দেশ
অনেক লোক মনে করে দেশ হলো একটা ধারনা। এর অস্তিত্ব কেবল ধারনার মধ্যে। একটা কাল্পনিক সীমারেখার উপরে এটা প্রতিষ্ঠিত। যে কোন সময় এর সীমানা পরিবর্তন হতে পারে। বদলে যেতে পারে মানচিত্র। এটা দেখল বেদখল হয়ে যেতে পারে। বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এর স্বাধীনতা। কিন্তু এটা তো সত্য যে আপনার দেশ আপনার কাছে কতো মূল্যে পাওয়া একটা বাস্তবতা। একবার ভাবুন তো অন্য দেশে আপনার পরিচয়টা মূলতঃ কি? কিছুই না। অস্তিত্বহীন আপনি, অসহায়, ঠিকানাহীন। যতো বিতর্কই থাকুক না কেন দেশ আমাদের কাছে জীবন্ত সত্য। আমরা চাইলেও এর বাইরে যেতে পারবো না।
দেশ যখন আমাদের কাছে জীবন্ত, রাজনীতি তেমন আমাদের কাছে মূর্ত। আমরা চাইলেও সবময় এর থেকে দূরে যেতে পারি না। যদিও আমরা অনেকেই রাজনৈতিক কার্যকলাপ অপছন্দ করি। এটা মূলতঃ হয় রাজনীতিবিদদের আচরণের কারনে। বেশীর ভাগ মানুষই তাদের চার পাশের এমন সব মানুষকে এই কার্যে প্রবৃত্ত হতে দেখে যারা মূলতঃ এটাকে তাদের সুবিধা আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। আর এখান থেকে দোষটা রাজনীতির না। রাজনীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের । রাজনীতির বাইরে এতো বৃহত্তর কল্যান সাধনের পথ খুব একটা নেই। এ নিয়ে আপনি তর্কে যেতে পারবেন। কিন্তু তেমন কোন লাভ নেই। শেষ পর্যন্ত ধর্মকেও রাজনীতির পথ ধরে আসতে হয়। এটাই বাস্তবতা। কারন রাজনীতি হচ্ছে মূলতঃ মানুষের সকল প্রকার প্রাত্যহিক কর্মের সমষ্টি। জীবন যৌবন সবই এটাতে অন্তর্ভূক্ত।
অস্বীকার করার উপায় নেই ধর্মের ভিত্তিতে যে সব রাষ্ট্র প্রতিষ্টিত হয়েছে তার মূল মিথস্ক্রিয়াও দীর্ঘ রাজনীতির ফসল। এটাই প্রক্রিয়া। কি পাকিস্তান, কি বসনিয়া - যে যেভাবেই হোক না কেন; যে যে ধর্মকে আকড়ে ধরুক না কেন; মূলতঃ সকল প্রক্রিয়াই রাজনৈতিক। রাজনীতির ভেতরে কি আছে বলার আগে বলুন রাজনীতির বাইরে কি আছে? আপনার বাড়ীর যে হাঁস-মুরগীগুলো তারাও রাজনীতির অধীন। দেশ ভাগের সময়, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এদের জীবন নানাভাবে বিপন্ন হয়েছিলো। আমার কাছে তাই দেশ এবং রাজনীতি আমার ব্যক্তিগত বিষয়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে আমার কোন রাজনৈতিক কার্যকলাপ জড়িত হওয়ার সুযোগ নেই। কারন আমি একজন পেশাজীবী। পেশাজীবীদের রাজনীতি করার সুযোগ এবং সময় মুলতঃ কই।
কিন্তু একথা তো সত্য যে পেশাজীবীরাও মানুষ। তাদেরও একটা জীবন আছে। তারাও দেশ এবং রাজনীতির ভেতরে বসবাস করেন। আমার মনে হয় বর্তমান বিশ্বে পেশাজীবীদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভাববার অবকাশ আছে।
আমাদের জীবন একটাই। এই এক জীবনে আমাদের অনেক কিছুই করতে হচ্ছে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই তেমন কিছু হয়ে ওঠে না। বাগানের ফুল বাগানেই ঝড়ে যায়। কখনও কখনও প্রজাপতি আসে। কখনও কখনও ঘোর বর্ষার মধ্যেই জীবনের পরিসমাপ্তি হয়ে যায়। কারো কারো দেখা মেলে বসন্তের। অস্থির সময়গুলো বাতায়ন আর চৌকাঠে এসে আছড়ে পড়ে। হৃদয়ের দরজা খুলে বলা হয় না স্বাগতম। হে পূর্ণ পূর্নিমার চাঁদ, আজ রাতে শুধু তোমাকেই দেখব।
খুব তাড়াতাড়ি বিছানায় যেতে হয়। খুব ভোরে অফিসের বাস ধরতে হবে। হেসে খেলে জীবনটা যায় যদি যাক। -এই ভাবনার বালাই নেই। বাইরে শামুকের শক্ত খোলস। ভিতরে কোমল ভীষন। সবকিছু মিলিয়ে পদ্ম পাতার উপরে পানি যেন। তবুও জীবন কে ভালোবাসি। ভালোবাসি রাজনীতি আর দেশকে।
অনেক লোক মনে করে দেশ হলো একটা ধারনা। এর অস্তিত্ব কেবল ধারনার মধ্যে। একটা কাল্পনিক সীমারেখার উপরে এটা প্রতিষ্ঠিত। যে কোন সময় এর সীমানা পরিবর্তন হতে পারে। বদলে যেতে পারে মানচিত্র। এটা দেখল বেদখল হয়ে যেতে পারে। বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এর স্বাধীনতা। কিন্তু এটা তো সত্য যে আপনার দেশ আপনার কাছে কতো মূল্যে পাওয়া একটা বাস্তবতা। একবার ভাবুন তো অন্য দেশে আপনার পরিচয়টা মূলতঃ কি? কিছুই না। অস্তিত্বহীন আপনি, অসহায়, ঠিকানাহীন। যতো বিতর্কই থাকুক না কেন দেশ আমাদের কাছে জীবন্ত সত্য। আমরা চাইলেও এর বাইরে যেতে পারবো না।
দেশ যখন আমাদের কাছে জীবন্ত, রাজনীতি তেমন আমাদের কাছে মূর্ত। আমরা চাইলেও সবময় এর থেকে দূরে যেতে পারি না। যদিও আমরা অনেকেই রাজনৈতিক কার্যকলাপ অপছন্দ করি। এটা মূলতঃ হয় রাজনীতিবিদদের আচরণের কারনে। বেশীর ভাগ মানুষই তাদের চার পাশের এমন সব মানুষকে এই কার্যে প্রবৃত্ত হতে দেখে যারা মূলতঃ এটাকে তাদের সুবিধা আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। আর এখান থেকে দোষটা রাজনীতির না। রাজনীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের । রাজনীতির বাইরে এতো বৃহত্তর কল্যান সাধনের পথ খুব একটা নেই। এ নিয়ে আপনি তর্কে যেতে পারবেন। কিন্তু তেমন কোন লাভ নেই। শেষ পর্যন্ত ধর্মকেও রাজনীতির পথ ধরে আসতে হয়। এটাই বাস্তবতা। কারন রাজনীতি হচ্ছে মূলতঃ মানুষের সকল প্রকার প্রাত্যহিক কর্মের সমষ্টি। জীবন যৌবন সবই এটাতে অন্তর্ভূক্ত।
অস্বীকার করার উপায় নেই ধর্মের ভিত্তিতে যে সব রাষ্ট্র প্রতিষ্টিত হয়েছে তার মূল মিথস্ক্রিয়াও দীর্ঘ রাজনীতির ফসল। এটাই প্রক্রিয়া। কি পাকিস্তান, কি বসনিয়া - যে যেভাবেই হোক না কেন; যে যে ধর্মকে আকড়ে ধরুক না কেন; মূলতঃ সকল প্রক্রিয়াই রাজনৈতিক। রাজনীতির ভেতরে কি আছে বলার আগে বলুন রাজনীতির বাইরে কি আছে? আপনার বাড়ীর যে হাঁস-মুরগীগুলো তারাও রাজনীতির অধীন। দেশ ভাগের সময়, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এদের জীবন নানাভাবে বিপন্ন হয়েছিলো। আমার কাছে তাই দেশ এবং রাজনীতি আমার ব্যক্তিগত বিষয়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে আমার কোন রাজনৈতিক কার্যকলাপ জড়িত হওয়ার সুযোগ নেই। কারন আমি একজন পেশাজীবী। পেশাজীবীদের রাজনীতি করার সুযোগ এবং সময় মুলতঃ কই।
কিন্তু একথা তো সত্য যে পেশাজীবীরাও মানুষ। তাদেরও একটা জীবন আছে। তারাও দেশ এবং রাজনীতির ভেতরে বসবাস করেন। আমার মনে হয় বর্তমান বিশ্বে পেশাজীবীদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভাববার অবকাশ আছে।
আমাদের জীবন একটাই। এই এক জীবনে আমাদের অনেক কিছুই করতে হচ্ছে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই তেমন কিছু হয়ে ওঠে না। বাগানের ফুল বাগানেই ঝড়ে যায়। কখনও কখনও প্রজাপতি আসে। কখনও কখনও ঘোর বর্ষার মধ্যেই জীবনের পরিসমাপ্তি হয়ে যায়। কারো কারো দেখা মেলে বসন্তের। অস্থির সময়গুলো বাতায়ন আর চৌকাঠে এসে আছড়ে পড়ে। হৃদয়ের দরজা খুলে বলা হয় না স্বাগতম। হে পূর্ণ পূর্নিমার চাঁদ, আজ রাতে শুধু তোমাকেই দেখব।
খুব তাড়াতাড়ি বিছানায় যেতে হয়। খুব ভোরে অফিসের বাস ধরতে হবে। হেসে খেলে জীবনটা যায় যদি যাক। -এই ভাবনার বালাই নেই। বাইরে শামুকের শক্ত খোলস। ভিতরে কোমল ভীষন। সবকিছু মিলিয়ে পদ্ম পাতার উপরে পানি যেন। তবুও জীবন কে ভালোবাসি। ভালোবাসি রাজনীতি আর দেশকে।
Comments
Post a Comment