Skip to main content

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com

Setara bibi under the lamp post - Literature - observerbd.com : The glittering city aroundLife is rich with red, blue light of neonWide sky over the headPieces of moonlight, scatteredAnd in that splashed pieces of meteorThose are taken by the scientists of NASASo height the civilization reachesThis city is the flow of happiness nowSome men like us pass the wayWith frustration

জেরুজালেম (jerusalem)

জুদার (judea) পর্বতের উপর যে বিস্তৃত সমতল যা ডেড সি (dead sea) বা মরু সাগরের পশ্চিম পার্শ্বে আড়াআড়িভাবে উত্তর দক্ষিণ বরাবর বিস্তৃত এবং দৈর্ঘ্য মরু সাগরের চাইতে বেশ খানিকটা বেশীই বলতে হবে তারই মধ্যভাগের খানিকটা উপরের দিকে জেরুজালেমের (jerusalem) অবস্থান।
জেরুজালেমের খানিকটা নিচে অর্থাৎ দক্ষিণ দিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাবান বেথেলহেম (bethlehem)। জেরুজালেমের পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর (mediterranian) আর পূর্বে মরু সাগর (dead sea)। জেরুজালেমের যে অংশটা সিটি অফ ডেভিড (city of david) বা দাউদ নবীর নগরী হিসেবে পরিচিত সেখানে আর্কিওলজিস্টদের তথ্যানুযায়ী খ্রিঃ পূঃ ৪০০০ বছর আগে থেকেই লোক বসতির চিহ্ন পাওয়া যায় তবে সেই মানুষগুলো উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়ানো শিকারী মানুষ ছাড়া আর কিছু নয়।
জেরুজালেম সম্পর্কে গোছানো যেটুকু জানা যায় তাহলো খ্রিঃ পূঃ ১৪০০ সময় কালের। এই সময়ে মিশরীয় শিলালিপি বা tablet- এ এর উল্লেখ পাওয়া যায় রুসালিম (rusalim) হিসেবে যার অর্থ করা হয়েছে সিটি অফ শালেম (city of shalem) আর এই shalem হলো তৎকালীন কেনান (canaan) দেশীয় এক দেবতার নাম।
তারপর যা জানা যায় তাহলো এখানে মোশির (Moses) সেনাপতি যশুয়ার (Joshua) বিজয়ের মাধ্যমে ইসরাইলীয়দের (israelites) আগমনের কথা। এটা সম্ভবতঃ খ্রিঃ পূঃ ১৩০০ সালের সময়কালের কথা। তবে তখন কেবলমাত্র ধীরে ধীরে নগর সভ্যতা গড়ে উঠতে শুরু করেছে। আর এটা ছিলো লৌহ যুগের (iron age) শুরুর সময়কালটা।
এখানে বলে রাখা ভালো, আব্রাহামের সময়কাল হলো খ্রিঃ পূঃ ২০০০। তার প্রায় ছয়শ বছরের পরে এসেছিলেন মোশি। তাই এটা সম্ভবত ১৪০০ খ্রিঃ পূঃ সময়কাল। তিনি বেঁচে ছিলেন ১২০ বছর। আর তাই তার মৃত্যুর পর যশুয়ার যে অভিযান তাও তাই খ্রিঃ পূঃ ১৩০০ সালের দিকের কথা।
এই সময়কালের প্রায় তিনশ বছর পর অর্থাৎ আনুমানিক খ্রিঃ পূঃ ১০০০ সময়কালে দাউদ (David) নবী (আঃ) জেরুজালেমের রাজা হন। আর তখন থেকেই এর সমৃদ্ধি আসতে থাকে। তার পুত্র সোলাইমান (Soloman) এখানে প্রথম টেম্পল (first temple) নির্মাণ করেন। এটা খ্রিঃ পূঃ ৯০০ সালের দিকের কথা। সম্ভবত খ্রিঃ পূঃ ৫৮৭ সময়কালে নিও ব্যাবিলনীয় সা¤্রাজ্যের রাজা নেবু চাঁদ নেজারের (Nebuchad Nezzar) দ্বারা এটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। রাজা জেরুজালেমবাসীদের বন্দী করে নিয়ে যান।
অবশ্য এর কয়েক দশক পরে পারস্যের আকিমিনিদ (achaemenid) সা¤্রাজ্যের রাজা সাইরাস দ্য গ্রেট (cyrus the great) ব্যাবিলনীয় (babylonian) সা¤্রাজ্যকে পরাজিত করেন এবং ইহুদীদের (jews) মুক্ত করে জেরুজালেমে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেন। সেখানে তারা খ্রিঃ পূঃ ৫১৬ সময়কালে দ্বিতীয় টেম্পল (second temple) নির্মাণ করেন। অবশ্য এটাও ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমান জেনারেল টিটুস (titus) কর্তৃক ধ্বংস হয়ে যায় যা আজও পুননির্মিত হয়নি।
জেরুজালেমে বর্তমানে মুসলমানদের তৈরী ডোম অব রক (dome of rock), আল আকসা (al aqsa) মসজিদ আর খ্রিস্টানদের church of holy sepulchre ছাড়া আর কোন উপাসনালয় নেই। ইহুদিরা তাই তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী যেখানে তাদের দ্বিতীয় টেম্পল ছিলো বলে ধারণা করে অর্থাৎ পুরণো শহরের পশ্চিমের দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে ইবাদত করে। তাদের ধারণা মুসলমানদের Dome of Rock আর আল আকসার (al aqsa) নিচেই তাদের দ্বিতীয় টেম্পল চাপা পড়ে গেছে।
পারসিয়ানদেও পর জেরুজালেম আলেক্সান্ডারের হাতে চলে যায়। তার পরবর্তী সময়ে এটা তারই একজন সেনাপতি টলেমির (ptolemy) হাতে আসে। এরপর ১৫২ খ্রিঃ পূঃ সময়কালে এটা হাসমোনিয়ানদের (hasmonean) দখলে যায়। খ্রিঃ পূঃ ৬৯ সময়কালে এটা আবার রোমান স¤্রাট পম্পেই দ্যা গ্রেট (pompey the great) জয় করে নেন। এর পরবর্তীতে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য এটা হাসমোনিয়ানদের সহযোগিতায় পার্সিয়ান সা¤্রাজ্যের অন্তর্গত হয় বটে, তবে তা শীঘ্রই রোমানদের হস্তগত হয়।
এই সময় রোমান ও পার্সিয়ানদের মধ্যবর্তী দ্ব›েদ্বর সুবাদে এটা এডোমাইট (edomite) রাজা হেরোডের (herod the great) হাতে পড়ে। রোম হেরোডকে রাজা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। হেরোডের মৃত্যুর পর এটি আবারও রোমান সা¤্রাজ্যের অধীনে চলে যায় Ludaea হিসেবে। যদিও Herod-এর বংশধররা ৯৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী এলাকার শাসক ছিলো। হেরোডের বংশের শেষ শাসক ছিলো প্রথম সালোমে (salome I)। এই হেরোডের সময়কালটা ধর্মীয় কারণে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
হেরোডের শাসনকালটা ছিলো অত্যন্ত আলোচিত। ... to be continued ...

 

Comments

Popular posts from this blog

মিথ-পুরাণ ও বিষ্ণু দে-র কবিতা / সৈয়দ কওসর জামাল

মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো  সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন  মনের আধুনিক অ

UCPDC - 600 Bangla

ইউসিপিডিসি-৬০০ ধারা-১ঃ ইউসিপিডিসি-এর প্রয়োগঃ ইউসিপিডিসি এর ২০০৭ সালের সংশোধনী আইসিসি পাবলিকেশন ৬০০ এর বিধি বা ধারাসমূহ (স্ট্যাণ্ড বাই লেটার অব ক্রেডিট সহ) সকল এলসিতে প্রয়োগ হবে। এলসিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উল্লেখ না করলে তা সকল পক্ষের উপরই কার্যকর হবে। ধারা-২ঃ সংজ্ঞা ঃ অন্য কোন অর্থে ব্যবহার না করলে এই বিধিতে এ্যাডাভাইজিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে বোঝাবে যে ইস্যুইং ব্যাংক এর অনুরোধে ঋণপত্র সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক বলতে সেই পক্ষকে বোঝাবে যার অনুরোধে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ব্যাংকিং কর্ম দিবস বলতে সেই দিনকেই বুঝাবে যেদিন ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত বিধি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে তার প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বেনিফিসিয়ারী বলতে সেই পক্ষকে বুঝাবে যার পক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশন বলতে সেই প্রেজেণ্টেশনকে বুঝাবে যা ঋণের সকল শর্তানুযায়ী করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্যাংকিং চর্চার আওতাধীন। কনফার্মেশন বলতে কনফার্মিং ব্যাংক এর পাশাপাশি ইস্যুইং ব্যাংক কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে একটি কমপ্লাইং প্রেজেণ্টেশনকে অনুমোদন ঝুঝায়। কনফার্মিং ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংককে ঝুঝা

ইতিহাসের কবি, কবির ইতিহাস : জীবনানন্দ দাশ / সৈয়দ কওসর জামাল

What thou lov`st is thy true heritage! উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা যা কিছু পাই, তার মধ্যেকার ভালোটুকু এবং ইতিহাসের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষেত্রে এজরা পাউন্ডের এই পংক্তিটি প্রবাদ হয়ে আছে। এই হেরিটেজ-এর প্রতি মমত্ব যেমন সমাজবদ্ধ মানুষের সহজাত, কবিও তেমনি এখানে খুঁজে পান তাঁর ইতিহাসচেতনার আধারটিকে। হেরিটেজ যেমন ইতিহাস হয়ে ওঠে, এই ইতিহাসও তেমনি কবিতার হেরিটেজ হয়ে যায়। ইতিহাস বিচ্ছুরিত আলো কবির মুখে পড়ে, আর কবিতাও সেই আলোর স্পর্শ পায়।     ইতিহাসে আছে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনের এক ব্যাপক বিস্তার। এই বিস্তারের দিকে কবিকেও চোখ রাখতে হয়। তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের জন্য নয়, ইতিহাসের ভিতরের সারসত্যটুকু ও ইতিহাসের মর্মকথাটিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির অলোকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। কবির চেতনার আলোকে ইতিহাসের দুএকটি মর্মকথা বা সত্যসূত্র শুধু উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই আমরা কবির ইতিহাসচেতনার বলি, যা বহুস্তরীয়, আর তাকে প্রকাশিত হতে দেখি কবিতায় কতো বিচিত্র ভঙ্গিতে। কাব্যপ্রক্রিয়ার এই চেতনা অতি সূক্ষ্মভাবে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে দেয়। অন্য সে কবিতা ইতিহাস নয় ইতিহাসের সারমর্মটুকু বুকে ধরে রাখে। ইতিহাসপাঠে