Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2016

Fabricare receipt 01 08 2024

দেশ

দেশ অনেক লোক মনে করে দেশ হলো একটা ধারনা। এর অস্তিত্ব কেবল ধারনার মধ্যে। একটা কাল্পনিক সীমারেখার উপরে এটা প্রতিষ্ঠিত। যে কোন সময় এর সীমানা পরিবর্তন হতে পারে। বদলে যেতে পারে মানচিত্র। এটা দেখল বেদখল হয়ে যেতে পারে। বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এর স্বাধীনতা। কিন্তু এটা তো সত্য যে আপনার দেশ আপনার কাছে কতো মূল্যে পাওয়া একটা বাস্তবতা। একবার ভাবুন তো অন্য দেশে আপনার পরিচয়টা মূলতঃ কি? কিছুই না। অস্তিত্বহীন আপনি, অসহায়, ঠিকানাহীন। যতো বিতর্কই থাকুক না কেন দেশ আমাদের কাছে জীবন্ত সত্য। আমরা চাইলেও এর বাইরে যেতে পারবো না। দেশ যখন আমাদের কাছে জীবন্ত, রাজনীতি তেমন আমাদের কাছে মূর্ত। আমরা চাইলেও সবময় এর থেকে দূরে যেতে পারি না। যদিও আমরা অনেকেই রাজনৈতিক কার্যকলাপ অপছন্দ করি। এটা মূলতঃ হয় রাজনীতিবিদদের আচরণের কারনে। বেশীর ভাগ মানুষই তাদের চার পাশের এমন সব মানুষকে এই কার্যে প্রবৃত্ত হতে দেখে যারা মূলতঃ এটাকে তাদের সুবিধা আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। আর এখান থেকে দোষটা রাজনীতির না। রাজনীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের । রাজনীতির বাইরে এতো বৃহত্তর কল্যান সাধনের পথ খুব একটা নেই। এ নিয়ে আপনি তর্কে যেতে পারবেন। ক...

শোভার হাতে নীল পদ্ম

একদিন কোন এক বিষন্ন বিকেলে আমার সহপাঠিনী শোভা এসে দাঁড়ায় কোমল বারান্দায় মুখ তার মলিন প্রজাপতি যেন গ্রীবার কাছে জমে থাকা রাজ্যের বিষন্নতার ঝুলকালি অনিন্দ্য সুন্দরী শোভাকে সেই প্রশস্ত বিকেলে ভালোবাসার ভারে একটা ছোট্ট পাখির মতো মনে হয় আমিও এগিয়ে যাই ইতঃস্তত পায়ে শোভার শোভা তবু বাড়ে না এতোটুকুও জীবনের জীর্ণতা আমাকেও এতোটা নিঃস্ব করেছে যে হাজার রঙও যেন ফিকে হয়ে যায় শোভার চোখের নীচে অনেক অন্ধকার নির্জনতার যেন একটা দ্বীপ হয়ে ধরা পড়ে যায় অজস্র লোকের ভীড়ে ওর হাতের নীল পদ্মটিও মূলতঃ আমার ঝাপসা দৃষ্টির কাছে অদেখাই রয়ে যায়।

সে এসে ফিরে গেছে

ভীষন অভিমানী মেয়ে এসে ফির গেছে তবু বলেনি - এসেছি চোখ মেলে দেখ! বাগানের গাছগুলো বড় কোমল ছিল সামান্য ডাকে হয়ত তাদের ঘুম ভেঙ্গে যেত আমি তবু ভাসি দু’চোখের কান্নায় সেই অভিমানীও আসে ভীষন গোপনে দূর থেকে দেখে চলে যায় তখনও আমার চোখে জল ভালোবাসার কি প্রয়োজন ছিল যদি এতো ভয় হয় এই কোলাহল।

বেদনারও অযোগ্য আমি

তোমার কোমল হাত ধরবো বলে শরীরে শ্যাওলার আবরণ নিয়েও বেঁচে আছি হায়! বেদনার স্বরূপ বুঝি এমনই হয়। না! না! বেদনা এরকম হবে কেন? বেদনা তো কোমল কবুতর, জোয়ারে ভেসে যাওয়া চর বেদনা তো কবির অভাবী সংসার, মরচে ধরা একটা টিনের চাল বেদনার সাথে আমার কোলাহলে কি এমন এসে যায় আমি  অনাহুত পড়ে থাকি অর্থহীন কোন ব্যাকরনে আমাকে খুঁজে পাওয়া দায় জীবনে বেদনারও যোগ্য হতে হয়!!!

অনুরাধা

অনুরাধা প্যাটেল কিংবা অনুরাধা পোড়ওয়াল যাই বলো না কেন বিখ্যাত সবাই আমার অনুরাধা কিন্তু এমন কিছু নয় প্রতিদিন স্কুল শেষে পড়ন্ত বিকেলে লাউয়ের মাচার কাছে এসে নত মুখ দাঁড়ায় আড়চোখে বারবার দেখে লাজুক চোখে তখন ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’ সহসা বাড়ী যাওয়ার ভীষন তাড়া মনে হয় অনুরাধা তবুও দাঁড়িয়ে থাকে লাউয়ের মাচার কাছে স্কুলের বারান্দায়, মাঠের কোনার কৃষ্ণচূড়া গাছের তলায় হায় অনুরাধা এযুগেও কেউ ভালোবেসে এতোটা অস্থির হয় অতঃপর আমিও এগিয়ে যাই - কি বাড়ীতে যাবে না?  সেই তো সকালে এসেছ সারাদিন কিছুই খাওয়া হয়নি গ্রামের রাস্তায় না হলেও কমপক্ষে ঘন্টা দুয়েকের পথ ঠিক ঠিক চলে যাবো। তুমি বাসায় যাও। আমার আর খাওয়া। ক্ষুধায় পেটের ভেতর নদীর তীর ভাঙ্গে। অনুরাধা সব বোঝে তবুও অবুঝের মত বসে থাকে। স্কুলের পাশের নদীর ধারে হায় অনুরাধা কি করে বোঝাই পৃথিবীতে আর যাই হোক ভালোবাসার চেয়ে ভুল কোন কিছু নাই।

জননী

মরা কোলে নিয়ে বসে থাকে একজনই গভীর রাতেও- জননী তার নাম (তাকে পায়ে ধরে হলেও কাছে রাখো কোনোমতে যেন হারাতে না পারে) মা বলে ডাক দিয়েছি মাঝ রাতে - সবাই গুমিয়ে পড়েছে মা ঠিকই জেগেছিলো - বলেছে - বাবা আমার! এসেছিস বাছাধন! হ্যাঁ মা! এসেছি! ঠিক ঠিক! এতো রাতে! কোথা থেকে! ঢাকা! ঢাকা কেন! না! না! কোন সমস্যা নাই! কোন সমস্যা নাই! এমনিই এসেছি। কই! একটা খবরও তো দিলি না! গ্রামে কি এমন মাধ্যম আছে খবর দেওয়ার তা ঠিক বলেছিস বাবা। তা ঠিক! আমার মন বলছিল তুই হয়তো আসবি। তাই তো জেগে আছি!!!

তাত্ত্বিক বিশ্লেষনে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম

১৯৭১ সালের যুদ্ধ আমাদের এমন একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছিলো যখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিলো কারা এ দেশের সত্যিকারের আপনজন আর কারা পর। সত্যি কথা বলতে কি এরকম একটা পরিস্থিতির প্রয়োজন ছিলো। নইলে কোনদিনই এই দুটো সম্প্রদায়কে চিহ্নিত করা সম্ভব হতো না। যুদ্ধ আমাদের মাঝে এই সীমা রেখা টেনে দিয়েছিলো। ভাবতে অবাক লাগে সেদিন যারা অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিলো বিগত ৪৫ বছর ধরে তারাই বেশীরভাগ সময় রাজত্ব করেছে। হয়তো আগামিতেও করবে। যদি সেদিন তারা চিহ্নিত না হতো তাহলে এই সব লোকগুলো আমাদের ভিতরেই এমন ভাবে  মিলেমিশে থাকতো যাদের কখনোই সনাক্ত করা যেতো না। ছদ্মবেশী এইসব মানুষগুলো আজীবন এই দেশে শিকড় কেটে আগায় পানি ঢালতো। কিন্তু বোঝার কোন উপায় ছিলো না। অবশ্য বুঝেও বা কী লাভ হলো। ৪৫টি বছর একটা ঘোরলাগা সময় পার করলাম আমরা। আর চিহ্নিত সেইসব লোকগুলো আমাদের চোখের সামনেই ঘোলাজলে মাছ শিকার করলো। যুদ্ধের মধ্যে ধ্বংস অনিবার্য সত্য হিসেবে বরাবরই ছিলো । তবুও ঐ ধ্বংসাতœক যুদ্ধই অনেক অমীমাংসিত প্রশ্নের জবাব এনে দিয়েছে। জাতি অন্তত তার আপনজনদের চিনতে পেরেছে। সবচেয়ে বড় কথা বিভ্রান্ত সময় পার হলেও আজ আলোর দেখা মিলছে। সেদ...

Acknowledgement Letter from Abdul Aziz, DMD, FISBL, a Recognised Person

ওমর খালেদ রুমির প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ

উপন্যাস ১ .           নীতুর চোখে জল ২ .           স্বপ্নের উল্টোপিঠ ৩ .          আমার অমৃত সত্তা ৪ .           সেলফি ৫ .          কষ্টের ক্যাম্পাস ৬ .          আশায় তুমি নিরাশায়ও তুমি ৭ .           ভালোবাসা ভালো নয় ৮ .          জোনাকির গল্প কবিতা ১ .           নির্বাসনে প্রেম ২ .           কাগজ ছেঁড়ার খেলা ৩ .          কালার অব রোজ ৪ .           হেলেনের কবিতার খাতা ৫ .          কাচঘরে...