নিজের সম্পর্কে কিছু কথা বলে নেওয়া দরকার। মূলতঃ আমি চাকরীজীবী। তবে লেখালেখি করি। এটা আমার সখও নয়। সুখও নয়। এক ধরনের অসুখ। না লিখে থাকতে পারি না। যদিও লেখার মান একেবারে যাচ্ছে তাই তবুও চালিয়ে যাচ্ছি। আশা যদি কোনদিন ভালো কিছু নয়। লেখা অগোছালোও। প্রায়ই ভাবের উদয় হলে লিখতে শুরু করি বটে তবে কর্মের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার জন্যে আবেগটা পুরোপুরি প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই নিহত হয়। আর এভাবেই অসমাপ্ত লেখাটির বাকী অংশটুকু কোনমতে এবং খাপছাড়াভাবে একটা নিরাবেগ সৌন্দর্যের মধ্যে দিয়ে শেষ করতে হয়। এসব ঝামেলার কারণেই হয়তো চাকরীজীবীদের মধ্যে আমি শিল্পচর্চাকারী মানুষের দেখা খুব একটা পাইনি। তাদের শিল্প ভাত আর দাঁতের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। রোজগারী মানুষের আবেগ থাকবে নেই।
মাঝে মাঝে অবশ্য মনে হয় হাসন রাজার মতো হতে পারলে মন্দ হতো না। নদীতে বজরা ভাসতো। সুন্দরী রমনীরা নৃত্য-গীত পরিবেশন করতো। পাশে থাকতো সুরার পাত্র। আমি চুমুক দিতে দিতে ভাবের সাগরে ডুব দিতাম। শের শায়েরী লিখতাম। ভক্ত অনুরক্তরা না হোক আমরা অনুগত ভৃত্যরা অন্তত শুনে বলতো মারহাবা! মারহাবা!
কিন্তু এসবের কিছুই হয় না। তুচ্ছ জীবন যার তার স্বপ্ন পূরণ হবে কোথা থেকে। স্বপ্ন তাই স্বপ্নের জায়গায়ই থেকে যায়। আমি উঠে চলে যাই জীবনের ধরাবাধা নিয়ম মানতে। প্রতিদিনের এই একই চিত্র। ভালোবাসা, ভালোলাগা এসবের অনেক কিছু শুকনো গোলাপের পাপড়ি হয়ে জমতে থাকে বুক পকেটের ভেতর। তার সুগন্ধ কোথায় কখন যে হারিয়ে যায় তারও খোঁজ থাকে না।
<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-3883391145962233"
crossorigin="anonymous"></script>
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-format="fluid"
data-ad-layout-key="-5i+dr-1v-ha+102"
data-ad-client="ca-pub-3883391145962233"
data-ad-slot="8692209125"></ins>
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script>
Comments
Post a Comment