Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

বাংলা নামের ব-দ্বীপ A LAND NAMED BENGAL DELTA

বাংলা (bangla) নাম নিয়ে বড় কোনো কথা দিয়ে শুরু করতে চাই না। তবে শুরুতেই এই কথা বলে নিতে চাই ব-দ্বীপে বসবাসরত মানুষগুলো বরাবরই একটু খেয়ালি টাইপের অর্থাৎ স্বাধীনচেতা। এটা এখানকার জল হাওয়া কাদার বৈশিষ্ট্য যা মানুষকেও এর প্রকৃতির মতো খামখেয়ালি করে তোলে। এর নদীগুলোর উত্তাল উত্তুঙ্গ ঢেউগুলো যেমন মাথা নিচু করতে জানে না এর মানুষগুলোও এই সব উথাল পাতাল নদীর ¯্রােতে নৌকা ভাসিয়ে এক একজন হয়ে ওঠে অজেয়। সম্পদের গর্ব না করতে পারলেও আমি বাঙালির হৃদয়ের দৈন্য কখনও দেখিনি। বাঙালি তাই বরাবরের এক রোখা, সাহসী, সজাগ, সচেতন। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে যখন ইংরেজ হটাও এর সশ¯্র আন্দোলন শুরু হলো তাও কিন্তু হলো এই বাংলা দিয়েই। এখানেই তো ক্ষুদিরাম, বাঘা যতিন (bagha jatin), মাস্টার দা (master da surya sen), প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (pritilata waddedar), ইলা মিত্র (ila mitra) - আরও কতো নাম।
বাংলার পাদদেশে সমুদ্র তার পা ধুয়ে দেয় সারাক্ষণ। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত (world's longest sea beach) তাই এর দখলেই। বাকী সবটাই বলতে গেলে বর্তমান ভারত (india) দিয়ে ঘেরা। কিছুটা সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে বার্মা Burma) বা মিয়ানমার (myanmar)।
বাংলার গৌরব আর গর্বের পাশাপাশি দুর্দশারও অন্তঃ ছিলো না কখনও। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার, শিল্পের অনগ্রসরতা, নিজস্ব কোন্দল, স্বার্থপরতা, সংকীর্নতার সুযোগ নিয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী এখানে খুঁটি গেড়ে বসেছিলো তুর্কী (turkiye), আফগান (afghan), পর্তুগীজ (portuguese), ওলন্দাজ বা ডাচ (netherland or Holland), ফরাসি (french), দিনেমার বা ডেনমার্কের লোকেরা Dinemar or denmark) কিংবা ইংরেজ (british)। অবশ্য শেষ মেষ কেউই একে বাগে রাখতে পারেনি। সর্বশেষ পাকিস্তানিরাও (pakistan) চেষ্টা করেছিলো। কাজ হয়নি। ২৩ বছরের মাথায় বিদায় নিতে হয়েছে।
বাংলাকে নিয়েই কেন বারবার ষড়যন্ত্র হয়। ওদিকে বাংলার যে অংশটুকু ভারতের ভেতরে অর্থাৎ যেটুকুর নাম পশ্চিমবঙ্গ তার অবস্থাও বেহাল। ভারতের কেন্দ্রের অপ রাজনীতির শিকার, অবহেলিত। তোপের মুখে একজন আটপৌড়ে শাড়ি আর দুই ফিতার স্যান্ডেল পরা মহিলা (mamta didi) অতি কষ্টে দাঁত মুখ খিঁচিয়ে কোনো মতে টিকিয়ে রেখেছেন। নইলে প্রতিটি নির্বাচন আসে তো মনে হয় এই বুঝি পশ্চিম বঙ্গ (west bengal) হাতছাড়া হয়ে গেলো তৃণমূলের (trinamool congress) হাত থেকে। এই বুঝি কেউ না কেউ কেন্দ্র হতে এসে ছোবল মেরে নিয়ে গেলো বাংলাকে।
আর এদিকটায় যে অংশ স্বাধীন পূর্ববাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশ (bangladesh) তাকেওতো বিশ্ব মোড়লের (the usa) চোখ রাঙানির মুখে প্রতিনিয়ত হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে। ভেতরের মানুষ মিশেছে বাইরের শকুনের সাথে। হাড়গিলার নজর পড়েছে বাংলার কোমল মাংসের উপর। পুরো পৃথিবীর শান্তি নষ্ট করছে একটা বুড়ো শকুন। বাংলাকে বাঁচানোর এর অর্থনীতিকে বাঁচানোর এর উন্নয়নের ধারাকে বাঁচানোর এটাই শ্রেষ্ঠ সময়।
১৯৭১ এ তো আর একটু হলেই ফসকে গিয়েছিলো স্বাধীনতার স্বপ্ন। বিশ্ব মোড়ল তো উঠে পড়ে লেগেছিলো যাকে বলে আদা জল খেয়ে লাগা। শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ কূটনীতিক কিসিঞ্জারকেও (henry kisinger) ব্যর্থ হতে হলো বাংলাদেশ ইস্যুতে। তিনি অবশ্য একটা কথা বলে পিঠ বাঁচালেন, This is my personal defeat. তাতে কি আর সব ধুয়ে মুছে যায়। আজীবনের জন্যে এদেশের প্রতি রোপন করে রেখে গেলেন মার্কিন বিদ্বেষের বীজ। আর স্বদেশে ব্যর্থ স্বাধীনতা বিরোধীরাও সেই বিষমন্ত্র লুফে নিলো। তাদেরকে বানালো ষড়যন্ত্রের দোসর।
১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্ট সুবিধা করতে পারলো তারা। তারপর অন্ধকার যুগের প্রায় পনেরটি বছর কাটলো সামরিক শাসনের যাতাকলে। আজ যারা গণতন্ত্রের কথা বলে তখন তাদের সেই সব মুখগুলো কোথায় ছিলো? তারপর যদিও সুযোগ এলো কিন্তু লাভ হলো না। একই অন্ধকারের এপিঠ ওপিঠ হলো মাত্র। কাটলো আরও পাঁচটি বছর। ১৯৯৬-এ এসে দেশটা আলোর মুখ দেখলো। অরাজকতা বা মাৎস্যান্যায় পেরিয়ে বিচারের রাজনীতিতে ফিরলো দেশ। কিন্তু এসবের অনেক কিছুই অনেকের ভালো লাগে না। এতে যে অনেক অসুবিধা।
তন্ত্র-মন্ত্র গেলাতে হবে না। রাজনীতির আড়ালে সন্ত্রাসবাদীদের লালন পালন। অবাক লাগে ঐ সময়টার কথা চিন্তা করলে। একটার পর একটা সন্ত্রাসী সংগঠন। হাতুড়ী নামে পর্যন্ত একটা সংগঠন বেরিয়েছিলো। আর জেএমবি (jmb), বাংলা ভাইয়ের (bangla bhai) কথা নয় বাদই দিলাম। এর চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে?
উল্লাস বা উচ্ছাসের কিছু নেই। তারা কিন্তু মোটেই বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। শুধু ঘাপটি মেরে আছে সময়ের অপেক্ষায়। উর্বর ক্ষেত্র পেলেই গজাবে আগাছার মতো। ভিপি নূর (v p nur), একজন সুদখোর (dr. yunus), লন্ডনে অবস্থানরত যুবরাজ (tareq zia)- আরও কতো নাম - অপেক্ষায় আছে ক্ষেত্র তৈরি করার। আমেরিকা বসে আছে বিষবৃক্ষের গোড়ায় পানি ঢালতে। এদেশ বাঁচুক আর মরুক তাতে কার কি আসে যায়? নিজের সুবিধা হলেই হলো।
আমরা জানি না কি ঘটবে? তবে একথা সত্য স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করা কঠিন। তাইতো পাহারা দিতে হবে সার্বক্ষনিকভাবে। ঘুমিয়ে পড়লে চলবে না। জেগে থাকতে হবে।

 

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে