Skip to main content

Fabricare receipt 01 08 2024

প্যালেস্টাইন PALESTINE

 

প্যালেস্টাইনের (palestine) ইতিহাস সম্পর্কে যতটুকু জানা যায় তাতে বলা যায়, ব্রোঞ্জ যুগে (bronze age) এটা কেনানাইটদের (canaanites) দ্বারা নগর সভ্যতায় রূপান্তরিত হতে শুরু করে যা লেট ব্রোঞ্জ এইজে এসে বিভিন্ন সভ্যতা বিশেষ করে মিশরীয় সভ্যতা যারা তখন এই অঞ্চলটাকেও শাসন করেছিলো তাদের দ্বারাও প্রভাবিত হয়।

এর পরবর্তীতে যদি আয়রন এইজ বা লৌহ যুগের কথা বলি তাহলে বলবো, তখন এটা দুটো পৃথক রাষ্ট্রে ভাগ হয়ে যায় যার একটি ইসরাইল (israel) এবং অন্যটি যুদাহ (judea) আর প্যালেস্টাইন বলতে থেকে যায় শুধু সেই কেনান (canaan) দেশের ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী দক্ষিণ ভাগটুকু যা এখনও গাজা (gaza) উপত্যকা নামে রয়ে গেছে।
এখানে বলে রাখতে চাই লৌহ যুগ বলতে খ্রি: পূ: ১২০০ থেকে ৬০০ খ্রি: পূ: সময়কালকে বুঝায়। আর এই সময়কালটাতে এই এলাকাটাকে Assyrians, Babylonians, Persians রা শাসন করেছিলো। আর এই Persian রাই খ্রি: পূ: ৫৩৯ সময়কালে Babylonia দখল করে এক নতুন অধ্যায়ের জন্ম দেয়।
তারা ব্যাবিলোনিয়ায় বন্দী ইহুদীদের মুক্ত করে তাদের মধ্যে যারা জেরুজালেমে ফিরে যেতে ইচ্ছুক তাদেরকে ফিরে যেতে সহযোগিতা করেন। সেখানে তারা দ্বিতীয় টেম্পল নির্মাণ করেন যা পরবর্তীতে রোমানদের দ্বারা ৭০ খ্রিস্টাব্দে শেষবারের মতো সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয় যা আর কোনদিন নির্মিত হয়নি।
এখানে বলে রাখতে চাই, Persian দের পরে ৩০০ খ্রি: পূ: সময়কালে আলেক্সান্ডার (alexander) উক্ত এলাকা জয় করলে এটা হেলেনিস্টিক (hellenistic) সভ্যতার অন্তর্ভূক্ত হয়। আলেক্সান্ডার এর রেখে যাওয়া সভ্যতা যা পরবর্তীতে Seleucids নাম ধারণ করে তারাও খ্রি: পূ: ৬৩ সময়কালে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
পাশাপাশি ইরানি Parthian সভ্যতার উম্মেষ ঘটে তাও ২২৪ খ্রিস্টাব্দ সময়কালে বিলুপ্ত হয়ে যায়। সে জায়গা দখল করে ইরানি Sasanian Empire যারা ৬৫১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিলো এবং একই সময়কালে তাদেরই প্রতিবেশী আর একটি শক্তিশালী সা¤্রাজ্য Byzantine Empire এর সাথে ক্রমাগত যুদ্ধ বিগ্রহের দ্বারা দুর্বল হতে হতে ৬৫১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টিকে থেকে অবশেষে মুসলিমদের দ্বারা বিজীত হয়।
আর Byzantine সা¤্রাজ্যও ক্রমাগত মুসলিমদের কাছে ভূমি হারাতে হারাতে শেষ পর্যন্ত ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে মুসলমানদের কাছে কনস্টান্টিনোপল হারিয়ে অবশেষে বিলুপ্ত হয়।
যে প্রসঙ্গে ছিলাম তাহলো Palestine পার্সিয়ানদের শাসনে চলে গিয়েছিলো। এটা ছিলো লৌহ যুুগের শেষ দিকের ঘটনা। এদের হাত থেকে এটা আলেক্সান্ডার নিয়ে নেন। এর পরে এই এলাকাটা Hasmonean Kingdom এর আন্ডারে চলে যায়। আর এই Hasmonean রা পরবর্তীতে রোমানদের কাছে পরাজিত হয় কিন্তু রোমান Judea র ইহুদিরা ক্রমাগত বিদ্রোহ করলে ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমান জেনারেল টিটুস যিনি পরবর্তীতে রোমান স¤্রাট হন, তিনি জেরুজালেমকে ধ্বংস করেন এবং দ্বিতীয় টেম্পলও ধ্বংস করে দেন। তার পরবর্তীতে খোলাফায়ে রাশেদীনের সময়কালে এটা মুসলমানদের অধীনে চলে আসে।



Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে

NAZRUL ISLAM MAZUMDER : THE CHOICE OF THE TIME (a biography)

NAZRUL ISLAM MAZUMDER The choice of the time “The purpose of a business is to create a customer who creates customers.” -          Shiv Shing # NASSA GROUP # 30,000 employees #EXIM Bank # 3,000 employees And so on……….. A Biography By OMAR KHALED RUMI M. Sc., MBA, LL.B     ...................................................... “Patience, persistence and perspiration make an unbeatable combination for success.”    - Napoleon Hill   ...................................................... Prlogue Like another man Nazrul Islam Mazunder is also a man. But, how he has made some stories of success. Why people consider him as a special. Why he is applaused as Philanthropic in mind, dynamic in thinking, far-sighted in vision. There must some reasons. The reason is what he wanted himself he has been now. Mazumder, a conglomerate icon, in no way, a trifle name. His success, over years, mak