। তাদের একজন ১৯৮১ সাল পর্যন্ত চালিয়ে গেলো। তার দর্শন সমাজ ব্যবস্থার ওপর দারুন প্রভাব বিস্তার করলো। হোক তা ভুল বা ঠিক।
তারপর এলো আর একজন। দেশে অন্যরকম একটা কালচার প্রতিষ্ঠিত হলো। একদিকে উন্নয়ের ছোঁয়া। অন্য দিকে নীতি-নৈতিকতাহীনতার প্রবল প্রভাব। আমরা ধরে নিলাম সবকিছু এভাবেই হয়। সমাজ অন্য এক আঙ্গিকে বদলাতে লাগলো। তিনি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রোমান্টিক এবং ক্লাসিকের মিশেল দিয়ে কোনোমতে চালিয়ে গেলেন। উল্লেখযোগ্য কোন সামাজিক কাঠামো তো দাঁড়ালোই না বরং জাতি একটা নীতিবোধহীন অনিশ্চয়তায় ধুকতে লাগলো। সমাজ ব্যবস্থায়ও এর ছাপ স্পষ্ট ছিলো।
১৯৯০ এর গন-আন্দোলন জাতিকে আশাবাদী করেছিল অনেকটাই। কিন্তÍ পরবর্তীতে সম্পূর্ণ হতাশ হতে হলো। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যারা থাকলো তারা পূর্বের সময়ের ই পুনরাবৃত্তি করলো।
সত্যিকারের পরিবর্তনটা এলো ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো। ৬৮ বছরের পূরনো দলটি আমাদের সামাজিক ও সাস্কৃতিক বোধের গভীরে নিয়ে যেতে পারলো। আমরা নতুন করে ভাবতে শুরু করলাম। এই ধারা বেশি দিন অব্যাহত থাকলো না। ২০০১ সালে আবারও ষড়যন্ত্রকারীরা জয়ী হলো। ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভীষন একটা সময় পার হলো। স্বাধীনতার পর সম্ভবত সব চেয়ে মারান্তক নীতি আর সংস্কৃতিহীনতার সময়। জাতি আবার বিভ্রান্ত হলো। এই সময়ে ঘটলো ভয়াবহ সব ঘটনা। সবচেয়ে বড় কথা আমরা ধরেই নিলাম আগামী দিনগুলোও হয়তো এভাবেই সামনে আসবে। কিন্ত না। কোন অবস্থাই বেশিদিন চলে না। ২০০৯ এ এসে ছন্দ পতন ঘটলো। প্রতিটি আঁধারই আলোতে সমাপ্ত হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলো। আবারও আশাবাদী হলো জাতি ও সমাজ, রাষ্ট্র এবং তার জনগন। সর্বত্র একটা ছোঁয়া লাগল। উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক বিপ্লব। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ ও জাতি একযোগে সামনে আগাতে লাগল সমস্ত জঞ্জাল ঠেলে। সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন থাকলো শেখ হাসিনার তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহনের মাধ্যমে। সমাজ ব্যবস্থা গতি নিয়ে সামনে আগাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য সব পরিবর্তন এসেছে। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। সামাজের সর্বত্র এর ছাপ পড়েছে। আমরা আশাকরি এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
এই ধারাবাহিকতার পাশাপাশি দু দুটো বিশ্বযুদ্ধও কম দায়ী নয়। আর একটু পেছনে গেলে রুশ বিপ্লব, ফরাসী বিপ্লব, রেঁনেসা এবং সর্বোপরি বৈশ্বিক ক্ষমতা থেকে মুসলমানদের পিছু হটা পর্যন্ত অনায়াসে বিবেচনা যোগ্য।
’৬০ এর দশকে আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামো গড়ে উঠেছিল পাকিস্তান বিরোধীতাকে কেন্দ্র করে। আমরা তখন জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একাট্টা হয়েছিলাম পাকিস্তানীদের হটানোর প্রশ্নে। আমাদের শিল্প, সাহিত্যেও ছিলো তার ছাপ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই ভাবধারায় পরিবর্তন আসে। আমরা নিজেরাই আমাদের শাসক আর শোষকে পরিনত হই। ঘরে-বাইরে আমরাই কর্তা আর কর্মী। সর্বত্র তার ছাপ পড়ল। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত আমাদের দৃষ্টিতে নিদানের কাল। দেশ গড়ার জন্য একদল প্রানপন চেষ্টা করেছিল। আর একদল যারা মূলতঃ পরাজিত তারা খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলো। দ্বন্দ্বের ফল যা হলো পরাজিতরাই জয়ী হলো। তাদের একজন ১৯৮১ সাল পর্যন্ত চালিয়ে গেলো। তার দর্শন সমাজ ব্যবস্থার ওপর দারুন প্রভাব বিস্তার করলো। হোক তা ভুল বা ঠিক।
তারপর এলো আর একজন। দেশে অন্যরকম একটা কালচার প্রতিষ্ঠিত হলো। একদিকে উন্নয়ের ছোঁয়া। অন্য দিকে নীতি-নৈতিকতাহীনতার প্রবল প্রভাব। আমরা ধরে নিলাম সবকিছু এভাবেই হয়। সমাজ অন্য এক আঙ্গিকে বদলাতে লাগলো। তিনি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রোমান্টিক এবং ক্লাসিকের মিশেল দিয়ে কোনোমতে চালিয়ে গেলেন। উল্লেখযোগ্য কোন সামাজিক কাঠামো তো দাঁড়ালোই না বরং জাতি একটা নীতিবোধহীন অনিশ্চয়তায় ধুকতে লাগলো। সমাজ ব্যবস্থায়ও এর ছাপ স্পষ্ট ছিলো।
১৯৯০ এর গন-আন্দোলন জাতিকে আশাবাদী করেছিল অনেকটাই। কিন্তÍ পরবর্তীতে সম্পূর্ণ হতাশ হতে হলো। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যারা থাকলো তারা পূর্বের সময়ের ই পুনরাবৃত্তি করলো।
সত্যিকারের পরিবর্তনটা এলো ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো। ৬৮ বছরের পূরনো দলটি আমাদের সামাজিক ও সাস্কৃতিক বোধের গভীরে নিয়ে যেতে পারলো। আমরা নতুন করে ভাবতে শুরু করলাম। এই ধারা বেশি দিন অব্যাহত থাকলো না। ২০০১ সালে আবারও ষড়যন্ত্রকারীরা জয়ী হলো। ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভীষন একটা সময় পার হলো। স্বাধীনতার পর সম্ভবত সব চেয়ে মারান্তক নীতি আর সংস্কৃতিহীনতার সময়। জাতি আবার বিভ্রান্ত হলো। এই সময়ে ঘটলো ভয়াবহ সব ঘটনা। সবচেয়ে বড় কথা আমরা ধরেই নিলাম আগামী দিনগুলোও হয়তো এভাবেই সামনে আসবে। কিন্ত না। কোন অবস্থাই বেশিদিন চলে না। ২০০৯ এ এসে ছন্দ পতন ঘটলো। প্রতিটি আঁধারই আলোতে সমাপ্ত হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলো। আবারও আশাবাদী হলো জাতি ও সমাজ, রাষ্ট্র এবং তার জনগন। সর্বত্র একটা ছোঁয়া লাগল। উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক বিপ্লব। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ ও জাতি একযোগে সামনে আগাতে লাগল সমস্ত জঞ্জাল ঠেলে। সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন থাকলো শেখ হাসিনার তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহনের মাধ্যমে। সমাজ ব্যবস্থা গতি নিয়ে সামনে আগাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য সব পরিবর্তন এসেছে। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। সামাজের সর্বত্র এর ছাপ পড়েছে। আমরা আশাকরি এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
Comments
Post a Comment