পুরো ব্যাপারটাই জমে উঠেছে বলতে হবে। জমে উঠেছে বললেও কম বলা হবে। আসলে পুরোপুরি জমে উঠেছে বলতে হবে। একই সাথে একই অনুষ্ঠানে বাপ আর ছেলে বিয়ে করছেন। জমে ওঠার কারণ শুধু এটুকুই নয়। ছেলের বয়স যেখানে ৩০ খোনে পাত্রীর বয়স মাত্র ৩৫। আবার পিতার বয়স যেখানে ৬৫ সেখানে পাত্রীর বয়স মাত্র ২০ বছর। বিয়ে পড়াচ্ছেনও একই কাজী। কাজীর নাম বদর মিয়া। তিনি এই এলাকার সবচাইতে নাম করা কাজী। তার জীবনেও এরকম অভিজ্ঞতা এই প্রথম। তিনি কিছুটা হলেও উচ্ছসিত, উল্লসিত এবং আবেগ প্রবন হয়ে পড়েছেন। এর পেছনেও অবশ্য কারণ আছে। অনেক দিন আগে কাজী সাহেবের বউ চলে গেছে অন্য একজনের সাথে। ব্যাটা অবশ্য এই এলাকার নাম করা ঘটক ছিলো। দুজনে মিলে জুটিবদ্ধ হয়ে অনেক কাজ সেরেছেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাটা কিনা তার ঘরেই সিদ কাটল। অবশ্য মন্দ কিছু হয়নি। ঐ বোঝা যে মাথায় তুলে নিয়েছে তাকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। যেমন ওজনে ভারী তেমনি মুখরা।
কাজী সাহেব লজ্জায় মরলেও মরে বেঁচেছেন। এটা অবশ্য তার তৃতীয় বিবাহ ছিলো। আগের দুজনও একই পথ ধরেছিলো। সুবিধামত সময়ে কারও হাত ধরে ভেগেছে। কাজী সাহেবের বউ চলে যাওয়ার পর প্রায় দুটো বসন্ত পেরিয়ে গেলো। কাজী সাহেব এখনও একা। আর চৌধুরী সাহেবের বউ মরতে না মরতেই ছেলের সাথে একই অনুষ্ঠানে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। একেই বলে ভাগ্য। বিয়ের কথা শোনার পর কাজী সাহেবের আর তর সইছে না। তিনি এদিক ওদিক নজর রাখছেন। চৌধুরী সাহেবের মতো বিশের নিচে হলে মন্দ হয় না। এই বয়সে তরকারীতে হলে একটু বাড়তি ঝালই বরং ভালো লাগে।
বিয়ে বাড়ীতে ধুম লেগেছে। পুরো এক সপ্তাহের মহা পরিকল্পনা। কাঁচা আর তাজা ফুল দিয়ে সাত দিন পুরো বাড়ী সাজানো হবে। বিয়ে উপলক্ষে চৌধুরী সাহেব নতুন টয়োটা গাড়ী কিনেছেন। সেই গাড়ীও ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। চৌধুরী সাহেব দুহাতে টাকা পয়সা ছড়াচ্ছেন। ছেলের বিয়ের চাইতে তার নিজের বিয়েতে তার আনন্দ বেশি। পাত্রীর বয়স বিশের নিচে। তিনি পয়ষট্টি। ব্যাপারটা মন্দ না। চৌধুরী সাহেব চম্পা, চামেলী আর বেলির ঘ্রাণ পাচ্ছেন। তার ঘ্রান শক্তি হঠাৎ করেই যেন বেড়ে গিয়েছে।
কাজী সাহেব আজ দুচোখে ঘন করে সুরমা দিয়েছেন। তাকে হঠাৎ করেই একটু বেশি তরতাজা লাগছে। কারণ আর কিছু নয়। তিনি কথা বার্তায় কিছুটা হলেও আগাতে পেরেছেন। দিন মজুর ছোমেদ আলীর সদ্য ভালকপ্রাপ্তা মেয়ে রেবেকার সাথে তার কথা বার্তা মোটামুটি এগোচ্ছে। রেবেকার বিয়ে হয়েছিল মাত্র ছয় মাস আগে। কি জানি কি একটা নিয়ে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তার পর সরাসরি তালাক। ছেলে নাকি নেশা করে। মাতালের আবার সংসার।
বিয়ে বাড়ীতে হরদম খাওয়া দাওয়া চলছে। রান্নাবান্নার জন্যে জেলা শহরেরর সেরা বাবুর্চি কদম আলী এসেছে। কদম আলীর স্বাস্থ্য এতোটাই ভালো যে তার ভুড়ির জন্যে সে তার পা দুখানা কখনোই দেখতে পায় না। হালকা শীতের দিনে সামান্য রৌদ্রেও সে রাতারাতি ঘামছে। বিশাল বপুর কদম আলী নিজের হাতে কোন রান্নাবান্না করেন না। তিনি শুধু তদারকি করেন। কাজ বাজ সব সহকারীরাই করে।
ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা দারুন মজা পাচ্ছে। বিয়ে কি জিনিস তা তারা না বুঝলেও ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে এ অনুষ্ঠানটা তাদের উদ্দেশ্যে। গ্রামের মানুষ অনেক দিন পর যেন একটু পেট পুরে খেতে পারল। সাথে একটু বিনোদনের আয়োজনও হলো। এরকম বিয়ে মাঝে মাঝে হলে মন্দ হয় না।
চৌধুরী সাহেবের স্ত্রী রেশমা দারুন সুন্দরী। তাকে ঘিরেই সবার আকর্ষণ। সেই আকর্ষণে কিছুটা হলেও ভাগ বসিয়েছে রেশমার ছোট ভাই নিজাম। নিজামের বয়স পনের। সে দেখতে সুন্দর। তার সবচেয়ে বড় গুন এই বয়সে সে মানুষকে হাসানোর একটা দারুন কৌশল সে রপ্ত করেছে। তার কথায় কথায় হাসির ফোয়ারা ছুটছে উপস্থিত লোকজনের মুখে। নিজাম যেন চলন্ত হাসির বাক্স। এতো অল্প বয়সী একটা ছেলে এতোটা কৌশলী হয় কেমন করে। নিজাম সত্যিই অদ্ভুত।
দেখতে দেখতে কোথা দিয়ে যেন সাতদিন কেটে গেল। এবার হানিমুনের পালা। উভয় দম্পতি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছুটল। পথে যেতে যেতে তারা যেন আরও ঘনিষ্ঠ হলো। যখন ফিরল উভয় দম্পতি যেন কিছুটা হলেও পুরনো আর মলিন হয়ে গেছে।
কাজী সাহেব তার বিয়েটা সাদামাটা ভাবেই সারলেন। এটা তার চতুর্থ বিয়ে। শুধু শুধু কতগুলো পয়সা খরচ করে ধুমধাম করে কি লাভ। মজা তো একই। পাত্রী যেখানে বিশের নিচে অনুষ্ঠান সাদামাটা হলেও ক্ষতি নেই।
কাজী সাহেব বৌ নিয়ে চৌধুরী সাহেবের সাথে দেখা করতে এসেছেন। উভয়ে বারান্দায় বসে হাসাহাসি করছেন। নাস্তা পানিও সাবার করছেন বেধড়ক। ভেতরের ঘরে রেশমা আর রেবেকা গল্প জমিয়েছে। দুজনের অভিজ্ঞতা প্রায় কাছাকাছি। তবে চোখ মুখের আনন্দ দেখে মনে হচ্ছে তারা বেজায় খুশি।
কাজী সাহেব লজ্জায় মরলেও মরে বেঁচেছেন। এটা অবশ্য তার তৃতীয় বিবাহ ছিলো। আগের দুজনও একই পথ ধরেছিলো। সুবিধামত সময়ে কারও হাত ধরে ভেগেছে। কাজী সাহেবের বউ চলে যাওয়ার পর প্রায় দুটো বসন্ত পেরিয়ে গেলো। কাজী সাহেব এখনও একা। আর চৌধুরী সাহেবের বউ মরতে না মরতেই ছেলের সাথে একই অনুষ্ঠানে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। একেই বলে ভাগ্য। বিয়ের কথা শোনার পর কাজী সাহেবের আর তর সইছে না। তিনি এদিক ওদিক নজর রাখছেন। চৌধুরী সাহেবের মতো বিশের নিচে হলে মন্দ হয় না। এই বয়সে তরকারীতে হলে একটু বাড়তি ঝালই বরং ভালো লাগে।
বিয়ে বাড়ীতে ধুম লেগেছে। পুরো এক সপ্তাহের মহা পরিকল্পনা। কাঁচা আর তাজা ফুল দিয়ে সাত দিন পুরো বাড়ী সাজানো হবে। বিয়ে উপলক্ষে চৌধুরী সাহেব নতুন টয়োটা গাড়ী কিনেছেন। সেই গাড়ীও ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। চৌধুরী সাহেব দুহাতে টাকা পয়সা ছড়াচ্ছেন। ছেলের বিয়ের চাইতে তার নিজের বিয়েতে তার আনন্দ বেশি। পাত্রীর বয়স বিশের নিচে। তিনি পয়ষট্টি। ব্যাপারটা মন্দ না। চৌধুরী সাহেব চম্পা, চামেলী আর বেলির ঘ্রাণ পাচ্ছেন। তার ঘ্রান শক্তি হঠাৎ করেই যেন বেড়ে গিয়েছে।
কাজী সাহেব আজ দুচোখে ঘন করে সুরমা দিয়েছেন। তাকে হঠাৎ করেই একটু বেশি তরতাজা লাগছে। কারণ আর কিছু নয়। তিনি কথা বার্তায় কিছুটা হলেও আগাতে পেরেছেন। দিন মজুর ছোমেদ আলীর সদ্য ভালকপ্রাপ্তা মেয়ে রেবেকার সাথে তার কথা বার্তা মোটামুটি এগোচ্ছে। রেবেকার বিয়ে হয়েছিল মাত্র ছয় মাস আগে। কি জানি কি একটা নিয়ে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তার পর সরাসরি তালাক। ছেলে নাকি নেশা করে। মাতালের আবার সংসার।
বিয়ে বাড়ীতে হরদম খাওয়া দাওয়া চলছে। রান্নাবান্নার জন্যে জেলা শহরেরর সেরা বাবুর্চি কদম আলী এসেছে। কদম আলীর স্বাস্থ্য এতোটাই ভালো যে তার ভুড়ির জন্যে সে তার পা দুখানা কখনোই দেখতে পায় না। হালকা শীতের দিনে সামান্য রৌদ্রেও সে রাতারাতি ঘামছে। বিশাল বপুর কদম আলী নিজের হাতে কোন রান্নাবান্না করেন না। তিনি শুধু তদারকি করেন। কাজ বাজ সব সহকারীরাই করে।
ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা দারুন মজা পাচ্ছে। বিয়ে কি জিনিস তা তারা না বুঝলেও ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে এ অনুষ্ঠানটা তাদের উদ্দেশ্যে। গ্রামের মানুষ অনেক দিন পর যেন একটু পেট পুরে খেতে পারল। সাথে একটু বিনোদনের আয়োজনও হলো। এরকম বিয়ে মাঝে মাঝে হলে মন্দ হয় না।
চৌধুরী সাহেবের স্ত্রী রেশমা দারুন সুন্দরী। তাকে ঘিরেই সবার আকর্ষণ। সেই আকর্ষণে কিছুটা হলেও ভাগ বসিয়েছে রেশমার ছোট ভাই নিজাম। নিজামের বয়স পনের। সে দেখতে সুন্দর। তার সবচেয়ে বড় গুন এই বয়সে সে মানুষকে হাসানোর একটা দারুন কৌশল সে রপ্ত করেছে। তার কথায় কথায় হাসির ফোয়ারা ছুটছে উপস্থিত লোকজনের মুখে। নিজাম যেন চলন্ত হাসির বাক্স। এতো অল্প বয়সী একটা ছেলে এতোটা কৌশলী হয় কেমন করে। নিজাম সত্যিই অদ্ভুত।
দেখতে দেখতে কোথা দিয়ে যেন সাতদিন কেটে গেল। এবার হানিমুনের পালা। উভয় দম্পতি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছুটল। পথে যেতে যেতে তারা যেন আরও ঘনিষ্ঠ হলো। যখন ফিরল উভয় দম্পতি যেন কিছুটা হলেও পুরনো আর মলিন হয়ে গেছে।
কাজী সাহেব তার বিয়েটা সাদামাটা ভাবেই সারলেন। এটা তার চতুর্থ বিয়ে। শুধু শুধু কতগুলো পয়সা খরচ করে ধুমধাম করে কি লাভ। মজা তো একই। পাত্রী যেখানে বিশের নিচে অনুষ্ঠান সাদামাটা হলেও ক্ষতি নেই।
কাজী সাহেব বৌ নিয়ে চৌধুরী সাহেবের সাথে দেখা করতে এসেছেন। উভয়ে বারান্দায় বসে হাসাহাসি করছেন। নাস্তা পানিও সাবার করছেন বেধড়ক। ভেতরের ঘরে রেশমা আর রেবেকা গল্প জমিয়েছে। দুজনের অভিজ্ঞতা প্রায় কাছাকাছি। তবে চোখ মুখের আনন্দ দেখে মনে হচ্ছে তারা বেজায় খুশি।
Comments
Post a Comment