Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

হেরোড অ্যান্টিপাস এর হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) এর প্রতি অবিচার


 হেরোড অ্যান্টিপাস, হেরোডিয়াস ও দ্বিতীয় সালোমের হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) এর প্রতি অবিচার


জুদির শাসক হেরোড দ্যা গ্রেট ক্ষমতায় ছিলেন খ্রিস্ট পূর্বাব্দ ৩৭ থেকে খ্রিস্ট পূর্বাব্দ ৪ পর্যন্ত। তার মৃত্যুর পর তার সা¤্রাজ্য তার তিন পুত্র ও বোন প্রথম সালোমের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। Wikipedia র তথ্য অনুসারে উল্লেখ করা যেতে পারে,

Upon Herod's death, the Romans divided his kingdom among three of his sons and his sister: Archelaus became ethnarch of Judea, Samaria, and Idumea; Herod Antipas became tetrarch of Galilee and Peraea; Philip became tetrarch of territories north and east of the Jordan; and Salome I was given a toparchy including the cities of Jabneh, Ashdod, and Phasaelis.

হেরোড অ্যান্টিপাস তার ভ্রাতা দ্বিতীয় হেরোড-এর বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে তার সুন্দরী স্ত্রী হেরোডিয়াস এর প্রেমে পড়েন। এরপর তিনি তাকে যেনতেন ভাবে বিবাহও করে ফেলেন। অবশ্য এই হেরোডিয়াসও ছিলো তারই ভ্রাতা চতুর্থ অ্যারিস্টুবুলুস এর  কন্যা। এই হেরোডিয়াস এবং দ্বিতীয় হেরোড এর ঘরের এক অতীব সুন্দরী কন্যা ছিলো দ্বিতীয় সালোমে যে একাধারে হেরোড এ্যান্টিপাস-এর ভাইঝি আবার অন্যদিকে তার স্ত্রীর আগের পক্ষের মেয়ে হওয়ায় তারও সৎ মেয়ে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে হেরোডিয়াস এবং দ্বিতীয় সালোমে উভয়েই ছিলো হোরোড অ্যান্টিপাস এর ভাইঝি। একসময় হেরোড এ্যান্টিপাস এই সুন্দরী দ্বিতীয় সালোমের প্রেমেও মজেন।


ইতোপূর্বে হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) যিনি খ্রিস্টানদের কাছে জন দ্যা ব্যাপ্টিস্ট নামে পরিচিত এবং যার জীবদ্দশার সময়কাল ছিলো খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকের শেষ ভাগ থেকে সম্ভবতঃ প্রথম খ্রিস্টাব্দের ২৮ থেকে ৩৬ পর্যন্ত তিনি হেরোড দ্যা এন্টিপাসের সাথে তার ভাইঝি এবং ভ্রাতৃবধু হেরোডিয়াস এর বিয়েকে বেআইনী বলে প্রতিবাদ করেছিলেন কারণ তার মতে এটা সঠিক রীতি নীতি মেনে করা হয়নি। দ্বিতীয় সালোমের সমর্থন ছিলো তার মা এবং তার চাচার মধ্যের এই বৈবাহিক সম্পর্কে। তাই তিনি হযরত ইয়াহিয়া (আঃ)-এর প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন।

দ্বিতীয় সালোমে যখন দেখল তার প্রতি তার চাচা তথা বর্তমান সৎ পিতার একটা কুদৃষ্টি আছে তখন সে সেই সুযোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করলো। হেরোড এন্টিপাসকে সে জানিয়ে দিলো যদি সে তাকে পেতে চায় তবে তাকে একটা শর্ত পূরণ করতে হবে। হেরোডের জন্মদিনের উৎসবে সে সবার সামনে নাচবে কিন্তু তার নৃত্য চলাকালে সে একটি মূল্যবান পাত্রের উপর হযরত ইয়াহিয়া (আঃ)-এর খন্ডিত রক্তাক্ত মস্তক আশা করে। এই ষড়যন্ত্রেও পেছনে মূলত হেরোডিয়াসের হাত ছিলো।

হেরোড এন্টিপাস রাজি হলেন। যথাসময়ে দ্বিতীয় সালোমের ইচ্ছানুযায়ী হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) কে হত্যা করে তার কর্তিত রক্তাক্ত মস্তক এক সুন্দর প্লেটে হেরোডের জন্মদিনের উৎসবে হাজির করা হলো। সুন্দরী দ্বিতীয় সালোমে সেই মস্তক সামনে নিয়ে উদ্দাম নৃত্য পরিবেশন করেন। সম্ভবত ২৮ থেকে ৩৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে এই নারকীয় ঘটনা ঘটেছিলো।

হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) ছিলেন হযরত জাকারিয়া (আঃ) ও তার স্ত্রী এলিজাবেথের সন্তান যিনি মাতা মেরীর আত্মীয় ছিলেন। হযরত জাকারিয়া (আঃ) মাতা মরিয়মেরও অভিভাবক ছিলেন। আল্লাহ্র কাছে বিশেষ প্রার্থনার ফলম্বরূপ অত্যন্ত বৃদ্ধ বয়সে তিনি হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) এর মুখ দেখেন। তখন তার বয়স ৯২ বছর আর তার স্ত্রী এলিজাবেথের বয়স ৬০ বছর। জাকারিয়া (আঃ) আল্লাহ্র ঘর অর্থাৎ ২য় টেম্পল এর দেখাশোনার জন্য এই সন্তান কামনা করেছিলেন। কারণ তিনি এই পবিত্র গৃহ দেখাশুনা করতেন আর এ নিয়ে চিন্তিতও ছিলেন যে তার মৃত্যুর পর কে এসব দেখাশুনা করবে?

বলা হয় আল্লাহ্ হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) এর মাধ্যমে হযরত মুসা (আঃ) এর বাণীকে পুনরুজ্জীবিত করেন। তিনি ঈসা (আঃ) কে তার অধীনে দীক্ষিত করান। তার মৃত্যুর পর হযরত ঈসা (আঃ) পৃথিবীর বুকে আল্লাহ্র বাণী প্রচার করেন। তিনি ৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং সম্ভবত ৩৩ থেকে ৩৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে আল্লাহ্ তাকে আসমানে উঠিয়ে নেন।

জেরুজালেমের ইতিহাস দুঃখজনক, করুণ এবং মর্মস্পশী ঘটনার সাথে আষ্ঠে পৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। আর তার একটাই সত্য যে এই নগরীর অতীত ইতিহাসকে যতই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বর্ণনা করার চেষ্টা করা হোক না কেন এর পরিক্রমা মূলত ধর্মীয় ঘটনাবলির সাথে সম্পর্কিত।

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে