প্রিয় বোন,
রাজশাহীতে অনেক দিন হয়ে গেল। আমাদের বদলির চাকরি। কখন বদলি হয়ে যায় জানি না। তাই সম্ভব হলে একদিন সময় করে অফিসে এসে দেখা করে যেও। জানি তুমি ব্যস্ত। তবু এমনটাই অনুরোধ করলাম।
আজ রাস্তার পাশে তোমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। অনেক দিন পর দেখা হলো বলতে হবে। অবশ্য সত্য বলতে কি আমি তোমাকে দেখিনি। তুমিই আমাকে দেখে সালাম দিলে। কিন্তু আমি তোমাকে প্রথমটায় চিনতে পারিনি। আমার চোখের সমস্যা আছে। পাওয়ার আরও বেড়েছে। আজকাল দূরে খুব একটা ভালো দেখতে পাই না। অবশ্য কাছের ব্যাপারেও একই সমস্যা। সবকিছুরই গতি নিম্নমুখী। কারণ আর কিছু নয়। বয়স বাড়ছে।
আমার কাছে তোমার বিশেষ কোন আবেদন কখনো ছিলো না। এর কোন ব্যাখ্যাও নেই। তোমাকেও কখনও আমাকে নিয়ে তেমন একটা ভাবতে দেখিনি। তাহলে এই কিতাব লেখার প্রয়োজন পড়লো কেন?
পড়লো এজন্যে যে তোমার হাত ধরে বরেন্দ্রকে চিনেছিলাম। সেই চেনা আমার জীবনকে বদলে দেয়। আমি আমার জীবনের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হই। আমি আজ যেটুকু তা যে পথে হেঁটে সেই পথটা তুমিই দেখিয়েছিলে। একটা অতি সাধারণ মেয়ে হয়েও তোমার অবদান তাই খাটো করে দেখবো না। আর একটা কথা বলে রাখি। এই বইয়ের নাম যেহেতু “বরেন্দ্রর মেয়ে” তাই অনেকেই হয়তো ভাববে তুমিই সেই বরেন্দ্রর মেয়ে। আসলে ব্যাপারটা একদমই তা নয়। আমি জানি তোমার বাড়ী বরিশাল অঞ্চলে।
বরেন্দ্র এলাকায় আসার পর এখানকার সাহিত্য সংস্কৃতি জগতে মিশতে গিয়ে অনেক মেয়ের সাথেই আমার পরিচয়, ওঠা-বসা, চলাফেরা হয়েছে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কারও কাছ থেকে এমন উপকার পাইনি যা কাজে আসতে পারে। তুমি তোমার অজান্তেই আমাকে বদলে যেতে সাহায্য করেছিলে। আমি আর যাই হই অন্ততঃ অকৃতজ্ঞ নই।
এ চিঠি তোমাকে দেওয়ার জন্যে নয়। এই বই যখন প্রকাশিত হবে আর তার কোন কপি যদি দুর্ভাগ্যবশতঃ তোমার হাতে পরে তাহলেই তুমি এসব কথা জানতে পারবে। দুর্ভাগ্যবশতঃ বললাম এই জন্যে যে আমি এসব কথা লিখলেও আমি নিজেই আবার চাই না যে তুমি এসব কথা জানো।
ইতি
তোমার ভাইয়া
মিথ কী ও কেন মিথ বিষয়টিকে জানা ও বোঝার জন্য বিগত শতকের মধ্যবর্তী সময় থেকে নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিদ, এমনকি সাহিত্য সাহিত্য সমালোচকের মধ্যে উৎসাহের অন্ত নেই। অজ¯্র গ্রন্ত এ বিষয়ে রচিত হয়েছে। বিচিত্র এসবের বিষয়, বিচিত্র এইসব গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষিতে মিথের কোনো সৃনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ দুরুহ। কোনো পক্ষ থেকে নৃতত্বের পাঠকদের জানানো হয়েছে যে প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যে তারা যে মিথের ব্যবহার দেখে থাকেন, তা আসলে মিথ-ই নয়। কেননা তাদের কোনো ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক সংযোগ নেই। কেউ আবার আধুনিক লেখদের ‘মিথোম্যানিয়া’ সম্পর্কেও পাঠকদের সতর্ক করেছেন, কারণ এ হল ইতিহাস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাদপসারণ। এ সব সত্ত্বেও সাহিত্য মিথের ব্যবহার সক্রিয় আর বুদ্ধিবৃত্তি বা নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা মিথের আছে। বরং নৃতত্ত্ব ও মনোবিজ্ঞান মিথ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিথ সম্পর্কে ব্যাখ্যাও জটিল হয়েছে। প্রত্যেকটি শাখার গবেষকরাই তাদের নিজস্ব তত্ত্বের আলোকে মিথকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে আমাদের বলার কথা এই যে মানবসমাজের গোড়ায় আদিম ধর্মীয় স্তর থেকে অবচেতন মনের আধুনিক অ
Comments
Post a Comment